পরিচ্ছেদঃ ১৮৩. যারা ফাতিমার বর্ণিত হাদীসকে অস্বীকার করে।
২২৮৫. নাসর ইবন আলী ..... আবূ ইসহাক হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা (কুফার) জামে মসজিদে আসওয়াদের সাথে (উপবিষ্ট) ছিলাম। তিনি বলেন, এরপর ফাতিমা বিন্তে কায়স উমার ইবনুল খাত্তব (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে এ সম্পর্কে অবহিত করলে তিনি বলেন, আমরা আমাদের রবের কিতাব (কুরআন) ও আমাদের রাসূলের সুন্নাতকে একজন মহিলার বক্তব্য অনুসারে পরিত্যাগ করতে পারি না। যে সম্পর্কে আমি জ্ঞাত নই যে, সে সঠিকভাবে উহা (হাদীস) হিফাযত করেছে কিনা?
باب مَنْ أَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَى فَاطِمَةَ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنِي أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ رُزَيْقٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ كُنْتُ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ مَعَ الأَسْوَدِ فَقَالَ أَتَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ - رضى الله عنه - فَقَالَ مَا كُنَّا لِنَدَعَ كِتَابَ رَبِّنَا وَسُنَّةَ نَبِيِّنَا صلى الله عليه وسلم لِقَوْلِ امْرَأَةٍ لاَ نَدْرِي أَحَفِظَتْ ذَلِكَ أَمْ لاَ .
Abu Ishaq said “I was with Al Aswad in the congregational mosque. He said “Fathimah daughter of Qais came to ‘Umar bin Al Khattab(may Allaah be pleased with him). (When she narrated the tradition about her divorce) he said “We are not to leave the Book of our Lord and the Sunnah of our Prophet (ﷺ) for the statement of a woman, we do not know whether she remembered it or not.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮৩. যারা ফাতিমার বর্ণিত হাদীসকে অস্বীকার করে।
২২৮৬. সুলায়মান ইবন দাঊদ ..... হিশাম ইবন উরওয়া তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আয়েশা (রাঃ) ফাতিমা বিন্ত কায়স বর্ণিত হাদীসকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, ফাতিমা একটি ভীতিপ্রদ স্থানে বসবাস করতেন, আর তিনি এর আশেপাশের ভীতি সংকুল পরিবেশের জন্য শংকিত ছিলেন। এমতাবস্থায় রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এরেূপ অনুমতি প্রদান করেন।
باب مَنْ أَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَى فَاطِمَةَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَقَدْ عَابَتْ ذَلِكَ عَائِشَةُ - رضى الله عنها - أَشَدَّ الْعَيْبِ يَعْنِي حَدِيثَ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ وَقَالَتْ إِنَّ فَاطِمَةَ كَانَتْ فِي مَكَانٍ وَحْشٍ فَخِيفَ عَلَى نَاحِيَتِهَا فَلِذَلِكَ رَخَّصَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
Urwah said:
Aisha (Allah be pleased with her) severely objected to the tradition of Fatimah daughter of Qays. She said: Fatimah lived in a desolate house and she feared for her loneliness there. Hence the Messenger of Allah (ﷺ) accorded permission to her (to leave the place).
পরিচ্ছেদঃ ১৮৩. যারা ফাতিমার বর্ণিত হাদীসকে অস্বীকার করে।
২২৮৭. মুহাম্মদ ইবন কাসীর ..... উরওয়া ইবন যুবায়র (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়েশা (রাঃ)-কে বলা হয় যে, ফাতিমা বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বলেন, তার জন্য এ হাদীস বর্ণনা করা কল্যাণকর নয় (কেননা, মানুষ এতে ভুলে পতিত হতে পারে)।
باب مَنْ أَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَى فَاطِمَةَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ قِيلَ لِعَائِشَةَ أَلَمْ تَرَىْ إِلَى قَوْلِ فَاطِمَةَ قَالَتْ أَمَا إِنَّهُ لاَ خَيْرَ لَهَا فِي ذِكْرِ ذَلِكَ .
Urwah ibn az-Zubayr said:
Aisha was asked: Did you not see (i.e. known) the statement of Fatimah? She replied: It is not good for her to mention it (to others).
পরিচ্ছেদঃ ১৮৩. যারা ফাতিমার বর্ণিত হাদীসকে অস্বীকার করে।
২২৮৮. হারূন ইবন যায়দ ...... সুলায়মান ইবন ইয়াসার হতে ফাতিমার বহিস্কৃত হওয়ার হাদীস সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। রাবী বলেন, তার এ বহিস্কার ছিল তার বদঅভ্যাসের পরিণতিস্বরূপ।
باب مَنْ أَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَى فَاطِمَةَ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، فِي خُرُوجِ فَاطِمَةَ قَالَ إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ مِنْ سُوءِ الْخُلُقِ .
Sulaimah bin Yasar said about leaving the house by Fathimah “That was due to her bad manners.”
পরিচ্ছেদঃ ১৮৩. যারা ফাতিমার বর্ণিত হাদীসকে অস্বীকার করে।
২২৮৯. আল্ কা’নবী .... কাসিম ইবন মুহাম্মদ ও সুলায়মান ইবন ইয়াসার হতে বর্ণিত। তিনি তাদের নিকট হতে শ্রবণ করেছেন যে, ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ ইবনুল ’আস আবদুর রহমান ইবন আল-হাকামের কন্যাকে তালাক (বায়েন) প্রদান করেন। (তার পিতা) আবদুর রহমান তাকে স্বামীর বাড়ী হতে নিয়ে আসেন। আয়েশা (রাঃ) তাকে মারওয়ানের নিকট প্রেরণ করেন, যিনি (মু’আবিয়ার পক্ষ হতে) মদীনার গভর্নর ছিলেন। এরপর তিনি তাকে বলেন, আল্লাহকে ভয় করো এবং এ মহিলাকে তার ঘরে অবস্থান করতে দাও। মারওয়ান বলেন, আবদুর রহমান এ ব্যাপারে আমার উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। এরপর মারওয়ান রাবী কাসিম বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে বলেন, ফাতিমা বিনত কায়স বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি তাকে বলেন, তুমি যদি ফাতিমা বর্ণিত হাদীস বর্ণনা না করো, তবে তাতে দোষের কিছু নেই। মারওয়ান বলেন, যদি আপনি (ফাতিমা ও তার স্বামীর মধ্যকার ব্যাপারটি) কোন খারাপ কাজের পরিণতি হিসাবে মনে করেন, তবে তা আপনার জন্য যথেষ্ট হবে যে এ ব্যাপারটিকেও (উমারা ও তার স্বামীর মধ্যকার ব্যাপার) আপনি তদ্রুপ মনে করবেন।
باب مَنْ أَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَى فَاطِمَةَ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَهُمَا يَذْكُرَانِ، أَنَّ يَحْيَى بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، طَلَّقَ بِنْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَكَمِ الْبَتَّةَ فَانْتَقَلَهَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَأَرْسَلَتْ عَائِشَةُ - رضى الله عنها - إِلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَهُوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فَقَالَتْ لَهُ اتَّقِ اللَّهَ وَارْدُدِ الْمَرْأَةَ إِلَى بَيْتِهَا . فَقَالَ مَرْوَانُ فِي حَدِيثِ سُلَيْمَانَ إِنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ غَلَبَنِي . وَقَالَ مَرْوَانُ فِي حَدِيثِ الْقَاسِمِ أَوَمَا بَلَغَكِ شَأْنُ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ فَقَالَتْ عَائِشَةُ لاَ يَضُرُّكَ أَنْ لاَ تَذْكُرَ حَدِيثَ فَاطِمَةَ . فَقَالَ مَرْوَانُ إِنْ كَانَ بِكِ الشَّرُّ فَحَسْبُكِ مَا كَانَ بَيْنَ هَذَيْنِ مِنَ الشَّرِّ .
Al-Qasim ibn Muhammad and Sulayman ibn Yasar reported:
Yahya ibn Sa'id ibn al-'As divorced the daughter of 'Abd al-Rahman ibn al-Hakam absolutely. 'Abd al-Rahman shifted her (from there). Aisha sent a message to Marwan ibn al-Hakam who was the governor of Medina, and said to him: Fear Allah, and return the woman to her home. Marwan said (according to Sulayman's version): 'Abd al-Rahman forced me. Marwan said (according to the version of al-Qasim): Did not the case of Fatimah daughter of Qays reach you? Aisha replied: There would be no harm to you if you did not make mention of the tradition of Fatimah. Marwan said: If you think that it was due to some evil (i.e. reason), then it is sufficient for you to see that there is also an evil between the two.
পরিচ্ছেদঃ ১৮৩. যারা ফাতিমার বর্ণিত হাদীসকে অস্বীকার করে।
২২৯০. আহমদ ইবন ইউনুস ..... মায়মূন ইবন মিহরান (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদীনায় আগমন করি এবং সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাবের নিকট উপস্থিত হয়ে বলি, ফাতিমা বিনত কায়সকে তালাক দেয়া হয়েছে এবং তাকে তার ঘর হতে বহিস্কার করা হয়েছে। সাঈদ বলেন, সে স্ত্রীলোক তো মানুষকে বিপদে ফেলেছে আর সে মুখোরা রমনী। এরপর তাকে অন্ধ ইবন উম্মে মাকতুমের হস্তে সোর্পদ করা হয়।
باب مَنْ أَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَى فَاطِمَةَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، حَدَّثَنَا مَيْمُونُ بْنُ مِهْرَانَ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَدُفِعْتُ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ فَقُلْتُ فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ طُلِّقَتْ فَخَرَجَتْ مِنْ بَيْتِهَا فَقَالَ سَعِيدٌ تِلْكَ امْرَأَةٌ فَتَنَتِ النَّاسَ إِنَّهَا كَانَتْ لَسِنَةً فَوُضِعَتْ عَلَى يَدَىِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ الأَعْمَى .
Maimun bin Mihram said “I came to Median and went to Sa’id bin Al Musayyab”. I said (to him) Fathimah daughter of Qais was divorced and she shifted from her house. Sa’id said “This woman has perverted people. She was arrogant so she was placed with Ibn Umm Makhtum, the blind.”