পরিচ্ছেদঃ ৫২. বয়োঃবৃদ্ধদের দুধপান করানো প্রসঙ্গে
২২৯৫. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে এলেন। সে সময় এক লোক তার কাছে বসা ছিল। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারায় ক্রোধের ভাব প্রকাশ পেল, যেন তিনি এ ব্যাপারে অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বললেন, এ আমার ভাই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যাচাই করে দেখ, তোমাদের ভাই কারা? কেননা কেবল (দুধপানের দ্বারাই) ক্ষুধা (নিবারণ হয়, এমন) সময়ের দুধপান দ্বারাই দুধপান (জনিত সম্পর্ক) কার্যকরী হবে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, শাহাদাত ২৬৪৭, নিকাহ ৫১০২; মুসলিম, রাদা’আ ১৪৫৫; আবূ দাউদ, নিকাহ ২০৫৮; নাসাঈ, নিকাহ ৬/১০২; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৯৪৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ২২৮৫; তায়ালিসী ১/৩০৮ নং ১৫৬৯; বাইহাকী, নিকাহ ৭/৪৬০; আহমাদ ৬/৯৪., ১৭৪; ইবনুল জারুদ, ৬৯১; কুদাই, মুসনাদুশ শিহাব নং ১১৭৬, ১১৭৭; সাঈদ ইবনু মানসূর, আল মুসনাদ ৯৬৪।
بَاب فِي رَضَاعَةِ الْكَبِيرِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهَا وَعِنْدَهَا رَجُلٌ فَتَغَيَّرَ وَجْهُهُ وَكَأَنَّهُ كَرِهَ ذَلِكَ فَقُلْتُ إِنَّهُ أَخِي مِنْ الرَّضَاعَةِ فَقَالَ انْظُرْنَ مَا إِخْوَانُكُنَّ فَإِنَّمَا الرَّضَاعَةُ مِنْ الْمَجَاعَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. বয়োঃবৃদ্ধদের দুধপান করানো প্রসঙ্গে
২২৯৬. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। সাহলাহ বিনতু সুহাইল ইবনু আমর, যিনি আবূ হুযায়ফা ইবনু উতবাহ ইবনু রবিয়াহ’র স্ত্রী ছিলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গমন করেন এবং বলেন, ইয়া রাসূলূল্লাহ্! আবূ হুযায়ফার মুক্তদাস সালিম আমাদের নিকট এমন অবস্থায় প্রবেশ করে যখন আমরা সাধারণ পোশাকে (তথা এক কাপড়ে) থাকি। আমরা তাকে আমাদের পুত্র হিসাবে গণ্য করি। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যায়িদকে পালক পুত্র হিসাবে লালন পালন করেন, তদ্রুপ তাকেও আবী হুযাইফা পালক পূত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। অবশেষে আল্লাহ্ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করলেন, (هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ ادْعُوْهُمْ لِآبَآئِهِمْ) অর্থাৎ তোমরা তাদেরকে ডাক তাদের পিতার পরিচয়ে। আল্লাহর নিকট এটি অধিক ন্যায়সঙ্গত। (সূরা আল আহযাব: ৫) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে তাকে নির্দেশ দিলেন যে, সে যেন সালিমকে (পাঁচবার) দুধ পান করায়।[1]
আবূ মুহাম্মদ বলেন, এ ব্যাপারটি সালিমের জন্য বিশেষ অনুমতি ছিল, (যা অন্যদের জন্য নয়)।
তাখরীজ: বুখারী, মাগাযী ৪০০০, নিকাহ ৫০৮৮, ; মুসলিম, রাদা’আ ১৪৫৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২১৩, ৪২১৪, ৪২১৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৮০ তে।
ইমাম নাবাবী তার শারহে মুসলিম ৩/৬৩৩ তে বলেন: ‘আর উলামাগণ এ মাস’আলায় মতভেদ করেছেন। আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ও দাউদ বলেছেন: এ হাদীসের কারণে বালিগ ব্যক্তিকে দুধপান করানো দুধপানের মর্যাদার কারণে সাব্যস্ত, যেভাবে ছোট বালককে দুধপান করানো সাব্যস্ত আছে।’
বাকী সাহাবী, তাবিঈন ও বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত সকল দেশের উলামাগণ বলেছেন: ‘দু’বছরের অধিক বয়স্ক সন্তানের ক্ষেত্রে বাদে অন্য ক্ষেত্রে দুধপান সাব্যস্ত নয়। তবে আবী হানীফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: সে মেয়াদ আড়াই বছর। যুফার বলেন: তিন বছর, মালিক হতে একটি বর্ণনায়: দু’বছর কয়েকদিন। জমহুর উলামাগণ দলীল পেশ করেন আল্লাহর কিতাব থেকে: মাতাগণ তাদের সন্তানদের দুধ পান করাবে পূর্ণ দু’বছর।” (সুরা বাকারাহ: ২৩২) এবং এরপর সহীহ মুসলিমে উল্লেখিত হাদীস: “কেবল (দুধপানের দ্বারাই) ক্ষুধা (নিবারণ হয়, এমন) সময়ের দুধপান দ্বারাই দুধপান (জনিত সম্পর্ক) কার্যকরী হবে।” ও অন্যান্য মাশহুর হাদীস দ্বারা।...
بَاب فِي رَضَاعَةِ الْكَبِيرِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ جَاءَتْ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو وَكَانَتْ تَحْتَ أَبِي حُذَيْفَةَ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ إِنَّ سَالِمًا مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ يَدْخُلُ عَلَيْنَا وَأَنَا فُضُلٌ وَإِنَّمَا نَرَاهُ وَلَدًا وَكَانَ أَبُو حُذَيْفَةَ تَبَنَّاهُ كَمَا تَبَنَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدًا فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللَّهِ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ ذَلِكَ أَنْ تُرْضِعَ سَالِمًا قَالَ أَبُو مُحَمَّد هَذَا لِسَالِمٍ خَاصَّةً