সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৭৪

পরিচ্ছেদঃ ১. এই উম্মতের ভোর বেলায় বরকত

২৪৭৪. সাখর আল্-গামিদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতেবর্ণনা করেন,তিনি এ বলে দু’আ করেছেনঃ ’’হে আল্লাহ্! আমার উম্মতের মধ্যে যারা ভোর বেলায় সফরে বের হয় তাদেরকে বরকত দান করো।’’ আর য়খন তিনি কোন সেনাদল বা সাঁজোয়া বাহিনী পাঠাতেন, তখন ভোর বেলাতেই পাঠাতেন। অত্র ব্যক্তি (হাদীসের বর্ণনাকারী সাখ্র রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তাঁর ছেলেদের দিনের প্রথমাংশে (ভোরে) পাঠাতেন (আর বেশ লাভবান হতেন)। এরূপে তাঁর ধন-সম্পদ প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়।[1]

بَاب بَارِكْ لِأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ حَدِيدٍ عَنْ صَخْرٍ الْغَامِدِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اللَّهُمَّ بَارِكْ لِأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً بَعَثَهَا مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ قَالَ فَكَانَ هَذَا الرَّجُلُ رَجُلًا تَاجِرًا فَكَانَ يَبْعَثُ غِلْمَانَهُ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ فَكَثُرَ مَالُهُ

حدثنا سعيد بن عامر عن شعبة عن يعلى بن عطاء عن عمارة بن حديد عن صخر الغامدي ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اللهم بارك لامتي في بكورها وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا بعث سرية بعثها من اول النهار قال فكان هذا الرجل رجلا تاجرا فكان يبعث غلمانه من اول النهار فكثر ماله

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৭৫

পরিচ্ছেদঃ ২. বৃহস্পতিবার অভিযানে বের হওয়া প্রসঙ্গে

২৪৭৫. কা’বইবনুমালিকরাদ্বিয়াল্লাহু আনহুহতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃহস্পতিবার ছাড়া অন্য দিন সফরের উদ্দেশ্যে খুব কমই বের হতেন।[1]

بَاب فِي الْخُرُوجِ يَوْمَ الْخَمِيسِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ لَقَلَّمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرُجُ إِذَا أَرَادَ سَفَرًا إِلَّا يَوْمَ الْخَمِيسِ

حدثنا عثمان بن عمر اخبرنا يونس عن الزهري عن عبد الرحمن بن كعب عن ابيه قال لقلما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يخرج اذا اراد سفرا الا يوم الخميس

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৭৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. উত্তম সাথী সম্পর্কে

২৪৭৬. আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠ সঙ্গী হল সেই যে তার সঙ্গী-সাথীর নিকট উত্তম, আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম প্রতিবেশী হল সেই যে তার প্রতিবেশীর নিকট উত্তম।”[1]

بَاب فِي حُسْنِ الصَّحَابَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ وَابْنُ لَهِيعَةَ قَالَا حَدَّثَنَا شُرَحْبِيلُ بْنُ شَرِيكٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ خَيْرُ الْأَصْحَابِ عِنْدَ اللَّهِ خَيْرُهُمْ لِصَاحِبِهِ وَخَيْرُ الْجِيرَانِ عِنْدَ اللَّهِ خَيْرُهُمْ لِجَارِهِ

حدثنا عبد الله بن يزيد حدثنا حيوة وابن لهيعة قالا حدثنا شرحبيل بن شريك انه سمع ابا عبد الرحمن الحبلي يحدث عن عبد الله بن عمرو بن العاص عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال خير الاصحاب عند الله خيرهم لصاحبه وخير الجيران عند الله خيرهم لجاره

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৭৭

পরিচ্ছেদঃ ৪. উত্তম সাথী, যোদ্ধা ও সৈন্যদল সম্পর্কে

২৪৭৭. ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সর্বোত্তম সঙ্গী সংখ্যা হল চার। সর্বোত্তম পূর্ণ বাহিনী হল চার হাজারের। আর সর্বোত্তম খন্ড বাহিনী হল চার শতের। আর বার হাজার সদস্যের বাহিনী ধৈর্য্যধারণ করলে এবং নিষ্ঠা অবলম্বন করলে কখনো সংখ্যাল্পতার কারণে পরাজিত হতে পারে না।”[1]

بَاب فِي خَيْرِ الْأَصْحَابِ وَالسَّرَايَا وَالْجُيُوشِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ حَدَّثَنَا حِبَّانُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ يُونُسَ وَعُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرُ الْأَصْحَابِ أَرْبَعَةٌ وَخَيْرُ الْجُيُوشِ أَرْبَعَةُ آلَافٍ وَخَيْرُ السَّرَايَا أَرْبَعُ مِائَةٍ وَمَا بَلَغَ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا فَصَبَرُوا وَصَدَقُوا فَغُلِبُوا مِنْ قِلَّةٍ

حدثنا محمد بن الصلت حدثنا حبان بن علي عن يونس وعقيل عن ابن شهاب عن عبيد الله بن عبد الله عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خير الاصحاب اربعة وخير الجيوش اربعة الاف وخير السرايا اربع ماىة وما بلغ اثنا عشر الفا فصبروا وصدقوا فغلبوا من قلة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. সেনাদল প্রেরণের প্রাক্কালে ইমামের উপদেশ

২৪৭৮. বুরায়দা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সেনাদলের উপর কাউকে আমীর (সেনাপতি) নিযুক্ত করে পাঠাতেন, তখন আমীরকে লক্ষ্য করে বিশেষভাবে উপদেশ দিতেন, যেন সে নিজে আল্লাহ্ কে ভয় করে চলে আর তাঁর সঙ্গী মুসলিক সৈন্যদের প্রতি কল্যাণকামী হয়। আর তিনি বলতেন: “তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধে অবতীর্ণ হও এবং ঐ সকল কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে যারা আল্লাহর তা’আলার সাথে কুফরী (অস্বীকার) করেছে। তোমরা যুদ্ধ করে যাও, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করো না, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আত্মসাত করো না, নিহত শত্রুর নাক-কান ইত্যাদি কেটে বিকৃত করো না এবং কোন শিশুকে হত্যা করো না।”[1]

بَاب وَصِيَّةِ الْإِمَامِ لِلسَّرَايَا

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَمَّرَ رَجُلًا عَلَى سَرِيَّةٍ أَوْصَاهُ فِي خَاصَّةِ نَفْسِهِ بِتَقْوَى اللَّهِ وَبِمَنْ مَعَهُ مِنْ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا وَقَالَ اغْزُوا بِسْمِ اللَّهِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ اغْزُوا وَلَا تَغْدِرُوا وَلَا تَغُلُّوا وَلَا تُمَثِّلُوا وَلَا تَقْتُلُوا وَلِيدًا

اخبرنا محمد بن يوسف عن سفيان عن علقمة بن مرثد عن سليمان بن بريدة عن ابيه قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا امر رجلا على سرية اوصاه في خاصة نفسه بتقوى الله وبمن معه من المسلمين خيرا وقال اغزوا بسم الله وفي سبيل الله قاتلوا من كفر بالله اغزوا ولا تغدروا ولا تغلوا ولا تمثلوا ولا تقتلوا وليدا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৭৯

পরিচ্ছেদঃ ৬. শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করো না

২৪৭৯. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে লোক সকল! শত্রুর সঙ্গে মোকাবেলায় অবতীর্ণ হবার কামনা করবে না এবং আল্লাহ্ তা’আলার নিকট নিরাপত্তার দু’আ করবে। অতঃপর যখন তোমরা শত্রুর সম্মুখীন হবে তখন তোমরা দৃঢ়পদ থাকবে এবং অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকির করবে। আর তারা যখন শোরগোল ও চেঁচামেচি করবে, তখন তোমাদের উপর নিরবতা অবলম্বন করা অপরিহার্য।”[1]

بَاب لَا تَتَمَنَّوْا لِقَاءَ الْعَدُوِّ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا تَتَمَنَّوْا لِقَاءَ الْعَدُوِّ وَسَلُوا اللَّهَ الْعَافِيَةَ فَإِنْ لَقِيتُمُوهُمْ فَاثْبُتُوا وَأَكْثِرُوا ذِكْرَ اللَّهِ فَإِنْ أَجْلَبُوا وَضَجُّوا فَعَلَيْكُمْ بِالصَّمْتِ

اخبرنا عبد الله بن يزيد حدثنا عبد الرحمن بن زياد عن عبد الله بن يزيد عن عبد الله بن عمرو ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا تتمنوا لقاء العدو وسلوا الله العافية فان لقيتموهم فاثبتوا واكثروا ذكر الله فان اجلبوا وضجوا فعليكم بالصمت

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৮০

পরিচ্ছেদঃ ৭. যুদ্ধের সময় দু’আ করা

২৪৮০. সুহাইব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনায়ন (যুদ্ধের) দিন দু’আয় বলেছেন: “হে আল্লাহ! আমি আপনার সাহায্যেই প্রচেষ্টা করি এবং আপনার সাহায্যেই আক্রমণ করি এবং আপনার সাহায্যেই যুদ্ধ করি।”[1]

بَاب فِي الدُّعَاءِ عِنْدَ الْقِتَالِ

أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ صُهَيْبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَدْعُو أَيَّامَ حُنَيْنٍ اللَّهُمَّ بِكَ أُحَاوِلُ وَبِكَ أُصَاوِلُ وَبِكَ أُقَاتِلُ

اخبرنا حجاج بن منهال حدثنا حماد عن ثابت عن عبد الرحمن بن ابي ليلى عن صهيب ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يدعو ايام حنين اللهم بك احاول وبك اصاول وبك اقاتل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৮১

পরিচ্ছেদঃ ৮. (মুশরিকদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পূর্বে তাদেরকে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানানো

২৪৮১. সুলাইমান ইবনু বুরাইদা তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সেনাদলের উপর কাউকে আমীর (সেনাপতি) নিযুক্ত করে পাঠাতেন, তখন আমীরকে লক্ষ্য করে (একথা বলে) উপদেশ দিতেন: “যখন তুমি তোমার মুশরিক শত্রুদের সাক্ষাত পাবে তখন তাদেরকে তিনটি বিষয়ের মধ্য হতে যে কোন একটি গ্রহণ করার জন্য আহবান জানাবে। আর যে কোন একটি গ্রহণ করলে তুমি তাতে সায় দিবে এবং তাদের উপর আত্রমণ চালানো হতে বিরত থাকবে।

১. তুমি (প্রথমে) তাদেরকে ইসলামের দিকে আহবান জানাবে। যদি এতে সাড়া দেয়, তুমি মেনে নিবে আর তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হতে বিরত থাকবে। তারপর তাদেরকে নিজ দেশে ছেড়ে মুহাজিরদের দেশে অর্থাৎ মদীনায় হিজরত করার আহবান জানাবে। আর তাদেরকে অবহিত করে দিবে যে, হিজরত করার পর মুহাজিরগণ যে সকল সুযোগ-সুবিধাভোগ করেন, তারাও সে সকল সুবিধা ভোগ করবে। আর (জিহাদের) যে সকল দায়- দায়িত্ব মুহাজিরদের ওপর বর্তায়, তাদের ওপরও তা সমভাবে বর্তাবে। তারা যদি এ প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানায় (রাযী না হয় বা প্রত্যাখ্যান করে আর নিজ দেশেই অবস্থান করতে চায়) তবে তাদেরকে জানিয়ে দিবে যে, তারা হবে বেদুঈন মুসলিমগণের মতো। তাদেরকে আল্লাহ আদেশ- নিষেধ ও বিধি- বিধান মেনে চলতে হবে যেরূপে মুসলিমগণ তা মেনে চলেন। ’ফাই’ ও গনিমতের (যুদ্ধলব্ধ সম্পদের) কোন ভাগ তারা পাবে না, যদি মুজাহিদগণের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে।

২. আর যদি তারা ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করে তবে (তাদের নিরাপত্তার জন্য) জিয্ইয়া প্রদান করার প্রস্তাব দিবে। যদি তারা তা প্রদান করে, তবে তুমি মেনে নিবে এবং তাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে না।

৩. যদি তারা (জিযইয়া দিতে) অস্বীকার করে তবে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। আর যখন তুমি কোন শত্রুর দূর্গ অবরোধ করবে আর তারা তাদের ব্যাপারে তোমার নিকট আল্লাহ্ ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র যিম্মাহ’ বা প্রতিশ্রুতি/অঙ্গীকার কামনা করে, তবে তাদেরকে আল্লাহ্ ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র যিম্মাহ’ বা আশ্রয় প্রদান করবে না। তবে তুমি তোমার, তোমার পিতার ও তোমার সঙ্গী-সাথীদের ’যিম্মা বা প্রতিশ্রুতি প্রদান করতে পার। কেননা, আল্লাহ্ ও রাসূলের যিম্মাহ’ বা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার চেয়ে তোমাদের ও তোমাদের পিতা-পিতামহের যিম্মা বা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা তোমাদের জন্য সহজতর। আর যদি তুমি কোন শত্রুর দূর্গ অবরোধ করো, আর তখন তারা আল্লাহর বিধান ভিত্তিতে দুর্গ হতে অবতরণের ইচ্ছা প্রকাশ করবে, তখন তুমি আ্লাহ্ অথবা রাসূলের নির্দেশের ভিত্তিতে তাদের অবতরণ করাবে না বরং তোমার নিজ সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে অবতরণ করাবে। কারণ, তোমার জানা নেই তাদের ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশ তুমি ঠিকমত কার্যকর করলে কী-না। এরপরে তাদের ব্যাপারে তোমার ইচ্ছানুযায়ী ফয়সালা করবে।”[1]

بَاب فِي الدَّعْوَةِ إِلَى الْإِسْلَامِ قَبْلَ الْقِتَالِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَمَّرَ رَجُلًا عَلَى سَرِيَّةٍ أَوْصَاهُ إِذَا لَقِيتَ عَدُوَّكَ مِنْ الْمُشْرِكِينَ فَادْعُهُمْ إِلَى إِحْدَى ثَلَاثِ خِلَالٍ أَوْ خِصَالٍ فَأَيَّتُهُمْ مَا أَجَابُوكَ إِلَيْهَا فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ فَإِنْ هُمْ أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى التَّحَوُّلِ مِنْ دَارِهِمْ إِلَى دَارِ الْمُهَاجِرِينَ وَأَخْبِرْهُمْ إِنْ هُمْ فَعَلُوا أَنَّ لَهُمْ مَا لِلْمُهَاجِرِينَ وَأَنَّ عَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُهَاجِرِينَ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ كَأَعْرَابِ الْمُسْلِمِينَ يَجْرِي عَلَيْهِمْ حُكْمُ اللَّهِ الَّذِي يَجْرِي عَلَى الْمُؤْمِنِينَ وَلَيْسَ لَهُمْ فِي الْفَيْءِ وَالْغَنِيمَةِ نَصِيبٌ إِلَّا أَنْ يُجَاهِدُوا مَعَ الْمُسْلِمِينَ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا أَنْ يَدْخُلُوا فِي الْإِسْلَامِ فَسَلْهُمْ إِعْطَاءَ الْجِزْيَةِ فَإِنْ فَعَلُوا فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمْ فَإِنْ هُمْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَقَاتِلْهُمْ وَإِنْ حَاصَرْتَ أَهْلَ حِصْنٍ فَإِنْ أَرَادُوكَ أَنْ تَجْعَلَ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ نَبِيِّهِ فَلَا تَجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَلَا ذِمَّةَ نَبِيِّهِ وَلَكِنْ اجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّتَكَ وَذِمَّةَ أَبِيكَ وَذِمَّةَ أَصْحَابِكَ فَإِنَّكُمْ إِنْ تُخْفِرُوا بِذِمَّتِكُمْ وَذِمَّةِ آبَائِكُمْ أَهْوَنُ عَلَيْكُمْ مِنْ أَنْ تُخْفِرُوا ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ رَسُولِهِ وَإِنْ حَاصَرْتَ حِصْنًا فَأَرَادُوكَ أَنْ يَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِ اللَّهِ فَلَا تُنْزِلْهُمْ عَلَى حُكْمِ اللَّهِ وَلَكِنْ أَنْزِلْهُمْ عَلَى حُكْمِكَ فَإِنَّكَ لَا تَدْرِي أَتُصِيبُ حُكْمَ اللَّهِ فِيهِمْ أَمْ لَا ثُمَّ اقْضِ فِيهِمْ بِمَا شِئْتَ

اخبرنا محمد بن يوسف عن سفيان عن علقمة بن مرثد عن سليمان بن بريدة عن ابيه قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا امر رجلا على سرية اوصاه اذا لقيت عدوك من المشركين فادعهم الى احدى ثلاث خلال او خصال فايتهم ما اجابوك اليها فاقبل منهم وكف عنهم ثم ادعهم الى الاسلام فان هم اجابوك فاقبل منهم وكف عنهم ثم ادعهم الى التحول من دارهم الى دار المهاجرين واخبرهم ان هم فعلوا ان لهم ما للمهاجرين وان عليهم ما على المهاجرين فان هم ابوا فاخبرهم انهم يكونون كاعراب المسلمين يجري عليهم حكم الله الذي يجري على المومنين وليس لهم في الفيء والغنيمة نصيب الا ان يجاهدوا مع المسلمين فان هم ابوا ان يدخلوا في الاسلام فسلهم اعطاء الجزية فان فعلوا فاقبل منهم وكف عنهم فان هم ابوا فاستعن بالله وقاتلهم وان حاصرت اهل حصن فان ارادوك ان تجعل لهم ذمة الله وذمة نبيه فلا تجعل لهم ذمة الله ولا ذمة نبيه ولكن اجعل لهم ذمتك وذمة ابيك وذمة اصحابك فانكم ان تخفروا بذمتكم وذمة اباىكم اهون عليكم من ان تخفروا ذمة الله وذمة رسوله وان حاصرت حصنا فارادوك ان ينزلوا على حكم الله فلا تنزلهم على حكم الله ولكن انزلهم على حكمك فانك لا تدري اتصيب حكم الله فيهم ام لا ثم اقض فيهم بما شىت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৮২

পরিচ্ছেদঃ ৮. (মুশরিকদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পূর্বে তাদেরকে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানানো

২৪৮২. নু’মান ইবনু মুক্বাররিন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

بَاب فِي الدَّعْوَةِ إِلَى الْإِسْلَامِ قَبْلَ الْقِتَالِ

قَالَ عَلْقَمَةُ فَحَدَّثْتُ بِهِ مُقَاتِلَ بْنَ حَيَّانَ فَقَالَ حَدَّثَنِي مُسْلِمُ بْنُ هَيْصَمٍ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

قال علقمة فحدثت به مقاتل بن حيان فقال حدثني مسلم بن هيصم عن النعمان بن مقرن عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৮. (মুশরিকদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পূর্বে তাদেরকে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানানো

২৪৮৩. ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো ক্বওমকে (ইসলামের দিকে) দাওয়াত না দেওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করেননি।”[1]

بَاب فِي الدَّعْوَةِ إِلَى الْإِسْلَامِ قَبْلَ الْقِتَالِ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ مَا قَاتَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْمًا حَتَّى دَعَاهُمْ قَالَ عَبْد اللَّهِ سُفْيَانُ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ يَعْنِي هَذَا الْحَدِيثَ

اخبرنا عبيد الله بن موسى عن سفيان عن ابن ابي نجيح عن ابيه عن ابن عباس قال ما قاتل رسول الله صلى الله عليه وسلم قوما حتى دعاهم قال عبد الله سفيان لم يسمع من ابن ابي نجيح يعني هذا الحديث

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৯. শত্রুদের উপর আক্রমণ করা

২৪৮৪. আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সময় অতর্কিত হামলা চালাতেন। তিনি (আযান) শোনার জন্য কান পাততেন; যখন তিনি (কোনো কওমের এলাকা থেকে) আযানের আওয়ায শুনতে পেতেন, তখন (তাদেরকে আক্রমণ করা হতে) বিরত হয়ে যেতেন। আর যখন আযান শুনতে পেতেন না, তখন হামলা চালাতেন।[1]

بَاب الْإِغَارَةِ عَلَى الْعَدُوِّ

حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُغِيرُ عِنْدَ صَلَاةِ الْفَجْرِ وَكَانَ يَسْتَمِعُ فَإِنْ سَمِعَ أَذَانًا أَمْسَكَ وَإِنْ لَمْ يَسْمَعْ أَذَانًا أَغَارَ

حدثنا حجاج بن منهال حدثنا حماد بن سلمة عن ثابت عن انس ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يغير عند صلاة الفجر وكان يستمع فان سمع اذانا امسك وان لم يسمع اذانا اغار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৮৫

পরিচ্ছেদঃ ১০. 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' না বলা পর্যন্ত যুদ্ধ করা সম্পর্কে

২৪৮৫. আউস ইবনু আবী আউস সাকাফী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সাফীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলের সাথে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আগমণ করলাম। তখন আমরা তাঁর সঙ্গে একটি কুব্বায় ছিলাম। আমি এবং তিনি ব্যতীত কুব্বায় কেউই ছিল, আর তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে তার সংগে গোপনে কিছু বললো, তিনি আমাকে বললেনঃ “যাও, তাকে হত্যা কর।”

এরপর তিনি বললেনঃ “সে কি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর সাক্ষ্য দান করে না?” রাবী শু’বা বলেন: এবং সেকি একথার সাক্ষ্য দান করে না যে, মুহাম্মদ আল্লাহর বাসূল? তিনি বললেন, হাঁ, সে এরুপ বলে। তখন তিনি বললেনঃ “আমাকে লোকের বিরুদ্ধে যূদ্ধ করার আদেশ দান করা হয়েছে যতক্ষন না তারা বলে, ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’ যখন তারা এরুপ বলবে, তখন তাদের জানমাল আমার জন্য হারাম হয়ে যাবে,- তবে তার হক ব্যতীত।[1] রাবী বলেন, এ হলো সেই ব্যক্তি যে আবী মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে হত্যা করেছিল। তিনি বলেন, সে তায়িফের শ্রেষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা না করা পর্যন্ত মরলো না।

بَاب فِي الْقِتَالِ عَلَى قَوْلِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ قَالَ سَمِعْتُ أَوْسَ بْنَ أَبِي أَوْسٍ الثَّقَفِيَّ قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ قَالَ وَكُنْتُ فِي أَسْفَلِ الْقُبَّةِ لَيْسَ فِيهَا أَحَدٌ إِلَّا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَائِمٌ إِذْ أَتَاهُ رَجُلٌ فَسَارَّهُ فَقَالَ اذْهَبْ فَاقْتُلْهُ ثُمَّ قَالَ أَلَيْسَ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ قَالَ شُعْبَةُ وَأَشُكُّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ قَالَ بَلَى قَالَ إِنِّي أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَقُولُوا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ فَإِذَا قَالُوهَا حَرُمَتْ عَلَيَّ دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ إِلَّا بِحَقِّهَا وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ قَالَ وَهُوَ الَّذِي قَتَلَ أَبَا مَسْعُودٍ قَالَ وَمَا مَاتَ حَتَّى قَتَلَ خَيْرَ إِنْسَانٍ بِالطَّائِفِ

اخبرنا هاشم بن القاسم حدثنا شعبة عن النعمان بن سالم قال سمعت اوس بن ابي اوس الثقفي قال اتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم في وفد ثقيف قال وكنت في اسفل القبة ليس فيها احد الا النبي صلى الله عليه وسلم ناىم اذ اتاه رجل فساره فقال اذهب فاقتله ثم قال اليس يشهد ان لا اله الا الله قال شعبة واشك محمدا رسول الله قال بلى قال اني امرت ان اقاتل الناس حتى يقولوا لا اله الا الله فاذا قالوها حرمت علي دماوهم واموالهم الا بحقها وحسابهم على الله قال وهو الذي قتل ابا مسعود قال وما مات حتى قتل خير انسان بالطاىف

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৮৬

পরিচ্ছেদঃ ১১. যে ব্যক্তি 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'-এর সাক্ষ্য দান করে, তার রক্ত হালাল নয়

২৪৮৬. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সেই ব্যক্তিকে হত্যা করা বৈধ নয়, যে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তিন ব্যক্তি ব্যতীত; ১. কিসাসে প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ; ২. বিবাহিত যিনাকারী; ৩. যে ব্যক্তি ইসলাম পরিত্যাগ করে মুসলিমদের দল হতে পৃথক হয়ে যায়।”[1]

بَاب لَا يَحِلُّ دَمُ رَجُلٍ يَشْهَدُ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَحِلُّ دَمُ رَجُلٍ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ إِلَّا إِحْدَى ثَلَاثَةِ نَفَرٍ النَّفْسُ بِالنَّفْسِ وَالثَّيِّبُ الزَّانِي وَالتَّارِكُ لِدِينِهِ الْمُفَارِقُ لِلْجَمَاعَةِ

اخبرنا يعلى حدثنا الاعمش عن عبد الله بن مرة عن مسروق عن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يحل دم رجل يشهد ان لا اله الا الله الا احدى ثلاثة نفر النفس بالنفس والثيب الزاني والتارك لدينه المفارق للجماعة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৮৭

পরিচ্ছেদঃ ১২. নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ 'সালাত একত্রকারী' এ কথা সম্পর্কে

২৪৮৭. আবী কাতাদাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেনাপতিদের একটি দল প্রেরণ করলেন। এরপর তাঁরা চলে যেতে উদ্যত হলেন, এরপর আল্লাহ যতক্ষণ চান তারা অপেক্ষা করলেন। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহন করলেন, তারপর তিনি আদেশ দান করলে ঘোষণা দেয়া হলো: “সালাত হলো একত্রকারী।”[1]

بَاب فِي بَيَانِ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ شَيْبَانَ عَنْ خَالِدِ بْنِ سُمَيْرٍ قَالَ قَدِمَ عَلَيْنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَبَاحٍ الْأَنْصَارِيُّ وَكَانَتْ الْأَنْصَارُ تُفَقِّهُهُ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو قَتَادَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ جَيْشَ الْأُمَرَاءِ قَالَ فَانْطَلَقُوا فَلَبِثُوا مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ صَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمِنْبَرَ فَأَمَرَ فَنُودِيَ الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ

حدثنا سليمان بن حرب حدثنا الاسود بن شيبان عن خالد بن سمير قال قدم علينا عبد الله بن رباح الانصاري وكانت الانصار تفقهه قال حدثنا ابو قتادة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم بعث جيش الامراء قال فانطلقوا فلبثوا ما شاء الله ثم صعد رسول الله صلى الله عليه وسلم المنبر فامر فنودي الصلاة جامعة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৮৮

পরিচ্ছেদঃ ১৩. পরমর্শদাতার বিশ্বস্ত হওয়া

২৪৮৮. আবী মাসউদ আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “পরামর্শদাতা হবেন আমানতদার বা বিশ্বাসভাজন।”[1]

بَاب فِي الْمُسْتَشَارُ مُؤْتَمَنٌ

أَخْبَرَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْمُسْتَشَارُ مُؤْتَمَنٌ

اخبرنا الاسود بن عامر حدثنا شريك عن الاعمش عن ابي عمرو الشيباني عن ابي مسعود الانصاري عن النبي صلى الله عليه وسلم قال المستشار موتمن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৮৯

পরিচ্ছেদঃ ১৪. যুদ্ধ একটি কৌশল বা ধোকা মাত্র

২৪৮৯. কা’ব ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতেন, তখন (সঠিক স্থান প্রকাশ না করে) সেস্থান ব্যতীত অন্যত্র যাওয়ার মনস্থ করেছেন বলে বাহ্যিকভাবে দেখাতেন।[1]

بَاب فِي الْحَرْبِ خُدْعَةٌ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ غَزْوَةً وَرَّى بِغَيْرِهَا

اخبرنا محمد بن يزيد الحزامي حدثنا ابن المبارك عن معمر عن الزهري عن عبد الرحمن بن كعب بن مالك عن كعب بن مالك قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا اراد غزوة ورى بغيرها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৯০

পরিচ্ছেদঃ ১৫. সাংকেতিক চিহ্ন

২৪৯০. সালমা ইবনুল আকওয়া হতে রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত। তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট মুশরিকদের একজন গুপ্তচর আসলে তিনি লোকটিকে কতল করতে নির্দেশ দেন।) তখন আমিই সর্বপ্রথম তার মুখোমুখি হই এবং তাকে হত্যা করি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ফেলে যাওয়া মালপত্র আমাকে প্রদান করেন। তখন আমার ও খালিদ ইবনুল ওয়ালিদের মাঝে সাংকেতিক চিহ্ন ছিল, ’আমিত’ অর্থ: ’তাকে হত্যা কর।’[1]

بَاب الشِّعَارِ

حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ أَبِي عُمَيْسٍ عَنْ إِيَاسِ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ بَارَزْتُ رَجُلًا فَقَتَلْتُهُ فَنَفَّلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَلَبَهُ فَكَانَ شِعَارُنَا مَعَ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ أَمِتْ يَعْنِي اقْتُلْ

حدثنا اسحق بن ابراهيم حدثنا وكيع عن ابي عميس عن اياس بن سلمة بن الاكوع عن ابيه قال بارزت رجلا فقتلته فنفلني رسول الله صلى الله عليه وسلم سلبه فكان شعارنا مع خالد بن الوليد امت يعني اقتل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৯১

পরিচ্ছেদঃ ১৬. নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ চেহারাসমূহ বিকৃত হয়ে গেছে

২৪৯১. আবূ আবদুর রহমান ফিহরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি হুনায়নের যুদ্ধের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা এমন এক সময় সফর করি, যখন ছিল প্রচন্ড গরম। ফলে, আমরা একটি গাছের নীচে অবতরন করি। এরপর তিনি পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন। (তিনি বলেন:) তারপর তিনি এক মুষ্টি মাটি যমিন থেকে তুলে নিলেন। এরপর তাদের মুখমণ্ডল ে তা নিক্ষেপ করলেন এবং বললেনঃ “তাদের মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে গেছে।” এভাবে আল্লাহ তা’আলা (এ দ্বারাই) তাদেরকে পরাজিত করলেন। বর্ণনাকারী ইয়া’লা বলেন, পরবর্তীতে তাদের ছেলেরা বর্ণনা করেছেন যে, তাদের পিতারা বলেন: এরপর আমাদের এমন কোনো লোক অবশিষ্ট ছিল না, যার চোখ-মুখ সে এক মুষ্টি মাটির ধুলায় ভরে যায়নি।[1]

بَاب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاهَتْ الْوُجُوهُ

حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ وَعَفَّانُ قَالَا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي هَمَّامٍ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْفِهْرِيِّ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ حُنَيْنٍ فَكُنَّا فِي يَوْمٍ قَائِظٍ شَدِيدِ الْحَرِّ فَنَزَلْنَا تَحْتَ ظِلَالِ الشَّجَرِ فَذَكَرَ الْقِصَّةَ ثُمَّ أَخَذَ كَفًّا مِنْ تُرَابٍ قَالَ فَحَدَّثَنِي الَّذِي هُوَ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنِّي أَنَّهُ ضَرَبَ بِهِ وُجُوهَهُمْ وَقَالَ شَاهَتْ الْوُجُوهُ فَهَزَمَ اللَّهُ الْمُشْرِكِينَ قَالَ يَعْلَى فَحَدَّثَنِي أَبْنَاؤُهُمْ أَنَّ أَبَاءَهُمْ قَالُوا فَمَا بَقِيَ مِنَّا أَحَدٌ إِلَّا امْتَلَأَتْ عَيْنَاهُ وَفَمُهُ تُرَابًا

حدثنا حجاج بن منهال وعفان قالا حدثنا حماد بن سلمة عن يعلى بن عطاء عن عبد الله بن يسار ابي همام عن ابي عبد الرحمن الفهري قال كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في غزوة حنين فكنا في يوم قاىظ شديد الحر فنزلنا تحت ظلال الشجر فذكر القصة ثم اخذ كفا من تراب قال فحدثني الذي هو اقرب اليه مني انه ضرب به وجوههم وقال شاهت الوجوه فهزم الله المشركين قال يعلى فحدثني ابناوهم ان اباءهم قالوا فما بقي منا احد الا امتلات عيناه وفمه ترابا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৯২

পরিচ্ছেদঃ ১৭. নাবী (ﷺ) কর্তৃক বাইয়াত (অঙ্গীকার) গ্রহণ প্রসঙ্গে

২৪৯২. উবাদা ইবনুস সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা একটি মাজলিসে ছিলাম, এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেনঃ “তোমরা আমার কাছে এই মর্মে বায়’আত গ্রহণ কর যে, আল্লাহ্‌র সঙ্গে কিছু শরীক করবে না, চুরি করবে না, যিনা করবে না, তোমাদের সন্তানদের হত্যা করবে না এবং কাউকে মিথ্যা অপবাদ দেবে। তোমাদের মধ্যে যে তা পূরণ করবে, তার বিনিময় আল্লহ্‌র কাছে। আর কেউ এর কোন একটিতে লিপ্ত হয়ে পড়লে এবং আল্লাহ্ তা অপ্রকাশিত রাখলে, তবে তা আল্লাহ্‌র ইচ্ছাধীন। তিনি যদি চান, তাকে শাস্তি দেবেন আর যদি চান, তাকে মাফ করে দেবেন। আর কেউ এর কোন একটিতে লিপ্ত হয়ে পড়লে এবং দুনিয়াতে তার শাস্তি পেয়ে গেলে, তবে তা হবে তার জন্য কাফ্‌ফারা।” তিনি বলেন, আমরা তাঁর নিকট এর উপর বায়’আত গ্রহণ করলাম।[1]

بَاب فِي بَيْعَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ مَعَهُ فِي مَجْلِسٍ بَايِعُونِي عَلَى أَنْ لَا تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا تَسْرِقُوا وَلَا تَزْنُوا وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ وَلَا تَأْتُوا بِبُهْتَانٍ تَفْتَرُونَهُ بَيْنَ أَيْدِيكُمْ وَأَرْجُلِكُمْ فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ وَمَنْ أَصَابَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَسَتَرَهُ اللَّهُ فَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَاقَبَهُ وَإِنْ شَاءَ عَفَا عَنْهُ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَعُوقِبَ بِهِ فِي الدُّنْيَا فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ قَالَ فَبَايَعْنَاهُ عَلَى ذَلِكَ

حدثنا عثمان بن عمر حدثنا يونس عن الزهري عن ابي ادريس عن عبادة بن الصامت قال قال لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ونحن معه في مجلس بايعوني على ان لا تشركوا بالله شيىا ولا تسرقوا ولا تزنوا ولا تقتلوا اولادكم ولا تاتوا ببهتان تفترونه بين ايديكم وارجلكم فمن وفى منكم فاجره على الله ومن اصاب شيىا من ذلك فستره الله فامره الى الله ان شاء عاقبه وان شاء عفا عنه ومن اصاب من ذلك شيىا فعوقب به في الدنيا فهو كفارة له قال فبايعناه على ذلك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
২৪৯৩

পরিচ্ছেদঃ ১৮. (যুদ্ধক্ষেত্র থেকে) পলায়ন না করার বাইআত গ্রহণ প্রসঙ্গে

২৪৯৩. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার (সন্ধির) দিন আমরা সংখ্যায় ছিলাম চৌদ্দশ’। আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে বাইআত হলাম। ’সামুরাহ’ গাছের নীচে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর হাত ধরে ছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন না করার বাইআত করেছিলাম, কিন্তু মৃত্যুর জন্য বাইআত করিনি।[1]

بَاب فِي بَيْعَتِهِ أَنْ لَا يَفِرُّوا

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ قَالَ كُنَّا يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ أَلْفًا وَأَرْبَعَ مِائَةٍ فَبَايَعْنَاهُ وَعُمَرُ آخِذٌ بِيَدِهِ تَحْتَ الشَّجَرَةِ وَهِيَ سَمُرَةٌ وَقَالَ بَايَعْنَاهُ عَلَى أَنْ لَا نَفِرَّ وَلَمْ نُبَايِعْهُ عَلَى الْمَوْتِ

اخبرنا احمد بن عبد الله حدثنا ليث بن سعد عن ابي الزبير عن جابر بن عبد الله انه قال كنا يوم الحديبية الفا واربع ماىة فبايعناه وعمر اخذ بيده تحت الشجرة وهي سمرة وقال بايعناه على ان لا نفر ولم نبايعه على الموت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭. যুদ্ধাভিযান অধ্যায় (كتاب السير)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 পরের পাতা »