পরিচ্ছেদঃ ৪২. সফর অবস্থায় সওম পালন
২৪০২। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা হামযাহ আল-আসলামী (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এমন ব্যক্তি যে, অনবরত সওম পালন করি, আমি কি সফরের অবস্থায়ও সওম রাখবো? তিনি বললেনঃ ইচ্ছা হলে সওম রাখো আর ইচ্ছা না হলে রেখো না।[1]
সহীহ।
بَابُ الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالَا: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ حَمْزَةَ الْأَسْلَمِيَّ، سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي رَجُلٌ أَسْرُدُ الصَّوْمَ أَفَأَصُومُ فِي السَّفَرِ؟ قَالَ: صُمْ إِنْ شِئْتَ، وَأَفْطِرْ إِنْ شِئْتَ
صحيح
Narrated 'Aishah:
Hamzat al-Aslami asked the Prophet (ﷺ): Messenger of Allah, I am a man who keeps perpetual fast, may I fast while on a journey? He replied: Fast if you like, or break your fast if you like.
পরিচ্ছেদঃ ৪২. সফর অবস্থায় সওম পালন
২৪০৩। হামযাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু হামযাহ আল-আসলামী (রহ.) থেকে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উটের মালিক, আমি এগুলোকে কাজে লাগাই। আমি এগুলোর উপর চড়ে সফর করি এবং ভাড়ায়ও খাটাই। আমার (সফরে থাকা অবস্থায়) এই রমাযান মাস এসে যায়। আমি তো একজন স্বাস্থ্যবান যুবক। হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি (সফরে) সাওম পালন করবো? সওম তো আমার উপরে ঋণ, কাজেই তা পরে রাখার (কাযা করার) চেয়ে এখন রেখে দেয়াই আমার পক্ষে সহজ। হে আল্লাহর রাসূল! অধিক নেকীর আশায় আমি কি সওম রাখবো নাকি ভঙ্গ করবো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে হামযাহ! তোমার যা ইচ্ছে করতে পারো।[1]
দুর্বলঃ ইরওয়া (৯২৬)।
بَابُ الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الْمَدَنِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ حَمْزَةَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ حَمْزَةَ الْأَسْلَمِيَّ، يَذْكُرُ أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي صَاحِبُ ظَهْرٍ أُعَالِجُهُ أُسَافِرُ عَلَيْهِ، وَأَكْرِيهِ، وَإِنَّهُ رُبَّمَا صَادَفَنِي هَذَا الشَّهْرُ يَعْنِي رَمَضَانَ، وَأَنَا أَجِدُ الْقُوَّةَ، وَأَنَا شَابٌّ، وَأَجِدُ بِأَنْ أَصُومَ، يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَهْوَنَ عَلَيَّ مِنْ أَنْ أُؤَخِّرَهُ، فَيَكُونُ دَيْنًا، أَفَأَصُومُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْظَمُ لِأَجْرِي، أَوْ أُفْطِرُ؟ قَالَ: أَيُّ ذَلِكَ شِئْتَ يَا حَمْزَةُ
ضعيف//، الإرواء (٩٢٦)
Narrated Hamzat al-Aslami:
I said: Messenger of Allah. I am a master of mounts and I use them ! I myself travel on them and I rent them. This month, that is, Ramadan, happend to come to me (while I am on a journey), and I find myself strong enough (to fast) as I am young, and I find that it is easier for me to fast than to postpone it, and i becomes debt due from me. Does it bring me more reward, Messenger of Allah, if I fast, or if I break ? He replied: Whichever you like, Hamzah.
পরিচ্ছেদঃ ৪২. সফর অবস্থায় সওম পালন
২৪০৪। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে বের হলেন। তিনি ’উসফান’ নামক জায়গায় পৌঁছে একপাত্র পানি চাইলেন এবং লোকদেরকে দেখানোর উদ্দেশ্যে তা উঁচু করে মুখের কাছে ধরলেন। এটি রমাযান মাসের ঘটনা। এজন্যই ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে কখনো সওম রেখেছেন, আবার কখনো সওম রাখেননি। কাজেই কারো ইচ্ছা হলে সওম রাখতেও পারে, আবার নাও রাখতে পারে।[1]
সহীহ।
بَابُ الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ حَتَّى بَلَغَ عُسْفَانَ، ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ، فَرَفَعَهُ إِلَى فِيهِ لِيُرِيَهُ النَّاسَ، وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ، فَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ، يَقُولُ: قَدْ صَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَفْطَرَ، فَمَنْ شَاءَ صَامَ، وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ
صحيح
Narrated Ibn 'Abbas:
The Prophet (ﷺ) left Medina for Mecca till he reached 'Usfan, He then called for a vessel (of water). It was raised to his mouth to show it to the people, and that was in Ramadan. Ibn 'Abbas used to say: The Prophet (ﷺ) fasted and he broke his fast. He who likes may fast and he who likes may break.
পরিচ্ছেদঃ ৪২. সফর অবস্থায় সওম পালন
২৪০৫। আনাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রমাযান মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সফর করেছি। এ সময় আমাদের কেউ সওম রেখেছেন এবং কেউ সওম রাখেননি। কিন্তু এ সময় সওম পালনকারী রোযাহীনকে এবং রোযাহীন সওম পালনকারীকে দোষারোপ করেননি।[1]
সহীহ।
بَابُ الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: سَافَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ، فَصَامَ بَعْضُنَا، وَأَفْطَرَ بَعْضُنَا، فَلَمْ يَعِبِ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ، وَلَا الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ
صحيح
Narrated Anas :
We travelled along with the Prophet (ﷺ) during Ramadan. Some of us were fasting and other broke their fast. Those who fasted did not find fault with those who broke, and those who broke their fast did not find fault with those who fasted.
পরিচ্ছেদঃ ৪২. সফর অবস্থায় সওম পালন
২৪০৬। কাযা’আহ (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযি.)-এর নিকট আসি। তখন তিনি লোকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন এবং লোকেরা শান্তভাবে তাঁর কথা শুনছিল। আমি তাঁর সাথে একান্তে সাক্ষাতের অপেক্ষায় রইলাম। তিনি একাকী হলে আমি তাকে সফরের অবস্থায় রমাযানের সওম রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। তিনি বরলেন, আমরা মক্কা বিজয়ের সময় রমাযান মাসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে রওয়ানা হই। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওম রেখেছিলেন এবং আমরাও সওম রেখেছিলাম। তিনি কোনো এক মানযিলে পৌঁছে বললেনঃ নিশ্চয় তোমরা শত্রুর কাছাকাছি এসো গেছো। এখন সওম ভঙ্গ করাটাই হবে তোমাদের শক্তিবধর্ক হবে।
আমাদের কেউ কেউ সওম রাখলাম এবং কেউ কেউ সওমহীন অবস্থায় ভোরে করলাম। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমরা পুনরায় সফর শুরু করলাম এবং এক মানযিলে নামলে তিনি পুনরায় বললেনঃ তোমরা শত্রুর কোমাবিলায় অবতীর্ণ হবে। এখন সওম ভঙ্গ করাটাই হবে তোমাদের শক্তিবর্ধক হবে। কাজেই তোমরা সওম ভঙ্গ করো। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দৃঢ় সংকল্পের উপর স্থির রইলেন। আবূ সাঈদ (রাযি.) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সফরে এই ঘটনার পূর্বেও সওম পালন করেছি এবং এর পরেও সওম পালন করেছি।[1]
সহীহ।
بَابُ الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، وَوَهْبُ بْنُ بَيَانٍ الْمَعْنَى قَالَا: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ قَزَعَةَ، قَالَ: أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ وَهُوَ يُفْتِي النَّاسَ، وَهُمْ مُكِبُّونَ عَلَيْهِ، فَانْتَظَرْتُ خَلْوَتَهُ، فَلَمَّا خَلَا سَأَلْتُهُ عَنْ صِيَامِ رَمَضَانَ فِي السَّفَرِ، فَقَالَ: خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ عَامَ الْفَتْحِ، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ، وَنَصُومُ حَتَّى بَلَغَ مَنْزِلًا مِنَ المَنَازِلِ، فَقَالَ: إِنَّكُمْ قَدْ دَنَوْتُمْ مِنْ عَدُوِّكُمْ، وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ، فَأَصْبَحْنَا مِنَّا الصَّائِمُ وَمِنَّا الْمُفْطِرُ، قَالَ: ثُمَّ سِرْنَا فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا، فَقَالَ: إِنَّكُمْ تُصَبِّحُونَ عَدُوَّكُمْ، وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ فَأَفْطِرُوا، فَكَانَتْ عَزِيمَةً مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: ثُمَّ لَقَدْ رَأَيْتُنِي أَصُومُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ ذَلِكَ، وَبَعْدَ ذَلِكَ
صحيح
Narrated Qaza'ah:
I came to Abu Sa'id al-Khudri while he was giving his legal opinion to the people who bent down on him. So I waited to see hi when he was alone. When he became alone, I asked him about keeping fast while travelling. He said: we went out along with the Prophet (ﷺ) in Ramadan in the year of conquest of Mecca. The Messenger of Allah (ﷺ) fasted and we fasted until he reached a certain stage. He said: You have come near your enemy; the breaking of fast will bring you more strength. Then morning came when some of us fasted and other broke their fast. He (Abu Sa'id al-Khudri) said: We then proceeded and alighted at a stage. He said: You are going to attack your enemy tomorrow morning ; breaking the fast will bring you more strength ; so break your fast (i.e. do not keep fast). This resolution (of breaking the fast) took place (due to the announcement) from the Messenger of Allah (ﷺ).
Abu Sa'id said: Then I found myself keeping fast along with the Prophet (ﷺ) before and after that.