পরিচ্ছেদঃ ১৫১. রুকূ‘ ও সাজদার দু‘আ
৮৬৯। ’উক্ববাহ ইবনু ’আমির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’ফাসাবিবহ বিসমি রব্বিকাল ’আযীম’ কুরআনের এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা এটা রুকূ’তে পাঠ করবে। অতঃপর ’সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা’ এ আয়াত অবতীর্ণ হলে তিনি বলেন, তোমরা এটা সিজদাতে পাঠ করবে।[1]
দুর্বল : ইরওয়া।
باب مَا يَقُولُ الرَّجُلُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ أَبُو تَوْبَةَ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، - الْمَعْنَى - قَالَا حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُوسَى، - قَالَ أَبُو سَلَمَةَ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ - عَنْ عَمِّهِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ( فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ ) قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " اجْعَلُوهَا فِي رُكُوعِكُمْ " . فَلَمَّا نَزَلَتْ ( سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ) قَالَ " اجْعَلُوهَا فِي سُجُودِكُمْ " .
- ضعيف : الإرواء
Narrated Uqbah ibn Amir:
When "Glorify the name of your mighty Lord" was revealed, the Messenger of Allah (ﷺ) said: Use it when bowing, and when "Glorify the name of your most high Lord" was revealed, he said: Use it when prostrating yourself.
পরিচ্ছেদঃ ১৫১. রুকূ‘ ও সাজদার দু‘আ
৮৭০। ’উক্ববাহ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। তাতে আরো রয়েছেঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ’তে ’সুবহানা রব্বিয়াল ’আযীম ওয়া বিহামদিহী’ তিনবার বলতেন এবং সিজদাতে ’সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা ওয়া বিহামদিহী’ তিনবার বলতেন।[1]
দুর্বল।
ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, ’বিহামদিহী’ শব্দটি নিয়ে আমরা সন্দিহান।
باب مَا يَقُولُ الرَّجُلُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، - يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ - عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، - أَوْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ - عَنْ رَجُلٍ، مِنْ قَوْمِهِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، بِمَعْنَاهُ زَادَ قَالَ فَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَكَعَ قَالَ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ " . ثَلَاثًا وَإِذَا سَجَدَ قَالَ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى وَبِحَمْدِهِ " . ثَلَاثًا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذِهِ الزِّيَادَةُ نَخَافُ أَنْ لَا تَكُونَ مَحْفُوظَةً .
- ضعيف
قَالَ أَبُو دَاوُدَ انْفَرَدَ أَهْلُ مِصْرَ بِإِسْنَادِ هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ حَدِيثِ الرَّبِيعِ وَحَدِيثِ أَحْمَدَ بْنِ يُونُسَ
Narrated Uqbah ibn Amir:
The above tradition has also been reported through a different chain of narrators by Uqbah ibn Amir to the same effect. This version adds: When the Messenger of Allah (ﷺ) bowed, he said: "Glory and praise be to my mighty Lord" three times, and when he prostrated himself, he said: "Glory and praise be to my most high Lord" three times.
Abu Dawud said: We are afraid the addition of the word "praise" is not guarded.
পরিচ্ছেদঃ ১৫১. রুকূ‘ ও সাজদার দু‘আ
৮৭১। হুযাইফাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত আদায় করেছেন। তিনি রুকূ’তে ’সুবহানা রব্বিয়াল ’আযীম’ এবং সিজদাতে ’সুবহানা রব্বিয়াল আলা’ পাঠ করতেন এবং কুরআন তিলাওয়াতকালে তিনি কোন রহমতের আয়াতে পৌঁছলে সেখানে থেমে রহমতের দু’আ করতেন এবং কোন ’আযাবের আয়াত তিলাওয়াতকালে সেখানে থেমে ’আযাব থেকে পরিত্রান চাইতেন।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب مَا يَقُولُ الرَّجُلُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ قُلْتُ لِسُلَيْمَانَ أَدْعُو فِي الصَّلَاةِ إِذَا مَرَرْتُ بِآيَةِ تَخَوُّفٍ فَحَدَّثَنِي عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ عَنْ مُسْتَوْرِدٍ عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ عَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّهُ صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَكَانَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ " . وَفِي سُجُودِهِ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى " . وَمَا مَرَّ بِآيَةِ رَحْمَةٍ إِلَا وَقَفَ عِنْدَهَا فَسَأَلَ وَلَا بِآيَةِ عَذَابٍ إِلَا وَقَفَ عِنْدَهَا فَتَعَوَّذَ .
- صحيح : م
Hudhaifah said that he prayed along with the Prophet (ﷺ), and that he said when bowing, “Glory be to my mighty Lord, “ and when he prostrated himself, “Glory be to my most high Lord," when he came to a verse which spoke of mercy, he stopped and made supplication, and when he came to a verse which spoke of punishment, he stopped and sought refuge in Allah.
পরিচ্ছেদঃ ১৫১. রুকূ‘ ও সাজদার দু‘আ
৮৭২। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদা্ এবং রুকূ’তে ’সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রব্বুল মালাইকাতি ওয়ার্ রূহ্’’ বলতেন।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب مَا يَقُولُ الرَّجُلُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ " سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ "
- صحيح : م
‘Aishah said that the prophet (ﷺ) used to say when bowing and prostrating, “All-Glorious, All-Holy, Lord of the angels and spirit.
পরিচ্ছেদঃ ১৫১. রুকূ‘ ও সাজদার দু‘আ
৮৭৩। ’আওফ ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত আদায়ে দাঁড়ালাম। তিনি সূরাহ বাক্বারাহ্ তিলাওয়াতের সময় কোন রহমতের আয়াতে পৌঁছলে তথায় থেমে রহমত চাইতেন এবং যখন কোন আযাবের আয়াতে পৌঁছতেন, তখন সেখানে থেমে আযাব হতে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। অতঃপর তিনি ক্বিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকূ’তে অবস্থান করেন এবং তাতে ’’সুবহানা যিল্ জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়াল ’আযমাতি’’ পাঠ করেন। অতঃপর তিনি ক্বিয়ামের সমপরিমাণ সময় সিজদাতে অবস্থান করেন এবং তাতেও উক্ত দু’আ পাঠ করেন। অতঃপর তিনি (দ্বিতীয় রাক’আতে) দাঁড়িয়ে সূরাহ্ আলে-’ইমরান তিলাওয়াত করেন। অতঃপর (প্রত্যেক রাক’আতে) একটি করে সূরাহ তিলাওয়াত করেন।[1]
সহীহ।
باب مَا يَقُولُ الرَّجُلُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ قُمْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم لَيْلَةً فَقَامَ فَقَرَأَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ لَا يَمُرُّ بِآيَةِ رَحْمَةٍ إِلَا وَقَفَ فَسَأَلَ وَلَا يَمُرُّ بِآيَةِ عَذَابٍ إِلَا وَقَفَ فَتَعَوَّذَ - قَالَ - ثُمَّ رَكَعَ بِقَدْرِ قِيَامِهِ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ " سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ وَالْمَلَكُوتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْعَظَمَةِ " . ثُمَّ سَجَدَ بِقَدْرِ قِيَامِهِ ثُمَّ قَالَ فِي سُجُودِهِ مِثْلَ ذَلِكَ - ثُمَّ قَامَ فَقَرَأَ بِآلِ عِمْرَانَ ثُمَّ قَرَأَ سُورَةً سُورَةً
- صحيح
Narrated Awf ibn Malik al-Ashja'i:
I stood up to pray along with the Messenger of Allah (ﷺ); he got up and recited Surat al-Baqarah (Surah 2).
When he came to a verse which spoke of mercy, he stopped and made supplication, and when he came to verse which spoke of punishment, he stopped and sought refuge in Allah, then he bowed and paused as long as he stood (reciting Surah al-Baqarah), and said while bowing, "Glory be to the Possessor of greatness, the Kingdom, grandeur and majesty."
Then he prostrated himself and paused as long as he stood up and recited Surat Aal Imran (Surah 3) and then recited many surahs one after another.
পরিচ্ছেদঃ ১৫১. রুকূ‘ ও সাজদার দু‘আ
৮৭৪। হুযাইফাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা রাতে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাত আদায় করতে দেখলেন। এ সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনবার ’আল্লাহু আকবার’ বলার পর ’যুল-মালাকূতি ওয়াল জাবারূতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়াল ’আযমাতি’ পাঠ করেন। অতঃপর তিনি সূরাহ্ বাক্বারাহ তিলাওয়াত শুরু করেন এবং তাঁর রুকূ’ ছিলো ক্বিয়ামের সমপরিমাণ সময়। তিনি রুকূ’তে ’সুবহানা রব্বিয়াল ’আযীম, সুবহানা রব্বিয়াল ’আযীম’ পাঠ করেন। অতঃপর রুকূ’ হতে মাথা উঠিয়ে প্রায় রুকূ’র সমপরিমাণ সময় দাঁড়িয়ে থাকেন এবং এ সময় ’’লি-রব্বিয়াল হামদ’’ পাঠ করেন।
অতঃপর তিনি সিজদায় গিয়ে তাতে ক্বিয়ামের অনুরূপ সময় অবস্থান করেন এবং এ সময় ’সুবহানা রব্বিয়াল আ’লা’ পাঠ করেন। অতঃপর সিজদা্ হতে মাথা উঠিয়ে দু’ সাজদার মাঝে সিজদায় অবস্থানের সমপরিমাণ সময় বসে থাকেন এবং এখানে তিনি ’রব্বিগফিরলী’ পাঠ করেন। এরূপে তিনি চার রাক’আত সালাত আদায় করেন এবং এ সালাতে সূরাহ আল-বাক্বারাহ, সূরাহ আলে-’ইমরান, সূরাহ নিসা এবং সূরাহ মায়িদাহ্ অথবা সূরাহ আন’আম তিলাওয়াত করেন।[1]
সহীহ।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নামাজের অবস্থায় দুই সিজদার মধ্যবর্তী সময়ে বসার অবস্থায় পঠনীয় দোয়া হলো:
"رَبِّ اغْفِرْ لِيْ، رَبِّ اغْفِرْ لِيْ".
২। আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]হতে দুই সিজদার মধ্যবর্তী সময়ে বসার অবস্থায় অনেক রকম দোয়া পাঠ করার বিবরণ অনেকগুলি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টিকে সংক্ষিপ্ত করার উদ্দেশ্যে অন্য হাদীসগুলির কথা উপস্থাপন করলাম না।
باب مَا يَقُولُ الرَّجُلُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ
- حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، قَالَا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، مَوْلَى الأَنْصَارِ عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي عَبْسٍ عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّهُ رَأَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ فَكَانَ يَقُولُ " اللهُ أَكْبَرُ - ثَلَاثًا - ذُو الْمَلَكُوتِ وَالْجَبَرُوتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْعَظَمَةِ " . ثُمَّ اسْتَفْتَحَ فَقَرَأَ الْبَقَرَةَ ثُمَّ رَكَعَ فَكَانَ رُكُوعُهُ نَحْوًا مِنْ قِيَامِهِ وَكَانَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ " . ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَكَانَ قِيَامُهُ نَحْوًا مِنْ رُكُوعِهِ يَقُولُ " لِرَبِّيَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ سَجَدَ فَكَانَ سُجُودُهُ نَحْوًا مِنْ قِيَامِهِ فَكَانَ يَقُولُ فِي سُجُودِهِ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى " . ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ وَكَانَ يَقْعُدُ فِيمَا بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ نَحْوًا مِنْ سُجُودِهِ وَكَانَ يَقُولُ " رَبِّ اغْفِرْ لِي رَبِّ اغْفِرْ لِي " . فَصَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فَقَرَأَ فِيهِنَّ الْبَقَرَةَ وَآلَ عِمْرَانَ وَالنِّسَاءَ وَالْمَائِدَةَ أَوِ الأَنْعَامَ شَكَّ شُعْبَةُ .
- صحيح
Narrated Hudhayfah:
Hudhayfah saw the Messenger of Allah (ﷺ) praying at night. He said: Allah is most great" three times, "Possessor of kingdom, grandeur, greatness and majesty."
He then began (his prayer) and recited Surah al-Baqarah; then he bowed and he paused in bowing as long as he stood up; he said while bowing, "Glory be to my mighty Lord," "Glory be to my mighty Lord" ; then he raised his head, after bowing: then he stood up and he paused as long as he paused in bowing and said, "Praise be to my Lord" ; then he prostrated and paused in prostration as long as he paused in the standing position; he said while prostrating: "Glory be to my most high Lord"; then he raised his head after prostration, and sat as long as he prostrated, and said while sitting: "O my Lord forgive me."
He offered four rak'ahs of prayer and recited in them Surah al-Baqarah, Aal Imran, an-Nisa, al-Ma'idah, or al-An'am. The narrator Shu'bah doubted.