পরিচ্ছেদঃ ১৮. নাবী (ﷺ) এর স্ত্রীগণের এবং তাঁর কন্যাগণের মোহর কেমন ছিলো
২২৩৮. আবূ সালামা হতেবর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকেজিজ্ঞাসা করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীদেরমোহরানা কেমন ছিলো? তিনি বলেন, তাঁর স্ত্রীদেরমোহরানার পরিমাণ ছিল বারো উকিয়াএবং এক’নাশ’। আবারতিনিজিজ্ঞাসাকরেন, ’নাশ’কী তা তুমি জানো? তিনি বলেন,আমি বললাম, না। তখন তিনি বললেন, তাহলঅর্ধ –উকিয়া। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদেরজন্য এ মোহরানাই ধার্য্য করেছিলেন।[1]
তাখরীজ: শাফিঈ, আল মুসনাদ পৃ: ২৪৬; তার সূত্রে আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৯/১৬১; সহীহ সনদে। আহমাদ ৬/৯৩-৯৪; মুসলিম, নিকাহ ১৪২৬; নাসাঈ, নিকাহ ৬/১১৬-১১৭; আবূ দাউদ, নিকাহ ২১০৫; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৮৮৬; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৮/১১৫ যয়ীফ সনদে।
بَاب كَمْ كَانَتْ مُهُورُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَنَاتِهِ
أَخْبَرَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ هُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ كَمْ كَانَ صَدَاقُ أَزْوَاجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ كَانَ صَدَاقُهُ لِأَزْوَاجِهِ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَنَشًّا وَقَالَتْ أَتَدْرِي مَا النَّشُّ قَالَ قُلْتُ لَا قَالَتْ نِصْفُ أُوقِيَّةٍ فَهَذَا صَدَاقُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَزْوَاجِهِ
পরিচ্ছেদঃ ১৮. নাবী (ﷺ) এর স্ত্রীগণের এবং তাঁর কন্যাগণের মোহর কেমন ছিলো
২২৩৯. আবীল আজফা’আ আস সুলামী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে খুতবা দান কালে বলতে শুনেছি, প্রথমে তিনি আল্লাহর হামদ ও ছানা পাঠ করেন অতঃপর বলেন, মহিলাদের মাহরের ব্যাপারে তোমরা বাড়াবাড়ি করো না। কেননা তা যদি পার্থিব জীবনে সম্মানের বস্তু অথবা আল্লাহর কাছে তাক্ওয়ার প্রতীক হতো, তাহলে তোমাদের চেয়ে মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে অধিকতর যোগ্য ও অগ্রগণ্য হতেন। তিনি তাঁর স্ত্রী ও কন্যাদের মাহর বারো উকিয়ার বেশি ধার্য করেননি। জেনে রাখো, তোমাদের কেউ কেউ তার স্ত্রীর মোহরের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে। তখন স্ত্রীর প্রতি স্বামীর মনে শত্রুতা সৃষ্টি হয়, এমনকি সে বলতে থাকে, আমি তোমার জন্য পানির মশক টানতে টানতে নিজেকে মলিন করেছি অথবা ঘর্মাক্ত হয়ে পড়েছি।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৬২০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২৫৯ তে। ((তিরমিযী, নিকাহ ১১১৪; আবূ দাউদ, নিকাহ ১৮৩৪; ইবনু মাজাহ, নিকাহ ১৮৮৭- অনুবাদক।))
بَاب كَمْ كَانَتْ مُهُورُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَنَاتِهِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيِّ قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَطَبَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ أَلَا لَا تُغَالُوا فِي صُدُقِ النِّسَاءِ فَإِنَّهَا لَوْ كَانَتْ مَكْرُمَةً فِي الدُّنْيَا أَوْ تَقْوَى عِنْدَ اللَّهِ كَانَ أَوْلَاكُمْ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَصْدَقَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ وَلَا أُصْدِقَتْ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِهِ فَوْقَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً أَلَا وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيُغَالِي بِصَدَاقِ امْرَأَتِهِ حَتَّى يَبْقَى لَهَا فِي نَفْسِهِ عَدَاوَةٌ حَتَّى يَقُولَ كَلِفْتُ إِلَيْكِ عَلَقَ الْقِرْبَةِ أَوْ عَرَقَ الْقِرْبَةِ