পরিচ্ছেদঃ ২. ওয়াসীয়াতের ফযীলত
৩২১৭. কাসিম ইবনু উমার (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে ছুমামাহ ইবনু হাযন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তোমার পিতার কী অবস্থা? আমি বললাম, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি বললেন, তবে তিনি কি কোন ওয়াসীয়াত করে গেছেন? কেননা, বর্ণিত হয়েছে যে, যখন কোনো লোক ওয়াসীয়াত করে তখন তার যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো কমতি বা ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে থাকলে ওয়াসীয়াত তার ক্ষতিপুরণ হয়ে যায়।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২০৫ নং ১০৯৮২; আব্দুর রাযযাক নং ১৬৩৩০; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ৩৪৬।
باب فَضْلِ الْوَصِيَّةِ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ لِي ثُمَامَةُ بْنُ حَزْنٍ مَا فَعَلَ أَبُوكَ قُلْتُ مَاتَ قَالَ فَهَلْ أَوْصَى فَإِنَّهُ كَانَ يُقَالُ إِذَا أَوْصَى الرَّجُلُ كَانَ وَصِيَّتُهُ تَمَامًا لِمَا ضَيَّعَ مِنْ زَكَاتِهِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد وَقَالَ غَيْرُهُ الْقَاسِمُ بْنُ عَمْرٍو
পরিচ্ছেদঃ ২. ওয়াসীয়াতের ফযীলত
৩২১৮. শা’বী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি কোনো ওয়াসীয়াত করলো, যেখানে সে কোনো জুলুম-বাড়াবাড়ি ও অন্যায় করেনি, তার জীবদ্দশায় তা সাদাকা করলে যে সাওয়াব পেতো, এ জন্য সে অনুরূপ সাওয়াব পাবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২০৩ নং ১০৯৭৯; আব্দুর রাযযাক নং ১৬৩২৯; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ২৪৫।
باب فَضْلِ الْوَصِيَّةِ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ كَانَ يُقَالُ مَنْ أَوْصَى بِوَصِيَّةٍ فَلَمْ يَجُرْ وَلَمْ يَحِفْ كَانَ لَهُ مِنْ الْأَجْرِ مِثْلُ مَا أَنْ لَوْ تَصَدَّقَ بِهِ فِي حَيَاتِهِ
পরিচ্ছেদঃ ২. ওয়াসীয়াতের ফযীলত
৩২১৯. কায’আহ (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হারিম ইবনু হাইয়ানকে বলা হলো, আপনি আমাদেরকে ওয়াসীয়াত করুন (উপদেশ দিন)। তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে সুরা নাহলের শেষের কয়েকটি আয়াত ওয়াসীয়াত করছি’- এ কথা বলে তিনি তিলাওয়াত করলেন, “তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান কর হিকমাত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে যুক্তিতর্ক কর সদ্ভাবে; তোমার প্রতিপালক, তাঁর পথ ছেড়ে কে বিপদগামী হয় সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত এবং কে সত্পথে আছে তাও সবিশেষ অবহিত। যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঠিক ততখানি প্রতিশোধ গ্রহণ করবে যতখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়েছে; তবে তোমরা ধৈর্য্যধারণ করলে ধৈর্য্যশীলদের জন্য ওটাও তো উত্তম। তুমি ধৈর্য্যধারণ করো, তোমার ধৈর্য্য তো হবে আল্লাহর সাহায্যে; তাদের জন্য দু:খ করো না এবং তাদের ষড়যন্ত্রে তুমি মনক্ষুণ্ন হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরই সঙ্গে আছেন, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যারা সত্কর্ম পরায়ণ।”[1] (সুরা নাহল: আয়াত ১২৫-১২৮)
তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ২/১২১; ইবনু আবী শাইবা ১৩/৫৬২ নং ১৭২৮৩ সহীহ সনদে; আহমাদ, যুহদ পৃ: ২৩১।
باب فَضْلِ الْوَصِيَّةِ
أَخْبَرَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي يُونُسَ عَنْ قَزَعَةَ قَالَ قِيلَ لِهَرِمِ بْنِ حَيَّانَ أَوْصِهْ قَالَ أُوصِيكُمْ بِالْآيَاتِ الْأَوَاخِرِ مِنْ سُورَةِ النَّحْلِ وَقَرَأَ ابْنُ حَيَّانَ ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ إِلَى قَوْلِهِ وَالَّذِينَ هُمْ مُحْسِنُونَ