পরিচ্ছেদঃ ১১/ আয়েশা (রাঃ) থেকে আর এক প্রকার বর্ণনা

১৪৭৫। মুহাম্মাদ ইবনু সালামা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন তিনি সালাতে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং তাকবীর বললেন, মুসল্লীরাও তার পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ কিরাআত পড়লেন। তারপর তাকবীর বললেন ও দীর্ঘ রুকু করলেন।

এরপর মাথা উঠালেন ও বললেন, "সামিআল্লাহু লিমান হামিদা রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ" তারপর দাঁড়ালেন ও দীর্ঘ কিরাআত পড়লেন, যা পূর্ববর্তী কিরাআত থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল, তারপর তাকবীর বললেন ও দীর্ঘ রুকু করলেন, যা পূর্ববর্তী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল, পরে বললেন "সামিআল্লাহু লিমান হামিদা, রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ" তারপর সিজদা করলেন। পরে দ্বিতীয় রাকআওে অনুরূপই করলেন। এভাবে তিনি চার রুকু এবং চার সিজদা আদায় করলেন, আর তার সালাত সমাপ্ত করে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে সূর্যও আলোকিত হয়ে গেল।

পরে তিনি দাঁড়ালেন ও লোকদের সামনে খুতবা দিলেন ও আল্লাহ তাআলার যথোপযুক্ত প্রশংসা করে বললেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দুটো নিদর্শন। তাদের গ্রহণ কারো জন্ম-মৃত্যুর কারণে হয় না। অতএব, তোমরা যখন তাদের গ্রহণ দেখবে, তখন তোমরা সালাত আদায় করতে থাকবে যাতে যতক্ষন না তোমরা মুক্ত হও। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি আমার এই দাঁড়ানো অবস্থায় থেকে তোমাদের জন্য ওয়াদাকৃত সমুদয় বস্তু দেখতে পেয়েছি।

তোমরা আমাকে দেখেছ যে, যখন আমি অগ্রসর হয়েছি তখন আমি জান্নাতের একটি মাথা ধরার ইচ্ছা করেছিলাম, যখন তোমরা আমাকে পিছু হটতে দেখলে, তখন আমি জাহান্নামকে দেখলাম যে, তার কিয়দংশ কিয়দংশকে খেয়ে ফেলছে। আর আমি তাতে ইবনু লুহাইকেও দেখেছি, যে চতুষ্পদ জন্তুকে (পিঠে সওয়ার হওয়া, বোঝা বহন করানো ইত্যাদি কাজ থেকে অব্যাহিত দিয়ে) ছেড়ে দেওয়ার প্রথা চালু করেছিল।

باب نَوْعٌ آخَرُ مِنْهُ عَنْ عَائِشَةَ،

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ فَكَبَّرَ وَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ فَاقْتَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ ‏‏"‏‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏ ثُمَّ قَامَ فَاقْتَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَالَ ‏‏"‏‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ فَاسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ ‏‏"‏‏ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ تَعَالَى لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَصَلُّوا حَتَّى يُفْرَجَ عَنْكُمْ ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏‏"‏‏ رَأَيْتُ فِي مَقَامِي هَذَا كُلَّ شَىْءٍ وُعِدْتُمْ لَقَدْ رَأَيْتُمُونِي أَرَدْتُ أَنْ آخُذَ قِطْفًا مِنَ الْجَنَّةِ حِينَ رَأَيْتُمُونِي جَعَلْتُ أَتَقَدَّمُ وَلَقَدْ رَأَيْتُ جَهَنَّمَ يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ وَرَأَيْتُ فِيهَا ابْنَ لُحَىٍّ وَهُوَ الَّذِي سَيَّبَ السَّوَائِبَ ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏

اخبرنا محمد بن سلمة، عن ابن وهب، عن يونس، عن ابن شهاب، قال اخبرني عروة بن الزبير، عن عاىشة، قالت خسفت الشمس في حياة رسول الله صلى الله عليه وسلم فقام فكبر وصف الناس وراءه فاقترا رسول الله صلى الله عليه وسلم قراءة طويلة ثم كبر فركع ركوعا طويلا ثم رفع راسه فقال ‏‏"‏‏ سمع الله لمن حمده ربنا ولك الحمد ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏ ثم قام فاقترا قراءة طويلة هي ادنى من القراءة الاولى ثم كبر فركع ركوعا طويلا هو ادنى من الركوع الاول ثم قال ‏‏"‏‏ سمع الله لمن حمده ربنا ولك الحمد ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏ ثم سجد ثم فعل في الركعة الاخرى مثل ذلك فاستكمل اربع ركعات واربع سجدات وانجلت الشمس قبل ان ينصرف ثم قام فخطب الناس فاثنى على الله عز وجل بما هو اهله ثم قال ‏‏"‏‏ ان الشمس والقمر ايتان من ايات الله تعالى لا يخسفان لموت احد ولا لحياته فاذا رايتموهما فصلوا حتى يفرج عنكم ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏ وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏‏"‏‏ رايت في مقامي هذا كل شىء وعدتم لقد رايتموني اردت ان اخذ قطفا من الجنة حين رايتموني جعلت اتقدم ولقد رايت جهنم يحطم بعضها بعضا حين رايتموني تاخرت ورايت فيها ابن لحى وهو الذي سيب السواىب ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏


It was narrated from Ibn Shihab rom 'Urwah bin Az-Zubair, that Aishah said:
"The sun was eclipsed during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ). He stood and said the takbir, and the people formed rows behind him. The Messenger of Allah (ﷺ) recited for a long time, then he said the takbir and bowed for a long time, then he raised his head and said: Sami Allahu liman hamidah, Rabbana wa lakal-hamd. Then he stood and recited for a long time, but it was a shorter recitation than the first recitation, then he said the takbir and bowed but it was shorter than the first bowing. Then he said: Sami Allahu liman hamidah, then he prostrated. In this manner, he bowed four times, and the eclipse ended before he had finished. Then he stood and addressed the people. He praised and glorified Allah (SWT), the Mighty and Sublime, as He deserves, then he said: The sun and moon are two of the signs of Allah (SWT), Most High. They do not become eclipsed for the death or birth of anyone. If you see that (eclipsed) then pray until it ends. And the Messenger of Allah (ﷺ) said: While I was standing just now I saw everything you have been promised. When you saw me moving forward, I wanted to take a cluster of fruit from Paradise. And I saw Hell; parts of it were consuming other parts when you saw me step backward. And I saw therein Ibn Luhayy, who was the first one to establish the Sa'ibah.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ গ্রহন [চন্দ্র সূর্য] (كتاب الكسوف) 16/ The Book of Eclipses

পরিচ্ছেদঃ ১১/ আয়েশা (রাঃ) থেকে আর এক প্রকার বর্ণনা

১৪৭৬। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর যুগে একবার সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন আওয়াজ দেওয়া হল যে, সালাত অনুষ্ঠিত হবে। লোকজন একত্রিত হয়ে গেলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিয়ে দু’রাকআত সালাত আদায় করলেন চার রুকুর এবং চার সিজদা সহকারে।

باب نَوْعٌ آخَرُ مِنْهُ عَنْ عَائِشَةَ،

أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنُودِيَ الصَّلاَةُ جَامِعَةٌ فَاجْتَمَعَ النَّاسُ فَصَلَّى بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ ‏‏.‏‏

اخبرنا اسحاق بن ابراهيم، قال حدثنا الوليد بن مسلم، عن الاوزاعي، عن الزهري، عن عروة، عن عاىشة، قالت خسفت الشمس على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فنودي الصلاة جامعة فاجتمع الناس فصلى بهم رسول الله صلى الله عليه وسلم اربع ركعات في ركعتين واربع سجدات ‏‏.‏‏


It was narrated from Az-Zuhri, from 'Urwah, that :
Aishah said: "The sun was eclipsed during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ) and it was called out: 'As-salatu jam'iah (prayer is about to begin in congregation).' So the people gathered and the Messenger of Allah (ﷺ) led them in prayer, bowing four times in two rak'ahs and prostrating four times."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ গ্রহন [চন্দ্র সূর্য] (كتاب الكسوف) 16/ The Book of Eclipses

পরিচ্ছেদঃ ১১/ আয়েশা (রাঃ) থেকে আর এক প্রকার বর্ণনা

১৪৭৭। কুতায়বা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে একবার সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন, তিনি দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন। তারপর রুকু করলেন এবং রুকু দীর্ঘায়িত করলেন, তারপর দাঁড়ালেন যার দাড়ানোকে দীর্ঘায়িত করলেন এবং তা ছিল পূর্ববর্তী দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত। তারপর রুকু করলেন এবং রুকু দীর্ঘায়িত করলেন, কিন্তু তা পূর্ববর্তী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর মাথা উঠালেন ও সিজদা করলেন, এরপর দ্বিতীয় রাকআতেও অনুরূপ করলেন। এভাবে সালাত শেষ করলেন। ইতিমধ্যে সূর্য আলোকিত হয়ে গেল।

তখন তিনি মানুষদের সামনে খুতবা দিলেন। শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা এবং মহিমা প্রকাশ করলেন। তারপর বললেন, সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহ তা’আলার নিদর্শন সমুহের দু’টি নিদর্শন কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে তাদের গ্রহণ হয় না। অতএব, তোমরা যখন তা দেখবে তখন তোমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে দু’আ করবে এবং তাকবীর বলবে ও সাদকা করবে। পরে তিনি বললেন, হে উম্মাতে মুহাম্মাদী! আল্লাহ তায়ালার কোন বান্দা কিংবা কোন মহিলা ব্যভিচারে লিপ্ত হোক এ কাজ থেকে আল্লাহর চেয়ে কঠোর নিষেধকারী আর কেউ নেই। হে উম্মাতে মুহাম্মাদী! আল্লাহর শপথ! যদি তোমরা ঐ সকল বিষয়ে অবহিত হতে, যে বিষয়ে আমি অবহিত রয়েছি, তাহলে নিশ্চয়ই তোমরা কম হাসতে এবং অধিক কাঁদতে।

باب نَوْعٌ آخَرُ مِنْهُ عَنْ عَائِشَةَ،

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاسِ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُو دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ فَسَجَدَ ثُمَّ فَعَلَ ذَلِكَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏‏"‏‏ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَادْعُوا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَكَبِّرُوا وَتَصَدَّقُوا ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏ ثُمَّ قَالَ ‏‏"‏‏ يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ مَا مِنْ أَحَدٍ أَغْيَرُ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَزْنِيَ عَبْدُهُ أَوْ تَزْنِيَ أَمَتُهُ يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ وَاللَّهِ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏

اخبرنا قتيبة، عن مالك، عن هشام بن عروة، عن ابيه، عن عاىشة، قالت خسفت الشمس في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم بالناس فقام فاطال القيام ثم ركع فاطال الركوع ثم قام فاطال القيام وهو دون القيام الاول ثم ركع فاطال الركوع وهو دون الركوع الاول ثم رفع فسجد ثم فعل ذلك في الركعة الاخرى مثل ذلك ثم انصرف وقد تجلت الشمس فخطب الناس فحمد الله واثنى عليه ثم قال ‏‏"‏‏ ان الشمس والقمر ايتان من ايات الله لا يخسفان لموت احد ولا لحياته فاذا رايتم ذلك فادعوا الله عز وجل وكبروا وتصدقوا ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏ ثم قال ‏‏"‏‏ يا امة محمد ما من احد اغير من الله عز وجل ان يزني عبده او تزني امته يا امة محمد والله لو تعلمون ما اعلم لضحكتم قليلا ولبكيتم كثيرا ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏


It was narrated from Hisham bin 'Urwah, from his father, that 'Aishah said:
'The sun was eclipsed during the time of the Messenger of Allah (ﷺ) and the Messenger of Allah (ﷺ) led the people in prayer. He stood for a long time, then he bowed for a long time, then he stood for a long time, but it was shorter than the first standing, then he bowed for a long time but it was shorter than the first bowing. Then he stood up, then he prostrated, then he did the same in the second rak'ah, and when he finished the eclipse had ended. Then he addressed the people; he praised and glorified Allah (SWT), then he said: The sun and the moon are two of the signs of Allah (SWT). They do not become eclipsed for the death or birth of anyone. If you see that then call upon Allah (SWT), the Mighty and Sublime, and magnify Him, and give charity. Then he said: 'O Ummah of Muhammad! There is no one more jealous than Allah (SWT), the Mighty and Sublime, when his male or female slave commits zina. O Ummah of Muhammad! By Allah, if you knew what I know, you would laugh little and weep much.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ গ্রহন [চন্দ্র সূর্য] (كتاب الكسوف) 16/ The Book of Eclipses

পরিচ্ছেদঃ ১১/ আয়েশা (রাঃ) থেকে আর এক প্রকার বর্ণনা

১৪৭৮। মুহাম্মাদ ইবনু সালামা (রহঃ) ... আমরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আয়িশা (রাঃ) তার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, এক ইয়াহুদী মহিলা তার কাছে এসে বলল আল্লাহ তা’আলা আপনাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন। আয়িশা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মানুষদের কি কবরে আযাব দেওয়া হবে? তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তা থেকে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে পানাহ চাচ্ছি। আয়িশা (রাঃ) বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণের জন্য বের হলেন, ইতিমধ্যে সূর্যগ্রহণ লেগে গেল। তখন আমরা হুজরা থেকে বের হয়ে গেলাম, এসময় আমাদের পাশে অনেক মহিলা একত্রিত হয়ে গেল এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছ ফিরে আসলেন তখন ছিল সূর্যদোয়ের এবং দ্বিপ্রহেরর মধ্যবর্তী সময়।

তিনি সালাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন। তারপর দীর্ঘ রুকু করলেন, এরপর তার মাথা উঠালেন ও দাঁড়িয়ে গেলেন, পূর্ববর্তী দাড়ানো থেকে সংক্ষিপ্তভাবে। তারপর রুকু করলেন পূর্ববর্তী রুকুর থেকে সংক্ষিপ্ত। পরে সিজদা করলেন, অতঃপর দ্বিতীয় রাকআতে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং অনুরূপই করলেন কিন্তু দ্বিতীয় রাকআতের রুকু এবং দাঁড়ানো প্রথম রাকআতের রুকু এবং দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। তারপর সিজদা করলেন এবং সূর্যও আলোকিত হয়ে গেল। যখন সালাত শেষ করলেন মিম্বরের উপর বসলেন এবং তার খুতবার মধ্যে বললেন যে, নিশ্চয়ই মানুষ তাদের কবরে দাজ্জালের পরীক্ষার ন্যায় পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমরা তাকে এরপরে শুনতাম যে তিনি কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতেন।

باب نَوْعٌ آخَرُ مِنْهُ عَنْ عَائِشَةَ،

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، أَنَّ عَمْرَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهَا أَنَّ يَهُودِيَّةً أَتَتْهَا فَقَالَتْ أَجَارَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ قَالَتْ عَائِشَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ النَّاسَ لَيُعَذَّبُونَ فِي الْقُبُورِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَائِذًا بِاللَّهِ ‏‏.‏‏ قَالَتْ عَائِشَةُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مَخْرَجًا فَخَسَفَتِ الشَّمْسُ فَخَرَجْنَا إِلَى الْحُجْرَةِ فَاجْتَمَعَ إِلَيْنَا نِسَاءٌ وَأَقْبَلَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَلِكَ ضَحْوَةً فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ دُونَ رُكُوعِهِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ قَامَ الثَّانِيَةَ فَصَنَعَ مِثْلَ ذَلِكَ إِلاَّ أَنَّ رُكُوعَهُ وَقِيَامَهُ دُونَ الرَّكْعَةِ الأُولَى ثُمَّ سَجَدَ وَتَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ فِيمَا يَقُولُ ‏‏ "‏‏ إِنَّ النَّاسَ يُفْتَنُونَ فِي قُبُورِهِمْ كَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏ قَالَتْ عَائِشَةُ كُنَّا نَسْمَعُهُ بَعْدَ ذَلِكَ يَتَعَوَّذُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ‏‏.‏‏

اخبرنا محمد بن سلمة، عن ابن وهب، عن عمرو بن الحارث، عن يحيى بن سعيد، ان عمرة، حدثته ان عاىشة حدثتها ان يهودية اتتها فقالت اجارك الله من عذاب القبر قالت عاىشة يا رسول الله ان الناس ليعذبون في القبور فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم عاىذا بالله ‏‏.‏‏ قالت عاىشة ان النبي صلى الله عليه وسلم خرج مخرجا فخسفت الشمس فخرجنا الى الحجرة فاجتمع الينا نساء واقبل الينا رسول الله صلى الله عليه وسلم وذلك ضحوة فقام قياما طويلا ثم ركع ركوعا طويلا ثم رفع راسه فقام دون القيام الاول ثم ركع دون ركوعه ثم سجد ثم قام الثانية فصنع مثل ذلك الا ان ركوعه وقيامه دون الركعة الاولى ثم سجد وتجلت الشمس فلما انصرف قعد على المنبر فقال فيما يقول ‏‏ "‏‏ ان الناس يفتنون في قبورهم كفتنة الدجال ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏ قالت عاىشة كنا نسمعه بعد ذلك يتعوذ من عذاب القبر ‏‏.‏‏


It was narrated from Yahya bin Sa'eed that :
'Amrah told him that Aishah told her that a Jewish woman came to her and said: "May Allah protect you from the torment of the grave." Aishah said: "O Messenger of Allah, will people be tormented in the graves?" The Messenger of Allah (ﷺ) sought refuge with Allah. 'Aishah said: "The Prophet (ﷺ) went out, and the sun became eclipsed. We went out to another room and the women gathered with us. The Messenger of Allah (ﷺ) came to us and that was at the time of forenoon. He stood for a long time, then he bowed for a long time, then he raises his head and stood for a shorter time than the first one; then he bowed for a shorter time than the first one. Then he prostrated, then he stood up for the second (rak'ah) and did the same again, except that his bowing an prostrating were shorter than in the first rak'ah. Then he prostrated, and the eclipse had ended. When he had finished, he sat on the minbar and one of the things he said was: 'The people will be tried in their graves like the trial of the Dajjal.' Aishah siad: 'After that, we used to hear him seeking refuge with Allah (SWT) from the torment of the grave."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ গ্রহন [চন্দ্র সূর্য] (كتاب الكسوف) 16/ The Book of Eclipses
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে