পরিচ্ছেদঃ ১৯. বান্দার তাওবায় মহান আল্লাহ সর্বাধিক খুশী হন
২৭৬৬. নু’মান ইবনু বাশীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোনো এক লোক কোনো এক বিজন মরুভূমিতে সফর করলো; অত:পর সে (ক্লান্ত হয়ে) সেখানে একটি গাছের নীচে ঘুমিয়ে পড়লো। তার সাথে ছিল তার সাওয়ারী, তার সাওয়ারিটি তার থেকে হারিয়ে গেল। আর তার উপর ছিল তার খাদ্য ও মালপত্র। এরপর সে ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখলো যে, তার সাওয়ারীটি হারিয়ে গেছে। এরপর (তার খোঁজে) সে একটি উঁচুস্থানে আরোহন করলো, কিন্তু কিছুই দেখতে পেলো না। সে পুনরায় একটি উঁচুস্থানে আরোহন করলো, কিন্তু কিছুই দেখতে পেলোনা। সে আরেকটি উঁচুস্থানে আরোহন করলো, কিন্তু (এবারও) সে কিছুই দেখতে পেলো না। তিনি বলেন, এমতাবস্হায় সে হঠাৎ পিছনে ফিরেই (দেখতে পেলো) সাওয়ারীটি লাগাম টানতে টানতে আসছে। ঐ ব্যক্তি তা পেয়ে যে পরিমাণ আনন্দিত হয়, বান্দা যখন আল্লাহর নিকট তাওবা করে তখন তিনি তার থেকেও অধিক খুশী হন।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৩/২৭৩; মুসলিম, তাওবাহ ২৭৪৫।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যেটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন। আামরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৬০০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৬২১ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যেটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন। আামরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১০০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬১৮ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে বারা’আ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, দেখুন মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭০৪ ও খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৩০২ তে।
এর পঞ্চম শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যেটি বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন। আামরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮৬০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬১৭ তে।
باب لَلَّهُ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ الْعَبْدِ
أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ النُّعْمَانِ هُوَ ابْنُ بَشِيرٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَافَرَ رَجُلٌ فِي أَرْضٍ تَنُوفَةٍ فَقَالَ تَحْتَ شَجَرَةٍ وَمَعَهُ رَاحِلَتُهُ عَلَيْهَا زَادُهُ وَطَعَامُهُ فَاسْتَيْقَظَ وَقَدْ ذَهَبَتْ رَاحِلَتُهُ فَعَلَا شَرَفًا فَلَمْ يَرَ شَيْئًا ثُمَّ عَلَا شَرَفًا فَلَمْ يَرَ شَيْئًا ثُمَّ عَلَا شَرَفًا فَلَمْ يَرَ شَيْئًا قَالَ فَالْتَفَتَ فَإِذَا هُوَ بِهَا تَجُرُّ خِطَامَهَا فَمَا هُوَ بِأَشَدَّ فَرَحًا بِهَا مِنْ اللَّهِ بِتَوْبَةِ عَبْدِهِ إِذَا تَابَ إِلَيْهِ