পরিচ্ছেদঃ ১০১. জান্নাতুল ফিরদাউস সম্পর্কে
২৮৬০. ’আবদুল্লাহ ইবনু কায়স রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতুল ফিরদাউস হলো চারটি: “এ দু’টি হবে সোনার: এ দু’টির সকল ভূষণ, পাত্র এবং এর ভিতরে সকল বস্তু (সোনার তৈরী হবে)। এবং আরো দু’টি থাকবে রূপার: এ দু’টির সকল ভূষণ, পাত্র এবং ভিতরের সকল বস্তু (রৌপ্য নির্মিত হবে)। জান্নাতু আদনে এর অধিবাসী এবং তাদের প্রতিপালকের দর্শনের মাঝে আল্লাহর সত্তার ওপর জড়ানো তাঁর (কিবরিয়াই) বিরাটত্বের চাদর ছাড়া আর কোন জিনিস থাকবে না। এ নহর সমূহ জান্নাতু আদন এর একটি ফাটল থেকে উত্সারিত হয় এরপর সেগুলি পরবর্তীতে নহর হিসেবে প্রবাহিত হয়।”[1] আব্দুল্লাহ বলেন: ’জাওবাহ’ অর্থ: পৃথিবী যেখান থেকে আবর্তিত হয়।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১৩/১৪৮ নং ১৫৯৫৬; আহমাদ ৪/৪১৬; আব্দ ইবনু হুমাইদ, মুনতাখাব নং ৫৪৫; আবূ আউয়ানা ১/১৫৭; আবূ নুয়াইম, সিফাতুল জান্নাত নং ১৪১; হিলইয়া ২/৩১৬-৩১৭; তায়ালিসী ২/২৪৩ নং ২৮৩৯; বাইহাকী, বায়াছ ওয়ান নুশূর নং ২১৭; আসলাম ইবনু সাহল, তারীখ ওয়াসীত পৃ: ১৯১।
আর এটি মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে: “দু’টি হবে সোনার: এ দু’টির সকল ভূষণ, পাত্র এবং এর ভিতরে সকল বস্তু (সোনার তৈরী হবে)। এবং আরো দু’টি থাকবে রূপার: এ দু’টির সকল ভূষণ, পাত্র এবং ভিতরের সকল বস্তু (রৌপ্য নির্মিত হবে)। জান্নাতু আদনে এর অধিবাসী এবং তাদের প্রতিপালকের দর্শনের মাঝে আল্লাহর সত্তার ওপর জড়ানো তাঁর (কিবরিয়াই) বিরাটত্বের চাদর ছাড়া আর কোন জিনিস থাকবে না।”
আমরা এর তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৮৩৮৬ তে।
باب فِي جَنَّاتِ الْفِرْدَوْسِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا أَبُو قُدَامَةَ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَنَّاتُ الْفِرْدَوْسِ أَرْبَعٌ ثِنْتَانِ مِنْ ذَهَبٍ حِلْيَتُهُمَا وَآنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَثِنْتَانِ مِنْ فِضَّةٍ حِلْيَتُهُمَا وَآنِيَتُهُمَا وَمَا فِيهِمَا وَلَيْسَ بَيْنَ الْقَوْمِ وَبَيْنَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَبِّهِمْ إِلَّا رِدَاءُ الْكِبْرِيَاءِ عَلَى وَجْهِهِ فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ وَهَذِهِ الْأَنْهَارُ تَشْخُبُ مِنْ جَنَّاتِ عَدْنٍ فِي جَوْبَةٍ ثُمَّ تَصْعَدُ بَعْدُ أَنْهَارًا قَالَ عَبْد اللَّهِ جَوْبَةٌ مَا يُجَابُ عَنْهُ الْأَرْضُ