পরিচ্ছেদঃ ৩৭. ডুবে মরা ব্যক্তির মীরাছ সম্পর্কে
৩০৮৩. খারিজাহ ইবনু যাইদ হতে বর্ণিত, যাইদ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, প্রত্যেক লোকই (ফারাইযের নিয়ামানুযায়ী) পরস্পরের ওয়ারিস হয়, তবে কূপে পড়ে বা ডুবে যাদের মৃত্যু হয়, যার (মৃত্যু পরম্পরা) অজ্ঞাত থেকে যায়, তবে তারা পরস্পরের ওয়ারিস হবে না। বরং তারা জীবিত (আত্মীয়-স্বজনদের)-ই তাদের ওয়ারিস হবে।[1]
তাখরীজ: সাঈদ ইবনু মানসূর নং ৪৪১; দারুকুতনী ৪/১১৯; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২২২; আব্দুর রাযযাক ১৯১৬০, ১৯১৬৬।
باب مِيرَاثِ الْغَرْقَى
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ كُلُّ قَوْمٍ مُتَوَارِثِينَ عَمِيَ مَوْتُهُمْ فِي هَدْمٍ أَوْ غَرَقٍ فَإِنَّهُمْ لَا يَتَوَارَثُونَ يَرِثُهُمْ الْأَحْيَاءُ
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. ডুবে মরা ব্যক্তির মীরাছ সম্পর্কে
৩০৮৪. ইয়াহইয়া ইবনু আতীক (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমার ইবনু আব্দুল আযীয (রহঃ) এর কোনো কোনো চিঠিতে সেই সব লোকদের সম্পর্কে পড়েছি যাদের উপর বাড়ি ধ্বসে পড়েছিল, ফলে কার পূর্বে কে মারা গেছে তা জানা যায়নি। তিনি (এদের সম্পর্কে) বলেন, মৃত ব্যক্তি একে অপরের ওয়ারিস হবে না; বরং তাদের জীবিতরাই ওয়ারিস হবে।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক ১৯১৬১; ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৪৫ নং ১১৩৯৫ মুনকাতি’ সনদে; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ২৪২ মুনকাতি’ সনদে।
باب مِيرَاثِ الْغَرْقَى
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ عَتِيقٍ قَالَ قَرَأْتُ فِي بَعْضِ كُتُبِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي الْقَوْمِ يَقَعُ عَلَيْهِمْ الْبَيْتُ لَا يُدْرَى أَيُّهُمَا مَاتَ قَبْلُ قَالَ لَا يُوَرَّثُ الْأَمْوَاتُ بَعْضُهُمْ مِنْ بَعْضٍ وَيُوَرَّثُ الْأَحْيَاءُ مِنْ الْأَمْوَاتِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. ডুবে মরা ব্যক্তির মীরাছ সম্পর্কে
৩০৮৫. জা’ফর (রহঃ) তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, উম্মু কুলছুম ও তার এক ছেলে যাইদ একই দিনে মৃত্যু বরণ করেন। তখন দু’জন শোরগোলকারিণী তার (সম্পদের বন্টন) পদ্ধতির দিকে মনোযোগ দিল। কিন্তু তার সঙ্গীদের কেউই তার ওয়ারিস হয়নি। হাররাহ’ বাসীগণ পরস্পরের ওয়ারিস হয়নি, আবার সিফফীন বাসীরাও পরস্পরের ওয়ারিস হয়নি।[1]
তাখরীজ: সাঈদ ইবনু মানসূর নং ২৪০; অপর সনদে একটি মুতাবিয়াত রয়েছে বাইহাকী, ফারাইয ৬/২২২।
باب مِيرَاثِ الْغَرْقَى
حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ أُمَّ كُلْثُومٍ وَابْنَهَا زَيْدًا مَاتَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ فَالْتَقَتْ الصَّائِحَتَانِ فِي الطَّرِيقِ فَلَمْ يَرِثْ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِنْ صَاحِبِهِ وَأَنَّ أَهْلَ الْحَرَّةِ لَمْ يَتَوَارَثُوا وَأَنَّ أَهْلَ صِفِّينَ لَمْ يَتَوَارَثُوا
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. ডুবে মরা ব্যক্তির মীরাছ সম্পর্কে
৩০৮৬. শা’বী (রহঃ) হতে বর্ণিত, শামে লোকদের উপর একটি বাড়ি ধ্বসে পড়লে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাদের একে অপরের ওয়ারিস সাব্যস্ত করেছেন।[1]
তাখরীজ: সাঈদ ইবনু মানসূর নং ২২৯, ২৩০, ২৩২; ইবনু আবী শাইবা১১/৩৪৩ নং ১১৩৯০।
باب مِيرَاثِ الْغَرْقَى
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي لَيْلَى عَنْ الشَّعْبِيِّ أَنَّ بَيْتًا بِالشَّامِ وَقَعَ عَلَى قَوْمٍ فَوَرَّثَ عُمَرُ بَعْضَهُمْ مِنْ بَعْضٍ
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. ডুবে মরা ব্যক্তির মীরাছ সম্পর্কে
৩০৮৭. হুরাইশ তার পিতার সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সিফফীনের যুদ্ধে নিহত দু’ভাই হতে ওয়ারিস সাব্যস্ত করেছেন: দু’ জনের দ্বিতীয় জনকে।[1]
তাখরীজ: বুখারী, কাবীর ৩/১৩২; আব্দুর রাযযাক ১৯১৫২; ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৪৩-৩৪৪ নং ১১৩৯১।
باب مِيرَاثِ الْغَرْقَى
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ حُرَيْشٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّهُ وَرَّثَ أَخَوَيْنِ قُتِلَا بِصِفِّينَ أَحَدَهُمَا مِنْ الْآخَرِ