পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত
৩৪৬৭. নাওফ আল বিকালী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ কুরআনকে তিনটি অংশে বিভক্ত করেছেন। অত:পর তিনি “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১)-কে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ বানিয়েছেন।[1]
তাখরীজ: আমি এটি এখানে ব্যতীত আর কোথাও পাইনি।
باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ حَدَّثَنَا إِيَاسٌ الْبِكَالِيُّ عَنْ نَوْفٍ الْبِكَالِيِّ قَالَ إِنَّ اللَّهَ جَزَّأَ الْقُرْآنَ عَلَى ثَلَاثَةِ أَجْزَاءٍ فَجَعَلَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ثُلُثَ الْقُرْآنِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত
৩৪৬৮. সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) দশবার পাঠ করবে, জান্নাতে তার জন্য একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে। যে ব্যক্তি তা বিশবার পাঠ করবে, জান্নাতে তার জন্য দু’টি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে। যে ব্যক্তি তা ত্রিশবার পাঠ করবে, জান্নাতে তার জন্য তিনটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে।” তখন উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন: আল্লাহর কসম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহলে তো আমাদের অনেক প্রাসাদ হবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “আল্লাহ (এর ভাণ্ডার) এ থেকেও অধিক প্রশস্ত।”[1]
তাখরীজ: তাবারাণী, আওসাত নং ২৮৩ আবী হুরাইরা হতে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে …। এ সনদে দু’জন যয়ীফ রাবী রয়েছে।
তবে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে মুয়ায ইবনু আনাস হতে আহমাদ ৩/৪৩৭ এ, যা ইবনু কাছীর তার তাফসীর, ৫/২৫১; ইবনুস সু্ন্নী, আমলুল ইয়াওমী ওয়াল লাইলাহ নং ৬৯৩; উকাইলী, আয যু’আফা ২/৯৬; তাবারাণী, কাবীর ২০/১৮৪ নং ৩৯৭ ও ৩৯৮ যয়ীফ সনদে।
আমাদের বক্তব্য: মুরসাল সহ এ সকল বর্ণনাগুলি একটি অপরটিকে শক্তিশালী করবে ফলে হাদীসটি হাসান স্তরে উন্নীত হবে, আল্লাহই ভাল জানেন।
باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو عَقِيلٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَرَأَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ عَشْرَ مَرَّاتٍ بُنِيَ لَهُ بِهَا قَصْرٌ فِي الْجَنَّةِ وَمَنْ قَرَأَ عِشْرِينَ مَرَّةً بُنِيَ لَهُ بِهَا قَصْرَانِ فِي الْجَنَّةِ وَمَنْ قَرَأَهَا ثَلَاثِينَ مَرَّةً بُنِيَ لَهُ بِهَا ثَلَاثَةُ قُصُورٍ فِي الْجَنَّةِ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَنْ لَتَكْثُرَنَّ قُصُورُنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللَّهُ أَوْسَعُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَبُو عَقِيلٍ زُهْرَةُ بْنُ مَعْبَدٍ وَزَعَمُوا أَنَّهُ كَانَ مِنْ الْأَبْدَالِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত
৩৪৬৯. উতবাহ ইবনু যামরাহ ইবনু হাবীব তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, যে, তিনি যখন কোন সুরাহ পাঠ শেষ করতেন তখন তারপরই তিনি “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) পাঠ করতেন।[1]
তাখরীজ: আমি এটি এখানে ব্যতীত আর কোথাও পাইনি।
باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ ضَمْرَةَ بْنِ حَبِيبٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَرَأَ سُورَةً فَخَتَمَهَا أَتْبَعَهَا بِقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত
৩৪৭০. আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ কি এতে অক্ষম যে, এক রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পড়বে?” তারা (সাহাবাগণ) বললেন, কুরআনের তৃতীয়াংশ পড়তে তো আমরা অক্ষম অথবা দুর্বল। তখন তিনি বললেন, “আল্লাহ কুরআনকে তিনটি অংশে বিভক্ত করেছেন। অত:পর তিনি “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১)-কে কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য বানিয়েছেন।”[1]
তাখরীজ: আবূ দাউদ তায়ালিসী ২/২৭ নং ১৯৯২;; আহমাদ ৫/১৯৫, ৬/৪৪২, ৪৪৭; আব্দ ইবনু হুমাইদ, আল মুনতাখাব নং ২১১; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৮১১; নাসাঈ, আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইল নং ৭০১; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৫২; আব্দুর রহমান ইবনু আহমাদ আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ১০৫; আবূ উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. নং ২৬৮-২৬৯; আবূ নুয়াইম, যিকরু আখবারিল আসবাহান ২/২৮৬; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৭/২৫৭; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫৩৪।
باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبَانَ بْنِ يَزِيدَ الْعَطَّارِ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ فِي لَيْلَةٍ ثُلُثَ الْقُرْآنِ قَالُوا نَحْنُ أَعْجَزُ وَأَضْعَفُ مِنْ ذَلِكَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ جَزَّأَ الْقُرْآنَ ثَلَاثَةَ أَجْزَاءٍ فَجَعَلَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ثُلُثَ الْقُرْآنِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত
৩৪৭১. হুমাইদ ইবনু আব্দুর রহমান হতে বর্ণিত, আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য।[1]
তাখরীজ: তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৯০১; ইবনু মাজাহ, আদাব ৩৭৮৭; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৪৮; তাহাবী, মুশকিলিল আছার নং ১২২১, ১২২২; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৭/২৫৪ আবূ হুরাইরা হতে মারফু’ হিসেবে; এর সনদ সহীহ।
এছাড়াও, এর সহীহ শাহিদ রয়েছে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬১৮০ তে। আরও দেখুন, বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫৩৭।
باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَعِيلَ بْنِ مُجَمِّعٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ أَنَّ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يَقُولُ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ تَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত
৩৪৭২. যির হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস: ১) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য।”[1]
তাখরীজ: দেখুন পরবর্তী হাদীসটি।
باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
أَخْبَرَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ عَنْ سَلَّامِ بْنِ أَبِي مُطِيعٍ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ زِرٍّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ تَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত
৩৪৭৩. (অপর সনদে) যির হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে অনুরূপ বর্ণিত আছে।[1]
তাখরীজ: নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫০৯, ১০৫১১; আবী উবাইদ, ফাযাইলুল কুরআন পৃ. ২৬৮; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৪৩, ২৬২; আব্দুর রহমান ইবনু আহমাদ আর রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ১০৬ যয়ীফ সনদে; তাবারাণী, কাবীর ১০/১৭২ নং ১০২৪৫, ১০৪৮৪ মারফু’ হিসেবে; তায়ালিসী ২/২৬ নং ১৯৯১; ইবনুস সু্ন্নী, আমলুল ইয়াওমী ওয়াল লাইলাহ নং ৬৯২; তাহাবী, মুশকিলিল আছার নং ২/৮০; বাযযার, বাহরুয যুখ্খার নং ১৮৬৬ যা কাশফুল আস্তার ৩/৮৫ নং ২২৯৮; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৭/২২৪-২২৫ মারফু’ হিসেবে সহীহ সনদে। ইবনু মাজাহ, আদাব ৩৭৮৯; আহমাদ ৪/১২২ সহীহ সনদে।…
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৫৭৬; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬৬৬ তে।
باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ زِرٍّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ مِثْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত
৩৪৭৪. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি বললো, আল্লাহর কসম, আমি অবশ্যই এ সূরাহ ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস: ১)-কে ভালবাসি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “এ সূরাহ’র ভালবাসাই তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৩৩৬; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৯৩, ৭৯৪; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৭৭৪, ১৭৭৫ তে।
এছাড়াও, রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ১০৮; ইবনুস সু্ন্নী, আমলুল ইয়াওমী ওয়াল লাইলাহ নং ৬৯০; ইবনু খুযাইমা নং ৫৩৭; আব্দ ইবনু হুমাইদ, আল মুনতাখাব নং ১৩০৬।
باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَجُلًا قَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لَأُحِبُّ هَذِهِ السُّورَةَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُبُّكَ إِيَّاهَا أَدْخَلَكَ الْجَنَّةَ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত
৩৪৭৫. হুমাইদ ইবনু আব্দুর রহমান তার মাতা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তখন তিনি বলেন, “কুরআনের এক তৃতীয়াংশ অথবা তার সমান।”[1]
তাখরীজ: রাযী, ফাযাইলুল কুরআন নং ১০৭; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৪২; তাবারাণী, কাবীর ২৫/৭৪ নং ১৮২; আওসাত- মাজমাউল বাহরাইন নং ৩৪৩৪; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৭/২৫২; আহমাদ ৬/৪০৪; নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫৩১।
মালিক, কুরআন ১৯, মুরসালরূপে এবং আবূ সাঈদ হতে সহীহ সনদে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৯১ তে।…
باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ شِهَابٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أُمِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ فَقَالَ ثُلُثُ الْقُرْآنِ أَوْ تَعْدِلُهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত
৩৪৭৬. এক মহিলা আনসারী সূত্রে আবূ আইয়্যুব আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি সে মহিলার নিকট আগমণ করে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন, সে দিকে কি তোমরা লক্ষ্য কর না? মহিলা বললো, সম্ভবত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য কল্যাণই নিয়ে এসেছেন। তবে তা কি? তিনি বললেন, তিনি আমাদের বলেন: “তোমাদের কেউ কি এতে অক্ষম যে, এক রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পড়বে?” তিনি বলেন, আমরা আশংকা করলাম যে, তিনি হয়তো (কুরআন পাঠের) বাড়তি নির্দেশ দিবেন, যা পালন করতে আমরা অক্ষম। ফলে আমরা তাঁর কথার প্রতি উত্তর দিলাম না। এমনকি তিনি তিনবার একথাটি বললেন। এরপর তিনি বললেন, “তোমাদের কেউ কি এতে সক্ষম নয় যে, সে “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) পাঠ করবে?”[1]
তাখরীজ: তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৮৯৮; নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫১৪, ১০৫১৬, ১০৫১৭, ১০৫১৯; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৫৪, ২৫৯,২৬৮,; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৭/২৫৫-২৫৬। …
আমাদের বক্তব্য: হাদীসটি সহীহ। দেখুন, এর শাহিদ হিসেবে আবী সাঈদ খুদরীর হাদীসের উপর আমাদের টীকাটি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১০১৮ তে।
باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ هِلَالٍ عَنْ الرَّبِيعِ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ امْرَأَةٍ مِنْ الْأَنْصَارِ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ أَتَاهَا فَقَالَ أَلَا تَرَيْنَ إِلَى مَا جَاءَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ رُبَّ خَيْرٍ قَدْ أَتَانَا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَا هُوَ قَالَ قَالَ لَنَا أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ ثُلُثَ الْقُرْآنِ فِي لَيْلَةٍ قَالَ فَأَشْفَقْنَا أَنْ يُرِيدَنَا عَلَى أَمْرٍ نَعْجِزُ عَنْهُ فَلَمْ نَرْجِعْ إِلَيْهِ شَيْئًا حَتَّى قَالَهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ أَمَا يَسْتَطِيعُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ اللَّهُ الْوَاحِدُ الصَّمَدُ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সুরাহ ইখলাস) এর ফযীলত
৩৪৭৭. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) পঞ্চাশবার পাঠ করবে, আল্লাহ তার পঞ্চাশ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।”[1]
তাখরীজ: ইবনু কাছীর, তাফসীর ৮/৫৪৪ তে একে আবু ইয়ালা মাউসিলী’র প্রতি সম্বোন্ধিত করেছেন। কিন্তু আমি মাউসিলীর কোন কিতাবে পাইনি। এবং মাউসিলীর ছাত্রদের মধ্যে ইবনু হিব্বানের সহীহ তেও পাইনি।
তবে তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৯০০; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫৪৭, ২৫৪৮; মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৩৬৫; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৬/২০৪ অন্য সনদে আনাস হতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণান করেছেন: “যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) দু’শবার পাঠ করবে, তার পঞ্চাশ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” এর সনদ অত্যন্ত দুর্বল।
এছাড়াও, ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৬৬; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫৬৪; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৬/১৮৭ তে অপর সুত্রে আনাস হতে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন: ““যে ব্যক্তি “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” (সুরাহ ইখলাস: ১) দু’শবার পাঠ করবে, তার দু’শ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” এর সনদও দুর্বল। এর বক্তব্য মুযতারিব (বিক্ষিপ্ত); এতে অস্বীকৃতি রয়েছে। আল্লাহই ভাল জানেন।
باب فِي فَضْلِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ نُوحِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ مُحَمَّدٍ الْعَطَّارِ عَنْ أُمِّ كَثِيرٍ الْأَنْصَارِيَّةِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَرَأَ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ خَمْسِينَ مَرَّةً غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ذُنُوبَ خَمْسِينَ سَنَةً