পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মুযদালিফায় সালাত আদায়
১৯২৬। ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযদালিফায় মাগরিব এবং ’ইশার সালাত একত্রে আদায় করেছেন।[1]
সহীহ।
بَابُ الصَّلَاةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِالْمُزْدَلِفَةِ جَمِيعًا
صحيح
‘Abd Allah bin ‘Umar said The apostle of Allaah(ﷺ) combined the sunset and the night prayers at Al Muzdalifah.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মুযদালিফায় সালাত আদায়
১৯২৭। আয-যুহরী (রহ.) থেকে তার নিজস্ব সনদে পূর্বোক্ত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রত্যেক সালাতের জন্য পৃথক ইকামাত দ্বারা উভয় সালাত একত্রে আদায় করেছেন। আহমাদ (রহ.) বলেন, ওয়াকী’ (রহ.) বলেছেন, প্রতিটি সালাত আদায় করেছেন এক ইকামাতে।[1]
ওয়াকী’র বর্ণনাটি সহীহ।
بَابُ الصَّلَاةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ وَقَالَ: بِإِقَامَةٍ إِقَامَةِ جَمْعٍ بَيْنَهُمَا، قَالَ أَحْمَدُ، قَالَ وَكِيعٌ صَلَّى كُلَّ صَلَاةٍ بِإِقَامَةٍ
(رواية وكيع) : صحيح
The aforesaid tradition has been transmitted by Al Zuhri through a different chain of narrators. This version adds “Each prayer with an iqamah”. Ahmad reported on the authority of Waki’ “he offered each prayer with a single iqamah.”
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মুযদালিফায় সালাত আদায়
১৯২৮। আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহ.)-এর সনদ দ্বারা আয যুহরী (রহ.) থেকে হাম্মাদ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণিত। বর্ণনাকারী ’উসমান ইবনু ’উমার বলেছেন, প্রত্যেক সালাতের জন্য এক ইকামাত দিয়ে এবং প্রথম সালাতে আযান দেয়া হয়নি। আর এ উভয় সালাতের কোনোটির পরে অন্য কোনো সালাত আদায় করেননি। মাখলাদ (রহ.) বলেন, উভয় সালাতের কোনোটির জন্য আযান দেননি।[1]
সহীহঃ তার এ কথাটি বাদেঃ ’’আযান দেয়া হয়নি...।’’ এটাই সঠিক।
بَابُ الصَّلَاةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، ح، وحَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ الْمَعْنَى، أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِ ابْنِ حَنْبَلٍ، عَنْ حَمَّادٍ، وَمَعْنَاهُ قَالَ: بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَلَمْ يُنَادِ فِي الْأُولَى، وَلَمْ يُسَبِّحْ عَلَى إِثْرِ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا، قَالَ مَخْلَدٌ: لَمْ يُنَادِ فِي وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا
صحيح خ دون قوله لم يناد وهو الصواب
The aforesaid tradition has also been transmitted to the same effect by by Al Zuhri with a different chain of narrators beginning with Ibn Hanbal on the authority of Hammad. This version adds “With an iqamah for every prayer, he did not call adhan for the first prayer and he did not offer supererogatory prayer after any of them. The narrator Makhlad said “He did not call adhan for any of them.”
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মুযদালিফায় সালাত আদায়
১৯২৯। ’আব্দুল্লাহ ইবনু মালিক (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ’উমার (রাযি.)-এর সাথে মাগরিবের তিন এবং ’ইশার দুই রাক’আত সালাত আদায় করেছি। মালিক ইবনুল হারিস (রহ.) তাকে বললেন, এ আবার কেমন সালাত? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে আমি এ দুটি সালাত এই স্থানে এক ইকামাতে আদায় করেছি।[1]
সহীহ ’’প্রত্যেক সালাত’’ অতিরিক্তসহ। যেমন পূর্বের হাদীসে রয়েছে।
بَابُ الصَّلَاةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ الْمَغْرِبَ ثَلَاثًا، وَالْعِشَاءَ رَكْعَتَيْنِ، فَقَالَ لَهُ: مَالِكُ بْنُ الْحَارِثِ مَا هَذِهِ الصَّلَاةُ؟ قَالَ: صَلَّيْتُهُمَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْمَكَانِ، بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ
صحيح بزيادة لكل صلاة
Abdullah ibn Malik said:
I offered three rak'ahs of the sunset prayer and two rak'ahs of the night prayer along with Ibn Umar. Thereupon Malik ibn al-Harith said: What is this prayer? He said: I offered these prayers along with the Messenger of Allah (ﷺ) in this place with a single iqamah.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মুযদালিফায় সালাত আদায়
১৯৩০। সাঈদ ইবনু যুবায়র ও ’আব্দুল্লাহ ইবনু মালিক (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেছেন, আমরা ইবনু ’উমার (রাযি.)-এর সাথে মুযদালিফায় মাগরিব ও ’ইশার সালাত এক ইকামাতে আদায় করেছি। অতঃপর ইবনু কাসীর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।[1]
সহীহ ’’প্রত্যেক সালাত’’ অতিরিক্তসহ।
بَابُ الصَّلَاةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ يَعْنِي ابْنَ يُوسُفَ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَا: صَلَّيْنَا مَعَ ابْنِ عُمَرَ، بِالْمُزْدَلِفَةِ الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ، فَذَكَرَ مَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ كَثِيرٍ
صحيح بالزيادة المذكورة آنفا
Sa’id bin Jubair and ‘Abd Allah bin Malik said “We offered the sunset and the night prayers at Al Muzdalifah along with ibn ‘Umar with one iqamah.” The narrator then narrated the rest of the tradition as reported by Ibn Kathir.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মুযদালিফায় সালাত আদায়
১৯৩১। সাঈদ ইবনু যুবায়র (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ইবনু ’উমার (রাযি.)-এর সাথে আরাফা থেকে ফিরে যখন মুযদালিফায় আসলাম তখন তিনি এক ইকামাতে মাগরিব ও ’ইশার সালাত যথাক্রমে তিন ও দুই রাক’আত পড়ালেন। সালাত শেষে ইবনু ’উমার (রাযি.) আমাদেরকে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এ স্থানে এভাবেই সালাত পড়িয়েছেন।[1]
সহীহ। কিন্তু ’’প্রত্যেক সালাতের জন্য’’ এ কথাটি বৃদ্ধি না করে ’’এক ইকামাতে’’ বলাটা শায। যেমন গত হয়েছে।
بَابُ الصَّلَاةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: أَفَضْنَا مَعَ ابْنِ عُمَرَ فَلَمَّا بَلَغْنَا جَمْعًا صَلَّى بِنَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ ثَلَاثًا، وَاثْنَتَيْنِ فَلَمَّا انْصَرَفَ، قَالَ لَنَا ابْنُ عُمَرَ: هَكَذَا صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْمَكَانِ
صحيح م لكن قوله بإقامة واحدة شاذ إلا أن يزاد لكل صلاة كما تقدم
Sa’id bin Jubair said “We returned along with Ibn ‘Umar and when we reached Al Muzdalifah he led us in the sunset and night prayers with one iqamah and three rak’ahs of the sunset prayer and two rak’ahs of the night prayer. When he finished the prayer Ibn ‘Umar said to us The Messenger of Allah (ﷺ) led us in prayer in this way at this place.”
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মুযদালিফায় সালাত আদায়
১৯৩২। সালামাহ ইবনু কুহাইল (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাঈদ ইবনু যুবায়র (রহ.)-কে দেখেছি, তিনি মুযদালিফায় ইকমাত দিয়ে মাগরিবের তিন রাক’আত এবং ’ইশার দুই রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। অতঃপর তিনি বললেন, আমি ইবনু ’উমার (রাযি.)-কে এ স্থানে এমনটি করতে দেখেছি। আর তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এখানে এরূপ করতে দেখেছি।[1]
সহীহ। তবে এতে শুযুয বিদ্যমান। যা ১৯৩১ নং হাদীসে উল্লেখ রয়েছে।
بَابُ الصَّلَاةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنِي سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، قَالَ: رَأَيْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، أَقَامَ بِجَمْعٍ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ ثَلَاثًا، ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَالَ: شَهِدْتُ ابْنَ عُمَرَ صَنَعَ فِي هَذَا الْمَكَانِ مِثْلَ هَذَا، وَقَالَ: شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَنَعَ مِثْلَ هَذَا فِي هَذَا الْمَكَانِ
صحيح م وفيه الشذوذ المذكور في الذي قبله (١٩٣١)
Salamah bin Kuhail said “I saw Sa’id bin Jubair he called the iqamah at Al Muzdalifah and offered three ra’kahs of the sunset prayer and two ra’kahs of the night prayer. He then said “I attended Ibn ‘Umar.” He did like this in this place and he (Ibn ‘Umar) said “I attended the Apostle of Allaah(ﷺ)”. He did in a similar way in this place.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মুযদালিফায় সালাত আদায়
১৯৩৩। আশ্’আস ইবনু সুলাইম (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ’উমার (রাযি.)-এর সাথে আরাফা থেকে মুযদালিফা পর্যন্ত আসি। মুযদালিফায় আসা পর্যন্ত তিনি তাকবীর ও তাহলীল পাঠ করেছেন। এরপর তিনি আযান ও ইকামাত দেন অথবা এক ব্যক্তিকে নির্দেশ করলে সে আযান ও ইকামাত দিলে তিনি আমাদেরকে নিয়ে মাগরিবের তিন রাক’আত সালাত আদায় করলেন। তারপর আমাদের দিকে ফিরে বললেন, সালাত। অতঃপর নিয়ে তিনি দুই রাক’আত ’ইশার সালাত আদায় করলেন। এরপর রাতের খাবার আনতে বললেন। বর্ণনাকারী আশ’আস বলেন, ’ইলাজ ইবনু ’আমর, ইবনু ’উমার (রাযি.) সূত্রে আমার পিতা বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। পরবর্তীতে ইবনু ’উমার (রাযি.)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে এভাবেই সালাত আদায় করেছি।[1]
সহীহ। তবে তার কথাঃ ’’তিনি বললেন, সালাত’’- এটি শায। মাহফূয হচ্ছেঃ ’’অতঃপর ইকামাত দিলেন।’’ যেমন পূর্বের ১৯২৭ ও ১৯২৮ নং হাদীসদ্বয়ে রয়েছে।
بَابُ الصَّلَاةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: أَقْبَلْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ مِنْ عَرَفَاتٍ إِلَى الْمُزْدَلِفَةِ فَلَمْ يَكُنْ يَفْتُرُ، مِنَ التَّكْبِيرِ وَالتَّهْلِيلِ، حَتَّى أَتَيْنَا الْمُزْدَلِفَةَ فَأَذَّنَ وَأَقَامَ، أَوْ أَمَرَ إِنْسَانًا فَأَذَّنَ وَأَقَامَ فَصَلَّى بِنَا الْمَغْرِبَ ثَلَاثَ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَيْنَا، فَقَالَ: الصَّلَاةُ فَصَلَّى بِنَا الْعِشَاءَ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ دَعَا بِعَشَائِهِ. قَالَ: وَأَخْبَرَنِي عِلَاجُ بْنُ عَمْرٍو بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: فَقِيلَ لِابْنِ عُمَرَ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَكَذَا
صحيح لكن قوله : فقال : الصلاة شاذ و المحفوظ : فاقام كما في الحديث (١٩٢٧ و ١٩٢٨)
Ash’ath bin Sulaim reported on the authority of his father “I proceeded along with Ibn ‘Umar from ‘Arafah towards Al Muzdalifah.” He was not tiring of uttering “Allaah is most great” and “There is no god but Allaah”, till we came to Al Muzdalifah. He uttered the adhan and the iqamah or ordered some person who called the adhan and the iqamah. He then led us the three rak’ahs of the sunset prayers and turned to us and said (Another) prayer. Thereafter he led us in the two rak’ahs of the night prayer. Then he called for his dinner. He (Ash’ath) said ‘Ilaj bin ‘Amr reported a tradition like that of my father on the authority of Ibn ‘Umar. Ibn ‘Umar was asked about it. He said “I prayed along with the Apostle of Allaah(ﷺ) in a similar manner.”
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মুযদালিফায় সালাত আদায়
১৯৩৪। ইবনু মাসঊদ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’ইশা ও মাগরিবের সালাতকে মুযদালিফায় একত্রে আদায় করা এবং পরের দিন ফজরের সালাত ওয়াক্তের পূর্বে আদায় করে নেয়া, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এই দুই সালাত ছাড়া কোনো সালাত ওয়াক্তের পূর্বে আদায় করতে দেখিনি।[1]
সহীহ।
بَابُ الصَّلَاةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَنَّ عَبْدَ الْوَاحِدِ بْنَ زَيَادٍ، وَأَبَا عَوَانَةَ، وَأَبَا مُعَاوِيَةَ، حَدَّثُوهُمْ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عِمَارَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى صَلَاةً إِلَّا لِوَقْتِهَا إِلَّا بِجَمْعٍ، فَإِنَّهُ جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِجَمْعٍ، وَصَلَّى صَلَاةَ الصُّبْحِ مِنَ الْغَدِ قَبْلَ وَقْتِهَا
صحيح
Ibn Mas’ud said “ I never saw the Apostle of Allaah(ﷺ) observe a prayer out of its proper time except(two prayers) at Al Muzdalifah. He combined the sunset and night prayers at Al Muzdalifah and he offered the dawn prayer that day before its proper time.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মুযদালিফায় সালাত আদায়
১৯৩৫। ’আলী (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযদালিফায় রাত যাপনের পর সকালে ’কুযাহ’ পাহাড়ে অবস্থান করেন এবং বললেনঃ এটি ’কুযাহ’ এবং এটাই অবস্থানকাল। মুযদালিফার গোটা এলাকাই অবস্থানের স্থান। (তারপর মিনায় এসে বললেন) আমি এ স্থানে কুরবানী করেছি। মিনার পুরো এলাকাই কুরবানী স্থান। সুতরাং তোমরা তোমাদের নিজ নিজ অবস্থানে কুরবানী করো।[1]
হাসান সহীহ।
بَابُ الصَّلَاةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: فَلَمَّا أَصْبَحَ يَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَقَفَ عَلَى قُزَحَ فَقَالَ: هَذَا قُزَحُ وَهُوَ الْمَوْقِفُ، وَجَمْعٌ كُلُّهَا مَوْقِفٌ، وَنَحَرْتُ هَا هُنَا، وَمِنًى كُلُّهَا مَنْحَرٌ، فَانْحَرُوا فِي رِحَالِكُمْ
حسن صحيح
Narrated Ali ibn AbuTalib:
When the morning came, the Prophet (ﷺ) stood at the mountain Quzah and said: This is Quzah, and this is a place of stationing, and the whole of al-Muzdalifah is a place of stationing. I sacrificed the animals here, and the whole of Mina is a place of sacrifice. So sacrifice in your dwellings.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মুযদালিফায় সালাত আদায়
১৯৩৬। জাবির (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি আরাফার এ স্থানে অবস্থান করেছি। কিন্তু পুরো আরাফাই অবস্থানের স্থান। আর আমি মুযদালিফার এ স্থানে অবস্থান করেছি। তবে মুযদালিফার পুরো এলাকাটিই অবস্থান স্থল। আমি মিনার এ স্থানে কুরবানী করেছি। মিনার পুরো এলাকাই কুরবানীর স্থান। কাজেই তোমরা তোমাদের নিজ নিজ অবস্থানে কুরবানী করো।[1]
সহীহ। এটি গত হয়েছে (হা/১৯০৭ ও ১৯০৮)
بَابُ الصَّلَاةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَقَفْتُ هَا هُنَا بِعَرَفَةَ وَعَرَفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ، وَوَقَفْتُ هَا هُنَا بِجَمْعٍ وَجَمْعٌ كُلُّهَا مَوْقِفٌ، وَنَحَرْتُ هَا هُنَا، وَمِنًى كُلُّهَا مَنْحَرٌ فَانْحَرُوا فِي رِحَالِكُمْ
صحيح
Jabir reported the Prophet (ﷺ) as saying “I halted here in ‘Arafah and the whole of ‘Arafah is a place of halting. I halted here in Al Muzdalifah and the whole of Al Muzdalifah is a place of halting. I sacrificed the animals here and the whole of Mina is a place of sacrifice. So sacrifice in your dwellings.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মুযদালিফায় সালাত আদায়
১৯৩৭। ’আতা (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা জাবির ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রাযি.) আমাকে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আরাফার পুরো এলাকাই অবস্থানের জায়গা। মিনার সম্পূর্ণ এলাকা কুরবানীর স্থান এবং মুযদালিফার বিস্তৃত এলাকা অবস্থানের স্থান এবং মক্কার প্রতিটি অলি-গলি চলাচলের পথ এবং কুরবানীর স্থান।[1]
হাসান সহীহ।
بَابُ الصَّلَاةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: كُلُّ عَرَفَةَ مَوْقِفٌ، وَكُلُّ مِنًى مَنْحَرٌ، وَكُلُّ الْمُزْدَلِفَةِ مَوْقِفٌ، وَكُلُّ فِجَاجِ مَكَّةَ طَرِيقٌ وَمَنْحَرٌ
حسن صحيح
Jabir bin ‘Abdallah reported the Apostle of Allaah (ﷺ) as saying “The whole of ‘Arafah is a place of halting, the whole of Mina is a place of sacrifice, the whole of Al Muzdalifah is a place of halting and all the passes of Makkah are a thoroughfare and a place of sacrifice.
পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মুযদালিফায় সালাত আদায়
১৯৩৮। ’আমর ইবনু মায়মূন (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযি.) বলেছেন, জাহিলী যুগের লোকেরা (মুযদালিফা থেকে) সূর্যোদয়ের পূর্বে রওয়ানা হতো না। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিপরীত করেছেন। তিনি সূর্য উঠার পূর্বেই রওয়ানা করেছেন।[1]
সহীহ।
بَابُ الصَّلَاةِ بِجَمْعٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ لَا يُفِيضُونَ حَتَّى يَرَوُا الشَّمْسَ عَلَى ثَبِيرٍ، فَخَالَفَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَفَعَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ
صحيح
Narrated Umar ibn al-Khattab:
The Arabs in the pre-Islamic period did not return from al-Muzdalifah till they saw sunlight at the mountain Thabir. The Prophet (ﷺ) opposed them and returned before the sunrise.