পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৬২(১). আবু বাকর আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে যিয়াদ আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... ইবনে শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) মিম্বারের উপর উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি আসরের নামায পড়তে কিছুটা বিলম্ব করলেন। উরওয়া ইবনুয যুবাইর (রহঃ) বলেন, নিশ্চয়ই জিবরীল (আ.) মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে অবহিত করেছেন। উমার (রহঃ) তাকে বলেন, তুমি যা বলছে আমি তা জানি। উরওয়া (রহঃ) বলেন, আমি বশীর ইবনে আবু মাসউদ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি আবু মাসউদ আল-আনসারী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আমাকে জিবরীল (আ.) এসে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে অবহিত করলেন। আমি তার সঙ্গে নামায পড়েছি, তারপর তার সঙ্গে নামায পড়েছি, তারপর তার সঙ্গে নামায পড়েছি। (রাবী) নিজের আঙ্গুলের সাহায্যে গণনা করেন পাঁচ ওয়াক্ত নামায।

অতএব আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সূর্য (পশ্চিমাকাশে) ঢলে পড়ার পর যুহরের নামায পড়তে দেখেছি। তবে কখনো কখনো অধিক গরমের কারণে তিনি বিলম্বেও তা পড়েছেন। আর আমি তাঁকে আসরের নামায পড়তে দেখেছি সূর্য উর্ধ্বাকাশে আলোক উদ্ভাসিত অবস্থায় থাকতে এবং তাতে হলুদ বর্ণ ধারণ করার পূর্বে। অতঃপর কোন ব্যক্তি (নামাযশেষে) সূর্যাস্তের পূর্বে (ইচ্ছা করলে) যুল-হুলায়ফায় পৌছতে পারতো। তিনি সূর্য অস্ত গেলে পর মাগরিবের নামায পড়েন এবং এশার নামায পড়েন যখন পশ্চিম দিগন্ত কালো (অন্ধকার) হয়ে গেল। তিনি কখনো লোকসমাগমের অপেক্ষায় তা বিলম্ব করতেন। আর-রাবী (রহঃ) বলেন, আমার কিতাব থেকে হাত্তা (পর্যন্ত) শব্দটি বাদ পড়ে গিয়েছিল। তিনি একবার অন্ধকারের মধ্যে ফজরের নামায পড়েন, তারপর আরেকবার (অন্ধকার দূরীভূত হয়ে) ফর্সা হলে ফজরের নামায পড়েন। তারপর তিনি মৃত্যু পর্যন্ত অন্ধকার থাকতে ফজরের নামায পড়েছেন, অতঃপর কখনো ফর্সা হলে ফজরের নামায পড়েননি।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ أَخْبَرَهُ ؛ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - كَانَ قَاعِدًا عَلَى الْمِنْبَرِ ، فَأَخَّرَ صَلَاةَ الْعَصْرِ شَيْئًا ، فَقَالَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ : أَمَا إِنَّ جِبْرِيلَ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - قَدْ أَخْبَرَ مُحَمَّدًا - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِوَقْتِ الصَّلَاةِ ، فَقَالَ لَهُ : عُمَرُ : اعْلَمْ مَا تَقُولُ . قَالَ عُرْوَةُ : سَمِعْتُ بَشِيرَ بْنَ أَبِي مَسْعُودٍ ، يَقُولُ : سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيَّ ، يَقُولُ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " نَزَلَ جِبْرِيلُ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - فَأَخْبَرَنِي بِوَقْتِ الصَّلَاةِ ، فَصَلَّيْتُ مَعَهُ ، ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ، ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ " . يَحْسِبُ بِأَصَابِعِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يُصَلِّي الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ ، وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حِينَ يَشْتَدُّ الْحَرُّ ، وَرَأَيْتُهُ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ قَبْلَ أَنْ تَدْخُلَهَا الصُّفْرَةُ ، فَيَنْصَرِفُ الرَّجُلُ مِنَ الصَّلَاةِ ، فَيَأْتِي ذَا الْحُلَيْفَةِ قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ ، وَيُصَلِّي الْمَغْرِبَ حِينَ تَسْقُطُ الشَّمْسُ ، وَيُصَلِّي الْعِشَاءَ حِينَ يَسْوَدُّ الْأُفُقُ ، وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حَتَّى يَجْتَمِعَ النَّاسُ - قَالَ الرَّبِيعُ : سَقَطَ مِنْ كِتَابِي : " حَتَّى " فَقَطْ - وَصَلَّى الصُّبْحَ مَرَّةً بِغَلَسٍ ، ثُمَّ صَلَّى مَرَّةً أُخْرَى فَأَسْفَرَ ، ثُمَّ كَانَتْ صَلَاتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ بِالْغَلَسِ حَتَّى مَاتَ ، ثُمَّ لَمْ يَعُدْ إِلَى أَنْ يُسْفِرَ

حدثنا ابو بكر عبد الله بن محمد بن زياد النيسابوري ، ثنا الربيع بن سليمان ، ثنا عبد الله بن وهب ، اخبرني اسامة بن زيد ، ان ابن شهاب اخبره ؛ ان عمر بن عبد العزيز - رضي الله عنه - كان قاعدا على المنبر ، فاخر صلاة العصر شيىا ، فقال عروة بن الزبير : اما ان جبريل - عليه السلام - قد اخبر محمدا - صلى الله عليه وسلم - بوقت الصلاة ، فقال له : عمر : اعلم ما تقول . قال عروة : سمعت بشير بن ابي مسعود ، يقول : سمعت ابا مسعود الانصاري ، يقول : سمعت رسول الله - صلى الله عليه وسلم - يقول : " نزل جبريل - عليه السلام - فاخبرني بوقت الصلاة ، فصليت معه ، ثم صليت معه ، ثم صليت معه " . يحسب باصابعه خمس صلوات فرايت رسول الله - صلى الله عليه وسلم - يصلي الظهر حين تزول الشمس ، وربما اخرها حين يشتد الحر ، ورايته يصلي العصر والشمس مرتفعة بيضاء قبل ان تدخلها الصفرة ، فينصرف الرجل من الصلاة ، فياتي ذا الحليفة قبل غروب الشمس ، ويصلي المغرب حين تسقط الشمس ، ويصلي العشاء حين يسود الافق ، وربما اخرها حتى يجتمع الناس - قال الربيع : سقط من كتابي : " حتى " فقط - وصلى الصبح مرة بغلس ، ثم صلى مرة اخرى فاسفر ، ثم كانت صلاته بعد ذلك بالغلس حتى مات ، ثم لم يعد الى ان يسفر

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৬৩(২). আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে যিয়াদ (রহঃ) ... ইবনে শিহাব (রহঃ) থেকে এই সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। তাতে তিনি আরো বলেন, তিনি আসরের নামায পড়েন তখন সূর্য উর্ধ্বাকাশে আলোক উদ্ভাসিত ছিল। কোন ব্যক্তি নামাযশেষে ছয় মাইল দূরত্বে অবস্থিত যুল হুলায়ফায় সূর্যাস্তের পূর্বে পৌঁছে যেতে পারতো। তিনি তাতে আরো বলেন, তিনি ফজরের নামায (ভােরের) অন্ধকারে পড়েন। তারপর দ্বিতীয় দিন ফজরের নামায় (ভােরের অন্ধকার দূরীভূত হলে) ফর্সা করে পড়েন, তারপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ তাকে মৃত্যুদান পর্যন্ত কখনো ফর্সা করে ফজরের নামায পড়েননি।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ ، ثَنَا مُحَمَّدٌ أَبُو إِسْمَاعِيلَ التِّرْمِذِيُّ ، ثَنَا أَبُو صَالِحٍ ، ثَنَا اللَّيْثُ ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ بِهَذَا الْإِسْنَادِ ، نَحْوَهُ ، وَقَالَ فِيهِ : " وَيُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُرْتَفِعَةٌ ، يَسِيرُ الرَّجُلُ حَتَّى يَنْصَرِفَ مِنْهَا إِلَى ذِي الْحُلَيْفَةِ سِتَّةَ أَمْيَالٍ قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ " وَقَالَ فِيهِ أَيْضًا : " وَيُصَلِّي الصُّبْحَ فَيُغَلِّسُ بِهَا ، ثُمَّ صَلَّاهَا يَوْمًا آخَرَ فَأَسْفَرَ ، ثُمَّ لَمْ يَعُدْ إِلَى الْإِسْفَارِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ

حدثنا احمد بن محمد بن زياد ، ثنا محمد ابو اسماعيل الترمذي ، ثنا ابو صالح ، ثنا الليث ، عن يزيد بن ابي حبيب ، عن اسامة بن زيد ، عن ابن شهاب بهذا الاسناد ، نحوه ، وقال فيه : " ويصلي العصر والشمس بيضاء مرتفعة ، يسير الرجل حتى ينصرف منها الى ذي الحليفة ستة اميال قبل غروب الشمس " وقال فيه ايضا : " ويصلي الصبح فيغلس بها ، ثم صلاها يوما اخر فاسفر ، ثم لم يعد الى الاسفار حتى قبضه الله عز وجل

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৬৪(৩). মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ ইবনে সালেহ আল-আযদী (রহঃ) ... যিয়াদ ইবনে আবদুল্লাহ আন-নাখঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আলী (রাঃ)-এর সাথে বড় মসজিদে বসা ছিলাম। তখন কূফা ছিল বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের বাসস্থান। তার নিকট তার মুয়াযযিন এসে বললেন, হে আমীরুল মুমিনীন! আসরের নামাযের ওয়াক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, তুমি বসো। অতএব সে বসলো, তারপর পুনরায় নামাযের কথা বলল। তখন আলী (রাঃ) বলেন, এই কুকুর আমাদের সুন্নাত শিক্ষা দিচ্ছে। তারপর আলী (রাঃ) দাঁড়ান এবং আমাদেরকে নিয়ে আসরের নামায পড়লেন। অতঃপর আমরা যেখানে বসা ছিলাম (নামাযশেষে) সেখানে ফিরে এলাম। আমরা হাঁটুতে ভর দিয়ে বসলাম সূর্য অস্ত যাওয়ার অপেক্ষায়। যিয়াদ ইবনে আবদুল্লাহ আন-নাখঈ অজ্ঞাত ব্যক্তি। তার থেকে আল-আব্বাস ইবনে যুরায়হ্ ব্যতীত অন্য কেউ হাদীস বর্ণনা করেননি।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ صَالِحٍ الْأَزْدِيُّ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ، ح : وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الشَّافِعِيُّ ، وَأَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ ، قَالَا : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَاذَانَ الْجَوْهَرِيُّ ، ثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ ، قَالَا : نَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ ، نَا الشَّيْبَانِيُّ ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ ذَرِيحٍ ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ النَّخَعِيِّ ، قَالَ : " كُنَّا جُلُوسًا مَعَ عَلِيٍّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - فِي الْمَسْجِدِ الْأَعْظَمِ ، وَالْكُوفَةُ يَوْمَئِذٍ أَخْصَاصٌ ، فَجَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ ، فَقَالَ : الصَّلَاةُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لِلْعَصْرِ . فَقَالَ : اجْلِسْ . فَجَلَسَ ، ثُمَّ عَادَ فَقَالَ ذَلِكَ ، فَقَالَ عَلِيٌّ : - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - هَذَا الْكَلْبُ يُعَلِّمُنَا بِالسُّنَّةِ ! فَقَامَ عَلِيٌّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - فَصَلَّى بِنَا الْعَصْرَ ، ثُمَّ انْصَرَفْنَا ، فَرَجَعْنَا إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي كُنَّا فِيهِ جُلُوسًا ، فَجَثَوْنَا لِلرُّكَبِ لِنُزُولِ الشَّمْسِ لِلْمَغِيبِ نَتَرَاءَاهَا " . زِيَادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ النَّخَعِيُّ مَجْهُولٌ ، لَمْ يَرْوِ عَنْهُ غَيْرُ الْعَبَّاسِ بْنِ ذَرِيحٍ

حدثنا محمد بن احمد بن صالح الازدي ، ثنا احمد بن محمد بن يحيى بن سعيد ، ثنا يحيى بن ادم ، ح : وحدثنا ابو بكر الشافعي ، واحمد بن محمد بن زياد ، قالا : حدثنا محمد بن شاذان الجوهري ، ثنا معلى بن منصور ، قالا : نا عبد الرحيم بن سليمان ، نا الشيباني ، عن العباس بن ذريح ، عن زياد بن عبد الله النخعي ، قال : " كنا جلوسا مع علي - رضي الله عنه - في المسجد الاعظم ، والكوفة يومىذ اخصاص ، فجاءه الموذن ، فقال : الصلاة يا امير المومنين للعصر . فقال : اجلس . فجلس ، ثم عاد فقال ذلك ، فقال علي : - رضي الله عنه - هذا الكلب يعلمنا بالسنة ! فقام علي - رضي الله عنه - فصلى بنا العصر ، ثم انصرفنا ، فرجعنا الى المكان الذي كنا فيه جلوسا ، فجثونا للركب لنزول الشمس للمغيب نتراءاها " . زياد بن عبد الله النخعي مجهول ، لم يرو عنه غير العباس بن ذريح

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৬৫(৪). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... আবদুল ওয়াহেদ ইবনে নাফে (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদীনার মসজিদে প্রবেশ করলাম। মুয়াযযিন আসরের নামাযের আযান দিলো। তিনি বলেন, একজন প্রবীণ ব্যক্তি মসজিদে বসা ছিলেন। তিনি তাকে ভৎসনা করলেন এবং বললেন, আমার পিতা আমাকে অবহিত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই নামায বিলম্ব করে পড়ার নির্দেশ দিতেন। তিনি বলেন, আমি তার সম্পর্কে (লোকজনকে) জিজ্ঞেস করলাম। তারা বলল, তিনি রাফে ইবনে খাদীজ (রাঃ)-র পুত্র আবদুল্লাহ।

এই আবদুল্লাহ ইবনে রাফে হাদীসশাস্ত্রে তেমন শক্তিশালী নন। এই হাদীস মূসা ইবনে ইসমাঈল আবদুল ওয়াহেদ (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং তার উপনাম আবুর-রিমাহ’ বললেন। তিনি ইবনে রাফে ইবনে খাদীজ (রহঃ)-এর নাম সম্পর্কে দ্বিমত পোষণ করেছেন এবং তার নাম আবদুর রহমান বলেছেন।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى ، ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ ، ح : وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، قَالَا : نَا أَبُو الْأَشْعَثِ أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ ، نَا أَبُو عَاصِمٍ ، ثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ نَافِعٍ ، قَالَ : " دَخَلْتُ مَسْجِدَ الْمَدِينَةِ ، فَأَذَّنَ مُؤَذِّنٌ بِالْعَصْرِ ، قَالَ : وَشَيْخٌ جَالِسٌ فَلَامَهُ ، وَقَالَ : إِنَّ أَبِي أَخْبَرَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَانَ يَأْمُرُ بِتَأْخِيرِ هَذِهِ الصَّلَاةِ . قَالَ : فَسَأَلْتُ عَنْهُ ، فَقَالُوا : هَذَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ " . ابْنُ رَافِعٍ هَذَا لَيْسَ بِقَوِيٍّ . وَرَوَاهُ مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ ، فَكَنَّاهُ : أَبَا الرِّمَاحِ ، وَخَالَفَ فِي اسْمِ ابْنِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ ، فَسَمَّاهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ

حدثنا ابو بكر النيسابوري ، ثنا محمد بن يحيى ، ثنا ابو عاصم ، ح : وحدثنا الحسين بن اسماعيل ، واحمد بن علي بن العلاء ، قالا : نا ابو الاشعث احمد بن المقدام ، نا ابو عاصم ، ثنا عبد الواحد بن نافع ، قال : " دخلت مسجد المدينة ، فاذن موذن بالعصر ، قال : وشيخ جالس فلامه ، وقال : ان ابي اخبرني ان رسول الله - صلى الله عليه وسلم - كان يامر بتاخير هذه الصلاة . قال : فسالت عنه ، فقالوا : هذا عبد الله بن رافع بن خديج " . ابن رافع هذا ليس بقوي . ورواه موسى بن اسماعيل ، عن عبد الواحد ، فكناه : ابا الرماح ، وخالف في اسم ابن رافع بن خديج ، فسماه عبد الرحمن

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৬৬(৫). ইসমাঈল ইবনে মুহাম্মাদ আস-সাফফার (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনে রাফে ইবনে খাদীজ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তার মুয়াযিন তাড়াহুড়া করে (আগেভাগেই) আসরের নামাযের আযান দিলে তিনি তাকে ভর্ৎসনা করেন। তিনি বলেন, তোমার জন্য দুঃখ হয়, আমার পিতা আমাকে অবহিত করেছেন এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে আসরের নামায বিলম্ব করে পড়ার নির্দেশ দিতেন।

এই হাদীস হারামী ইবনে উমারা (রহঃ) আবদুল ওয়াহেদ (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন। আবদুল ওয়াহেদ ইবনে নুফাঈ (রহঃ) বলেন, তার বংশপরিচয় সম্পর্কে মতবিরোধ আছে। এই হাদীসের সূত্র এই আবদুল ওয়াহেদ (রহঃ)-এর কারণে দুর্বল। কেননা তিনি এই হাদীস ইবনে রাফে ইবনে খাদীজ (রহঃ) ব্যতীত অন্যদের থেকে বর্ণনা করেননি। আর এই ইবনে রাফে (রহঃ)-এর নাম সম্পর্কে মতভেদ আছে। এই হাদীস রাফে (রাঃ) এবং অন্য সাহাবীদের সূত্রে সহীহ নয়। সহীহ হলো, এই হাদীস রাফে ইবনে খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অপরাপর সাহাবীর সূত্রে এর বিপরীত হাদীস বর্ণিত আছে। আর তা হলো, আসরের নামায ত্বরায় (প্রথম ওয়াক্তে) পড়তে হবে এবং তার তাকবীরও (আযান) দ্রুত দিবে। আর রাফে’ ইবনে খাদীজ (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসটি সহীহ।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا بِهِ إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّفَّارُ ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الْوَرَّاقُ ، ثَنَا أَبُو سَلَمَةَ ، قَالَ : سَمِعْتُ عَبْدَ الْوَاحِدِ أَبَا الرِّمَاحِ الْكُلَاعِيَّ ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ ، وَأَذَّنَ مُؤَذِّنُهُ بِصَلَاةِ الْعَصْرِ ، فَكَأَنَّهُ عَجَّلَهَا ، فَلَامَهُ ، وَقَالَ : وَيْحَكَ ، أَخْبَرَنِي أَبِي - وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَانَ يَأْمُرُهُمْ بِتَأْخِيرِ الْعَصْرِ " . وَرَوَاهُ حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ هَذَا ، وَقَالَ : عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ نُفَيْعٍ ، خَالَفَ فِي نَسَبِهِ ، وَهَذَا حَدِيثٌ ضَعِيفُ الْإِسْنَادِ مِنْ جِهَةِ عَبْدِ الْوَاحِدِ هَذَا ؛ لِأَنَّهُ لَمْ يَرْوِهِ عَنِ ابْنِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ غَيْرُهُ ، وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي اسْمِ ابْنِ رَافِعٍ هَذَا ، وَلَا يَصِحُّ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ رَافِعٍ وَلَا عَنْ غَيْرِهِ مِنَ الصَّحَابَةِ ، وَالصَّحِيحُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ ، وَعَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : ضِدُّ هَذَا ، وَهُوَ التَّعْجِيلُ بِصَلَاةِ الْعَصْرِ وَالتَّبْكِيرُ بِهَا فَأَمَّا الرِّوَايَةُ الصَّحِيحَةُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ

حدثنا به اسماعيل بن محمد الصفار ، حدثنا محمد بن علي الوراق ، ثنا ابو سلمة ، قال : سمعت عبد الواحد ابا الرماح الكلاعي ، ثنا عبد الرحمن بن رافع بن خديج ، واذن موذنه بصلاة العصر ، فكانه عجلها ، فلامه ، وقال : ويحك ، اخبرني ابي - وكان من اصحاب النبي - صلى الله عليه وسلم - ان رسول الله - صلى الله عليه وسلم - كان يامرهم بتاخير العصر " . ورواه حرمي بن عمارة ، عن عبد الواحد هذا ، وقال : عبد الواحد بن نفيع ، خالف في نسبه ، وهذا حديث ضعيف الاسناد من جهة عبد الواحد هذا ؛ لانه لم يروه عن ابن رافع بن خديج غيره ، وقد اختلف في اسم ابن رافع هذا ، ولا يصح هذا الحديث عن رافع ولا عن غيره من الصحابة ، والصحيح عن رافع بن خديج ، وعن غير واحد من اصحاب النبي - صلى الله عليه وسلم - : ضد هذا ، وهو التعجيل بصلاة العصر والتبكير بها فاما الرواية الصحيحة عن رافع بن خديج

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৬৭(৬). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... রাফে ইবনে খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আসরের নামায পড়তাম, তারপর উট যবেহ করা হতো, তা দশ ভাগে ভাগ করা হতো, তারপর রান্না করা হতো এবং সূর্যাস্তের পূর্বে সেই রান্না করা মাংস আমরা আহার করতাম।

এই আবুন নাজাশীর নাম আতা ইবনে সুহাইব। তিনি নির্ভরযোগ্য রাবী, তিনি ছয় বছর রাফে ইবনে খাদীজ (রাঃ)-এর সাহচর্য লাভ করেন। ইকরিমা ইবনে আম্মার, আল-আওযাঈ, আইউব ইবনে উতবা (রহঃ) প্রমুখ তার সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেছেন। রাফে ইবনে খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তার হাদীস ইবনে রাফে (রহঃ) থেকে বর্ণিত আবদুল ওয়াহেদ (রহঃ)-এর হাদীস অপেক্ষা উত্তম। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

فَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، أَخْبَرَنِي عَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ مَزْيَدٍ ، أَخْبَرَنِي أَبِي ، قَالَ : سَمِعْتُ الْأَوْزَاعِيَّ ، حَدَّثَنِي أَبُو النَّجَاشِيِّ ، حَدَّثَنِي رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ ، قَالَ : " كُنَّا نُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - صَلَاةَ الْعَصْرِ ، ثُمَّ تُنْحَرُ الْجَزُورُ ، فَتُقْسَمُ عَشْرَ قِسَمٍ ، ثُمَّ تُطْبَخُ ، وَنَأْكُلُ لَحْمًا نَضِيجًا قَبْلَ أَنْ تَغِيبَ الشَّمْسُ " . أَبُو النَّجَاشِيِّ هَذَا اسْمُهُ : عَطَاءُ بْنُ صُهَيْبٍ ، ثِقَةٌ مَشْهُورٌ ، صَحِبَ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ سِتَّ سِنِينَ ، وَرَوَى عَنْهُ عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ ، وَالْأَوْزَاعِيُّ ، وَأَيُّوبُ بْنُ عُتْبَةَ ، وَغَيْرُهُمْ ، وَحَدِيثُهُ ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ أَوْلَى مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْوَاحِدِ ، عَنِ ابْنِ رَافِعٍ . وَاللَّهُ أَعْلَمُ

فحدثنا ابو بكر النيسابوري ، اخبرني عباس بن الوليد بن مزيد ، اخبرني ابي ، قال : سمعت الاوزاعي ، حدثني ابو النجاشي ، حدثني رافع بن خديج ، قال : " كنا نصلي مع النبي - صلى الله عليه وسلم - صلاة العصر ، ثم تنحر الجزور ، فتقسم عشر قسم ، ثم تطبخ ، وناكل لحما نضيجا قبل ان تغيب الشمس " . ابو النجاشي هذا اسمه : عطاء بن صهيب ، ثقة مشهور ، صحب رافع بن خديج ست سنين ، وروى عنه عكرمة بن عمار ، والاوزاعي ، وايوب بن عتبة ، وغيرهم ، وحديثه ، عن رافع بن خديج اولى من حديث عبد الواحد ، عن ابن رافع . والله اعلم

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৬৮(৭). আবু মাসউদ আল-আনসারী (রাঃ) থেকে নিম্নোক্ত হাদীস লাইস ইবনে সা’দ (রহঃ) ... আবু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের নামায পড়তেন সূর্য ঊর্ধ্বাকাশে আলোকোজ্জল থাকতেই। কোন ব্যক্তি (ইচ্ছা করলে) তথা (মদীনা) থেকে সূর্যাস্তের পূর্বে ছয় মাইল দূরত্বে যুল-হুলায়ফায় পৌঁছতে পারতো।

এই হাদীস আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন আবু সাহল ইবনে যিয়াদ-মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল আস-সুলামী-আবদুল্লাহ ইবনে সালেহ-আল-লাইস, পুনরায় আমার নিকট বর্ণনা করেছেন আমার পিতা মুহাম্মাদ ইবনে আবী বাকর-আবদুস সালাম ইবনে আবদুল হামীদ-মূসা ইবনে আ’য়ান-আল-আওযাঈ-আবুন নাজাশী (রহঃ) বলেন, আমি রাফে ইবনে খাদীজা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে মুনাফিকের নামায সম্পর্কে অবহিত করবো না? তারা আসরের নামাযে বিলম্ব করতে থাকে, এমনকি যখন গরুর পাতলা চর্বির আবরণের মত হয়ে যায় (ডুবে যাওয়ার কাছাকাছি হয়) তখন আসরের নামায পড়ে।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

وَكَذَلِكَ رُوِيَ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ ، مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ ، عَنْ عُرْوَةَ قَالَ : سَمِعْتُ بَشِيرَ بْنَ أَبِي مَسْعُودٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُرْتَفِعَةٌ ، يَسِيرُ الرَّجُلُ حِينَ يَنْصَرِفُ مِنْهَا إِلَى ذِي الْحُلَيْفَةِ سِتَّةَ أَمْيَالٍ قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ " . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو سَهْلِ بْنُ زِيَادٍ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ السُّلَمِيُّ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ . ح : وَحَدَّثَنِي أَبِي ، أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ ، ثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ ، ثَنَا مُوسَى بْنُ أَعْيَنَ ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ ، عَنْ أَبِي النَّجَاشِيِّ ، قَالَ : سَمِعْتُ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ يَقُولُ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِصَلَاةِ الْمُنَافِقِ ؟! أَنْ يُؤَخِّرَ الْعَصْرَ حَتَّى إِذَا كَانَتْ كَثَرْبِ الْبَقَرَةِ ، صَلَّاهَا

وكذلك روي عن ابي مسعود الانصاري ، من حديث الليث بن سعد ، عن يزيد بن ابي حبيب ، عن اسامة بن زيد ، عن ابن شهاب ، عن عروة قال : سمعت بشير بن ابي مسعود يحدث عن ابي مسعود ، عن النبي - صلى الله عليه وسلم - : " انه كان يصلي العصر والشمس بيضاء مرتفعة ، يسير الرجل حين ينصرف منها الى ذي الحليفة ستة اميال قبل غروب الشمس " . حدثنا بذلك ابو سهل بن زياد ، ثنا محمد بن اسماعيل السلمي ، ثنا عبد الله بن صالح ، حدثنا الليث . ح : وحدثني ابي ، انا محمد بن ابي بكر ، ثنا عبد السلام بن عبد الحميد ، ثنا موسى بن اعين ، عن الاوزاعي ، عن ابي النجاشي ، قال : سمعت رافع بن خديج يقول : قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم - : " الا اخبركم بصلاة المنافق ؟! ان يوخر العصر حتى اذا كانت كثرب البقرة ، صلاها

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৬৯(৮). অনুরূপভাবে আনাস (রাঃ) প্রমুখ সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আসরের নামায ওয়াক্তের শুরুতেই আদায় করা সম্পর্কে বর্ণিত আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের নামায পড়তেন সূর্য স্ব-অবস্থায় উদ্ভাসিত থাকতেই । অতঃপর কেউ আওয়ালীতে (মদীনার উপকণ্ঠে) যেতো এবং সেখানে পৌছতো, তখনো সূর্য উপরে থাকতো। আওয়ালী মদীনা থেকে ছয় মাইল দূরত্বে অবস্থিত।

এই হাদীস সালেহ ইবনে কায়সান, ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ আল-আনসারী, আকীল, মা’মার, ইউনুস, আল-লাইস, আমর ইবনুল হারিস, শুআইব ইবনে আবু হামযা, ইবনে আবু যিব, যুহরীর ভ্রাতুস্পুত্র, আবদুর রহমান ইবনে ইসহাক, মা’কিল ইবনে উবায়দুল্লাহ, উবায়দুল্লাহ ইবনে আবু যিয়াদ আর-রুসাফী, আন-নুমান ইবনে রাশেদ, আয-যুবায়দী (রহঃ) প্রমুখ আয-যুহরী (রহঃ)-আনাস (রাঃ) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

وَكَذَلِكَ رُوِيَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، وَغَيْرِهِ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي تَعْجِيلِ الْعَصْرِ ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ النُّعْمَانِيُّ الْبَاهِلِيُّ ، قَالَا : نَا أَحْمَدُ بْنُ الْفَرَجِ أَبُو عُتْبَةَ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حِمْيَرٍ ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي عَبْلَةَ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ أَنَسِ ؛ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ حَيَّةٌ ، فَيَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى الْعَوَالِي ، فَيَأْتِيهَا وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ . وَالْعَوَالِي : مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى سِتَّةِ أَمْيَالٍ . وَكَذَلِكَ رَوَاهُ صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ ، وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيُّ ، وَعَقِيلٌ ، وَمَعْمَرٌ ، وَيُونُسُ ، وَاللَّيْثُ ، وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ ، وَشُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ ، وَابْنُ أَبِي ذِئْبٍ ، وَابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ ، وَمَعْقِلُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الرُّصَافِيُّ ، وَالنُّعْمَانُ بْنُ رَاشِدٍ ، وَالزُّبَيْدِيُّ ، وَغَيْرُهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ أَنَسٍ

وكذلك روي عن انس بن مالك ، وغيره ، عن النبي - صلى الله عليه وسلم - في تعجيل العصر ، حدثنا الحسين بن اسماعيل ، ومحمد بن سليمان النعماني الباهلي ، قالا : نا احمد بن الفرج ابو عتبة ، ثنا محمد بن حمير ، ثنا ابراهيم بن ابي عبلة ، عن الزهري ، عن انس ؛ ان رسول الله - صلى الله عليه وسلم - كان يصلي العصر والشمس مرتفعة حية ، فيذهب الذاهب الى العوالي ، فياتيها والشمس مرتفعة . والعوالي : من المدينة على ستة اميال . وكذلك رواه صالح بن كيسان ، ويحيى بن سعيد الانصاري ، وعقيل ، ومعمر ، ويونس ، والليث ، وعمرو بن الحارث ، وشعيب بن ابي حمزة ، وابن ابي ذىب ، وابن اخي الزهري ، وعبد الرحمن بن اسحاق ، ومعقل بن عبيد الله ، وعبيد الله بن ابي زياد الرصافي ، والنعمان بن راشد ، والزبيدي ، وغيرهم عن الزهري ، عن انس

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৭০(৯). মালেক ইবনে আনাস (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের নামায পড়তেন। তারপর কেউ কুবা পল্লীতে পৌঁছে দেখতো, তথাকার লোকজন নামায পড়ছে এবং সূর্য তখনও উপরে থাকতো।

এই হাদীস দালাজ ইবনে আহমাদ (রহঃ) আল-হাসান ইবনে সুফিয়ান- হাব্বান ইবনে মূসা-ইবনুল মুবারক-মালেক (রহঃ) থেকে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

وَرَوَاهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، وَإِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ ، عَنْ أَنَسٍ ؛ أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ ، ثُمَّ يَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى قُبَاءَ . قَالَ أَحَدُهُمَا : " فَيَأْتِيهِمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ " وَقَالَ الْآخَرُ : " وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ " . ثَنَا بِهِ دَعْلَجُ بْنُ أَحْمَدَ ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ ، ثَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى ، أَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ ، عَنْ مَالِكٍ بِذَلِكَ

ورواه مالك بن انس ، عن الزهري ، واسحاق بن عبد الله بن ابي طلحة ، عن انس ؛ ان النبي - صلى الله عليه وسلم - كان يصلي العصر ، ثم يذهب الذاهب الى قباء . قال احدهما : " فياتيهم وهم يصلون " وقال الاخر : " والشمس مرتفعة " . ثنا به دعلج بن احمد ، ثنا الحسن بن سفيان ، ثنا حبان بن موسى ، انا ابن المبارك ، عن مالك بذلك

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৭১(১০). আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আসরের নামায পড়তাম, তখন সূর্য আলোক উদ্ভাসিত ও গোলাকার থাকতো। অতঃপর আমি আমার আত্মীয়-স্বজনের নিকট এসে তাদেরকে বসা অবস্থায় দেখতাম। আমি বলতাম, কোন জিনিস তোমাদেরকে বসিয়ে রেখেছে? তোমরা নামায পড়ো। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায পড়েছেন।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ - قِرَاءَةً عَلَيْهِ - ثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ النَّرْسِيُّ ، ثَنَا فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ ، عَنْ مَنْصُورٍ ، عَنْ رِبْعِيٍّ ، عَنْ أَبِي الْأَبْيَضِ ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : " كُنْتُ أُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الْعَصْرَ ، وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُحَلِّقَةٌ ، فَآتِي عَشِيرَتِي وَهُمْ جُلُوسٌ ، فَأَقُولُ : مَا يُجْلِسُكُمْ ؟! صَلُّوا ؛ فَقَدْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حدثنا عبد الله بن محمد بن عبد العزيز - قراءة عليه - ثنا العباس بن الوليد النرسي ، ثنا فضيل بن عياض ، عن منصور ، عن ربعي ، عن ابي الابيض ، عن انس ، قال : " كنت اصلي مع النبي - صلى الله عليه وسلم - العصر ، والشمس بيضاء محلقة ، فاتي عشيرتي وهم جلوس ، فاقول : ما يجلسكم ؟! صلوا ؛ فقد صلى رسول الله - صلى الله عليه وسلم

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৭২(১১). আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল আলা (রহঃ) ... আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সূর্য আলোকোজ্জ্বল ও গোলাকার থাকতেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আসরের নামায পড়াতেন। তারপর আমি মদীনার এক প্রান্তে আমার আত্মীয়-স্বজনের নিকট আসতাম এবং তাদেরকে নামায না পড়ে বসে থাকা অবস্থায় পেতাম। আমি বলতাম, কোন জিনিস তোমাদের বসিয়ে রেখেছে? তোমরা ওঠো এবং নামায পড়ো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিমধ্যেই নামায পড়েছেন।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى ، ثَنَا جَرِيرٌ ، عَنْ مَنْصُورٍ ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ ، عَنْ أَبِي الْأَبْيَضِ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يُصَلِّي بِنَا الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُحَلِّقَةٌ ، ثُمَّ آتِي عَشِيرَتِي وَهُمْ فِي نَاحِيَةِ الْمَدِينَةِ جُلُوسٌ لَمْ يُصَلُّوا ، فَأَقُولُ : مَا يُجْلِسُكُمْ ؟! قُومُوا صَلُّوا ؛ فَقَدْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حدثنا احمد بن علي بن العلاء ، حدثنا يوسف بن موسى ، ثنا جرير ، عن منصور ، عن ربعي بن حراش ، عن ابي الابيض ، عن انس بن مالك ، قال : " كان رسول الله - صلى الله عليه وسلم - يصلي بنا العصر والشمس بيضاء محلقة ، ثم اتي عشيرتي وهم في ناحية المدينة جلوس لم يصلوا ، فاقول : ما يجلسكم ؟! قوموا صلوا ؛ فقد صلى رسول الله - صلى الله عليه وسلم

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৭৩(১২). মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল আল-ফারিসী (রহঃ) ... আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনসারদের দুই ব্যক্তি আবু লুবাবা ইবনে আবদুল মুনযির (রাঃ) ও তার পরিবার-পরিজনের বসতি ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দূরবর্তী স্থানে কুবায় এবং আবু উবায়েস ইবনে খায়ের (রাঃ)-এর বসতি ছিল বনূ হারিছা গোত্রে। তারা দুইজন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আসরের নামায পড়তেন, তারপর নিজ নিজ এলাকায় ফিরে এসে দেখতেন, তখনও তারা (আসরের) নামায পড়েনি। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের নামায দ্রুত (ওয়াক্তের শুরুতে) পড়তেন।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْفَارِسِيُّ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ نَجْدَةَ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْوَهْبِيُّ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " كَانَ أَبْعَدَ رَجُلَيْنِ مِنَ الْأَنْصَارِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - دَارًا : أَبُو لُبَابَةَ بْنُ عَبْدِ الْمُنْذِرِ ، وَأَهْلُهُ بِقُبَاءَ ، وَأَبُو عَبْسِ بْنُ خَيْرٍ ، وَمَسْكَنُهُ فِي بَنِي حَارِثَةَ ، فَكَانَا يُصَلِّيَانِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الْعَصْرَ ، ثُمَّ يَأْتِيَانِ قَوْمَهُمَا ، وَمَا صَلَّوْا ! لِتَعْجِيلِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِهَا

حدثنا محمد بن اسماعيل الفارسي ، ثنا احمد بن عبد الوهاب بن نجدة ، ثنا احمد بن خالد الوهبي ، نا محمد بن اسحاق ، عن عاصم بن عمر بن قتادة ، عن انس بن مالك ، قال : " كان ابعد رجلين من الانصار من رسول الله - صلى الله عليه وسلم - دارا : ابو لبابة بن عبد المنذر ، واهله بقباء ، وابو عبس بن خير ، ومسكنه في بني حارثة ، فكانا يصليان مع رسول الله - صلى الله عليه وسلم - العصر ، ثم ياتيان قومهما ، وما صلوا ! لتعجيل رسول الله - صلى الله عليه وسلم - بها

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৭৪(১৩). আল-আলা ইবনে আবদুর রহমান (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) বলেন, আমি কি তোমাদেরকে মুনাফিকের নামায সম্পর্কে অবহিত করবো না? সে বসে বসে সূর্যের অপেক্ষা করতে থাকে। যখন সূর্য হলুদ বর্ণ হয়ে যায় এবং শয়তানের দুই শিং-এর মাঝখানে এসে যায় তখন উঠে চারটি ঠোকর মারে এবং তাতে আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

وَقَالَ الْعَلَاءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ أَنَسٍ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِصَلَاةِ الْمُنَافِقِ ؟ يَرْقُبُ الشَّمْسَ حَتَّى إِذَا اصْفَرَّتْ ، فَكَانَتْ بَيْنَ قَرْنَىِ الشَّيْطَانِ ، قَامَ فَنَقَرَ أَرْبَعًا ، لَا يَذْكُرُ اللَّهَ فِيهَا إِلَّا قَلِيلًا

وقال العلاء بن عبد الرحمن ، عن انس ، عن النبي - صلى الله عليه وسلم - : " الا اخبركم بصلاة المنافق ؟ يرقب الشمس حتى اذا اصفرت ، فكانت بين قرنى الشيطان ، قام فنقر اربعا ، لا يذكر الله فيها الا قليلا

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৭৫(১৪). হাফ্‌স ইবনে উবায়দুল্লাহ ইবনে আনাস (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

وَقَالَ حَفْصُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ ، عَنْ أَنَسٍ ، أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ..... نَحْوَ ذَلِكَ

وقال حفص بن عبيد الله بن انس ، عن انس ، ان النبي - صلى الله عليه وسلم - ..... نحو ذلك

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৭৬(১৫). আয-যুহরী (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের নামায পড়তেন, তখনও সূর্যের কিরণ আমার কোঠার মধ্যে পড়তে এবং ছায়াও (দীর্ঘ না হওয়ায়) আমার কোঠার বাইরে যেতো না।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

وَقَالَ الزُّهْرِيُّ ، عَنْ عُرْوَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ : " كَانَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ طَالِعَةٌ فِي حُجْرَتِي ، لَمْ يَظْهَرِ الْفَيْءُ بَعْدُ

وقال الزهري ، عن عروة ، عن عاىشة : " كان النبي - صلى الله عليه وسلم - يصلي العصر والشمس طالعة في حجرتي ، لم يظهر الفيء بعد

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৭৭(১৬). কাযী আবু আবদুল্লাহ আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল আল-মুহামিলী ও কাযী আবু উমার মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রহঃ) ... আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আসরের নামায পড়লাম। নামাযশেষে বনূ সালামার এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার নিকট একটি উট আছে, আমি তা যবেহ করতে চাই এবং তথায় আপনার উপস্থিতি কামনা করি। অতএব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গেলেন আমরাও গেলাম, এবং আমি উটটি যবেহ করলাম। আমাদের জন্য তা থেকে রান্না করা হলো এবং আমরা সূর্যাস্তের পূর্বে তার মাংস আহার করলাম। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আসরের নামায পড়তাম, অতঃপর কোন আরোহী সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে ছয় মাইল সফর করতে পারতো।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا الْقَاضِيَانِ : أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمَحَامِلِيُّ ، وَأَبُو عُمَرَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ ، قَالَا : نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَبِيبٍ ، نَا أَيُّوبُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ ، نَا صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الْعَصْرَ ، فَلَمَّا انْصَرَفَ ، قَالَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَلِمَةَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنَّ عِنْدِي جَزُورًا أُرِيدُ أَنْ أَنْحَرَهَا ، فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ تَحْضُرَهَا ، فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَانْصَرَفْنَا ، فَنُحِرَتِ الْجَزُورُ ، وَصُنِعَ لَنَا مِنْهَا ، وَطَعِمْنَا مِنْهَا قَبْلَ أَنْ تَغِيبَ الشَّمْسُ ، وَكُنَّا نُصَلِّي الْعَصْرَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَيَسِيرُ الرَّاكِبُ سِتَّةَ أَمْيَالٍ قَبْلَ أَنْ تَغِيبَ الشَّمْسُ

حدثنا القاضيان : ابو عبد الله الحسين بن اسماعيل المحاملي ، وابو عمر محمد بن يوسف ، قالا : نا عبد الله بن شبيب ، نا ايوب بن سليمان بن بلال ، ثنا ابو بكر بن ابي اويس ، حدثني سليمان بن بلال ، نا صالح بن كيسان ، عن حفص بن عبيد الله ، عن انس بن مالك ، قال : " صليت مع رسول الله - صلى الله عليه وسلم - العصر ، فلما انصرف ، قال رجل من بني سلمة : يا رسول الله ، ان عندي جزورا اريد ان انحرها ، فانا احب ان تحضرها ، فانصرف رسول الله - صلى الله عليه وسلم - وانصرفنا ، فنحرت الجزور ، وصنع لنا منها ، وطعمنا منها قبل ان تغيب الشمس ، وكنا نصلي العصر مع رسول الله - صلى الله عليه وسلم - فيسير الراكب ستة اميال قبل ان تغيب الشمس

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৭৮(১৭). আবু উমার আল-কাযী (রহঃ) ... আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আসরের নামায পড়ালেন। তাঁর নামায শেষে বনু সালামার এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আমাদের একটি উট যবেহ করতে চাই। আমাদের এখানে আপনার উপস্থিতি কামনা করি। তিনি বলেনঃ হাঁ। অতএব তিনি গেলেন এবং আমরাও তাঁর সঙ্গে গেলাম। আমরা পৌঁছে দেখলাম, উটটি যবেহ করা হয়নি। অতএব আমি তা যবেহ করলাম, তারপর মাংস টুকরা টুকরা করলাম, তারপর তা থেকে রান্না করা হলো এবং আমরা সূর্যাস্তের পূর্বে তা আহার করলাম।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا أَبُو عُمَرَ الْقَاضِي ، ثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ ، نَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ أَنَّ مُوسَى بْنَ سَعْدٍ الْأَنْصَارِيَّ حَدَّثَهُ ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " صَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الْعَصْرَ ، فَلَمَّا انْصَرَفَ أَتَاهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَلِمَةَ ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنَّا نُرِيدُ أَنْ نَنْحَرَ جَزُورًا لَنَا فَنُحِبُّ أَنْ تَحْضُرَنَا . قَالَ : " نَعَمْ " ، فَانْطَلَقَ وَانْطَلَقْنَا مَعَهُ ، فَوَجَدْنَا الْجَزُورَ لَمْ تُنْحَرْ ، فَنُحِرَتْ ، ثُمَّ قُطِّعَتْ ، ثُمَّ طُبِخَ مِنْهَا ، فَأَكَلْنَا قَبْلَ أَنْ تَغِيبَ الشَّمْسُ

حدثنا ابو عمر القاضي ، ثنا العباس بن محمد الدوري ، نا هارون بن معروف ، حدثنا عبد الله بن وهب ، اخبرني عمرو بن الحارث ، عن يزيد بن ابي حبيب ان موسى بن سعد الانصاري حدثه ، عن حفص بن عبيد الله ، عن انس بن مالك ، قال : " صلى لنا رسول الله - صلى الله عليه وسلم - العصر ، فلما انصرف اتاه رجل من بني سلمة ، فقال : يا رسول الله ، انا نريد ان ننحر جزورا لنا فنحب ان تحضرنا . قال : " نعم " ، فانطلق وانطلقنا معه ، فوجدنا الجزور لم تنحر ، فنحرت ، ثم قطعت ، ثم طبخ منها ، فاكلنا قبل ان تغيب الشمس

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৭৯(১৮). ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আবু কিলাবা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আল-আসর’ (নামায) নামকরণের কারণ হলো, যেহেতু এটা নিংড়ানো হয় (দিনের শেষভাগে পড়া হয়)।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا ابْنُ مَخْلَدٍ ، ثَنَا الْحَسَّانِيُّ ، نَا وَكِيعٌ ، نَا خَارِجَةُ بْنُ مُصْعَبٍ ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ ، قَالَ : " إِنَّمَا سُمِّيَتِ : الْعَصْرَ ؛ لِأَنَّهَا تُعْصَرُ

حدثنا ابن مخلد ، ثنا الحساني ، نا وكيع ، نا خارجة بن مصعب ، عن خالد الحذاء ، عن ابي قلابة ، قال : " انما سميت : العصر ؛ لانها تعصر

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ কিলাবাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৮০(১৯). আল-কাযী আবু উমার (রহঃ) ... খালিদ আল-হাযযা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল-হাসান, ইবনে সীরীন ও আবু কিলাবা (রহঃ) আসর (আসরকে) নামকরণ করেন।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا الْقَاضِي أَبُو عُمَرَ ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَبِي الرَّبِيعِ ، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ ، عَنْ مَعْمَرٍ ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ : " أَنَّ الْحَسَنَ وَابْنَ سِيرِينَ وَأَبَا قِلَابَةَ كَانُوا يُمْسُونَ بِالْعَصْرِ

حدثنا القاضي ابو عمر ، ثنا الحسن بن ابي الربيع ، ثنا عبد الرزاق ، عن معمر ، عن خالد الحذاء : " ان الحسن وابن سيرين وابا قلابة كانوا يمسون بالعصر

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৮১(২০). মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে গাইলান (রহঃ) ... মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিয়া (রহঃ) বলেন, নিংড়ানোর কারণে আসর নামকরণ করা হয়ছে।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ غَيْلَانَ ، ثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ ، ثَنَا عَمِّي كَثِيرُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، ثَنَا ابْنُ شُبْرُمَةَ ، قَالَ : قَالَ مُحَمَّدُ ابْنُ الْحَنَفِيَّةِ : إِنَّمَا سُمِّيَتِ الْعَصْرَ ؛ لِتُعْصَرَ

حدثنا محمد بن عبد الله بن غيلان ، ثنا ابو هشام الرفاعي ، ثنا عمي كثير بن محمد ، ثنا ابن شبرمة ، قال : قال محمد ابن الحنفية : انما سميت العصر ؛ لتعصر

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারাকুতনী
৩. নামায (كتاب الصلاة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »