পরিচ্ছেদঃ ১৩. যেসব মহিলাকে একত্রে বিয়ে করা জায়িয নয়
২০৬৫। আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো নারীকে তার ফুফুর সাথে এবং কোনো ফুফুকে তার ভাতিজীর সাথে একত্রে বিয়ে করা যাবে না। অনুরূপভাবে কোনো নারী ও তার খালা এবং কোনো খালা ও তার ভাগ্নীকে একত্রে বিয়ে কারা যাবে না। অনুরূপ বড় (বোন)-কে ছোট (বোনের) সাথে এবং ছোটকে বড় (বোনের) সাথেও একত্রে বিয়ে করা যাবে না।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا، وَلَا الْعَمَّةُ عَلَى بِنْتِ أَخِيهَا، وَلَا الْمَرْأَةُ عَلَى خَالَتِهَا، وَلَا الْخَالَةُ عَلَى بِنْتِ أُخْتِهَا، وَلَا تُنْكَحُ الْكُبْرَى عَلَى الصُّغْرَى، وَلَا الصُّغْرَى عَلَى الْكُبْرَى
صحيح
Abu Hurairah reported The Apostle of Allaah(ﷺ) as saying “ A woman should not be married to one who had married her paternal aunt or a paternal aunt to one who had married her brother’s daughter or a woman to one who had married her maternal aunt or maternal aunt to one who had married her sister’s daughter. A woman who is elder (in relation) must not be married to one who had married a woman who is younger (in relation) to her nor a woman who is younger (in relation) must be married to one who has married a woman who is elder (in relation) to her.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩. যেসব মহিলাকে একত্রে বিয়ে করা জায়িয নয়
২০৬৬। আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো মহিলাকে তার খালার সাথে এবং কোনো মহিলাকে তার ফুফুর সাথে একত্রে বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي قَبِيصَةُ بْنُ ذُؤَيْبٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَخَالَتِهَا، وَبَيْنَ الْمَرْأَةِ وَعَمَّتِهَا
صحيح
Abu Hurairah said “The Apostle of Allah (ﷺ) forbade that a woman and her maternal aunt and a woman and her paternal aunt are joined in marriage (to the same man).”
পরিচ্ছেদঃ ১৩. যেসব মহিলাকে একত্রে বিয়ে করা জায়িয নয়
২০৬৭। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন দুই মহিলাকে একত্রে বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন যাদের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক হচ্ছে ফুফু ও ভাতিজী এবং খালা ও ভাগ্নী। অনুরূপভাবে তিনি এমন দু’জন মহিলাকেও একত্রে বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন যারা পরস্পর খালা বা ফুফু।[1]
দুর্বল।
بَابُ مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا خَطَّابُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الْعَمَّةِ وَالْخَالَةِ، وَبَيْنَ الْخَالَتَيْنِ وَالْعَمَّتَيْنِ
ضعيف
Narrated Abdullah ibn Abbas:
The Prophet (ﷺ) abominated the combination of paternal and maternal aunts and the combination of two maternal aunts and two paternal aunts in marriage.
পরিচ্ছেদঃ ১৩. যেসব মহিলাকে একত্রে বিয়ে করা জায়িয নয়
২০৬৮। ইবনু শিহাব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উরওয়াহ ইবনুয যুবায়ের (রহ.) আমাকে বলেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে এ আয়াতের অর্থ জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ ’’তোমরা যদি ভয় করো, ইয়াতীমদের প্রতি ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে তোমরা তোমাদের পছন্দ অনুযায়ী অন্য মহিলা বিয়ে করো।’’ (সূরা আন-নিসাঃ ৩)। তিনি বললেন, হে আমার ভাগ্নে! এ আয়াত ঐসব ইয়াতীম বালিকা সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, যারা কারো তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং সে তার সম্পদের অংশীদার। সে তার সৌন্দর্য ও সম্পদকেও পছন্দ করে। এমতাবস্থায় সে তাকে বিয়ে করতে আগ্রহী, কিন্তু অন্য মহিলাকে তার অনুরূপ মোহর আদায় করতে অনিচ্ছুক। এরূপ অভিবাকদেরকে ঐ ইয়াতীম বালিকাদের বিয়ে করতে নিষেধ করা হয়েছে যতক্ষণ না তারা পূর্ণ মোহর দেয় এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে। আর তাদেরকে নিজেদের পছন্দ মতো অন্য মহিলা বিয়ে করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
’উরওয়াহ (রহ.) বলেন, ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেছেন, পরবর্তীতে লোকেরা এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইয়াতীম বালিকাদের বিষয়ে ফতোয়া চাইলে মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ ও আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ ’’লোকেরা আপনার কাছে নারীদের বিষয়ে ফতোয়া জিজ্ঞেস করে। আপনি বলুন, আল্লাহ তাদের সম্পর্কে তোমাদেরকে সমাধান দিয়েছেন। এ কিতাবের মাধ্যমে শুনানো হচ্ছে হুকুমগুলো এই যে, তাদের জন্য যে মোহর নির্ধারিত তোমরা তা আদায় করো না অথচ তোমরা তাদেরকে বিবাহ করতে আগ্রহী।’’ (নিসাঃ ১২৭)।
’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, এ বিষয়ে মহান আল্লাহর কিতাবের মধ্যে তাদের উপর যা অবতীর্ণ করেছেন তা হচ্ছে, প্রথমের সে আয়াতটি যেখানে আল্লাহ বলেছেন, ’’তোমরা যদি ভয় করো যে, ইয়াতীমদের প্রতি ইনসাফ করতে পারবে না তাহলে তোমরা নিজেদের পছন্দ মোতাবেক অন্য নারী বিয়ে করো।’’ ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেছেন, ইয়াতীম বালিকা সুন্দরী এবং সম্পদশালী না হলে অভিভাবকরা এর কমতি দেখিয়ে তাদেরকে বাদ দিয়ে অন্য নারী বিয়ে করতো। সুতরাং তাদেরকে বলা হয়েছে, স্বার্থের বেলায় পূর্ণ ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করো এবং পুরো মোহর আদায় করা ছাড়া এসব ইয়াতীমকে বিয়ে করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ তারা এসব ইয়াতীমের হক আদায় করতে চাইতো না।
ইউনুস বলেন, রাবী’আহ, আল্লাহর বাণীঃ (وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى) এর অর্থ করেছেন, তোমরা যদি ভয় করো যে, ইয়াতীমদের প্রতি ইনসাফ করতে পারবে না, তবে তাদেরকে পরিত্যাগ করো। কেননা আমি তোমাদের জন্য চারজন মহিলা পর্যন্ত বিয়ে করা হালাল করেছি।[1]
সহীহ।بَابُ مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى، (وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ) [النساء: ٣]، قَالَتْ: يَا ابْنَ أُخْتِي هِيَ الْيَتِيمَةُ تَكُونُ فِي حِجْرِ وَلِيِّهَا فَتُشَارِكُهُ فِي مَالِهِ، فَيُعْجِبُهُ مَالُهَا وَجَمَالُهَا، فَيُرِيدُ وَلِيُّهَا أَنْ يَتَزَوَّجَهَا بِغَيْرِ أَنْ يُقْسِطَ فِي صَدَاقِهَا فَيُعْطِيَهَا مِثْلَ مَا يُعْطِيهَا غَيْرُهُ، فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوهُنَّ إِلَّا أَنْ يُقْسِطُوا لَهُنَّ، وَيَبْلُغُوا بِهِنَّ أَعْلَى سُنَّتِهِنَّ مِنَ الصَّدَاقِ، وَأُمِرُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا طَابَ لَهُمْ مِنَ النِّسَاءِ سِوَاهُنَّ، قَالَ عُرْوَةُ: قَالَتْ عَائِشَةُ: ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ اسْتَفْتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ هَذِهِ الْآيَةِ فِيهِنَّ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ، قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ وَمَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ فِي يَتَامَى النِّسَاءِ اللَّاتِي لَا تُؤْتُونَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرْغَبُونَ، أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ) [النساء: ١٢٧] قَالَتْ: وَالَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ أَنَّهُ يُتْلَى عَلَيْهِمْ فِي الْكِتَابِ الْآيَةُ الْأُولَى الَّتِي قَالَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ فِيهَا (وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ) [النساء: ٣]. قَالَتْ عَائِشَةُ: وَقَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي الْآيَةِ الْآخِرَةِ (وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ) [النساء: ١٢٧] هِيَ رَغْبَةُ أَحَدِكُمْ عَنْ يَتِيمَتِهِ الَّتِي تَكُونُ فِي حِجْرِهِ حِينَ تَكُونُ قَلِيلَةَ الْمَالِ وَالْجَمَالِ، فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا رَغِبُوا فِي مَالِهَا وَجَمَالِهَا مِنْ يَتَامَى النِّسَاءِ إِلَّا بِالْقِسْطِ، مِنْ أَجْلِ رَغْبَتِهِمْ عَنْهُنَّ. قَالَ يُونُسُ: وَقَالَ رَبِيعَةُ: فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ (وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى) [النساء: ٣] قَالَ: يَقُولُ: اتْرُكُوهُنَّ إِنْ خِفْتُمْ فَقَدْ أَحْلَلْتُ لَكُمْ أَرْبَعًا
صحيح
Ibn Shihab said “’Urwah bin Al Zubair asked A’ishah , wife of the Prophet(ﷺ) about the Qur’anic verse “And if ye fear that ye will not deal fairly by the orphans, marry of the women, who seem good to you.” She said “O my nephew, this means the female orphan who is under the protection of her guardian and she holds a share in his property and her property and beauty attracts him; so her guardian intends to marry her without doing justice to her in respect of her dower and he gives her the same amount of dower as others give her. They (i.e., the guardians) were prohibited to marry them except that they do justice to them and pay them their maximum customary dower and they were asked to marry women other than them (i.e., the orphans) who seem good to them. ‘Urwah reported that A’ishah said “The people then consulted the Apostle of Allaah(ﷺ) about women after revelation of this verse. Thereupon Allaah the Exalted sent down the verse “They consult thee concerning women. Say Allaah giveth you decree concerning them and the scripture which hath been recited unto you(giveth decree) concerning female orphans unto whom you give not that which is ordained for them though you desire to marry them. “ She said “The mention made by Allaah about the Scripture recited to them refers to the former verse in which Allaah has said “And if ye fear that ye will not deal fairly by the orphans, marry of the women, who seem good to you.” A’ishah said “The pronouncement of Allaah , the Exalted in the latter verse “though you desire to marry them” means the disinterest of one of you in marrying a female orphan who was under his protection, but she said little property and beauty. So they were prohibited to marry them for their interest in the property and beauty of the female orphans due to their disinterest in themselves except that they do justice )to them). The narrator Yunus said “Rabi’ah said explain the Qur’anic verse “And if ye fear that ye will not deal fairly by the orphans” means “Leave them if you fear (that you will not do justice to them), for I have made four women lawful for you.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩. যেসব মহিলাকে একত্রে বিয়ে করা জায়িয নয়
২০৬৯। ইবনু শিহাব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। আলী ইবনুল হুসাইন (রহ.) তাকে বর্ণনা করেন যে, হুসাইন ইবনু আলী (রাযি.)-এর শাহাদাতের পর যখন তারা ইয়াযীদ ইবনু মু’আবিয়াহর নিকট থেকে মদীনায় আসলেন, তখন আল-মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাযি.) তার সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, আপনি আমার উপর কোনো কাজের দায়িত্ব অর্পণ করবেন কি? তিনি বললেন, না। এরপর মিসওয়ার বললেন, আপনি কি আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তলোয়ারখানি দিবেন? কেননা আমার আশংকা হচ্ছে, লোকেরা আপনার উপর প্রভাব বিস্তার করবে। আল্লাহর শপথ! আপনি আমাকে তা দান করলে কেউ আমার দেহকে নিঃশেষ না করা পর্যন্ত তা ছিনিয়ে নিতে পারবে না। আলী ইবনু আবূ তালিব (রাযি.) ফাতিমাহ (রাযি.) বর্তমান থাকতে আবূ জাহলের কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন।
আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এই মিম্বারের উপর লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে শুনেছি। তখন আমি যুবক ছিলাম। তিনি বলেছেনঃ ফাতিমাহ আমার দেহের একটি অংশ। আর আমার ভয় হচ্ছে, সে দীনি ফ্যাসাদে পতিত হবে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বনি ’আবদি শাম্সের সাথে শ্বশুর-জামাতার সম্পর্কে আলাপ করলেন। আর উক্ত শ্বশুর সম্পর্কীয় আত্মীয়তার ভূয়সী প্রশংসাই করলেন। তিনি বলেনঃ সে (জামাতা) আমার সাথে যে কথা দিয়েছিল তা সত্যে পরিণত করেছে এবং যে ওয়াদা করেছিল তাও পূরণ করেছে। কোনো হালাল জিনিসকে হারাম এবং হারাম জিনিসকে হালাল করার অধিকার আমার নেই। তবে আল্লাহর শপথ! আল্লাহর রাসূলের কন্যা এবং আল্লাহর দুশমনের কন্যা কখনো এক জায়গায় একত্র হতে পারে না।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ الدِّيْلِيُّ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ، أَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ حَدَّثَهُ أَنَّهُمْ حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ مِنْ عِنْدِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ مَقْتَلَ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، لَقِيَهُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ، فَقَالَ لَهُ هَلْ لَكَ إِلَيَّ مِنْ حَاجَةٍ تَأْمُرُنِي بِهَا، قَالَ: فَقُلْتُ لَهُ: لَا، قَالَ: هَلْ أَنْتَ مُعْطِيَّ سَيْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَغْلِبَكَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ وَايْمُ اللَّهِ لَئِنْ أَعْطَيْتَنِيهِ لَا يُخْلَصُ إِلَيْهِ أَبَدًا حَتَّى يُبْلَغَ إِلَى نَفْسِي، إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ خَطَبَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ عَلَى فَاطِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ فِي ذَلِكَ عَلَى مِنْبَرِهِ هَذَا، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مُحْتَلِمٌ، فَقَالَ: إِنَّ فَاطِمَةَ مِنِّي، وَأَنَا أَتَخَوَّفُ أَنْ تُفْتَنَ فِي دِينِهَا قَالَ: ثُمَّ ذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ فَأَحْسَنَ، قَالَ: حَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي وَوَعَدَنِي فَوَفَّى لِي وَإِنِّي لَسْتُ أُحَرِّمُ حَلَالًا، وَلَا أُحِلُّ حَرَامًا، وَلَكِنْ وَاللَّهِ لَا تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ وَبِنْتُ عَدُوِّ اللَّهِ مَكَانًا وَاحِدًا أَبَدًا "
صحيح
‘Ali bin al-Hussain said that when they returned to Madeenah from Yazid bin Mu’awiyah the place of massacre of Al Hussain bin Ali(may Allaah be pleased with him) Al Miswar bin Makhramah met them and said “tell me if you have any need for me. I said to him “No”. He then said Will you not give me the sword of the Apostle of Allaah(ﷺ)? I fear the people may not take it from you by force. (He said) By Allaah if you give it to me no one can take it from me so long as I am alive. Ali bin Abi Talib (may Allaah be pleased with him) asked for the hand of Abu Jahl’s daughter in marriage after the marriage with Fathima. I heard the Apostle of Allaah(ﷺ) say while he was addressing the people about this matter on the pulpit and I was mature in those days. Fathima is from me and I am not afraid that she will be tried in respect of her religion. He then mentioned his other son-in-law who belonged to Banu ‘Abd Shams. He admired him immensely for his relationship with him and extolled him well. He said “He talked to me and talked truly and he made promise with me and fulfilled it. I do not make lawful what Is unlawful and unlawful what is lawful. But, by Allaah the daughter of the Apostle of Allaah(ﷺ) and the daughter of the enemy of Allaah can never be combined together.
পরিচ্ছেদঃ ১৩. যেসব মহিলাকে একত্রে বিয়ে করা জায়িয নয়
২০৭০। ইবনু আবূ মূলাইকাহ (রহ.) এ হাদীস প্রসঙ্গে বলেন, অতঃপর আলী (রাযি.) সে বিবাহের সংকল্প ত্যাগ করেন।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، وَعَنْ أَيُّوبَ، عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ: فَسَكَتَ عَلِيٌّ عَنْ ذَلِكَ النِّكَاحِ
صحيح
The aforesaid tradition has also been transmitted by Ibn Abi Mulaikah. He said “’Ali (Allaah be pleased with him) then kept silence about the marriage (i.e., marrying Abi Jahl’s daughter)
পরিচ্ছেদঃ ১৩. যেসব মহিলাকে একত্রে বিয়ে করা জায়িয নয়
২০৭১। আল-মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাযি.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মসজিদের মিম্বারের উপর বলতে শুনেছিঃ হিশাম ইবনুল মুগীরাহর বংশের লোকেরা তাদের বংশের এক কন্যাকে আলী ইবনু আবূ তালিবের বিয়ে দিতে অনুমতি চাইছে। কিন্তু আমি অনুমতি দিবো না, তারপরও আমি অনুমতি দিবো না, অনুমতি দিবো না। অবশ্য আবূ তালিবের পুত্র আমার কন্যাকে তালাক দিলে সে তাদের কন্যা বিয়ে করতে পারবে। কারণ আমার কন্যা আমার দেহেরই একটি অংশ। যেটা তার অপছন্দ, সেটা আমার অপছন্দ এবং তাকে যা দুঃখ দেয়, তা আমাকেও দুঃখ দেয়। আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, হাদীসের এই অংশটি ইমাম আহমাদ (রহ.) সূত্রে বর্ণিত।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الْمَعْنَى - قَالَ أَحْمَدُ - حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ الْقُرَشِيُّ التَّيْمِيُّ، أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، حَدَّثَهُ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ: إِنَّ بَنِي هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ اسْتَأْذَنُونِي أَنْ يُنْكِحُوا ابْنَتَهُمْ مِنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَلَا آذَنُ، - ثُمَّ لَا آذَنُ، ثُمَّ لَا آذَنُ إِلَّا أَنْ يُرِيدَ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يُطَلِّقَ ابْنَتِي وَيَنْكِحَ ابْنَتَهُمْ فَإِنَّمَا ابْنَتِي بَضْعَةٌ مِنِّي يُرِيبُنِي مَا أَرَابَهَا وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا. وَالْإِخْبَارُ فِي حَدِيثِ أَحْمَدَ
صحيح
Al Miswar bin Makramah said that he heard the Apostle of Allaah(ﷺ) say on the pulpit Banu Hashim bin Al Mughirah sought permission from me to marry their daughter to ‘Ali bin Abi Talib. But I do not permit, again, I do not permit, again, I do not permit except that Ibn Abi Talib divorces my daughter and marries their daughter. My daughter is my part, what makes her uneasy makes me uneasy and what troubles her troubles me. The full information rests with the tradition narrated by Ahmad.