পরিচ্ছেদঃ ৩৬৮. মুশরিকদেরকে ইসলামের দাওয়াত প্রদান।
২৬২৫. সাঈদ ইবন মানসূর ..... ইবন আওন হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) এর খাদেম নাফি’ এর নিকট পত্র লিখে জানতে চাইলাম যে, মুশরিকদের সাথে যুদ্ধের সময় ইসলামের দাওয়াত দেওয়াটা কিরূপ? তিনি উত্তরে আমাকে চিঠি লিখে জানালেন, তা ইসলামের প্রাথমিক যুগের ব্যাপার ছিল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসতালিক গোত্রের উপর অতর্কিত আক্রমন চালিয়েছিলেন। তারা মুসলিমদের এরূপ আক্রমন সম্পর্কে কিছুই জানত না, আর তাদের পশুগোলো তৃষ্ণা নিবারণের জন্য পানির কুপের নিকট অস্থান করছিল। এমতাবস্থায় অতর্কিত আক্রমনের মাধ্যমে তাদের যুদ্ধবাজদেরকে হত্যা করে তাদের পুত্র-কন্যাদেরকে বন্দী করে এনেছিলেন। উম্মূল মু’মিনীন জুওয়াইরিয়্যা বিনতে হারিস (রাঃ) কে সে সময় বন্দী করে আনা হয়েছিল। আমাকে স্বয়ং আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) এ কথা বর্ণনা করেছেন, যিনি উক্ত সৈন্যবাহিনীতে শরীক ছিলেন।
باب فِي دُعَاءِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ، قَالَ كَتَبْتُ إِلَى نَافِعٍ أَسْأَلُهُ عَنْ دُعَاءِ الْمُشْرِكِينَ، عِنْدَ الْقِتَالِ فَكَتَبَ إِلَىَّ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ وَقَدْ أَغَارَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى بَنِي الْمُصْطَلِقِ وَهُمْ غَارُّونَ وَأَنْعَامُهُمْ تُسْقَى عَلَى الْمَاءِ فَقَتَلَ مُقَاتِلَتَهُمْ وَسَبَى سَبْيَهُمْ وَأَصَابَ يَوْمَئِذٍ جُوَيْرِيَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ حَدَّثَنِي بِذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ وَكَانَ فِي ذَلِكَ الْجَيْشِ .
Ibn ‘Awn said “I wrote to Nafi’ asking him about summoning the polytheists (to Islam) at the time of fighting. So, he wrote to me “This was in the early days of Islam. The Prophet of Allaah(ﷺ) attacked Banu Al Mustaliq while they were inattentive and their cattle were drinking water. So their fighters were killed and the survivors (i.e., women and children) were taken prisoners. On that day Juwairiyyah daughter of Al Harith was obtained. ‘Abd Allaah narrated this to me, he was in that army.”
পরিচ্ছেদঃ ৩৬৮. মুশরিকদেরকে ইসলামের দাওয়াত প্রদান।
২৬২৬. মূসা ইবন ইসমাঈল .... আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামাযের সময় অতর্কিত আক্রমনের জন্য ফজরের আযান শোনার প্রতি লক্ষ্য রাখতেন। আযান শোনা গেলে আক্রমন হতে বিরত থাকতেন। অন্যথায় (আযান শোনা না গেলে) শত্রুর প্রতি অতর্কিত আক্রমনে বেরিয়ে পড়তেন।
باب فِي دُعَاءِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُغِيرُ عِنْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ وَكَانَ يَتَسَمَّعُ فَإِذَا سَمِعَ أَذَانًا أَمْسَكَ وَإِلاَّ أَغَارَ .
Anas said “The Prophet (ﷺ) used to attack at the time of the dawn prayer and hear. If he heard a call to prayer, he would refrain from them, otherwise would attack (them).
পরিচ্ছেদঃ ৩৬৮. মুশরিকদেরকে ইসলামের দাওয়াত প্রদান।
২৬২৭. সাঈদ ইবন মানসূর .... ইবন ইসাম আল মুযানী তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খন্ডযুদ্ধে পাঠাতেন, আর বলতেন, তোমরা কোন মসজিদ দেখতে পেলে অথবা কোন মুআযযিনকে আযান দিতে শুনলে সেখানে অতর্কিত আক্রমন চালাবে না এবং কাউকে হত্যা করবে না।
باب فِي دُعَاءِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ مُسَاحِقٍ، عَنِ ابْنِ عِصَامٍ الْمُزَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَرِيَّةٍ فَقَالَ " إِذَا رَأَيْتُمْ مَسْجِدًا أَوْ سَمِعْتُمْ مُؤَذِّنًا فَلاَ تَقْتُلُوا أَحَدًا " .
Narrated Isam al-Muzani:
The Messenger of Allah (ﷺ) sent us in a detachment and said (to us): If you see a mosque or hear a mu'adhdhin (calling to prayer), do not kill anyone.