পরিচ্ছেদঃ ২৩. রজম সম্পর্কে
৪৪১৩। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর বাণীঃ ’’তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যারা অশ্লীল কাজ করে, তবে তোমাদের মধ্য থেকে চার ব্যক্তিকে তাদের উপর সাক্ষী দাঁড় করাও। অতঃপর তারা সাক্ষ্য দিলে তাদেরকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখো, যতক্ষণ না মৃত্যু তাদের অবসান ঘটায় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোনো পথ বের করেন’’ (সূরা আন-নিসাঃ ১৫)।
মেয়েদের সম্পর্কে একথা বলে পুরুষদের সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, অতঃপর উভয়ের সম্পর্কে একত্রে আলোচনা করেছেনঃ ’’আর তোমাদের মধ্যে দু’ জন নারী-পুরুষ যদি এ অশ্লীল কাজ করে, তবে তাদের শাসন করো। অনন্তর তারা যদি তওবা করে এবং নিজেদেরকে সংশোধন করে নেয়, তবে তাদেরকে ছেড়ে দাও।’’ (সূরা আন-নিসাঃ ১৬)। উপরোক্ত আয়াতের নির্দেশ ’বেত্রাঘাত’ সংক্রান্ত আয়াত দ্বারা রহিত হয়েছে। অতএব আল্লাহর বাণীঃ ’’ব্যভিচারিনী এবং ব্যভিচারী, তাদের প্রত্যেককে একশো বেত্রাঘাত করো।’’ (সূরা আন-নূরঃ ২)।[1]
সনদ হাসান।
بَابٌ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: (وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا) [النساء: ١٥]، وَذَكَرَ الرَّجُلَ بَعْدَ الْمَرْأَةِ ثُمَّ جَمَعَهُمَا، فَقَالَ: (وَاللَّذَانِ يَأْتِيَانِهَا مِنْكُمْ فَآذُوهُمَا فَإِنْ تَابَا وَأَصْلَحَا فَأَعْرِضُوا عَنْهُمَا) [النساء: ١٦]، فَنَسَحَ ذَلِكَ بِآيَةِ الْجَلْدِ، فَقَالَ: (الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ)
حسن الإسناد
Ibn ‘Abbas said:
The Qur’anic verse goes: “If any of your woman are guilty of lewdness, take the evidence of four (reliable) witnesses from amongst you against them, and if they testify, Confine them to houses until death do chain them or Allah ordains for them some (other) way. Allah then mentioned man after woman and combined them in another verse : “If two men among you are guilty of lewdness, punish them both. If they repent and amend, leave them alone. This command was abrogated by the verse relating to flogging : “The woman and the man guilty of adultery or fornication – flog each of them with one hundred stripes.
পরিচ্ছেদঃ ২৩. রজম সম্পর্কে
৪৪১৪। মুজাহিদ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর বাণী, ’আস-সাবীল’ অর্থাৎ হাদ্দ। সুফিয়ান (রহঃ) বলেন, ’ফাআযূহুমা’ অর্থ অবিবাহিতের শাস্তি এবং ’ফাআমসিকূহুন্না ফিল বুয়ূত’ অর্থ বিবাহিতের শাস্তি।[1]
হাসান মাকতূ।
بَابٌ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى يَعْنِي ابْنَ مَسْعُودٍ، عَنْ شِبْلٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجِاهِدٍ، قَالَ: " السَّبِيلُ: الْحَدُّ " قَالَ سُفْيَانُ: (فَآذُوهُمَا) [النساء: ١٦]: الْبِكْرَانِ، (فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ) [النساء: ١٥]: الثَّيِّبَاتُ
حسن مقطوع
Mujahid said:
“Apponting a way in the verse (iv.15) means prescribed punishment.
Sufiyan said: “Punish them “refers to unmarried, and “confine them to houses” refers to the women who are married.
পরিচ্ছেদঃ ২৩. রজম সম্পর্কে
৪৪১৫। উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার থেকে গ্রহণ করো। আল্লাহ তাদের জন্য বিধান দিয়েছেনঃ বিবাহিত পুরুষ ও বিবাহিতা নারী অপরাধী প্রমাণিত হলে, তাদের শাস্তি হলো একশো বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা। আর অবিবাহিত পুরুষ ও অবিবাহিতা নারীর শাস্তি হলো একশো বেত্রাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حَطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خُذُوا عَنِّي، خُذُوا عَنِّي، قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا: الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ وَرَمْيٌ بِالْحِجَارَةِ، وَالْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَنَفْيُ سَنَة
صحيح
‘Ubadah b. al-Samit reported the Messenger of Allah(ﷺ) as sayings:
Receive my teachings, receive my teachings. Allah has appointed a way for those women. If the parties have been married, they shall receive a hundred lashes and stoned to death. If the parties are unmarried, they shall receive a hundred lashes and banished for a year.
পরিচ্ছেদঃ ২৩. রজম সম্পর্কে
৪৪১৬। ইয়াহইয়াহ সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণিত। এতে রয়েছেঃ তাদের শাস্তি হলো একশো বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، قَالَا: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْحَسَنِ، بِإِسْنَادِ يَحْيَى وَمَعْنَاهُ، قَالَ: جَلْدُ مِائَةٍ وَالرَّجْمُ
صحيح
A similar tradition has been transmitted by al-Hasan through a chain of Yahya and to the same effect. This version adds:
They shall receive a hundred lashes and toned to death.
পরিচ্ছেদঃ ২৩. রজম সম্পর্কে
৪৪১৭। উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত। লোকজন সা’দ ইবনু উবাদাহ (রাঃ)-কে বললো, হে সাবিতের পিতা! হাদ্দ সংক্রান্ত আয়াত নাযিল হয়েছে। অতএব আপনি যদি আপনার স্ত্রীর সঙ্গে কোনো পুরুষ লোককে দেখতে পান তাহলে আপনি কি করবেন? তিনি বলেন, আমি তরবারির আঘাতে উভয়কে নিস্তব্ধ করে দিতাম। আমি কি যাবো এবং চারজন সাক্ষী একত্র করবো, আর এ সুযোগে তারা তাদের অপকর্ম সেরে নিবে?
অতএব তারা গিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একত্র হয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি সাবিতের পিতাকে দেখেননি, তিনি এই এই কথা বলেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তরবারিই যথেষ্ট সাক্ষী। অতঃপর তিনি বলেন, না না, আমি আশঙ্কা করি যে, কোনো উন্মত্ত ও আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন লোকই এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে। আরেক বর্ণনায় রয়েছেঃ এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর ক্রীতদাসীর সঙ্গে সংগমে লিপ্ত হয়।’ ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আল-ফাদল ইবনু দালহাম হাদীসের হাফিয নন। তিনি ওয়াসিত অঞ্চলের কসাই ছিলেন।[1]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/ ২৩৪১।
بَابٌ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ رَوْحِ بْنِ خُلَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ يَعْنِي الْوَهْبِيَّ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دَلْهَمٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبَّقِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِهَذَا الْحَدِيثِ، فَقَالَ نَاسٌ لِسَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ: يَا أَبَا ثَابِتٍ، قَدْ نَزَلَتِ الْحُدُودُ، لَوْ أَنَّكَ وَجَدْتَ مَعَ امْرَأَتِكَ رَجُلًا كَيْفَ كُنْتَ صَانِعًا؟ قَالَ: كُنْتُ ضَارِبَهُمَا بِالسَّيْفِ حَتَّى يَسْكُتَا، أَفَأَنَا أَذْهَبُ فَأَجْمَعُ أَرْبَعَةَ شُهَدَاءٍ؟ فَإِلَى ذَلِكَ قَدْ قَضَى الْحَاجَةَ، فَانْطَلَقُوا فَاجْتَمَعُوا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَمْ تَرَ إِلَى أَبِي ثَابِتٍ قَالَ كَذَا وَكَذَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَفَى بِالسَّيْفِ شَاهِدًا ثُمَّ قَالَ: لَا لَا، أَخَافُ أَنْ يَتَتَابَعَ فِيهَا السَّكْرَانُ وَالْغَيْرَانُ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَى وَكِيعٌ، أَوَّلَ هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الْفَضْلِ بْنِ دَلْهَمٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبَّقِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّمَا هَذَا إِسْنَادُ حَدِيثِ ابْنِ الْمُحَبَّقِ، أَنَّ رَجُلًا وَقَعَ عَلَى جَارِيَةِ امْرَأَتِهِ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: الْفَضْلُ بْنُ دَلْهَمٍ لَيْسَ بِالْحَافِظِ، كَانَ قَصَّابًا بِوَاسِطَ
ضعيف: ضعيفة (٢٣٤١)
Narrated Ubadah ibn as-Samit:
The tradition mentioned above (No. 4401) has also been transmitted by Ubadah ibn as-Samit through a different chain of narrators.
This version has: The people said to Sa'd ibn Ubadah: AbuThabit, the prescribed punishments have been revealed: if you find a man with your wife, what will you do?
He said: I shall strike them with a sword so much that they become silent (i.e. die). Should I go and gather four witnesses? Until that (time) the need would be fulfilled.
So they went away and gathered with the Messenger of Allah (ﷺ) and said: Messenger of Allah! did you not see AbuThabit. He said so-and-so.
The Messenger of Allah (ﷺ) said: The sword is a sufficient witness. He then said: No, no, a furious and a jealous man may follow this course.
Abu Dawud said: This tradition has been transmitted by Waki' from al-Fadl b. Dilham from al-Hasan, from Qabisah b. Huraith, from Salamah b. al-Muhabbaq, from the Prophet (ﷺ). And this is the chain of the tradition narrated by Ibn al-Muhabbaq to the effect that a man had sexual intercourse with a slave girl of his wife.
Abu Dawud said: Al-Fadl b. Dilham was not the memoriser of traditions. He was a butcher in Wasit.
পরিচ্ছেদঃ ২৩. রজম সম্পর্কে
৪৪১৮। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তার ভাষণে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সত্য দীনসহ পাঠিয়েছেন এবং তাঁর উপর কিতাব নাযিল করেছেন। আর তিনি তাঁর উপর যা নাযিল করেছেন, রজম সংক্রান্ত আয়াত তার অন্তর্ভুক্ত। আমরা তা পাঠ করেছি এবং সংরক্ষণ করেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজম করেছেন আর আমরাও তাঁর পরে রজম করেছি। তবে আমার আশঙ্কা হচ্ছে, কাল প্রবাহের দীর্ঘতায় কেউ হয় তো বলবে, আমরা তো আল্লাহর নাযিলকৃত তিাবে রজমের আয়াত পাইনি।
ফলে তারা আল্লাহর নাযিলকৃত একটা ফরজ পরিত্যাগ করে পথভ্রষ্ট হবে। জেনে রাখো বিবাহিত নারী-পুরুষ ব্যভিচারের অপরাধে দায়ী প্রমাণিত হলে অথবা অন্তঃসত্তা হলে অথবা স্বীকারোক্তি করলে তাদেরকে রজম করা অবধারিত। আল্লাহর কসম! লোকেরা যদি একথা না বলতো যে, উমার আল্লাহর কিতাবে কিছু বর্ধিত করেছেন। তাহলে আমি অবশ্যই এ আয়াত লিখে দিতাম।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الرَّجْمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ عُمَرَ يَعْنِي ابْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ خَطَبَ، فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ، فَكَانَ فِيمَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ، فَقَرَأْنَاهَا وَوَعَيْنَاهَا، وَرَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجَمْنَا مِنْ بَعْدِهِ، وَإِنِّي خَشِيتُ إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ الزَّمَانُ أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ: مَا نَجِدُ آيَةَ الرَّجْمِ فِي كِتَابِ اللَّهِ، فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ أَنْزَلَهَا اللَّهُ تَعَالَى، فَالرَّجْمُ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ إِذَا كَانَ مُحْصَنًا، إِذَا قَامَتِ الْبَيِّنَةُ، أَوْ كَانَ حَمْلٌ، أَوِ اعْتِرَافٌ، وَايْمُ اللَّهِ، لَوْلَا أَنْ يَقُولَ النَّاسُ: زَادَ عُمَرُ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، لَكَتَبْتُهَا
صحيح
‘Abd Allah b. ‘Abbas said:
‘Umar b. al-Khattab gave an address saying: Allah sent Muhammad (ﷺ) with truth and sent down the Books of him, and the verse of stoning was included in what He sent down to him. We read it and memorized it. The Messenger of Allah (ﷺ) had people stoned to death and we have done it also since his death. I am afraid the people might say with the passage of time: We do not find the verse of stoning in the Books of Allah, and thus they stray by abandoning a duty which Allah had received. Stoning is a duty laid down (by Allah) for married men and women who commit fornication when proof is established, or if there is pregnancy, or a confession. I swear by Allah, had it not been so that the people might say: ‘Umar made an addition to Allah’s Book, I would have written it (there).