পরিচ্ছেদঃ ৫২. কোনো কর্মচারী তার কর্মের সময়ে যদি কোনো কিছু লাভ করে
২৫৩১. আবী হুমায়দ সা’ঈদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে যাকাত আদায়ের জন্য কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ করেন। যখন সে কর্মচারী তার কাজ (যাকাত আদায়) শেষ করে ফিরে আসলো, তখন সে বললোঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! এগুলো আপনাদের জন্য এবং এগুলো আমাকে হাদিয়া স্বরূপ দেওয়া হয়েছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “তুমি তোমার পিতা- মাতার গৃহে বসে থেকে দেখতে যে, তোমাকে হাদিয়া দেওয়া হয় কি-না? “অত:পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিকালের সালাত শেষে মিম্বারের উপর দাঁড়ালেন এবং শাহাদতের বাক্য উচ্চারণ করে আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা ও গুণগান আদায়ের পর বললেনঃ “অত:পর, আমি যাকে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করে পাঠাই, তার কী হলো যে, সে ফিরে এসে বলে, ’এই মাল তোমাদের এবং এইগুলি আমাকে হাদিয়া দেওয়া হয়েছে?!’
সে তার পিতা-মাতার গৃহে বসে থেকে দেখলো না কেন যে, তাকে হাদিয়া দেওয়া হয় কিনা? যাঁর হাতে মুহাম্মদের জীবন, সেই মহান সত্তার কসম! তোমাদের কেউ (যাকাতের সম্পদ হতে) কোনো জিনিস আত্মসাৎ করলে অবশ্যই কিয়ামতের দিন সে তা তার কাঁধে বহন করে নিয়ে উপস্থিত হবে। যদি তা উট হয়, তবে সে উট গরগর করে আওয়ায করতে থাকবে। যদি গাভী হয়, তবে সেটি হাম্বা-হাম্বা ডাক দিতে দিতে আসবে। আর যদি বকরী হয়, তবে সেটিও ডাকতে থাকবে। আমি কি (তোমার হুকুম) পৌছে দিয়েছি ?” আবূ হুমাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এরপর তিনি তাঁর দু’হাত এত উপরে উঠালেন যে, এমনকি আমরা তাঁর উভয় বাহুমুলের লোমগুচ্ছ দেখতে পেলাম। আবূ হুমাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যাইদ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও আমার সাথে এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছেন। ফলে তোমরা তাঁকে সেটি জিজ্ঞেস করে দেখ।[1]
তাখরীজ: এটি ১৭১১ (অনুবাদে ১৭০৬) নং এ গত হয়েছে। ((বুখারী, জুমু’আহ ৯২৫, হিয়াল (কুটকৌশল) ৬৯৭৯; মুসলিম, ইমারাহ ১৮৩২; আবূ দাউদ, ইমারাহ ২৯৪৬; আহমাদ ৫/২২৭-, ২৮৫, ৪২৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৫১৫; মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৬৩ তে।- অনুবাদ ১৭০৬ নং এর টীকা হতে। -অনুবাদক))
بَاب فِي الْعَامِلِ إِذَا أَصَابَ مِنْ عَمَلِهِ شَيْئًا
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَعْمَلَ عَامِلًا عَلَى الصَّدَقَةِ فَجَاءَهُ الْعَامِلُ حِينَ فَرَغَ مِنْ عَمَلِهِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الَّذِي لَكُمْ وَهَذَا أُهْدِيَ لِي فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهَلَّا قَعَدْتَ فِي بَيْتِ أَبِيكَ وَأَمِّكَ فَنَظَرْتَ أَيُهْدَى لَكَ أَمْ لَا ثُمَّ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشِيَّةً بَعْدَ الصَّلَاةِ عَلَى الْمِنْبَرِ فَتَشَهَّدَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَمَا بَالُ الْعَامِلِ نَسْتَعْمِلُهُ فَيَأْتِينَا فَيَقُولُ هَذَا مِنْ عَمَلِكُمْ وَهَذَا أُهْدِيَ لِي فَهَلَّا قَعَدَ فِي بَيْتِ أَبِيهِ وَأُمِّهِ فَيَنْظُرَ أَيُهْدَى لَهُ أَمْ لَا وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَا يَغُلُّ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنْهَا شَيْئًا إِلَّا جَاءَ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَحْمِلُهُ عَلَى عُنُقِهِ إِنْ كَانَ بَعِيرًا جَاءَ بِهِ لَهُ رُغَاءٌ وَإِنْ كَانَتْ بَقَرَةً جَاءَ بِهَا لَهَا خُوَارٌ وَإِنْ كَانَتْ شَاةً جَاءَ بِهَا تَيْعِرُ فَقَدْ بَلَّغْتُ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ ثُمَّ رَفَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ حَتَّى إِنَّا لَنَنْظُرُ إِلَى عُفْرَةِ إِبِطَيْهِ قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ وَقَدْ سَمِعَ ذَلِكَ مَعِي مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فَسَلُوهُ