পরিচ্ছেদঃ ১৯৫. দুই সাহু সিজদা্ সম্পর্কে
১০০৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে যুহর বা ’আসর সালাত আদায় করেন। বর্ণনাকারী (আবূ হুরায়রাহ) বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করেই সালাম ফিরিয়ে দিলেন। অতঃপর তিনি মসজিদের সম্মুখ দিকে রাখা কাষ্ঠখন্ডের দিকে অগ্রসর হয়ে তার উপরে এক হাতকে অপর হাতের উপর রাখলেন। এ সময় তাঁর চেহারায় অসন্তুষ্টির ছাপ ছিল।
লোকজন মাসজিদ থেকে দ্রুত বেরিয়ে যেতে যেতে বলছিল, ’সালাত সংক্ষিপ্ত করে দেয়া হয়েছে, সংক্ষিপ্ত করে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আবূ বকর এবং ’উমার (রাঃ)-ও ছিলেন। তারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে এ নিয়ে কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকে যুল-ইয়াদাইন (দু’ হাতবিশিষ্ট) বলে ডাকতেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি ভুল করেছেন, না সালাত সংক্ষিপ্ত করে দেয়া হয়েছে?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি ভুলও করি নাই এবং সালাতও হ্রাস করা হয় নাই। যুল-ইয়াদাইন বললেন, হে আল্লাহর রসূল! তাহলে আপনি ভুল করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকজনের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ যুল-ইয়াদাইন কি সত্য বলছে? জবাবে সকলেই ইশারায় হ্যাঁ বললেন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জায়গায় এগিয়ে গেলেন এবং অবশিষ্ট দু’ রাক’আত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন, এরপর তাকবীর বলে স্বাভাবিক সাজদার মত সিজদায় করলেন অথবা তার চেয়ে দীর্ঘ সিজদা্ করলেন। এরপর তাকবীর বলে মাথা উঠালেন, তারপর আবার তাকবীর বলে স্বাভাবিক সাজদার মত অথবা তার চেয়ে দীর্ঘ সিজদা্ করলেন, অতঃপর তাকবীর বলে মাথা উঠালেন।[1]
বর্ণনাকারী আইয়ূব বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু সীরীনকে সাহু সিজদা্ এবং সালাম ফিরানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রাহর কাছে এ বিষয়ে শুনেছি কিনা স্মরণ নেই। তবে আমাকে জানানো হয়েছে যে, ’ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহু সাজদার পরও সালাম ফিরিয়েছিলেন।
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
-
সাজদায়ে সাহু প্রসঙ্গে
সালাতে ভুলত্রুমে কোন ওয়াজিব ছুটে গেলে, সন্দেহ হলে বা রাক‘আত কম-বেশি হলে সংশোধনের জন্য যে সিজদা্ দিতে হয় তাকে সাহু সিজদা বলে। এর পদ্ধতিছ
১। ইমাম সালাতে নিজের ভুল সম্পর্কে নিশ্চিত হলে অথবা মুক্তাদীরা লোকমার মাধ্যমে ভুল ধরিয়ে দিলে তাশাহ্হুদ শেষে তাকবীর দিয়ে পরপর দু’টি সাহু সিজদা দিবেন অতঃপর সালাম ফিরাবেন। (সহীহ মুসলিম ও অন্যান্য)
২। সালাতের রাক‘আত বেশি পড়ে সালাম ফিরিয়ে দেয়ার পর ভুল ধরা পড়লে তাকবীর দিয়ে দু’টি সাহু সিজদা দিবেন।
৩। সালাতের রাক‘আত কম পড়ে সালাম ফিরিয়ে দিলে ভুল ধরার পর তাকবীর দিয়ে অবশিষ্ট সালাত আদায় করে সালাম ফিরাবেন। অতঃপর তাকবীর দিয়ে দু’টি সাহু সিজদা আদায় করে আবার সালাম ফিরাবেন। (সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
৪। সাহু সিজদা্ সালামের পূর্বে ও পরে উভাবেই জায়িয আছে। (মুসলিম, নায়লুল আওত্বার)
উল্লেখ্য, শুধুমাত্র ডানে সালাম দিয়ে সাহু সিজদা্ করার প্রচলিত নিয়মটি ভিত্তিহীন। একইভাবে সাহু সাজদার পর তাশাহহুদ পাঠের কোন সহীহ হাদীস নেই। এ সম্পর্কিত বর্ণিত ‘ইমরান ইবনু হুসাইনের হাদীসটি দুর্বল এবং একই রাবী কতৃর্ক বর্ণিত বুখারী ও মুসলিমের সহীহ হাদীসের বিরোধী, যাতে তাশাহ্হুদের কথা নেই। (সালাতুর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৮৩-৮৪ পৃঃ)
باب السَّهْوِ فِي السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِحْدَى صَلَاتَىِ الْعَشِيِّ - الظُّهْرَ أَوِ الْعَصْرَ قَالَ - فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ قَامَ إِلَى خَشَبَةٍ فِي مُقَدَّمِ الْمَسْجِدِ فَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَيْهَا إِحْدَاهُمَا عَلَى الأُخْرَى يُعْرَفُ فِي وَجْهِهِ الْغَضَبُ ثُمَّ خَرَجَ سَرَعَانُ النَّاسِ وَهُمْ يَقُولُونَ قَصُرَتِ الصَّلَاةُ قَصُرَتِ الصَّلَاةُ وَفِي النَّاسِ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَهَابَاهُ أَنْ يُكَلِّمَاهُ فَقَامَ رَجُلٌ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُسَمِّيهِ ذَا الْيَدَيْنِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ أَنَسِيتَ أَمْ قَصُرَتِ الصَّلَاةُ قَالَ " لَمْ أَنْسَ وَلَمْ تَقْصُرِ الصَّلَاةُ " . قَالَ بَلْ نَسِيتَ يَا رَسُولَ اللهِ . فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْقَوْمِ فَقَالَ " أَصَدَقَ ذُو الْيَدَيْنِ " . فَأَوْمَئُوا أَىْ نَعَمْ فَخَرَجَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى مَقَامِهِ فَصَلَّى الرَّكْعَتَيْنِ الْبَاقِيَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ ثُمَّ رَفَعَ وَكَبَّرَ ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ ثُمَّ رَفَعَ وَكَبَّرَ . قَالَ فَقِيلَ لِمُحَمَّدٍ سَلَّمَ فِي السَّهْوِ فَقَالَ لَمْ أَحْفَظْهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَكِنْ نُبِّئْتُ أَنَّ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ قَالَ ثُمَّ سَلَّمَ .
- صحيح : ق
Abu Hurairah said:
The Messenger of Allah (ﷺ) led us in one of the evening (‘Asha) prayers, noon or afternoon. He led us in two Rak’ahs and gave the salutation. He then got up going towards a piece of wood which was placed in the front part of the mosque. He placed his hands upon it, one on the other, looking from his face as if he were angry. The people came out hastily saying: the prayer has been shortened. Abu Bakr and ‘Umar were among the people, but they were too afraid to speak to him. A man whom the Messenger of Allah (ﷺ) would call “ the possessor of arms” (Dhu al-Yadain) stood up (asking him): Have you forgotten. The Messenger of Allah, or has the prayer been shortened? He said: I have neither forgotten nor has it been shortened. He said : Messenger of Allah , you have forgotten. The Messenger of Allah (ﷺ) turned towards the people and asked : did the possessor of arms speak the truth? They made a sign , that is, yes. The Messenger of Allah (ﷺ) returned to his place and prayed the remaining two Rak’ahs, then gave the salutation; he then uttered the takbir and prostrated himself as usual or prolonged. He then raised his head and uttered the takbir; then he uttered the takbir and made prostration as usual or made longer (prostration). Then he raised his head his and uttered the takbir (Allah is most great). The narrator Muhammad was asked : Did he give the salutation (while prostrating) dueto forgetfulness? He said : I do not remember it from Abu Hurairah. But we Are sure that ‘Imran b. Husain (in his version) said; he then gave the salutation.
পরিচ্ছেদঃ ১৯৫. দুই সাহু সিজদা্ সম্পর্কে
১০০৯। ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ, তিনি মালিক, তিনি আইয়্যুব হতে, তিনি মুহাম্মাদ হতে পূর্বোক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে বর্ণনাকারী হাম্মাদের সানাদে বর্ণিত হাদীসটিই পূর্ণাঙ্গ। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করলেন। এ বর্ণনায় ’আমাদেরকে নিয়ে’ এবং ’লোকদের ইশারা’ শব্দদ্বয় উল্লেখ নেই।
বর্ণনাকারী বলেন, জবাবে লোকেরা শুধু হ্যাঁ বলেছিলো। বর্ণনাকারী বলেনঃ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা উঠালেন। এতে ’’এরপর তাকবীর বলেন... অতঃপর মাথা উঠালেন’’ একথাগুলো উল্লেখ নেই। এভাবেই হাদীস শেষ হয়েছে। হাম্মাদ ইবনু যায়িদ ব্যতীত অন্য কেউ ’’ফা আওমায়ূ’’ (লোকদের ইশারা) শব্দটি উল্লেখ করেননি।[1]
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, যারা এ হাদীস বর্ণনা করেছেন তাদের কেউই ’ফাক্ববারা’ (তিনি তাকবীর দিলেন) এবং রাজায়া (প্রত্যাবর্তন করলেন) শব্দদ্বয় উল্লেখ করেননি।
সহীহ : বুখারী।
باب السَّهْوِ فِي السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، بِإِسْنَادِهِ - وَحَدِيثُ حَمَّادٍ أَتَمُّ - قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَقُلْ بِنَا . وَلَمْ يَقُلْ فَأَوْمَئُوا . قَالَ فَقَالَ النَّاسُ نَعَمْ . قَالَ ثُمَّ رَفَعَ - وَلَمْ يَقُلْ وَكَبَّرَ - ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ مِثْلَ سُجُودِهِ أَوْ أَطْوَلَ ثُمَّ رَفَعَ وَتَمَّ حَدِيثُهُ لَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فَأَوْمَئُوا إِلَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكُلُّ مَنْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ لَمْ يَقُلْ فَكَبَّرَ . وَلَا ذَكَرَ رَجَعَ .
- صحيح : خ
This tradition has been narrated through a different chain of transmitters; but the version of Hammad is more perfect. This version goes; then the Messenger of Allah (ﷺ) prayed; it does not have the words, “led us (in prayer),” nor the words “they made a sign”. Thereupon the people said :
Yes. He then raised his head. The version does not mention the words “he uttered the takbir. He then uttered the takbir and made the prostration as usual or prolonged it. He then raised his head”. The narrator then prostration as usual or prolonged it. He then raised his head”. The narrator then finished the tradition and did not mention the words that follow it. He did not mention the words “they made a sign”, but Hammad b. Zaid mentioned them in his version.
Abu dawud said: Anyone who narrated this tradition did not mention the words “ then he uttered the takbir”, nor the words “he returned”
পরিচ্ছেদঃ ১৯৫. দুই সাহু সিজদা্ সম্পর্কে
১০১০। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর হাম্মাদের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস ’’নুববি’তু আন্না ইমরানাব্না হুসাইন ক্বালা সুম্মা সাল্লামা’’ পর্যন্ত বর্ণনা করলেন। বর্ণনাকারী সালামাহ বলেন, আমি তাকে (মুহাম্মাদ ইবনু সীরীরকে) জিজ্ঞেস করলাম, তাশাহহুদের বিষয়? তিনি বললেন, তাশহহুদ পড়া সম্পর্কে আমি তার নিকট থেকে কিছু শুনিনি। অথচ তাশাহহুদ পাঠ করা আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয়। তিনি ’’কানা ইউসাম্মীহি যাল্-ইয়াদাইন’’, ’’ফাআওমায়ু’’ এবং ’’গাদাবা’’ এগুলো উল্লেখ করেননি। এ বিষয়ে হাম্মাদ বর্ণিত হাদীসটিই পূর্ণাঙ্গ।[1]
সহীহ।
باب السَّهْوِ فِي السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُفَضَّلِ - حَدَّثَنَا سَلَمَةُ، - يَعْنِي ابْنَ عَلْقَمَةَ - عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَى حَمَّادٍ كُلِّهِ إِلَى آخِرِ قَوْلِهِ نُبِّئْتُ أَنَّ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ قَالَ ثُمَّ سَلَّمَ . قَالَ قُلْتُ فَالتَّشَهُّدُ قَالَ لَمْ أَسْمَعْ فِي التَّشَهُّدِ وَأَحَبُّ إِلَىَّ أَنْ يَتَشَهَّدَ وَلَمْ يَذْكُرْ كَانَ يُسَمِّيهِ ذَا الْيَدَيْنِ . وَلَا ذَكَرَ فَأَوْمَئُوا . وَلَا ذَكَرَ الْغَضَبَ وَحَدِيثُ حَمَّادٍ عَنْ أَيُّوبَ أَتَمُّ .
- صحيح
Abu Hurairah said ; The Messenger of Allah (ﷺ) led us in prayer. He then narrated the same version reported by Hammad up to the words “we are sure that ‘Imran b. Husain said:
then he gave the salutation.” The narrator said: I asked; What about the Tashahud? He replied: I did not hear thing about the tashahhud, but it is more liking to me that one should recite the tashahhud. This version has not the words “whom he called the possessor of arms(Dhu al-yadain).” Nor the words “they made a sign,” nor the word “anger”. The tradition narrated by Hammad from Ayyub is more perfect.
পরিচ্ছেদঃ ১৯৫. দুই সাহু সিজদা্ সম্পর্কে
১০১১। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সূত্রে যুল্-ইয়াদাইন সম্পর্কিত হাদীসে রয়েছেঃ তিনি তাকবীর বলে সিজদা্ করলেন। আর হিশাম ইবনু হাসসান বলেছেন, তিনি তাকবীর বললেন, অতঃপর আবারো তাকবীর বললেন এবং সিজদায় করলেন।[1]
শায।
ইমাম ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি হাবীব ইবনুল শাহীদ, হুমাইদ, ইউনুস এবং ’আসিম আল-আহ্ওয়াল-মুহাম্মদ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাদের কেউই হাম্মাদ ইবনু যায়িদ হতে হিশাম সূত্রে বর্ণিত হাদীসের এ কথাগুলো উল্লেখ করেননি- (অর্থাৎ) ’’তিনি তাকবরি বললেন, অতঃপর আবারো তাকবীর বললেন এবং সিজদা্ করলেন।’’ হাম্মাদ ইবনু সালামাহ ও আবূ বকর ইবনু আইয়্যাশ এ হাদীস হিশাম হতে বর্ণনা করেছেন। তারা দু’জন হিশাম হতে ’পরপর দুইবার তাকবীর’ দেয়ার কথা উল্লেখ করেননি, যা হাম্মাদ উল্লেখ করেছেন।
باب السَّهْوِ فِي السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَهِشَامٍ، وَيَحْيَى بْنِ عَتِيقٍ، وَابْنِ، عَوْنٍ عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فِي قِصَّةِ ذِي الْيَدَيْنِ أَنَّهُ كَبَّرَ وَسَجَدَ . وَقَالَ هِشَامٌ يَعْنِي ابْنَ حَسَّانَ كَبَّرَ ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ .
- شاذ
قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَيْضًا حَبِيبُ بْنُ الشَّهِيدِ وَحُمَيْدٌ وَيُونُسُ وَعَاصِمٌ الأَحْوَلُ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ لَمْ يَذْكُرْ أَحَدٌ مِنْهُمْ مَا ذَكَرَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ هِشَامٍ أَنَّهُ كَبَّرَ ثُمَّ كَبَّرَ وَسَجَدَ وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ هِشَامٍ لَمْ يَذْكُرَا عَنْهُ هَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ أَنَّهُ كَبَّرَ ثُمَّ كَبَّرَ
The above mentioned tradition has also been narrated by Abu Hurairah through a different chain of transmitters. This version goes :
the Prophet (ﷺ) uttered the takbir and prostrated himself (in a tradition relating to the incidence of the possessor of arms [Dhu al-yadain]). The narrator Hisham, I,e, Ibn Hassan said: he uttered the takbir ; then he uttered the takbir and prostrated himself.
Abu Dawud said : This tradition has also been narrated by Habib b. al-shahid, Humaid, Yunus, and Asim b. al-Ahwal, from Muhammad on the authority of abu Hurairah none of them mentioned what Hammad b. Zaid mentioned from from Hisham that he uttered the takbir; then uttered the takbir and prostrated himself. Hammad b. Sulaimah and Abu BAkr b. ‘Ayyash also narrated this tradition from Hisham, but they did not narrate from him what HAmmad b. zaid narrated that he uttered the takbir and again uttered the takbir.
পরিচ্ছেদঃ ১৯৫. দুই সাহু সিজদা্ সম্পর্কে
১০১২। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, মহান আল্লাহ তাঁকে (দু’ রাক’আত সালাত ভুল বশতঃ ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি) নিশ্চিত না করা পর্যন্ত তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দু’টি সাহু সিজদা্ করেননি।[1]
দুর্বল।
باب السَّهْوِ فِي السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ وَعُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ وَلَمْ يَسْجُدْ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ حَتَّى يَقَّنَهُ اللهُ ذَلِكَ .
- ضعيف
This tradition has also been transmitted by Abu Hurairah through a different chain of narrators. This version goes:
he did not make two prostrations (at the end of prayer) due to forgetfulness until Allah gave him satisfaction about it.
পরিচ্ছেদঃ ১৯৫. দুই সাহু সিজদা্ সম্পর্কে
১০১৩। ইবনু শিহাব (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তাকে আবূ বকর ইবনু সুলায়মান ইবনু আবূ হাসমাহ অবহিত করেছেন যে, তার নিকট সংবাদ পৌঁছেছে যে, সালাতে সন্দেহ হলে যে দু’টি সিজদা্ দিতে হয় সে বিষয়ে লোকদের জিজ্ঞাসাবাদের পূর্বে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করেননি। ইবনু শিহাব বলেন, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব এ হাদীসটি আমার কাছে বর্ণনা করেছেন আবূ হুরাইরাহ হতে। তিনি আরো বলেন, আবূ সালামাহ ইবনু ’আবদুর রহমান, আবূ বকর ইবনু হারিস ইবনু হিশাম এবং ’উবাইদুল্লাহ ইবনু ’আবদুল্লাহও আমার কাছে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।[1]
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ ঘটনাটি ইয়াহইয়া ইবনু আবূ কাসীর এবং ’ইমরান ইবনু আবূ আনাস (রহঃ) আবূ সালামাহ ইবনু ’আবদুর রহমান হতে আবূ হুরাইরাহ সূত্রে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তাতে ’দু’টি সিজদার কথা উল্লেখ নেই। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, যুবাইদী-যুহরী-আবূ বকর ইবনু সুলায়মান ইবনু আবূ হাসমাহ হতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সূত্রে যে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তাতে রয়েছে, তিনি দু’টি সাহু সিজদা্ আদায় করেননি।
শায।
باب السَّهْوِ فِي السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنِي ابْنَ إِبْرَاهِيمَ - حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا بَكْرِ بْنَ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ وَلَمْ يَسْجُدِ السَّجْدَتَيْنِ اللَّتَيْنِ تُسْجَدَانِ إِذَا شَكَّ حَتَّى لَقَّاهُ النَّاسُ . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَأَخْبَرَنِي بِهَذَا الْخَبَرِ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ وَأَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ وَعُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ وَعِمْرَانُ بْنُ أَبِي أَنَسٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَالْعَلَاءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ جَمِيعًا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ وَلَمْ يَذْكُرْ أَنَّهُ سَجَدَ السَّجْدَتَيْنِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ الزُّبَيْدِيُّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ فِيهِ وَلَمْ يَسْجُدْ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ
- شاذ
Ibn Shihab (al-Zuhr) reported on the authority of Abu Bakr b. Sulaiman b. Abi Hathmah that the Messenger of Allah (ﷺ) did not make two prostrations when are made when one is doubtful until the people met him.
Abu Dawud said; this tradition has also been transmitted by al-Zahidi from al-zuhr from Abu Bakr b. Sulaiman b. Abi HAthman from thre prophet (ﷺ). This version goes :
he did not make two prostrations on account of forgetfulness.
পরিচ্ছেদঃ ১৯৫. দুই সাহু সিজদা্ সম্পর্কে
১০১৪। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত (ভুল বশতঃ) দু’ রাক’আত আদায় করেই সালাম ফিরালেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, সালাত কি সংক্ষিপ্ত করে দেয়া হয়েছে? এ কথা শুনে তিনি আরো দু’ রাক’আত সালাত আদায় করে দু’টি সিজদা্ করলেন।[1]
সহীহ।
باب السَّهْوِ فِي السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، سَمِعَ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ فَسَلَّمَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ فَقِيلَ لَهُ نَقَصَتِ الصَّلَاةُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ .
- صحيح
Abu Hurairah reported; The Prophet (ﷺ) offered the noon prayer and he gave the salutation at the end of two rakahs. He was asked. Has the prayer been shortened ? then he offered two rakahs of the prayer and made two prostrations (at the end of it).
পরিচ্ছেদঃ ১৯৫. দুই সাহু সিজদা্ সম্পর্কে
১০১৫। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (চার রাক’আত বিশিষ্ট) ফারয সালাত (ভুল বশতঃ) দু’ রাক’আত আদায় করেন। সালাত শেষে এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! সালাত কি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, না আপনি ভুল করেছেন? জবাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি এর কোনটাই করি নাই। লোকজন বললো, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তা করেছেন। তখন তিনি আরো দু’ রাক’আত সালাত আদায় করলেন।
শায।
দাউদ ইবনুল হুসাইন আহমাদের মুক্তদাস আবূ সুফিয়ানের মাধ্যমে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে এ ঘটনা সম্পর্কিত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাতে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, অতঃপর সালাম ফিরিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসা অবস্থায়ই দু’টি সাহু সিজদা্ করেন।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب السَّهْوِ فِي السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَسَدٍ، أَخْبَرَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم انْصَرَفَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ مِنْ صَلَاةِ الْمَكْتُوبَةِ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ أَقَصُرَتِ الصَّلَاةُ يَا رَسُولَ اللهِ أَمْ نَسِيتَ قَالَ " كُلَّ ذَلِكَ لَمْ أَفْعَلْ " . فَقَالَ النَّاسُ قَدْ فَعَلْتَ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللهِ . فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ أُخْرَيَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفَ وَلَمْ يَسْجُدْ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ .
- شاذ
قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ دَاوُدُ بْنُ الْحُصَيْنِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ مَوْلَى ابْنِ أَبِي أَحْمَدَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ التَّسْلِيمِ
- صحيح : م
Narrated AbuHurayrah:
When the Prophet (ﷺ) finished two rak'ahs of an obligatory prayer, a man asked him: Messenger of Allah, has the prayer been shortened, or have you forgotten? he replied: I did not do all that. The people said: Messenger of Allah, you did that. Therefore, he offered another two rak'ahs or prayer and did not make two prostrations due to forgetfulness.
Abu Dawud said: This tradition has also been narrated by Dawud al-Hussain from Abu Sufyan, freed slave of Ibn Abi Ahmad on the authority of Abu Hurairah from the Prophet (ﷺ). This version goes: He then made two prostrations while he was sitting after the salutation.
পরিচ্ছেদঃ ১৯৫. দুই সাহু সিজদা্ সম্পর্কে
১০১৬। দামদাম ইবনু জাওস আল-হাফফানী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) এ হাদীসটি অনুরূপভাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরানোর পর দু’টি সাহু সিজদা্ করেছেন।[1]
হাসান সহীহ।
باب السَّهْوِ فِي السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، عَنْ ضَمْضَمِ بْنِ جَوْسٍ الْهِفَّانِيِّ، حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ بَعْدَ مَا سَلَّمَ .
- حسن صحيح
Abu Hurairah reported; He then made two prostration on account of forgetfulness after he had given the salutation.
পরিচ্ছেদঃ ১৯৫. দুই সাহু সিজদা্ সম্পর্কে
১০১৭। ইবনু ’উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে (চার রাক’আত বিশিষ্ট ফারয) সালাত আদায় করতে গিয়ে (ভুল বশতঃ) দু’ রাক’আত আদায় করেই সালাম ফিরালেন। অতঃপর আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে ইবনু সীরীন বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। এতে রয়েছেঃ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরালেন এবং দুটি সাহু সিজদা্ করলেন।[1]
সহীহ।
باب السَّهْوِ فِي السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ . فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَىِ السَّهْوِ .
- صحيح
Ibn ‘Umar said :
The Messenger of Allah (ﷺ) led us in prayer and gave the salutation after two rakahs of prayer. He narrated this tradition like that of Ibn Sirin from Abu Hurairah. This version adds; he gave the salutation and prostrated two prostrations due to forgetfulness.
পরিচ্ছেদঃ ১৯৫. দুই সাহু সিজদা্ সম্পর্কে
১০১৮। ’ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আসরের তিন রাক’আত সালাত আদায় করেই সালাম ফিরালেন এবং হুজরায় প্রবেশ করলেন। তখন লম্বা হাতওয়ালা বিশিষ্ট খিরবাক্ব নামক এক ব্যক্তি উঠে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! সালাত কি কমিয়ে দেয়া হয়েছে? এ কথা শুনে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত অবস্থায় চাদর টানতে টানতে বেরিয়ে এসে লোকদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, সে কি সত্য বলেছে? লোকজন বললো, হাঁ, তখন তিনি অবশিষ্ট এক রাক’আত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন। অতঃপর দু’টি সাহু সিজদা্ দিয়ে পরে সালাম ফিরালেন।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب السَّهْوِ فِي السَّجْدَتَيْنِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، حَدَّثَنَا أَبُو قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ سَلَّمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي ثَلَاثِ رَكَعَاتٍ مِنَ الْعَصْرِ ثُمَّ دَخَلَ - قَالَ عَنْ مَسْلَمَةَ - الْحُجَرَ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ الْخِرْبَاقُ كَانَ طَوِيلَ الْيَدَيْنِ فَقَالَ لَهُ أَقَصُرَتِ الصَّلَاةُ يَا رَسُولَ اللهِ فَخَرَجَ مُغْضَبًا يَجُرُّ رِدَاءَهُ فَقَالَ " أَصَدَقَ " . قَالُوا نَعَمْ . فَصَلَّى تِلْكَ الرَّكْعَةَ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْهَا ثُمَّ سَلَّمَ .
- صحيح : م
‘Imran b. Husain said :
The Messenger of Allah (ﷺ) gave the salutation at the end of three rakahs in the afternoon prayer, then went into the apartment (according to the version of maslamah). A man called al-Khirbaq who had long arms got up and said ; has the prayer been shortened, Messenger of Allah ? He came out angrily trailing his cloak and said : Is he telling the truth ? they said; Yes. He then prayed that rakah, then gave the salutation, then made two prostrations, then gave the salutation.