পরিচ্ছেদঃ ১৩৭. স্বরব ক্বিরাআতের সালাতে (মুক্তাদীর) সূরাহ্ ফাতিহা পাঠ যে অপছন্দ করে
৮২৬। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বরব ক্বিরাআতের সালাত আদায় শেষে জিজ্ঞেস করেনঃ তোমাদের কেউ কি এইমাত্র আমার সাথে (সালাতে) কুরআন পাঠ করেছ? জবাবে এক ব্যক্তি বলেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! তখন তিনি বলেন, তাইতো ভাবছিলাম আমার কুরআন পাঠে কেন বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর থেকে লোকেরা জেহরী সালাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে কিরাত করা থেকে বিরত থাকেন।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইবনু উকায়মাহর এ হাদীসটি মামার, ইউনুসও উসামাহ্ ইবনু যায়িদ যুহরী সূত্রে বর্ণনাকারী মালিকের হাদীসের অনুরূপ অর্থে বর্ণনা করেছেন।[1]
সহীহ।
দৃষ্টি আকর্ষণঃ হাদীসের বক্তব্যে বুঝা যায় যে, মুক্তাদীগণের মধ্যে কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সাথে স্বরবে ক্বিরাআত করেছিলেন। যার জন্য ইমাম হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ক্বিরাআতে, বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছিল। ইতিপূর্বে আনাস ও আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস দু’টিতে নীরবে পড়ার কথা এসেছে, যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়। শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবী (রহঃ) বলেন, জেহরী সালাতে মুক্তাদীরা এমনভাবে সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করবে, যাতে ইমামের ক্বিরাআতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়- (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ২/৯)।অতএব নীরবে ইমামের পিছনে সূরায়ে ফাতিহা পড়লে ইমামের ক্বিরাআতে বিঘ্ন সৃষ্টির প্রশ্নই আসে না। উল্লেখ্য যে, হাদীসের শেষাংশে অতঃপর লোকেরা ক্বিরাআত থেকে বিরত হলো কথাটি ‘মুদরাজ’ যা ইবনু শিহাব যুহরী কর্তৃক সংযুক্ত। (নায়লুল আওত্বার ৩/৬৭)।
بَابُ مَنْ كَرِهَ الْقِرَاءَةَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ إِذَا جَهَرَ الْإِمَامُ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ أُكَيْمَةَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلي الله عليه وسلم انْصَرَفَ مِنْ صَلَاةٍ جَهَرَ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ فَقَالَ:هَلْ قَرَأَ مَعِيَ أَحَدٌ مِنْكُمْ آنِفًا؟، فَقَالَ رَجُلٌ: نَعَمْ، يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ:إِنِّي أَقُولُ مَالِي أُنَازَعُ الْقُرْآنَ؟، قَالَ: فَانْتَهَى النَّاسُ عَنِ الْقِرَاءَةِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلي الله عليه وسلم فِيمَا جَهَرَ فِيهِ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم بِالْقِرَاءَةِ مِنَ الصَّلَوَاتِ حِينَ سَمِعُوا ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلي الله عليه وسلم، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَى حَدِيثَ ابْنِ أُكَيْمَةَ هَذَا مَعْمَرٌ، وَيُونُسُ، وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَلَى مَعْنَى مَالِكٍ
- صحيح
Narrated AbuHurayrah:
When the Messenger of Allah (ﷺ) finished a prayer in which he had recited (the Qur'an) loudly, he asked: Did any of you recite along with me just now? A man replied: Yes, Messenger of Allah. He said: I am wondering what is the matter with me that I have been contended with reciting the Qur'an. He said: When the people heard that from the Messenger of Allah (ﷺ) they ceased reciting (the Qur'an) along with him at the prayers in which he recited aloud.
Abu Dawud said: This tradition reported by Ibn Ukaimah has also been narrated by Ma'mar, Yunus, and Usamah b. Zaid on the authority of al-Zuhri similar to the tradition of Malik.
পরিচ্ছেদঃ ১৩৭. স্বরব ক্বিরাআতের সালাতে (মুক্তাদীর) সূরাহ্ ফাতিহা পাঠ যে অপছন্দ করে
৮২৭। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন। সম্ভবতঃ তা ফজরের সালাত। অতঃপর পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করে ’’আমার কুরআন পাঠে কিসে বিঘ্ন সৃষ্টি হলো’’ এই পর্যন্ত বর্ণনা করেন।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, মুসাদ্দাদ তাঁর বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করেন যে, মা’মার বলেন, অতঃপর লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্বরব কিরাত সম্পন্ন সালাতে কিরাত পাঠ হতে বিরত থাকেন। ইবনুস সার্হ তার বর্ণিত হাদীসে বলেন যে, মা’মার যুহরী সূত্রে বলেন, আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, অতঃপর লোকেরা কিরাত হতে বিরত থাকেন। আর ’আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ আয-যুহরীর বর্ণনায়مِنْ بَيْنِهِمْ শব্দের উল্লেখ আছে। বর্ণনাকারী সুফিয়ান বলেন, ইমাম যুহরী এমন কিছু কথা বলেছেন যা আমি শুনিনি। তখন মা’মার বলেন, তিনি বলেছেন, অতঃপর লোকেরা বিরত থাকেন।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন যে, হাদীসটি ’আবদুর রহমান ইবনু ইসহাক ইমাম যুহরী সূত্রেمَا لِي أُنَازَعُ الْقُرْآنَ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন। ইমাম আওযাঈ যুহরী সূত্রের বণনা সম্পর্কে বলেন, যুহরীর বর্ণনায় এ কথাও আছে যে, ঐ ঘটনায় মুসলিমগণ উপদেশ গ্রহণ করেন। এরপর তাঁরা স্বরব কিরাত সম্পন্ন সালাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে কিরাত পড়তেন না।[1]
সহীহ।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়াহ ইবনু ফারিসকে বলতে শুনেছি যে, ’’অতঃপর লোকেরা ইমামের পিছনে কিরাত পাঠ হতে বিরত থাকেন’’ কথাটুকু ইমাম যুহরীর।
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ ইমামের পিছনে মুক্তাদীগণ সূরাহ ফাতিহা নিঃশব্দে পাঠ করবে।
بَابُ مَنْ كَرِهَ الْقِرَاءَةَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ إِذَا جَهَرَ الْإِمَامُ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَأَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيِّ، وَابْنِ السَّرْحِ، قَالُوا: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، سَمِعْتُ ابْنَ أُكَيْمَةَ، يُحَدِّثُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ: صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلي الله عليه وسلم صَلَاةً نَظُنُّ أَنَّهَا الصُّبْحُ بِمَعْنَاهُ إِلَى قَوْلِهِ:مَا لِي أُنَازَعُ الْقُرْآنَ، قَالَ مُسَدَّدٌ فِي حَدِيثِهِ: قَالَ مَعْمَرٌ: فَانْتَهَى النَّاسُ عَنِ الْقِرَاءَةِ فِيمَا جَهَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلي الله عليه وسلم، وَقَالَ ابْنُ السَّرْحِ فِي حَدِيثِهِ: قَالَ مَعْمَرٌ: عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَانْتَهَى النَّاسُ، وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيُّ: مِنْ بَيْنِهِمْ، قَالَ سُفْيَانُ: وَتَكَلَّمَ الزُّهْرِيُّ بِكَلِمَةٍ لَمْ أَسْمَعْهَا، فَقَالَ مَعْمَرٌ: إِنَّهُ قَالَ: فَانْتَهَى النَّاسُ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَرَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَانْتَهَى حَدِيثُهُ إِلَى قَوْلِهِ:مَا لِي أُنَازَعُ الْقُرْآنَ، وَرَوَاهُا لْأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ فِيهِ: قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَاتَّعَظَ الْمُسْلِمُونَ بِذَلِكَ فَلَمْ يَكُونُوا يَقْرَءُونَ مَعَهُ فِيمَا جَهَرَ بِهِ صلي الله عليه وسلم
- صحيح
قَالَ أَبُو دَاوُدَ: سَمِعْت مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، قَالَ: قَوْلُهُ: فَانْتَهَى النَّاسُ مِنْ كَلَامِ الزُّهْرِيِّ
Abu Hurairah said:
The Messenger of Allah (ﷺ) led us in prayer, that was, we think, the dawn prayer, He further narrated this tradition up to the words “what is the matter with me that I have been contended with in (the recitation of ) the Qur’an.”
Abu Dawud said: Musaddad in his tradition said that Ma’mar said: The people ceased to recite (the Qur’an) at the prayer in which the Messenger of Allah (ﷺ) recited aloud. Ibn al-Sarh said in his version that Ma’mar reported from al-Zuhri on the authority of Abu Hurairah. Then the people ceased (to recite behind the imam). Another version says: Sufyan said: Al-Zuhri spoke a word that I could not hear. Then Ma’mar said: He said: Then people ceased (to recite the Qur’an)
Abu Dawud said: This tradition has been narrated by ‘Abd al-Raman b. Ishaq on the authority of al-Zuhri. This version ends at the words: “What is the matter with me that I am contended with in (the recitation of) the Qur’an. Al-Awza’i also narrated it on the authority of al-Zuhri. This version has: Al-Zuhri said: The Muslims took lesson from that and thenceforth they did not recite (the Qur’an) at the prayer in which he (the Prophet) recited aloud.
Abu Dawud said: I heard Muhammad b. Yaya b. Faris say: The words “the people ceased to recite (the Qur’an)” is a statement of al-zuhri.