পরিচ্ছেদঃ ৭. এক তৃতীয়াংশ সম্পদ ওয়াসীয়াত করা
৩২৩৪. মুহাম্মদ ইবনু সা’দ তার পিতা সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন যে, মক্কায় অবস্থানকালে (বিদায় হজ্জে তিনি রোগে তিনি আক্রান্ত হলে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার খোঁজ খবর নেয়ার জন্য আসলেন। আর তার এক কন্যা ব্যতীত আর কেউই ছিল না। (তিনি বর্ণনা করেন,) আমি তাঁর কাছে নিবেদন করলাম, একমাত্র কন্যা ছাড়া কেউ আমার উত্তরাধিকারী নেই। তবে আমি কি আমার পুরো সম্পদ ওয়াসীয়াত (সাদাকার জন্য) করতে পারি কি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, “না।” আমি আবার নিবেদন করলাম, তাহলে অর্ধেক ওয়াসীয়াত করি? তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বললেন, “না।” তিনি বললেন, তাহলে এক তৃতীয়াংশ ওয়াসীয়াত করি? তিনি বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “এক তৃতীয়াংশ করতে পারো, তবে এক তৃতীয়াংশও অনেক।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, জানাইয ১২৯৫; মুসলিম, ওয়াসিয়া ১৬২৮।
পূর্ণ তাখরীজের জন্য পরবর্তী টীকাটি দেখুন।
باب الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهِ وَهُوَ بِمَكَّةَ وَلَيْسَ لَهُ إِلَّا ابْنَةٌ فَقُلْتُ لَهُ إِنَّهُ لَيْسَ لِي إِلَّا ابْنَةٌ وَاحِدَةٌ فَأُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا قُلْتُ فَأُوصِي بِالنِّصْفِ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا قَالَ فَأُوصِي بِالثُّلُثِ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ
পরিচ্ছেদঃ ৭. এক তৃতীয়াংশ সম্পদ ওয়াসীয়াত করা
৩২৩৫. আমির ইবনু সা’দ তার পিতা (সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জের বছরে আমি মক্কা্য় এমন অসুস্থ হয়ে পড়লাম যে মরণের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সেবা শুশ্রূষা করার জন্য আমার কাছে আসলেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার ধারণা এছাড়া আর কিছু নয় যে, আমার (সময়) শেষ হয়ে এসেছে। আমার অনেক ধন-সম্পদ আছে। আর আমার একমাত্র উত্তরাধিকারিণী এক মেয়ে। এমতাবস্থায় আমি কি আমার পুরো সম্পদ সাদাকার জন্য করবো? তিনি বললেন, “না।” আমি বললাম, তাহলে কি অর্ধেক দান করব? তিনি বললেন, “না।” আমি বললাম, এক-তৃতীয়াংশ কি দান করব? তিনি বললেনঃ “এক-তৃতীয়াংশ, তবে এক-তৃতীয়াংশও তো অনেক। তুমি তোমার সন্তানকে সচ্ছল অবস্থায় রেখে যাবে সেটাই উত্তম তাকে এমন অভাবগ্রস্ত রেখে যাওয়ার চেয়ে যে অবস্থায় সে মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষে করবে। তুমি যা-ই খরচ করবে তার বিনিময় আল্লাহ তোমাকে দেবেন। এমন কি যে লোকমাটি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দাও তারও বিনিময় দেয়া হবে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, ফারাইয ৬৭৩৩; মুসলিম, ওয়াসিয়া ১৬২৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭২৭, ৭৪৭; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৪৯ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬৬ তে।
باب الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ اشْتَكَيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ حَتَّى أُدْنِفْتُ فَدَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أُرَانِي إِلَّا لِمَا بِي وَأَنَا ذُو مَالٍ كَثِيرٍ وَإِنَّمَا يَرِثُنِي ابْنَةٌ لِي أَفَأَتَصَدَّقُ بِمَالِي كُلِّهِ قَالَ لَا قُلْتُ فَبِنِصْفِهِ قَالَ لَا قُلْتُ فَالثُّلُثِ قَالَ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ إِنَّكَ إِنْ تَتْرُكْ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَتْرُكَهُمْ فُقَرَاءَ يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ بِأَيْدِيهِمْ وَإِنَّكَ لَا تُنْفِقُ نَفَقَةً إِلَّا آجَرَكَ اللَّهُ فِيهَا حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي فِي امْرَأَتِكَ