পরিচ্ছেদঃ ৪৯. সালাত আদায়ের জন্য পায়ে হেঁটে (মসজিদে) যাওয়ার ফযীলত
৫৫৬। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মসজিদে থেকে যার (বাসস্থান) যত বেশী দূরে, সে তত বেশি সাওয়াবের অধিকারী।[1]
সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الْمَشْىِ إِلَى الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مِهْرَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " الأَبْعَدُ فَالأَبْعَدُ مِنَ الْمَسْجِدِ أَعْظَمُ أَجْرًا " .
- صحيح
Narrated AbuHurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: The further one is from the mosque , the greater will be one's reward.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯. সালাত আদায়ের জন্য পায়ে হেঁটে (মসজিদে) যাওয়ার ফযীলত
৫৫৭। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার জানা মতে মদীনার সালাত আদায়কারীদের মধ্যে জনৈক ব্যক্তির বাসস্থান মাসজিদ থেকে সবচেয়ে বেশি দূরে অবস্থিত ছিল। এ সত্ত্বেও তিনি সর্বদা পায়ে হেঁটে জামা’আতে উপস্থিত হতেন। আমি তাকে বললাম, আপনি একটি গাধা খরিদ করে নিলে গরম ও অন্ধকারে তাতে সওয়ার হয়ে আসতে পারতেন। তিনি বললেন, আমার ঘর মসজিদের নিকটবর্তী হোক, তা আমি অপচ্ছন্দ করি। একথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছলে তিনি তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি মসজিদে আসা ও মাসজিদ থেকে ঘরে ফেরার বিনিময়ে সাওয়াব লাভের প্রত্যাশা করি (তাই এরূপ বলেছি)। তিনি বললেনঃ তুমি যা পাওয়ার আশা করেছ, আল্লাহ তোমাকে তাই দিয়েছেন। তুমি যে সাওয়াবের প্রত্যাশা করেছ আল্লাহ তা পূর্ণরূপেই তোমার জন্য মঞ্জুর করেছেন।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الْمَشْىِ إِلَى الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ، أَنَّ أَبَا عُثْمَانَ، حَدَّثَهُ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ لَا أَعْلَمُ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ مِمَّنْ يُصَلِّي الْقِبْلَةَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ أَبْعَدَ مَنْزِلاً مِنَ الْمَسْجِدِ مِنْ ذَلِكَ الرَّجُلِ وَكَانَ لَا تُخْطِئُهُ صَلَاةٌ فِي الْمَسْجِدِ فَقُلْتُ لَوِ اشْتَرَيْتَ حِمَارًا تَرْكَبُهُ فِي الرَّمْضَاءِ وَالظُّلْمَةِ . فَقَالَ مَا أُحِبُّ أَنَّ مَنْزِلِي إِلَى جَنْبِ الْمَسْجِدِ فَنُمِيَ الْحَدِيثُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنْ قَوْلِهِ ذَلِكَ فَقَالَ أَرَدْتُ يَا رَسُولَ اللهِ أَنْ يُكْتَبَ لِي إِقْبَالِي إِلَى الْمَسْجِدِ وَرُجُوعِي إِلَى أَهْلِي إِذَا رَجَعْتُ . فَقَالَ " أَعْطَاكَ اللهُ ذَلِكَ كُلَّهُ أَنْطَاكَ اللهُ جَلَّ وَعَزَّ مَا احْتَسَبْتَ كُلَّهُ أَجْمَعَ " .
صحيح : م
Ubayy b. Ka’b said:
There was a certain person, out of all people of Medina, who used to pray in the mosque. I do not know that any one of them lived at a farther distance than that man. Still he never missed the prayer in congregation in the mosque. I said: it would be better if you buy a donkey and ride it in heat and darkness. He said: I do not like that my house be by the side of the mosque. The discourse reached the Messenger of Allah (ﷺ). He said him about it. He said: I did it so that my walking to the mosque and return to my home when I return be recorded. He said: Allah has granted all this to you; Allah has granted all that you reckoned.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯. সালাত আদায়ের জন্য পায়ে হেঁটে (মসজিদে) যাওয়ার ফযীলত
৫৫৮। আবূ উমামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফরয সালাতের জন্য অযু করে নিজ ঘর থেকে বের হবে, সে একজন ইহরামধারী হাজ্জীর সমান সাওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি চাশতের সালাত আদায় করার জন্য বের হবে, সে একজন ’উমরাহকারীর সমান সাওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত সালাত আদায়ের পর থেকে আরেক ওয়াক্ত সালাত আদায়ের মধ্যবর্তী সময়ে কোন বাজে কথা বা কাজ করবে না, তাকে ইল্লিন-এ লিপিবদ্ধ করা হবে (অর্থাৎ তার মর্যাদা সুউচ্চ হবে)।[1]
হাসান।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الْمَشْىِ إِلَى الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ مُتَطَهِّرًا إِلَى صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ فَأَجْرُهُ كَأَجْرِ الْحَاجِّ الْمُحْرِمِ وَمَنْ خَرَجَ إِلَى تَسْبِيحِ الضُّحَى لَا يُنْصِبُهُ إِلَّا إِيَّاهُ فَأَجْرُهُ كَأَجْرِ الْمُعْتَمِرِ وَصَلَاةٌ عَلَى أَثَرِ صَلَاةٍ لَا لَغْوَ بَيْنَهُمَا كِتَابٌ فِي عِلِّيِّينَ " .
حسن
Narrated AbuUmamah:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: If anyone goes out from his house after performing ablution for saying the prescribed prayer in congregation (in the mosque), his reward will be like that of one who goes for hajj pilgrimage after wearing ihram (robe worn by the hajj pilgrims).
And he who goes out to say the mid-morning (duha) prayer, and takes the trouble for this purpose, will take the reward like that of a person who performs umrah. And a prayer followed by a prayer with no worldly talk during the gap between them will be recorded in Illiyyun.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯. সালাত আদায়ের জন্য পায়ে হেঁটে (মসজিদে) যাওয়ার ফযীলত
৫৫৯। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি ঘরে ও বাজারে (একাকী) সালাত আদায় অপেক্ষা জামা’আতে সালাত আদায় করলে পঁচিশ গুণ বেশি সাওয়াব পাবে। কেননা তোমাদের কেউ যখন উত্তমরূপে অযু করে শুধুমাত্র সালাতের উদ্দেশেই মসজিদে যায়, এবং একমাত্র সালাতই তাকে (ঘর থেকে) বের করে, তাহলে মসজিদে পৌঁছা পর্যন্ত তার প্রতিটি পদক্ষেপে একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং একটি করে গুনাহ ক্ষমা হয়। মসজিদে প্রবেশ করার পর সেখানে যতক্ষণ পর্যন্ত সে সালাতের জন্য অবস্থান করবে ততক্ষণ তাকে সালাতের মধ্যেই গণ্য করা হবে। সে যতক্ষণ পর্যন্ত তার সালাত আদায়ের স্থানে অবস্থান করে মালায়িকাহ্ তার জন্য এই বলে দু’আ করতে থাকেঃ ’’হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন। হে আল্লাহ! তার তওবা্ কবুল করুন।’’ যতক্ষণ পর্যন্ত সে কাউকে কষ্ট না দেয় অথবা তার অযু না ভাঙ্গে ততক্ষণ পর্যন্ত মালায়িকাহ্ (ফিরিশতাগণ) তার জন্য এরূপ দু’আ করতে থাকে।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الْمَشْىِ إِلَى الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " صَلَاةُ الرَّجُلِ فِي جَمَاعَةٍ تَزِيدُ عَلَى صَلَاتِهِ فِي بَيْتِهِ وَصَلَاتِهِ فِي سُوقِهِ خَمْسًا وَعِشْرِينَ دَرَجَةً وَذَلِكَ بِأَنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ وَأَتَى الْمَسْجِدَ لَا يُرِيدُ إِلَّا الصَّلَاةَ وَلَا يَنْهَزُهُ إِلَّا الصَّلَاةُ لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلَّا رُفِعَ لَهُ بِهَا دَرَجَةٌ وَحُطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةٌ حَتَّى يَدْخُلَ الْمَسْجِدَ فَإِذَا دَخَلَ الْمَسْجِدَ كَانَ فِي صَلَاةٍ مَا كَانَتِ الصَّلَاةُ هِيَ تَحْبِسُهُ وَالْمَلَائِكَةُ يُصَلُّونَ عَلَى أَحَدِكُمْ مَا دَامَ فِي مَجْلِسِهِ الَّذِي صَلَّى فِيهِ يَقُولُونَ اللهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللهُمَّ ارْحَمْهُ اللهُمَّ تُبْ عَلَيْهِ مَا لَمْ يُؤْذِ فِيهِ أَوْ يُحْدِثْ فِيهِ " .
صحيح : ق
Abu Hurairah reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
Prayer said by a man in congregation is twenty five degrees more excellent than prayer said by him alone in his house or in the market. This is because when any of you performs ablution and does it perfectly, and goes out to the mosque having no intention except praying, and nothing moves him except prayer, then at every step which he takes his rank is elevated by one degree on account of this (walking), and one sin is remitted from him for this (walking), till he enters the mosque. When he enters the mosque, he will be reckoned as praying as long as he will be detained by the prayer. The angels keep on invoking blessing on any of you so long as he remains seated in the place he prayer, saying: O Allah, forgive him; O Allah, have mercy on him; O Allah, accept his repentance so long as he does not harm anyone, or breaks his ablution.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯. সালাত আদায়ের জন্য পায়ে হেঁটে (মসজিদে) যাওয়ার ফযীলত
৫৬০। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জামা’আতের সাথে এক ওয়াক্ত সালাত (একাকী) পঁচিশ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের সমান। কেউ কোন খোলা মাঠে (জামা’আতের সাথে) পূর্ণরূপে রুকু’-সিজদা্ সহকারে সালাত আদায় করলে সে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাতের সাওয়াব পাবে।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ’আবদুল ওয়াহিদ ইবনু যিয়াদ এ হাদীস বর্ণনা করেছেনঃ কোন ব্যক্তির মাঠে বা জঙ্গলে (জামা’আতে) সালাত আদায় করা (অন্যত্র) জামা’আতে সালাতের উপর কয়েকগুণ বেশি সাওয়াব হবে, অতঃপর পুরো হাদীস বর্ণনা করেন।[1]
সহীহ : বুখারীতে এর প্রথমাংশ।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الْمَشْىِ إِلَى الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " الصَّلَاةُ فِي جَمَاعَةٍ تَعْدِلُ خَمْسًا وَعِشْرِينَ صَلَاةً فَإِذَا صَلَّاهَا فِي فَلَاةٍ فَأَتَمَّ رُكُوعَهَا وَسُجُودَهَا بَلَغَتْ خَمْسِينَ صَلَاةً " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ فِي الْحَدِيثِ " صَلَاةُ الرَّجُلِ فِي الْفَلَاةِ تُضَاعَفُ عَلَى صَلَاتِهِ فِي الْجَمَاعَةِ " . وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
صحيح : خ الشطرالأول منه
Narrated AbuSa'id al-Khudri:
Prayer in congregation is equivalent to twenty-five prayers (offered alone). If he prays in a jungle, and performs its bowing and prostrations perfectly, it becomes equivalent to fifty prayers (in respect of reward).
Abu Dawud said: 'Abd al-Walid b. Ziyad narrated in his version of this tradition: "Prayer said by a single person in a jungle is more excellent by multiplied degrees than prayer said in congregation."