পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
২৯৮৯. ইবরাহীম (রহঃ) হতে বর্ণিত, লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তার মীরাছ পাবে তার মাতা।[1]
তাথরীজ: হাকিম, ৪/৩৪১; আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১২৪৭৯ মুনকাতি সনদে; ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৩৭ নং ১১৩৬৮; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৫৮।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ فِي ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ قَالَ مِيرَاثُهُ لِأُمِّهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
২৯৯০. ইবরাহীম ইবনু তাহমান (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে এক ব্যক্তি কর্তৃক আতাকে জিজ্ঞাসা করতে শুনলাম যে, তার মীরাছ কে পাবে? তিনি বললেন, তার মাতা ও মাতার পরিবার।[1]
তাথরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১২৪৮৩ সহীহ সনদে।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
أَخْبَرَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ رَجُلًا سَأَلَ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ وَلَدِ الْمُتَلَاعِنَيْنِ لِمَنْ مِيرَاثُهُ قَالَ لِأُمِّهِ وَأَهْلِهَا
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
২৯৯১. শা’বী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের পুত্রের মীরাছ যে বৈপিত্রেয় ভাই ও তার মাকে রেখে মৃত্যু বরণ করেছে, তার সম্পর্কে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তার ভাই পাবে এক ষষ্ঠাংশ, মা পাবে এক তৃতীয়াংশ; অত:পর তাদের উভয়কে (’রদ’ তথা) পুনরায় দেওয়া হবে। তখন তার ভাইয়ের অংশ হয়ে যাবে এক তৃতীয়াংশ, আর মাতার হয়ে যাবে দুই তৃতীয়াংশ। আর ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তার ভাই পাবে এক ষষ্ঠাংশ, মা পাবে অবশিষ্ট সমুদয় সম্পদ।[1]
তাথরীজ: সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১১৯; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৫৮; ইবনু আবী শাইবা ১১/২৪১ নং ১১৩৮৩ অজ্ঞাত সনদে।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا حَسَنٌ عَنْ أَبِي سَهْلٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ قَالَ عَلِيٌّ فِي ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ تَرَكَ أَخَاهُ لِأُمِّهِ وَأُمَّهُ لِأَخِيهِ السُّدُسُ وَلِأُمِّهِ الثُّلُثُ ثُمَّ يُرَدُّ عَلَيْهِمْ فَيَصِيرُ لِلْأَخِ الثُّلُثُ وَلِلْأُمِّ الثُّلُثَانِ وَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ لِأَخِيهِ السُّدُسُ وَمَا بَقِيَ فَلِلْأُمِّ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
২৯৯২. আবী সাহল হতে বর্ণিত, লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের পুত্র যে ভ্রাতুষ্পুত্র ও দাদা রেখে মৃত্যুবরণ করেছে, তা মীরাছ সম্পর্কে শা’বী (রহঃ) বলেন, তার সমুদয় সম্পদ পাবে তার ভ্রাতুষ্পুত্র।[1]
তাথরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২৪১ নং ১১৩৮২ অজ্ঞাত সনদে।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا حَسَنٌ عَنْ أَبِي سَهْلٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ فِي ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ تَرَكَ ابْنَ أَخٍ وَجَدًّا قَالَ الْمَالُ لِابْنِ الْأَخِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
২৯৯৩. সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব (রহঃ) লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে যাইদ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তার মাতা পাবে এক তৃতীয়াংশ এবং দু’ই তৃতীয়াংশ সম্পদ বায়তুল মাল (রাষ্ট্রীয় কোষাগার)-এ জমা হবে।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১২৪৮৫; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৫৮-২৫৯।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ عَامِرٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ لِأُمِّهِ الثُّلُثُ وَالثُّلُثَانِ لِبَيْتِ الْمَالِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
২৯৯৪. ইবরাহীম (রহঃ) হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তার (লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের পুত্রের) মীরাছ তার মাতা পাবে, আর তার মায়ের আসাবা বঞ্চিত হবে।[1]
আর কাতাদা (রহঃ) হাসান (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তার মাতা পাবে এক তৃতীয়াংশ এবং অবশিষ্ট সমুদয় সম্পদ তার মায়ের আসাবা পাবে।[2]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৩৬, ৩৩৭ নং ১১৩৬৫, ১১৩৬৯; হাকিম, ৪/৩৪১ (হাকিম বলেন: এর সকল রাবী বিশ্বস্ত, তবে এটি মুরসাল, এর শাহিদ রয়েছে। যাহাবী তার সাথে সহমত পোষণ করেছেন; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১১৯; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৫৮ যয়ীফ সনদে।
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: এটি সামনে ২৯৯৬ তে আসছে।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ عَامِرٍ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مِيرَاثُهُ لِأُمِّهِ تَعْقِلُ عَنْهُ عَصَبَةُ أُمِّهِ وَقَالَ قَتَادَةُ عَنْ الْحَسَنِ لِأُمِّهِ الثُّلُثُ وَبَقِيَّةُ الْمَالِ لِعَصَبَةِ أُمِّهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
২৯৯৫. কাতাদাহ বলেন, লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের পুত্র যে, যে দাদী ও তার বৈপিত্রেয় ভাই রেখে মৃত্যু বরণ করেছে, তার সম্পর্কে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তার দাদী পাবে এক তৃতীয়াংশ এবং ভাইগণ পাবে দু’ই তৃতীয়াংশ সম্পদ। যাইদ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তার দাদী পাবে এক ষষ্ঠাংশ এবং ভাইগণ পাবে এক তৃতীয়াংশ এবং বাকী সম্পদ বায়তুল মাল (রাষ্ট্রীয় কোষাগার)-এ জমা হবে।[1]
তাখরীজ: সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১১৯; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৫৮-২৫৯ যয়ীফ সনদে।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ أَخْبَرَنَا قَتَادَةُ أَنَّ عَلِيًّا وَابْنَ مَسْعُودٍ قَالَا فِي وَلَدِ مُلَاعَنَةٍ تَرَكَ جَدَّتَهُ وَإِخْوَتَهُ لِأُمِّهِ قَالَ لِلْجَدَّةِ الثُّلُثُ وَلِلْإِخْوَةِ الثُّلُثَانِ وَقَالَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ لِلْجَدَّةِ السُّدُسُ وَلِلْإِخْوَةِ لِلْأُمِّ الثُّلُثُ وَمَا بَقِيَ فَلِبَيْتِ الْمَالِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
২৯৯৬. হাসান (রহঃ) হতে বর্ণিত, তার অর্থাৎ লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের পুত্রের মীরাছ তার মাতা পাবে।[1]
তাখরীজ: এটি সামনে ২৯৯৮ তে আসছে।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ أَخْبَرَنَا يُونُسُ وَحُمَيدٌ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ تَرِثُهُ أُمُّهُ يَعْنِي ابْنَ الْمُلَاعَنَةِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
২৯৯৭. হাজ্জাজ হতে বর্ণিত, নাখঈ ও শা’বী উভয়ে বলেন, তার মীরাছ তার মাতা পাবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৪৮ নং ১১৪০৫; আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১২৪৮৬ বিচ্ছিন্ন সনদে।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ أَنَّ النَّخَعِيَّ وَالشَّعْبِيَّ قَالَا تَرِثُهُ أُمُّهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
২৯৯৮. আব্দুল্লাহ ইবনু উবাইদ ইবনু উমাইর (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বনী যুরাইকের এক ভাইকে একথা জানতে চেয়ে লিখে পাঠালাম যে, লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের পুত্রের মীরাছ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কার জন্য নির্ধারণ করেছেন? তখন তিনি আমাকে লিখে পাঠালেন যে, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাতাকে তার মাতা ও পিতা উভয়ের স্থলাভিষিক্ত করে তার মায়ের জন্য মীরাছ (এর পূর্ণ অংশ) নির্ধারণ করেছেন।সুফিয়ান (রহঃ) বলেন, তার পূর্ণ সম্পদ তার মাতা পাবে। তার মাতাই তার মাতা ও পিতা উভয়ের স্থলাভিষিক্ত।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১২৪৭৬ (সহীহ সনদে), ১২৪৭৭ ; ইবনু আবী শাইবা ১০/১৭০ নং ৯১৩২, ১১/৩৩৯ নং ১১৩৭৪; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৫৯; হাকিম, ৪/৩৪১।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ كَتَبْتُ إِلَى أَخٍ لِي مِنْ بَنِي زُرَيْقٍ أَسْأَلُهُ لِمَنْ قَضَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ فَكَتَبَ إِلَيَّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِهِ لِأُمِّهِ هِيَ بِمَنْزِلَةِ أُمِّهِ وَأَبِيهِ وَقَالَ سُفْيَانُ الْمَالُ كُلُّهُ لِلْأُمِّ هِيَ بِمَنْزِلَةِ أَبِيهِ وَأُمِّهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
২৯৯৯. হাসান (রহঃ) হতে বর্ণিত, লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের পুত্র যে তার মাতা ও মাতার আসাবাহ রেখে মৃত্যু বরণ করেছে, তার মীরাছ সম্পর্কে তিনি বলেন, তার মাতা পাবে এক তৃতীয়াংশ এবং তার মাতার আসাবাহ পাবে অবশিষ্ট সম্পদ।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৫৮; ইবনু আবী শাইবা নং ১১৩৮৩।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ الْحَسَنِ فِي ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ تَرَكَ أُمَّهُ وَعَصَبَةَ أُمِّهِ قَالَ الثُّلُثُ لِأُمِّهِ وَمَا بَقِيَ فَلِعَصَبَةِ أُمِّهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
৩০০০. আমির (রহঃ) হতে বর্ণিত, আলী ও আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উভয়ে লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের পুত্রের সম্পর্কে বলেন, তার মাতার আসাবাহ-ই হবে তার আসাবাহ।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১২৪৮২; তাবারাণী, কাবীর ৯/৩৯০ নং ৯৬৬৩; ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৩৯ নং ১১৩৭৫; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১২০; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৫৮ যয়ীফ সনদে।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ ابْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَامِرٍ عَنْ عَلِيٍّ وَعَبْدِ اللَّهِ فِي ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ قَالَا عَصَبَتُهُ عَصَبَةُ أُمِّهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
৩০০১. ইউনূস (রহঃ) হতে বর্ণিত, হাসান (রহঃ) বলতেন, লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের পুত্রের মীরাছ তার মাতা পাবে। আমি বললাম, যদি তার বৈপিত্রেয় এক ভাই থাকে? তিনি বললেন: সে পাবে এক ষষ্ঠাংশ।[1]
তাখরীজ: এটি সংক্ষিপ্তাকারে গত হয়েছে ২৯৯৩ নং এ।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الْحَلَبِيُّ مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ يُونُسَ عَنْ الْحَسَنِ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ مِيرَاثُ وَلَدِ الْمُلَاعَنَةِ لِأُمِّهِ قُلْتُ فَإِنْ كَانَ لَهُ أَخٌ مِنْ أُمِّهِ قَالَ لَهُ السُّدُسُ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
৩০০২. আওযাঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, সম্পর্কে যুহরী (রহঃ) বলেন, লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের পুত্র তার মায়ের কাছে থাকবে, এবং তার সম্পদ থেকে তার (মাতার) নির্ধারিত অংশ তার মাতা পাবে এবং অবশিষ্ট সম্পদ বায়তুল মাল (রাষ্ট্রীয় কোষাগার)-এ জমা হবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৩৭ নং ১১৩৭০ সনদ সহীহ; আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১২৪৮৪; কানযুল উম্মাহ ৪০৬০৮।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ قَالَ وَلَدُ الْمُلَاعَنَةِ لِأُمِّهِ تَرِثُ فَرِيضَتَهَا مِنْهُ وَسَائِرُ ذَلِكَ فِي بَيْتِ الْمَالِ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
৩০০৩. নাফিঈ’ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যখন স্বামী-স্ত্রী উভয়ে লি’আন (পরস্পরকে অভিশাপ দেবে) করবে, তখন তাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেওয়া হবে, আর তারা একত্রিত হতে পারবে না। আর তাদের সন্তান তার মায়ের নামে ডাকা হবে, বলা হবে সে অমুক স্ত্রীলোকের পুত্র। আর তার মাতা তার আসাবাহ হবে, সে তার মাতার ওয়ারিস হবে এবং তার মাতা হবে তার ওয়ারিস। আর যে তাকে ’যিনাকারীনীর সন্তান’ বলে আহ্বান করবে, তার জন্য রয়েছে বেত্রাঘাত।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১২৪৭৮; ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৪০ নং ১১৩৭৬ সনদ সহীহ; আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১২৪৮৪।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ إِذَا تَلَاعَنَا فُرِّقَ بَيْنَهُمَا وَلَمْ يَجْتَمِعَا وَدُعِيَ الْوَلَدُ لِأُمِّهِ يُقَالُ ابْنُ فُلَانَةَ هِيَ عَصَبَتُهُ يَرِثُهَا وَتَرِثُهُ وَمَنْ دَعَاهُ لِزِنْيَةٍ جُلِدَ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
৩০০৪. শা’বী (রহঃ) হতে বর্ণিত, লি’আনকারী স্বামী-স্ত্রী’র পুত্রের সম্পর্কে তিনি বলেন, তার মাতার আসাবাহ-ই তার ওয়ারিস হবে, আবার তারাই তার পক্ষ হতে (দিয়াত ও অন্যান্য) ক্ষতিপুরণ প্রদান করবে।’[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৩৬ নং ১১৩৬৭।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هَانِئٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ عَنْ الشَّعْبِيِّ فِي وَلَدِ الْمُتَلَاعِنَيْنِ أَنَّهُ تَرِثُهُ عَصَبَةُ أُمِّهِ وَهُمْ يَعْقِلُونَ عَنْهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
৩০০৫. সাঈদ ইবনু জুবাইর (রহঃ) হতে বর্ণিত, লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের পুত্র-যার পিতা নাই, তার সম্পর্কে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে তার মাতা, মাতার সূত্রে ভাইগণ ও তার মাতার আসাবাহ’ তার মীরাছ পাবে। আর তাকে (’যিনাকারীনীর সন্তান’ বলে) অপবাদ দানকারীর জন্য রয়েছে বেত্রাঘাত।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৯/৫৬১ নং ৮৫২২; মারফু’ হিসেবে তালীক সূত্রে বাইহাকী, লি’আন ৭/৪০২ যয়ীফ সনদে।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ عَزْرَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي وَلَدِ الْمُلَاعَنَةِ هُوَ الَّذِي لَا أَبَ لَهُ تَرِثُهُ أُمُّهُ وَإِخْوَتُهُ مِنْ أُمِّهِ وَعَصَبَةُ أُمِّهِ فَإِنْ قَذَفَهُ قَاذِفٌ جُلِدَ قَاذِفُهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
৩০০৬. মাকহূল (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের সন্তানের উত্তরাধিকারী কে? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাতাকে নির্ধারণ করেছেন, কেননা, তার মাতা তার জন্য কষ্ট করেছে; আর তার বৈপিত্রেয় ভাইদেরকেও। মাকহুল আরো বলেন, আর যদি মাতা তার ছেলেকে রেখে মৃত্যুবরণ করে এবং তারপর তার ছেলেও মৃত্যুবরণ করে যার জন্য তাকে (মাতাকে) ওয়ারিস নির্ধারণ করা হয়েছিল, তবে তার বৈপিত্রেয় ভাইগণ সকল সম্পদের মালিক হবে। কারণ, সে ছিল তাদের (বৈপিত্রেয় ভাইদের) এবং নানার (নিকটতর)। আর তার মায়ের পিতা তথা নানা তার মেয়ের ছেলের সম্পদে এক ষষ্ঠাংশ পাবে। নানার জন্য এ স্থান ব্যতীত অন্য কোথাও ওয়ারিছ হয় না। কেননা, তিনি তো মাতার পিতা (নানা)। আর বৈপিত্রেয় ভাইগণ তো কেবল তাদের মাতার ওয়ারিস হয়। এবং নানা তার মেয়ের ওয়ারিস হয়, কেননা, তাকে (নানাকেও) নির্ধারিত অংশ দেওয়া হয় তার মেয়ের জন্য। ফলে ছেলের সম্পদ যা মায়ের উত্তরাধিকার, নানা ব্যতীত অন্য কোন উত্তরাধিকার না থাকলে তা কেবল নানার অধিকারে থাকবে।[1]
তাখরীজ: অতি সংক্ষিপ্ত আকারে ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৩৫ নং ১১৩৬৪; আবূ দাউদ ২৯০৭; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৫৯ সহীহ সনদে।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ عَنْ النُّعْمَانِ عَنْ مَكْحُولٍ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ مِيرَاثِ وَلَدِ الْمُلَاعَنَةِ لِمَنْ هُوَ قَالَ جَعَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُمِّهِ فِي سَبَبِهِ لِمَا لَقِيَتْ مِنْ الْبَلَاءِ وَلِإِخْوَتِهِ مِنْ أُمِّهِ وَقَالَ مَكْحُولٌ فَإِنْ مَاتَتْ الْأُمُّ وَتَرَكَتْ ابْنَهَا ثُمَّ تُوُفِّيَ ابْنُهَا الَّذِي جُعِلَ لَهَا كَانَ مِيرَاثُهُ لِإِخْوَتِهِ مِنْ أُمِّهِ كُلُّهُ لِأَنَّهُ كَانَ لِأُمِّهِمْ وَجَدِّهِمْ وَكَانَ لِأَبِيهَا السُّدُسُ مِنْ ابْنِ ابْنَتِهِ وَلَيْسَ يَرِثُ الْجَدُّ إِلَّا فِي هَذِهِ الْمَنْزِلَةِ لِأَنَّهُ إِنَّمَا هُوَ أَبُ الْأُمِّ وَإِنَّمَا وَرِثَ الْإِخْوَةُ مِنْ الْأُمِّ أُمَّهُمْ وَوَرِثَ الْجَدُّ ابْنَتَهُ لِأَنَّهُ جُعِلَ لَهَا فَالْمَالُ الَّذِي لِلْوَلَدِ لِوَرَثَةِ الْأُمِّ وَهُوَ يُحْرِزُهُ الْجَدُّ وَحْدَهُ إِذَا لَمْ يَكُنْ غَيْرُهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. লি’আনকারীণী স্ত্রী’র পুত্রের মীরাছ সম্পর্কে
৩০০৭. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, কিছু লোক লি’আনকারীণী স্ত্রীলোকের সন্তানের উত্তরাধিকার নিয়ে বিরোধ করে ফায়সালার জন্য আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট এলো। এমতাবস্থায় তার পিতার আসাবাহ’ (নিকট আত্মীয়গণ) ও এসে তার মীরাছ দাবী করলো। তখন তিনি বললেন: তার পিতা তো তার থেকে দায়মুক্ত। ফলে তার সম্পদে তোমাদের কোনই অংশ নেই। ফলে তিনি ফায়সালা করলেন যে, তার মা-ই তার মীরাছ পাবে, তিনি তার মাকে তার আসাবাহ নির্ধারণ করলেন।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৫৮।
باب فِي مِيرَاثِ ابْنِ الْمُلَاعَنَةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ قَوْمًا اخْتَصَمُوا إِلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي وَلَدِ الْمُتَلَاعِنَيْنِ فَجَاءَ عَصَبَةُ أَبِيهِ يَطْلُبُونَ مِيرَاثَهُ فَقَالَ إِنَّ أَبَاهُ كَانَ تَبَرَّأَ مِنْهُ فَلَيْسَ لَكُمْ مِنْ مِيرَاثِهِ شَيْءٌ فَقَضَى بِمِيرَاثِهِ لِأُمِّهِ وَجَعَلَهَا عَصَبَتَهُ