পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৬৮. উবায়দুল্লাহ ইবন আমর ইবন মায়সারা (রহঃ) ..... জুবায়র ইবন মুত’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি এবং উছমান (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট খুমুসের ব্যাপারে আলোচনার জন্য যাই, যা তিনি বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিবের মাঝে বণ্টন করেন। এ সময় আমি জিজ্ঞেস করিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি তো আমাদের ভাই বনূ মুত্তালিবকে অংশ দিলেন, কিন্তু আমাদের তো কিছু দিলেন না? অথচ আমাদের ও তাদের সস্পর্ক আপনার সঙ্গে একই ধরনের! তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিব তো একই।
রাবী জুবায়র (রাঃ) বলেনঃ তিনি বনূ আবদুশ শামস ও বনূ নওফলকে এ খুমুস হতে অংশ প্রদান করেননি, যেমন বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিবকে অংশ প্রদান করেছিলেন। আর আবূ বকর (রাঃ)-ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ন্যায় খুমুসের অংশ বন্টন করতেন। কিন্তু তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আত্নীয়দের অংশ প্রদান করতেন না, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে তাদের অংশ দিতেন। রাবী বলেনঃ উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) তাদের খুমুস থেকে অংশ দিতেন এবং তারপর উছমান (রাঃ)-ও এরূপ করতেন।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، أَخْبَرَنِي جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ، أَنَّهُ جَاءَ هُوَ وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ يُكَلِّمَانِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا قَسَمَ مِنَ الْخُمُسِ بَيْنَ بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَسَمْتَ لإِخْوَانِنَا بَنِي الْمُطَّلِبِ وَلَمْ تُعْطِنَا شَيْئًا وَقَرَابَتُنَا وَقَرَابَتُهُمْ مِنْكَ وَاحِدَةٌ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ شَىْءٌ وَاحِدٌ " . قَالَ جُبَيْرٌ وَلَمْ يَقْسِمْ لِبَنِي عَبْدِ شَمْسٍ وَلاَ لِبَنِي نَوْفَلٍ مِنْ ذَلِكَ الْخُمُسِ كَمَا قَسَمَ لِبَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ . قَالَ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَقْسِمُ الْخُمُسَ نَحْوَ قَسْمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُعْطِي قُرْبَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُعْطِيهِمْ . قَالَ وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يُعْطِيهِمْ مِنْهُ وَعُثْمَانُ بَعْدَهُ .
Narrated Jubair b. Mut'im:
That he and 'Uthman b. 'Affan went to the Messenger of Allah (ﷺ) talking to him about the fifth which he divided among the Banu Hisham and Abu 'Abd al-Muttalib. I said: Messenger of Allah, you have divided (the fifth) among our brethren Banu 'Abd al-Muttalib, but you have not given us anything, though our relationship to you is the same as theirs. The Prophet (ﷺ) said: The Banu Hisham and the Banu 'Abd al-Muttalib are one. Jubair said: He did not divide the fifth among the Banu 'Abd Shams and the Banu Nawfal as he divided among the Banu Hashim and the Banu 'Abd al-Muttalib. He said: Abu Bakr used to divide the fifth like the division of Messenger of Allah (ﷺ) except that he did not give the relatives of the Messenger of Allah (ﷺ), as he gave them. 'Umar b. al-Khattab and 'Uthman after him used to give them (a portion) from it.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৬৯. উবায়দুল্লাহ ইবন উমার (রহঃ) ..... জুবায়র ইবন মুত’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ আবদুশ শামস ও বনূ নওফলকে খুমুস হতে কোন অংশ দেন নি, যেমন তিনি বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিবকে দিয়েছিলেন। আর আবূ বকর (রাঃ)-ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বণ্টন নীতির ন্যায় (খুমুস) বন্টন করতেন। তবে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট-আত্মীয়দের কোন অংশ দিতেন না, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তাদের দিতেন। অবশ্য উমার (রাঃ) এবং তাঁর পরবর্তী খলীফারা সকলেই তাদের অংশ প্রদান করতেন।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، حَدَّثَنَا جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَقْسِمْ لِبَنِي عَبْدِ شَمْسٍ وَلاَ لِبَنِي نَوْفَلٍ مِنَ الْخُمُسِ شَيْئًا كَمَا قَسَمَ لِبَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ . قَالَ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَقْسِمُ الْخُمُسَ نَحْوَ قَسْمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يُعْطِي قُرْبَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا كَانَ يُعْطِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ عُمَرُ يُعْطِيهِمْ وَمَنْ كَانَ بَعْدَهُ مِنْهُمْ .
Narrated Jubair b. Mu'tim:
The Messenger of Allah (ﷺ) did not divide the fifth among the Banu 'Abd Shams and Banu Nawfal as he divided among the Banu Hashim and Banu 'Abd al-Muttalib. He said: Abu Bakr used to divide (the fifth) like the division of the Messenger of Allah (ﷺ), except that he did not give the relatives of the Messenger of Allah as the Messenger of Allah (ﷺ) himself gave them. 'Umar used to give them (from the fifth) and those who followed him.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭০. মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... জুবাইর ইবন মুত’ইম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ খায়বর যুদ্ধের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকটাত্মীয়ের অংশ বনূ হাশিম ও বনূ মুত্তালিবের মাঝে বন্টন করে দেন এবং বনূ আবদুশ শামস ও বনূ নওফলকে পরিত্যাগ করেন। এ সময় আমি (রাবী) এবং উছমান ইবন আফফান (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হই এবং বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই তো বনূ হাশিম, আমরা এদের ফযীলত অস্বীকার করতে পারি না। কেননা আল্লাহ আপনাকে এ বংশে পয়দা করেছেন। কিন্তু আমাদের ভাই বনূ মুত্তালিবের অবস্থা কী যে, আপনি তাদের অংশ দিলেন অথচ আমাদের দিলেন না? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি এবং বনূ মুত্তালিব জাহিলিয়াতের যুগে এবং ইসলামের যুগে বিছিন্ন হই নি। বরং আমরা এবং তারা একই। অতঃপর তিনি তার এক হাতের আংগুল অন্য হাতের আংগুলে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে বললেনঃ আমরা এবং তারা তো এভাবে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، أَخْبَرَنِي جُبَيْرُ بْنُ مُطْعِمٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ وَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَهْمَ ذِي الْقُرْبَى فِي بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي الْمُطَّلِبِ وَتَرَكَ بَنِي نَوْفَلٍ وَبَنِي عَبْدِ شَمْسٍ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ حَتَّى أَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَؤُلاَءِ بَنُو هَاشِمٍ لاَ نُنْكِرُ فَضْلَهُمْ لِلْمَوْضِعِ الَّذِي وَضَعَكَ اللَّهُ بِهِ مِنْهُمْ فَمَا بَالُ إِخْوَانِنَا بَنِي الْمُطَّلِبِ أَعْطَيْتَهُمْ وَتَرَكْتَنَا وَقَرَابَتُنَا وَاحِدَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَا وَبَنُو الْمُطَّلِبِ لاَ نَفْتَرِقُ فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلاَ إِسْلاَمٍ وَإِنَّمَا نَحْنُ وَهُمْ شَىْءٌ وَاحِدٌ " . وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ .
Narrated Jubair b. Mu'tim:
On the day of Khaibar the Messenger of Allah (ﷺ) divided the portion to his relatives among the Banu Hashim and Banu 'Abd al-Muttalib, and omitted Banu Nawfal and Banu 'Abd Shams. So I and 'Utham b. 'Affan went to the Prophet (ﷺ) and we said: Messenger of Allah, these are Banu Hashim whose superiority we do not deny because if the position in which Allah has placed you in relation to them ; but tell us about Banu 'Abd al-Muttalib to whom you have given something while omitting us though our relationship is the same as theirs. The Messenger of Allah (ﷺ) said: There is no distinction between us and Banu 'Abd al-Muttalib in pre-Islamic days and in Islam. We and they are one, and he (ﷺ) intertwined his fingers.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭১. হুসায়ন ইবন আলী আজালী (রহঃ) ..... হাসান ইবন সালিহ সুদ্দী সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (কুরআনে বর্ণিত) নিকটাত্মীয় হলো বনূ আবদুল মুওালিব।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْعِجْلِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ، عَنِ السُّدِّيِّ، فِي ذِي الْقُرْبَى قَالَ هُمْ بَنُو عَبْدِ الْمُطَّلِبِ .
Explaining the relatives of the Prophet (ﷺ) al-Saddi said:
They are Banu 'Abd al-Muttalib.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭২. আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) .... ইয়াযীদ ইবন হুরমুয (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাজদা-হারুরী ইবন জুবায়রের ফিতনার (শাহাদাতের) বছর হজ্জ শেষে এক ব্যক্তিকে ইবন আব্বাস (রাঃ)-এর কাছে নিকটাত্মীয়দের প্রাপ্য অংশের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করার জন্য প্রেরণ করেন যে, এদের ব্যাপারে তাঁর অভিমত কী? তিনি বলেনঃ যাবিল-কুরবা বা নিকটাত্মীয়ের অর্থ হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আপন জনেরা, যাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং অংশ প্রদান করেছিলেন। আর উমার (রাঃ) আমাদেরকে তা হতে অংশ প্রদান করেছিলেন। কিন্তু আমরা তাকে আমাদের প্রাপ্য অংশ হতে কম মনে করে ফিরিয়ে দেই এবং আমরা তা গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করি।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ هُرْمُزَ، أَنَّ نَجْدَةَ الْحَرُورِيَّ، حِينَ حَجَّ فِي فِتْنَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ أَرْسَلَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَسْأَلُهُ عَنْ سَهْمِ ذِي الْقُرْبَى وَيَقُولُ لِمَنْ تَرَاهُ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لِقُرْبَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَسَمَهُ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ كَانَ عُمَرُ عَرَضَ عَلَيْنَا مِنْ ذَلِكَ عَرْضًا رَأَيْنَاهُ دُونَ حَقِّنَا فَرَدَدْنَاهُ عَلَيْهِ وَأَبَيْنَا أَنْ نَقْبَلَهُ .
Narrated Abdullah ibn Abbas:
Yazid ibn Hurmuz said that when Najdah al-Haruri performed hajj during the rule of Ibn az-Zubayr, he sent someone to Ibn Abbas to ask him about the portion of the relatives (in the fifth). He asked: For whom do you think? Ibn Abbas replied: For the relatives of the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) divided it among them. Umar presented it to us but we found it less than our right. We, therefore returned it to him and refused to accept it.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৩. আব্বাস ইবন আবদুল আযীম (রহঃ) ..... আবদুর রাহমান ইবন আবূ লায়লা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আলী (রাঃ)-কে এরূপ বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ’খুমুস’-এর ’খুমুস’ অংশে মুতাওয়ালী বানান, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর খাস ব্যক্তিদের জন্য ব্যয় করতেন। আর এ ভাবেই আমি সে মাল আবূ বকর (রাঃ) এবং উমার (রাঃ)-এর খিলাফত আমল পর্যন্ত খরচ করতে থাকি।
এরপর উমার (রাঃ)-এর শাসনামলে তাঁর নিকট কিছু মাল আসে, তখন তিনি আমাকে বলেনঃ তুমি এই মাল গ্রহণ কর। আমি বলিঃ আমি এটা গ্রহণ করতে চাই না। তখন তিনি পুনরায় বলেনঃ তুমি এটা গ্রহণ কর। কেননা, তুমিই এর যোগ্য পাত্র। তখন আমি বলিঃ এতে আমার কোন প্রয়োজন নেই। অবশেষে উমার (রাঃ) সে মাল বায়তুল মালে জমা দিয়ে দেন।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، يَقُولُ وَلاَّنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خُمُسَ الْخُمُسِ فَوَضَعْتُهُ مَوَاضِعَهُ حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَحَيَاةَ أَبِي بَكْرٍ وَحَيَاةَ عُمَرَ فَأُتِيَ بِمَالٍ فَدَعَانِي فَقَالَ خُذْهُ . فَقُلْتُ لاَ أُرِيدُهُ . قَالَ خُذْهُ فَأَنْتُمْ أَحَقُّ بِهِ . قُلْتُ قَدِ اسْتَغْنَيْنَا عَنْهُ فَجَعَلَهُ فِي بَيْتِ الْمَالِ .
Narrated 'Abd al-Rahman b. Abi Laila:
I heard 'Ali say: The Messenger of Allah (ﷺ) assigned me the fifth (of the booty). I spent it on its beneficiaries during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ) and Abu Bakr and of 'Umar. Some property was brought to him ('Umar) and he called me and said: Take it. I said: I dod not want it. He said: Take it ; you have right to it. I said: We do not need it. So he deposited in the government treasury.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৪. উসমান ইবন আবী শায়বা (রহঃ) ..... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি, আব্বাস (রাঃ), ফাতিমা এবং যায়দ ইবন হারিছা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আপনি ভাল মনে করেন, তবে আল্লাহ্র কিতাবের নির্দেশ অনুযায়ী ’খুমুস’ হতে আমাদের প্রাপ্য অংশটি আমার ইখতিয়ারে দিয়ে দিন, যাতে আমি তা আপনার জীবদ্দশায় বণ্টন করে দিতে পারি এবং আপনার ইন্তিকালের পর আমাদের কেউ যেন আমার সঙ্গে ঝগড়া করতে না পারে।
আলী (রাঃ) বলেনঃ তখন তিনি এরূপ করেন। অতঃপর আলী (রাঃ) বলেনঃ তখন আমি তা (খুমুস) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় বণ্টন করে দেই। এরপর আবূ বকর (রাঃ)-ও আমাকে ইখতিয়ার প্রদান করেন। অবশেষে উমার (রাঃ)-এর খিলাফতের শেষ বর্ষ যখন আসে, তখন তাঁর নিকট অনেক ধন-সম্পদ আসে। তিনি আমাদের হক আলাদা করে রাখেন এবং আমাকে ডেকে নেন। তখন আমি বলিঃ এ বছরে আমাদের ধন-সম্পদের কোন প্রয়োজন নেই, আর সাধারণ মুসলিমদের প্রয়োজন আছে কাজেই আপনি এটা তাদের দিয়ে দিন।
তখন উমার (রাঃ) সে সম্পদ মুসলিমদের মাঝে বণ্টন করে দেন। উমার (রাঃ)-এর পরে কেউ আমাকে এ মাল গ্রহণের জন্য আহবান করেনি। আমি উমার (রাঃ)-এর নিকট হতে ফিরে এসে আব্বাস (রাঃ)-এর সংগে সাক্ষাত করি। তখন তিনি বলেনঃ হে আলী! তুমি তো আগামীকাল হতে আমাদের বঞ্চিত করে দিলে। এখন আমরা আর কিছুই পাব না। আর আব্বাস (রাঃ) ছিলেন খুবই জ্ঞানী লোক।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْبَرِيدِ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، عَلَيْهِ السَّلاَمُ يَقُولُ اجْتَمَعْتُ أَنَا وَالْعَبَّاسُ، وَفَاطِمَةُ، وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ رَأَيْتَ أَنْ تُوَلِّيَنِي حَقَّنَا مِنْ هَذَا الْخُمُسِ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَأَقْسِمَهُ حَيَاتَكَ كَىْ لاَ يُنَازِعَنِي أَحَدٌ بَعْدَكَ فَافْعَلْ . قَالَ فَفَعَلَ ذَلِكَ - قَالَ - فَقَسَمْتُهُ حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ وَلاَّنِيهِ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه حَتَّى إِذَا كَانَتْ آخِرُ سَنَةٍ مِنْ سِنِي عُمَرَ رضى الله عنه فَإِنَّهُ أَتَاهُ مَالٌ كَثِيرٌ فَعَزَلَ حَقَّنَا ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَىَّ فَقُلْتُ بِنَا عَنْهُ الْعَامَ غِنًى وَبِالْمُسْلِمِينَ إِلَيْهِ حَاجَةٌ فَارْدُدْهُ عَلَيْهِمْ فَرَدَّهُ عَلَيْهِمْ ثُمَّ لَمْ يَدْعُنِي إِلَيْهِ أَحَدٌ بَعْدَ عُمَرَ فَلَقِيتُ الْعَبَّاسَ بَعْدَ مَا خَرَجْتُ مِنْ عِنْدِ عُمَرَ فَقَالَ يَا عَلِيُّ حَرَمْتَنَا الْغَدَاةَ شَيْئًا لاَ يُرَدُّ عَلَيْنَا أَبَدًا وَكَانَ رَجُلاً دَاهِيًا .
Narrated Ali ibn AbuTalib:
I, al-Abbas, Fatimah and Zayd ibn Harithah gathered with the Prophet (ﷺ) and I said: Messenger of Allah, if you think to assign us our right (portion) in this fifth ( of the booty) as mentioned in the Book of Allah, and this I may divide during your lifetime so that no one may dispute me after you, then do it. He said: He did that. He said: I divided it during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ). AbuBakr then assigned it to me. During the last days of the caliphate of Umar a good deal of property came to him and took out our portion. I said to him: We are well to do this year; but the Muslims are needy, so return it to them. He, therefore, returned it to them. No one called me after Umar. I met al-Abbas when I came out from Umar. He said: Ali, today you have deprived us of a thing that will never be returned to us. He was indeed a man of wisdom.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৫. আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) ..... আবদুল মুত্তালিব ইবন রাবী’আ ইবন হারিছ ইবন আবদিল মুত্তালিব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তাঁর পিতা রাবী’আ ইবন হারিছ এবং আব্বাস ইবন আবদিল মুত্তালিব, আবদুল মুত্তালিব ইবন রাবী’আ এবং ফযল ইবন আব্বাস (রাঃ)-কে বলেন যে, তোমরা উভয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হয়ে বলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের বয়স হয়েছে, সে সম্পর্কে তো আপনি অবহিত। আমরা বিবাহ করতে ইচ্ছুক।
আর হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনি তো সকলের চাইতে অধিক নেককার ও পরোপকারী। আমাদের পিতার কাছে আমাদের বিবাহের দেনমোহর পরিশোধের মত অর্থ নেই। তাই আপনি আমাদের সাদকা আদায়ের অফিসার হিসাবে নিয়োগ করুন। অন্য অফিসাররা যা দিয়ে থাকে, আমরাও আপনাকে তা দেব এবং তার মুনাফা আমরা গ্রহণ করব।
রাবী বলেনঃ এ সময় আলী (রাঃ) সেখানে আসেন। আমরা যখন এ অবস্থায় ছিলাম, তখন আলী (রাঃ) আমাদেরকে বলেনঃ আল্লাহ্র শপথ করে বলি যে, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের কাউকেও সাদকা আদায়ের অফিসার নিয়োগ করবেন না। তখন রাবী’আ বলেনঃ এতো আপনি নিজের পক্ষ থেকে বলছেন। আপনি তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জামাতা হয়েছেন, এতে আমরা আপনার প্রতি ঈর্ষান্বিত নই। তখন আলী (রাঃ) তাঁর চাদর বিছিয়ে সেখানে শুয়ে পড়েন এবং বলেনঃ আমি আবুল হাসান, সকলের চাইতে জ্ঞানী। আল্লাহ্র শপথ! আমি এ স্থান পরিত্যাগ করব না যতক্ষণ না তোমাদের সন্তানেরা ঐ কাজ হতে বঞ্চিত হয়ে ফিরে আসে, যার জন্য তোমরা তাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রেরণ করেছ।
আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) বলেনঃ আমি এবং ফযল ইবন আব্বাস (রাঃ) যখন তাঁর নিকটে পৌছাই, তখন যুহরের সালাতের তাকবীর শুরু হয়ে যায়। তখন আমরা লোকদের সাথে (জামাআতে) সালাত আদায় করি। অতঃপর আমি এবং ফযল দ্রুত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হুজরার দিকে ধাবমান হই। এদিন তিনি যয়নব বিনত জাহশ (রাঃ)-এর ঘরে অবস্থান করছিলেন। আমরা দরওয়াযার নিকট দাঁড়ালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইরে এসে (স্নেহবশত) আমার ও ফযলের কান ধরে বললেনঃ বল তোমরা কি বলতে চাচ্ছ।
অতঃপর তিনি হুজরার মাঝে ফিরে যান এবং আমাকে ও ফযলকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেন। তখন আমরা ভিতরে প্রবেশ করি এবং একে অন্যকে কথা শুরু করার জন্য বলতে থাকি। অবশেষে আমি কথা শুরু করি অথবা ফযল শুরু করে। রাবী আবদুলাহ (রাঃ) এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আবদুল মুত্তালিব ইবন রাবী’আ বলেনঃ তখন ফযল ঐ কথা পেশ করেন, যা বলার জন্য আমাদের পিতা আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ থাকেন এবং তাঁর দৃষ্টি ছাদের প্রতি নিবদ্ধ করেন। এভাবে অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ায় আমরা মনে করি যে, তিনি এখন কোন জওয়াব দিবেন না। এ সময় আমরা লক্ষ্য করি যে, যয়নব পর্দার পিছন হতে হাতের ইশারায় আমাদের বলছেন যে, আমরা যেন ব্যস্ত না হই। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ব্যাপারে চিন্তা করছিলেন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা নীচু করে আমাদের বললেনঃ এ সাদকা তো মানুষের ময়লা-আবর্জনা (অর্থাৎ মালের ময়লা), যা মুহাম্মদ এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের জন্য হালাল নয়। তোমরা নওফল ইবন হারিছকে আমার কাছে ডেকে আন। তখন তাঁকে তাঁর নিকট ডেকে আনা হয়। তিনি তাকে বলেনঃ হে নওফল! তুমি আবদুল মুত্তালিবকে তোমার মেয়ের সাথে বিয়ে দাও। তখন নওফল তার মেয়েকে আমার সাথে বিবাহ দেন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা মুহমিয়্যা ইবন জাযাকে আমার কাছে ডেকে আন, যিনি ছিলেন যুবায়দ গোত্রের লোক। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে মালে-গনীমতের খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) আদায়ের জন্য নিয়োগ করেন। (মুহমিয়্যা আসলে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেনঃ তুমি তোমার (মেয়ের সাথে) ফযলের বিয়ে দাও। তখন তিনি বিবাহ দিয়ে দেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি দাঁড়াও এবং খুমুস হতে এ পরিমাণ, এ পরিমাণ সস্পদ মোহর বাবদ দিয়ে দাও। (রাবী বলেন) আবদুল্লাহ্ ইবন হারিছ (রাঃ) আমার নিকট মোহরের পরিমাণ উল্লেখ করেননি।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ الْهَاشِمِيُّ، أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ رَبِيعَةَ بْنَ الْحَارِثِ وَعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالاَ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ وَلِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ ائْتِيَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُولاَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ بَلَغْنَا مِنَ السِّنِّ مَا تَرَى وَأَحْبَبْنَا أَنْ نَتَزَوَّجَ وَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبَرُّ النَّاسِ وَأَوْصَلُهُمْ وَلَيْسَ عِنْدَ أَبَوَيْنَا مَا يُصْدِقَانِ عَنَّا فَاسْتَعْمِلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَى الصَّدَقَاتِ فَلْنُؤَدِّ إِلَيْكَ مَا يُؤَدِّي الْعُمَّالُ وَلْنُصِبْ مَا كَانَ فِيهَا مِنْ مِرْفَقٍ . قَالَ فَأَتَى إِلَيْنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَنَحْنُ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ فَقَالَ لَنَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ وَاللَّهِ لاَ نَسْتَعْمِلُ مِنْكُمْ أَحَدًا عَلَى الصَّدَقَةِ " . فَقَالَ لَهُ رَبِيعَةُ هَذَا مِنْ أَمْرِكَ قَدْ نِلْتَ صِهْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ نَحْسُدْكَ عَلَيْهِ . فَأَلْقَى عَلِيٌّ رِدَاءَهُ ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَيْهِ فَقَالَ أَنَا أَبُو حَسَنٍ الْقَرْمُ وَاللَّهِ لاَ أَرِيمُ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْكُمَا ابْنَاكُمَا بِجَوَابِ مَا بَعَثْتُمَا بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَالْفَضْلُ إِلَى بَابِ حُجْرَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى نُوَافِقَ صَلاَةَ الظُّهْرِ قَدْ قَامَتْ فَصَلَّيْنَا مَعَ النَّاسِ ثُمَّ أَسْرَعْتُ أَنَا وَالْفَضْلُ إِلَى بَابِ حُجْرَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَوْمَئِذٍ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُمْنَا بِالْبَابِ حَتَّى أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخَذَ بِأُذُنِي وَأُذُنِ الْفَضْلِ ثُمَّ قَالَ أَخْرِجَا مَا تُصَرِّرَانِ ثُمَّ دَخَلَ فَأَذِنَ لِي وَلِلْفَضْلِ فَدَخَلْنَا فَتَوَاكَلْنَا الْكَلاَمَ قَلِيلاً ثُمَّ كَلَّمْتُهُ أَوْ كَلَّمَهُ الْفَضْلُ - قَدْ شَكَّ فِي ذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ - قَالَ كَلَّمَهُ بِالأَمْرِ الَّذِي أَمَرَنَا بِهِ أَبَوَانَا فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَاعَةً وَرَفَعَ بَصَرَهُ قِبَلَ سَقْفِ الْبَيْتِ حَتَّى طَالَ عَلَيْنَا أَنَّهُ لاَ يَرْجِعُ إِلَيْنَا شَيْئًا حَتَّى رَأَيْنَا زَيْنَبَ تَلْمَعُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ بِيَدِهَا تُرِيدُ أَنْ لاَ تَعْجَلاَ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أَمْرِنَا ثُمَّ خَفَّضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ فَقَالَ لَنَا " إِنَّ هَذِهِ الصَّدَقَةَ إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ وَإِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لِمُحَمَّدٍ وَلاَ لآلِ مُحَمَّدٍ ادْعُوا لِي نَوْفَلَ بْنَ الْحَارِثِ " . فَدُعِيَ لَهُ نَوْفَلُ بْنُ الْحَارِثِ فَقَالَ " يَا نَوْفَلُ أَنْكِحْ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ " . فَأَنْكَحَنِي نَوْفَلٌ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " ادْعُوا لِي مَحْمِيَةَ بْنَ جَزْءٍ " . وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي زُبَيْدٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَعْمَلَهُ عَلَى الأَخْمَاسِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمَحْمِيَةَ " أَنْكِحِ الْفَضْلَ " . فَأَنْكَحَهُ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قُمْ فَأَصْدِقْ عَنْهُمَا مِنَ الْخُمُسِ كَذَا وَكَذَا " . لَمْ يُسَمِّهِ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ .
Narrated AbdulMuttalib ibn Rabi'ah ibn al-Harith:
AbdulMuttalib ibn Rabi'ah ibn al-Harith said that his father, Rabi'ah ibn al-Harith, and Abbas ibn al-Muttalib said to AbdulMuttalib ibn Rabi'ah and al-Fadl ibn Abbas: Go to the Messenger of Allah (ﷺ) and tell him: Messenger of Allah, we are now of age as you see, and we wish to marry. Messenger of Allah, you are the kindest of the people and the most skilled in matchmaking. Our fathers have nothing with which to pay our dower. So appoint us collector of sadaqah (zakat), Messenger of Allah, and we shall give you what the other collectors give you, and we shall have the benefit accruing from it. Ali came to us while we were in this condition.
He said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: No, I swear by Allah, he will not appoint any of you collector of sadaqah (zakat).
Rabi'ah said to him: This is your condition; you have gained your relationship with the Messenger of Allah (ﷺ) by marriage, but we did not grudge you that. Ali then put his cloak on the earth and lay on it.
He then said: I am the father of Hasan, the chief. I swear by Allah, I shall not leave this place until your sons come with a reply (to the question) for which you have sent them to the Prophet (ﷺ).
AbdulMuttalib said: So I and al-Fadl went towards the door of the apartment of the Prophet (ﷺ). We found that the noon prayer in congregation had already started. So we prayed along with the people. I and al-Fadl then hastened towards the door of the apartment of the Prophet (ﷺ). He was (staying) with Zaynab, daughter of Jahsh, that day. We stood until the Messenger of Allah (ﷺ) came. He caught my ear and the ear of al-Fadl.
He then said: Reveal what you conceal in your hearts. He then entered and permitted me and al-Fadl (to enter). So we entered and for a little while we asked each other to talk. I then talked to him, or al-Fadl talked to him (the narrator, Abdullah was not sure).
He said: He spoke to him concerning the matter about which our fathers ordered us to ask him. The Messenger of Allah (ﷺ) remained silent for a moment and raised his eyes towards the ceiling of the room. He took so long that we thought he would not give any reply to us. Meanwhile we saw that Zaynab was signalling to us with her hand from behind the veil, asking us not to be in a hurry, and that the Messenger of Allah (ﷺ) was (thinking) about our matter.
The Messenger of Allah (ﷺ) then lowered his head and said to us: This sadaqah (zakat) is a dirt of the people. It is legal neither for Muhammad nor for the family of Muhammad. Call Nawfal ibn al-Harith to me. So Nawfal ibn al-Harith was called to him.
He said: Nawfal, marry AbdulMuttalib (to your daughter). So Nawfal married me (to his daughter).
The Prophet (ﷺ) then said: Call Mahmiyyah ibn Jaz'i to me. He was a man of Banu Zubayd, whom the Messenger of Allah (ﷺ) had appointed collector of the fifths.
The Messenger of Allah (ﷺ) said to Mahmiyyah: Marry al-Fadl (to your daughter). So he married him to her. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Stand up and pay the dower from the fifth so-and-so on their behalf. Abdullah ibn al-Harith did not name it (i.e. the amount of the dower).
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৬. আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) .... আলী ইবন আবী তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ বদর যুদ্ধের গনীমতের মাল হতে আমার ভাগে একটা মোটাতাজা উষ্ট্রী পড়ে। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুমুস হতেও আমাকে একটি হৃষ্টপুষ্ট উষ্ট্রী প্রদান করেন। অতঃপর আমি যখন ফাতিমা (রাঃ) এর সংগে বাসর যাপনের ইচ্ছা করি, তখন আমি একজন কর্মকারের সাথে, যিনি বনূ কায়নুকার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, এ ওয়াদা করি যে, সে আমার সাথে যাবে এবং আমি তার কাছে আয্খার (এক ধরনের সুগন্ধযুক্ত ঘাস) বিক্রয় করব, যাতে আমি আমার নব-পরিণীতা স্ত্রীর ওয়ালীমার ব্যবস্থা করতে পারি।
বস্তুত এ উদ্দেশ্যে যখন আমি আমার উটের জন্য পালান, ঘাস ও রশির যোগাড়ে ব্যস্ত ছিলাম, তখন আমার উষ্ট্রী দুটি এক আনসার সাহাবীর হুজরার পাশে বসা ছিল। এরপর এদের জন্য যা প্রয়োজন ছিল, তা সংগ্রহ করে যখন আমি ফিরে আসি, তখন দেখি যে, তাদের কুঁজ কেটে ফেলা হয়েছে, কোমর ফেড়ে ফেলা হয়েছে এবং কলিজা বের করা হয়েছে। এ অবস্থা দেখে আমি আমার অশ্রু সম্বরণ করতে অক্ষম হই।
তখন আমি জিজ্ঞাসা করিঃ এ কাজ কে করলো? তখন লোকেরা বললোঃ হামযা ইবন আবদিল মুত্তালিব এ কাজ করেছে। যিনি কয়েকজন আনসার সাহাবীর সঙ্গে এ ঘরে আছেন, যারা শরাব পান করেছেন এবং জনৈকা গায়িকা তাঁর ও তাঁর সাথীদের সামনে এরূপ গান গাইছেঃ
’’হে হামযা! উঠ, এবং যে মোটাতাজা উষ্ট্রী উঠানে বাধা আছে, ওর হলকুমে ছুরি চালিয়ে ওকে হত্যা করে ফেল এবং ওর পবিত্র অংশ (অর্থাৎ কুঁজ ও কলিজা) ডেগে পাকিয়ে বা ভুনা করে শরাব পানকারীদের জন্য জলদি তৈরী করে দাও।”
হামযা এ গান শুনে তখনই তরবারি দিয়ে ওদের কুঁজ কেটেছে এবং ওদের পেট ফেড়ে ওদের কলিজা বের করে ফেলেছে। আলী (রাঃ) বলেনঃ এ খবর জেনে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হই। তখন যায়দ ইবন হারিছা (রাঃ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার চেহারা দেখে আমার অবস্থা বুঝতে পারেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার কি হয়েছে? তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজকের মত কোন অবস্থা আমার জীবনে আর আসেনি। হামযা আমার উষ্ট্রীর উপর এরূপ অত্যাচার করেছে যে, ওদের কুঁজ ফেড়ে ফেলেছে এবং পেট কেটে ফেলেছে। আর সে শরাবীদের সাথে এ ঘরে উপস্থিত আছে।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাদর চান এবং তা গায়ে চড়িয়ে রওয়ানা হন। আমি এবং যায়দ ইবন হারিছা তাঁর অনুসরণ করতে থাকি। অবশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই ঘরের কাছে পৌঁছান, যেখানে হামযা (রাঃ) ছিলেন। তিনি সেখানে প্রবেশের জন্য অনুমতি চাইলে তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি ভিতরে ঢুকে দেখতে পান যে, সবাই শরাব পান করে মাতাল অবস্থায় আছে।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হামযাকে এ কাজের জন্য ভর্ৎসনা করতে থাকেন। তিনি দেখতে পান যে, সে নেশায় বুঁদ হয়ে আছে এবং তার দুটি চোখ নেশাগ্রস্ত হওয়ার কারণে লাল হয়ে গেছে। হামযা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দিকে চেয়ে দেখেন, তারপর চোখ উঠিয়ে তাঁর নাভির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। সবশেষে চোখ উঠিয়ে তাঁর চেহারার প্রতি তাকান এবং বলেনঃ তোমরা তো আমার বাবার গোলাম মাত্র। এ অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুধাবন করতে পারেন যে, হামযা নেশায় বুঁদ হয়ে আছে। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখান হতে পেছনে ফিরে আসেন এবং আমরাও তাঁর সংগে বেরিয়ে আসি।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَالَ كَانَتْ لِي شَارِفٌ مِنْ نَصِيبِي مِنَ الْمَغْنَمِ يَوْمَ بَدْرٍ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْطَانِي شَارِفًا مِنَ الْخُمُسِ يَوْمَئِذٍ فَلَمَّا أَرَدْتُ أَنْ أَبْنِيَ بِفَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاعَدْتُ رَجُلاً صَوَّاغًا مِنْ بَنِي قَيْنُقَاعَ أَنْ يَرْتَحِلَ مَعِي فَنَأْتِيَ بِإِذْخِرٍ أَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَهُ مِنَ الصَّوَّاغِينَ فَأَسْتَعِينَ بِهِ فِي وَلِيمَةِ عُرْسِي فَبَيْنَا أَنَا أَجْمَعُ لِشَارِفَىَّ مَتَاعًا مِنَ الأَقْتَابِ وَالْغَرَائِرِ وَالْحِبَالِ - وَشَارِفَاىَ مُنَاخَانِ إِلَى جَنْبِ حُجْرَةِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ - أَقْبَلْتُ حِينَ جَمَعْتُ مَا جَمَعْتُ فَإِذَا بِشَارِفَىَّ قَدِ اجْتُبَّتْ أَسْنِمَتُهُمَا وَبُقِرَتْ خَوَاصِرُهُمَا وَأُخِذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا فَلَمْ أَمْلِكْ عَيْنَىَّ حِينَ رَأَيْتُ ذَلِكَ الْمَنْظَرَ فَقُلْتُ مَنْ فَعَلَ هَذَا قَالُوا فَعَلَهُ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْتِ فِي شَرْبٍ مِنَ الأَنْصَارِ غَنَّتْهُ قَيْنَةٌ وَأَصْحَابَهُ فَقَالَتْ فِي غِنَائِهَا أَلاَ يَا حَمْزُ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ فَوَثَبَ إِلَى السَّيْفِ فَاجْتَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا وَأَخَذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا . قَالَ عَلِيٌّ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ قَالَ فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي لَقِيتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا لَكَ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ عَدَا حَمْزَةُ عَلَى نَاقَتَىَّ فَاجْتَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا وَهَا هُوَ ذَا فِي بَيْتٍ مَعَهُ شَرْبٌ فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِرِدَائِهِ فَارْتَدَاهُ ثُمَّ انْطَلَقَ يَمْشِي وَاتَّبَعْتُهُ أَنَا وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ حَتَّى جَاءَ الْبَيْتَ الَّذِي فِيهِ حَمْزَةُ فَاسْتَأْذَنَ فَأُذِنَ لَهُ فَإِذَا هُمْ شَرْبٌ فَطَفِقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَلُومُ حَمْزَةَ فِيمَا فَعَلَ فَإِذَا حَمْزَةُ ثَمِلٌ مُحْمَرَّةٌ عَيْنَاهُ فَنَظَرَ حَمْزَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى سُرَّتِهِ ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ فَنَظَرَ إِلَى وَجْهِهِ ثُمَّ قَالَ حَمْزَةُ وَهَلْ أَنْتُمْ إِلاَّ عَبِيدٌ لأَبِي فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ثَمِلٌ فَنَكَصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَقِبَيْهِ الْقَهْقَرَى فَخَرَجَ وَخَرَجْنَا مَعَهُ .
‘Ali bin Abi Talib said “I had an old she Camel that I got as my share from the booty on the day of Badr. The Apostle of Allaah(ﷺ) also gave me an old she camel from the fifth that day. When I intended to cohabit with Fathimah daughter of the Apostle of Allaah(ﷺ), I made arrangement with a man who was a goldsmith belonging to Banu Qainuqa’ to go with me so that we may bring grass. I intended to sell it to the goldsmith there by seeking help in my wedding feast. While I was collecting for my old Camels saddles, baskets and ropes both of she Camels were seated in a corner of the apartment of a man of the Ansar. When I collected what I collected (i.e., equipment) I turned (towards them). I suddenly found that the humps of she Camels were cut off and their hips were pierced and their lives were taken out. I could not control my eyes (to weep) when I saw that scene. I said “Who has done this?” They (the people) replied “Hamzah bin ‘Abd Al Muttalib”. He is among the drunkards of the Ansar in this house. A singing girl is singing for him and his Companions. While singing she said “Oh Hamza, rise to these plumpy old she Camels. So he jumped to the sword and cut off their humps, pierced their hips and took out their livers.” ‘Ali said “I went till I entered upon the Apostle of Allaah(ﷺ) while Zaid bin Harithah was with him.” The Apostle of Allaah(ﷺ) realized what I had met with. The Apostle of Allaah(ﷺ) aid “What is the matter with you?” I said Apostle of Allaah(ﷺ), I never saw the thing that happened with me today. Hamzah wronged my she Camels, he cut off their humps, pierced their hips. Lo! He is in a house with drunkards. The Apostle of Allaah(ﷺ) asked for his cloak. It was brought to him. He then went out, I and Zaid bin Harithah followed him until we reached the house where Hamzah was. He asked permission ( to entre). He was permitted. He found drunkards there. The Apostle of Allaah(ﷺ) began to rebuke him (Hamzah) for his action. Hamzah was intoxicated and his eyes were reddish. Hamzah looked at the Apostle of Allaah(ﷺ). He then raised his eyes and looked at his knees, he then raised his eyes and looked at his navel and he then raised his eyes and looked at his face. Hamzah then said “Are you but the salves of my father? Then the Apostle of Allaah(ﷺ) knew that he was intoxicated. So the Apostle of Allaah(ﷺ) moved backward. He then went out and we also went out with him.”
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৭. আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) ..... ফযল ইবন হাসান যামরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যুবায়র ইবন আবদিল মুত্তালিবের দুই কন্যা উম্মু হাকাম অথবা যুবা’আ হতে একজন এ বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কিছু যুদ্ধবন্দী আসে। তখন আমি, আমার বোন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে আমাদের দরিদ্রতার অভিযোগ করি, যাতে আমরা ছিলাম। আর আমরা তাঁর নিকট এ দরখাস্ত করি যে, তিনি যেন আমাদের কিছু বাঁদী (দাস-দাসী) প্রদান করেন।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের চাইতে ঐ সব ইয়াতীম মেয়েরা অধিক হকদার, যাদের পিতা বদর যুদ্ধে শহীদ হয়েছে। তবে আমি তোমাদের এর চাইতে উত্তম জিনিস বলে দিচ্ছি, যা তোমাদের জন্য কল্যাণকর হবে। তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর ৩৩ বার আল্লাহু আকবার, ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ এবং ৩৩ বার আল-হামদু লিল্লাহ পাঠ করবে এবং একবার পড়বেঃ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, অদ্বিতীয়। তারই রাজত্ব বিশ্বব্যাপী, সব প্রশংসা তারই এবং তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
রাবী আয়্যাশ (রহঃ) বলেনঃ উম্মু হাকাম ও যুবা’আ উভয়েই ছিলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চাচাতো বোন।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَيَّاشُ بْنُ عُقْبَةَ الْحَضْرَمِيُّ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ الْحَسَنِ الضَّمْرِيِّ، أَنَّ أُمَّ الْحَكَمِ، أَوْ ضُبَاعَةَ ابْنَتَىِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ حَدَّثَتْهُ عَنْ إِحْدَاهُمَا أَنَّهَا قَالَتْ أَصَابَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبْيًا فَذَهَبْتُ أَنَا وَأُخْتِي وَفَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَكَوْنَا إِلَيْهِ مَا نَحْنُ فِيهِ وَسَأَلْنَاهُ أَنْ يَأْمُرَ لَنَا بِشَىْءٍ مِنَ السَّبْىِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " سَبَقَكُنَّ يَتَامَى بَدْرٍ لَكِنْ سَأَدُلُّكُنَّ عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَكُنَّ مِنْ ذَلِكَ تُكَبِّرْنَ اللَّهَ عَلَى أَثَرِ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ تَكْبِيرَةً وَثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ تَسْبِيحَةً وَثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ تَحْمِيدَةً وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ " . قَالَ عَيَّاشٌ وَهُمَا ابْنَتَا عَمِّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Umm Al Hakam or Duba’ah daughters of Al Zibair bin ‘Abd Al Muttalib said “Some captives of war were brought to the Apostle of Allaah(ﷺ). I and my sister Fatimah, daughter of Apostle of Allaah(ﷺ) went (to the Prophet) and complained to him about our existing condition. We asked him to order (to give) us some captives. The Apostle of Allaah(ﷺ) said “the orphans of the people who were killed in the battle of Badr came before you (and they asked for the captives). But I tell you something better than that. You should utter “Allaah is Most Great” after each prayer thirty three times, “Glory be to Allaah” thirty three times, “Praise be to Allaah” thirty three times and “there is no god but Allaah alone, He has no associate, the Kingdom belongs to Him and praise is due to Him and He has power over all things.”
The narrator ‘Ayyash said “They were daughters of Uncle of the Prophet (ﷺ).”
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৮. ইয়াহইয়া ইবন খালাফ (রহঃ) .... ইবন আ’বূদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আলী (রাঃ) আমাকে বলেন যে, আমি কি তোমাকে আমার ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রিয়পাত্রী ফাতিমা (রা) সম্পর্কে কিছু বলব না? তখন আমি বলিঃ হ্যাঁ অবশ্যই। তিনি বলেনঃ তার (ফাতিমার) হাতে যাতা পেষার কারনে ফোসকা পড়ে গেছে। আর কূপ থেকে মশকে পানি ঊঠাবার কারণে তাঁর বুকে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে এবং ঘর ঝাড়ু দেওয়ার কারণে তাঁর সমস্ত কাপড়-চোপড় নোংরা হয়ে গিয়েছে। কেননা ঘরের সব কাজ একাই করে থাকেন। আর তাঁর কোন দাস-দাসী ছিল না। একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু গোলাম আসে। তখন আমি তাকে বলিঃ যদি তুমি তোমার পিতার নিকট উপস্থিত হয়ে গোলাম চাইতে, (তবে ভাল হতো)।
তখন তিনি ফাতিমা (রা) তাঁর নিকট গমন করেন। কিন্তু তিনি তাঁর সংগে অন্য ক’জন ব্যক্তিকে আলাপ করতে দেখে ফিরে আসেন। পরদিন আবার তিনি তাঁর নিকট উপস্থিত হলে তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার কিসের প্রয়োজন? এতে তিনি চুপ করে থাকলে আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনাকে বলছি যে, যাঁতা পিষতে পিষতে তাঁর হাতে ফোসকা পড়ে গেছে। আর পানির মশক ভরতে ভরতে তার বুক ব্যথা হয়ে গেছে। এখন যখন আপনার নিকট কিছু খাদিম এসেছে, তখন আমিই তাঁকে বলিঃ তিনি যেন আপনার নিকট হাযির হয়ে একজন দাসের জন্য আবদার করেন, যাতে তিনি এ কষ্ট হতে রেহাই পান।
তখন তিনি বলেনঃ হে ফাতিমা! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং স্বীয় রব্বের ফরয হুকুম আদায় কর এবং নিজের ঘরের কাজ নিজেই কর। আর (দিন শেষে) যখন বিছানায় যাবে, তখন ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আল-হামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আক্বার পড়বে। যার সর্বমোট সংখ্যা হলো ১০০ বার। বস্তুত তোমার জন্য এই তাসবীহ খাদিমের চাইতেও উত্তম। তিনি (ফাতিমা) বলেনঃ আমি আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের উপর রাযী এবং খুশী (অর্থাৎ আমাকে যে হুকুম দেওয়া হয়েছে, তাতে আমি রাযী আছি)।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، - يَعْنِي الْجُرَيْرِيَّ - عَنْ أَبِي الْوَرْدِ، عَنِ ابْنِ أَعْبُدَ، قَالَ قَالَ لِي عَلِيٌّ رضى الله عنه أَلاَ أُحَدِّثُكَ عَنِّي وَعَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ مِنْ أَحَبِّ أَهْلِهِ إِلَيْهِ قُلْتُ بَلَى . قَالَ إِنَّهَا جَرَّتْ بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَ فِي يَدِهَا وَاسْتَقَتْ بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَ فِي نَحْرِهَا وَكَنَسَتِ الْبَيْتَ حَتَّى اغْبَرَّتْ ثِيَابُهَا فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَدَمٌ فَقُلْتُ لَوْ أَتَيْتِ أَبَاكِ فَسَأَلْتِيهِ خَادِمًا فَأَتَتْهُ فَوَجَدَتْ عِنْدَهُ حُدَّاثًا فَرَجَعَتْ فَأَتَاهَا مِنَ الْغَدِ فَقَالَ " مَا كَانَ حَاجَتُكِ " . فَسَكَتَتْ فَقُلْتُ أَنَا أُحَدِّثُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ جَرَّتْ بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَتْ فِي يَدِهَا وَحَمَلَتْ بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَتْ فِي نَحْرِهَا فَلَمَّا أَنْ جَاءَكَ الْخَدَمُ أَمَرْتُهَا أَنْ تَأْتِيَكَ فَتَسْتَخْدِمَكَ خَادِمًا يَقِيهَا حَرَّ مَا هِيَ فِيهِ . قَالَ " اتَّقِي اللَّهَ يَا فَاطِمَةُ وَأَدِّي فَرِيضَةَ رَبِّكِ وَاعْمَلِي عَمَلَ أَهْلِكِ فَإِذَا أَخَذْتِ مَضْجَعَكِ فَسَبِّحِي ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَاحْمَدِي ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَكَبِّرِي أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ فَتِلْكَ مِائَةٌ فَهِيَ خَيْرٌ لَكِ مِنْ خَادِمٍ " . قَالَتْ رَضِيتُ عَنِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَعَنْ رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم .
Ibn A’bud said, ‘Ali said to me “May I not narrate you about me and Fathimah daughter of the Apostle of Allaah(ﷺ)? She was most favorite to him of his family.” I said “Yes”. He said “She pulled the grinding stone with her hand so much that it affected her hand, she carried water in a water bag so much so that it affected the upper portion of her chest, she swept the house so much so that her clothes became dirty. The Prophet (ﷺ) acquired some slaves”. So I said “Would that you go to your father and ask him for a slave. She then came to him and found some people with him talking to him. She therefore returned. Next day she came again. He asked (her), what was your need? But she kept silence. So I said, I inform you, Apostle of Allaah(ﷺ). She pulled grinding stone so much that it affected her hand, she carried water bag so much so that it affected the upper portion of her chest. When the slaves were brought to you I asked her to come to you and to ask you for a slave to save her from the exertion she is suffering.” He said “Fear Allaah, Fathimah and perform the duty of your Lord and do the work of your family.” When you go to bed say “Glory be to Allaah” thirty three times, “Praise be to Allaah” thirty three times, “Allaah is Most Great” thirty four times. This is hundred times. That will be better for you than a servant. She said “I am pleased with Allaah, Most High and with his Apostle (ﷺ).”
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৯. আহমদ ইবন মুহাম্মদ মারওয়াযী (রহঃ) ..... আলী ইবন হুসায়ন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উপরোক্ত হাদীছে বর্ণিত ঘটনা সম্পর্কে বলেনঃ তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে কোন খাদিম দেননি।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ وَلَمْ يُخْدِمْهَا .
The tradition mentioned above has also been transmitted by ‘Ali bin Hussain through a different chain of narrators. This version adds “He (the Prophet) did not provide her with a slave.”
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৮০. মুহাম্মদ ইবন ঈসা (রহঃ) .... আনবাসা ইবন আবদিল ওয়াহিদ কুরাশী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবূ জা’ফর অর্থাৎ ইবন ঈসা বলেছেন যে, আমরা আনবাসা ইবন আবদিল ওয়াহিদ (রাঃ)-কে আবদাল বলতাম-এ শোনার আগে যে, আবদাল মাওয়ালীদের থেকে হয়।
রাবী বলেনঃ আমার নিকট দাখীল ইবন আয়াস ইবন নূহ ইবন মুজজা’আ, তিনি তাঁর পিতা ও দাদা হতে বর্ণনা করেছেন যে, একদা মুজজা’আ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসেন তাঁর ভাইয়ের দিয়্যাত (রক্তপণ) চাওয়ার জন্য, যাকে বনূ সাদূস-যারা বনূ যুহলের অন্তর্ভুক্ত ছিল, হত্যা করেছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যদি আমি কোন মুশরিকের দিয়্যাত দিতাম, তবে তোমার ভাইয়ের দিয়্যাতের ব্যবস্থা অবশ্যই করতাম। তবে আমি তোমাকে এর বিনিময়ের ব্যবস্থা করছি।
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য বনূ যুহল থেকে প্রথম বার আদায়কৃত খুমুস হতে একশত উট দেওয়ার জন্য ফরমান লিখে দেন। যা থেকে কিছু উট তিনি (মুজ্জা’আ) গ্রহণ করেন। অতঃপর বনূ যুহল ইসলাম গ্রহণ করলে মুজ্জা’আ বাকী উট পাওয়ার জন্য আবূ বকর (রাঃ)-এর নিকট দাবী জানান এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফরমান তাঁর খিদ্মতে পেশ করেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) তাকে (মুজ্জা’আকে) ইয়ামামার সাদকা হতে বার হাজার সা’আ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য হুকুম দেন। যা থেকে চার হাজার সা’আ যব, চার হাযার সা’আ গম এবং চার হাযার সা’আ খেজুর তাঁকে দেওয়া হয়।
আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফরমানে এরূপ লেখা ছিলঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। এ ফরমান মুহাম্মদ নবী (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের) পক্ষ হতে মুজজা’আ ইবন মুরারার জন্য-যিনি বনূ সালমার অন্তর্ভুক্ত। আমি তাকে একশো উট দিচ্ছি। বনূ যুহলের মুশরিকদের নিকট হতে খুমুস বাবদ প্রথম বার যা আদায় হবে, সেখান থেকে এটা দেওয়া হবে, তার মৃত ভাইয়ের রক্তপণের বিনিময়ে।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْقُرَشِيُّ، قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ - يَعْنِي ابْنَ عِيسَى - كُنَّا نَقُولُ إِنَّهُ مِنَ الأَبْدَالِ قَبْلَ أَنْ نَسْمَعَ أَنَّ الأَبْدَالَ مِنَ الْمَوَالِي قَالَ حَدَّثَنِي الدَّخِيلُ بْنُ إِيَاسِ بْنِ نُوحِ بْنِ مُجَّاعَةَ عَنْ هِلاَلِ بْنِ سِرَاجِ بْنِ مُجَّاعَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ مُجَّاعَةَ أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَطْلُبُ دِيَةَ أَخِيهِ قَتَلَتْهُ بَنُو سَدُوسٍ مِنْ بَنِي ذُهْلٍ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَوْ كُنْتُ جَاعِلاً لِمُشْرِكٍ دِيَةً جَعَلْتُ لأَخِيكَ وَلَكِنْ سَأُعْطِيكَ مِنْهُ عُقْبَى " . فَكَتَبَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمِائَةٍ مِنَ الإِبِلِ مِنْ أَوَّلِ خُمُسٍ يَخْرُجُ مِنْ مُشْرِكِي بَنِي ذُهْلٍ فَأَخَذَ طَائِفَةً مِنْهَا وَأَسْلَمَتْ بَنُو ذُهْلٍ فَطَلَبَهَا بَعْدُ مُجَّاعَةُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ وَأَتَاهُ بِكِتَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَتَبَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ بِاثْنَىْ عَشَرَ أَلْفَ صَاعٍ مِنْ صَدَقَةِ الْيَمَامَةِ أَرْبَعَةِ آلاَفٍ بُرًّا وَأَرْبَعَةِ آلاَفٍ شَعِيرًا وَأَرْبَعَةِ آلاَفٍ تَمْرًا وَكَانَ فِي كِتَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لِمُجَّاعَةَ " بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا كِتَابٌ مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ لِمُجَّاعَةَ بْنِ مُرَارَةَ مِنْ بَنِي سُلْمَى إِنِّي أَعْطَيْتُهُ مِائَةً مِنَ الإِبِلِ مِنْ أَوَّلِ خُمُسٍ يَخْرُجُ مِنْ مُشْرِكِي بَنِي ذُهْلٍ عُقْبَةً مِنْ أَخِيهِ " .
Narrated Mujja'ah ibn Mirarah al-Yamani:
Mujja'ah went to the Prophet (ﷺ) asking him for the blood-money of his brother whom Banu Sadus from Banu Dhuhl had killed.
The Prophet (ﷺ) said: Had I appointed blood-money for a polytheist, I should have appointed it for your brother. But I shall give you compensation for him. So the Prophet (ﷺ) wrote (a document) for him that he should be given a hundred camels which were to be acquired from the fifth taken from the polytheists of Banu Dhuhl. So he took a part of them, for Banu Dhuhl embraced Islam.
He then asked AbuBakr for them later on, and brought to him the document of the Prophet (ﷺ). So AbuBakr wrote for him that he should be given one thousand two hundred sa's from the sadaqah of al-Yamamah; four thousand (sa's) of wheat, four thousand (sa's) of barley, and four thousand (sa's) of dates.
The text of the document written by the Prophet (ﷺ) for Mujja'ah was as follows: "In the name of Allah, the Beneficent, the Merciful. This document is from Muhammad, the Prophet, to Mujja'ah ibn Mirarah of Banu Sulma. I have given him one hundred camels from the first fifth acquired from the polytheist of Banu Dhuhl as a compensation for his brother."