পরিচ্ছেদঃ ৮. নেশা সৃষ্টিকারী দ্রব্য সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
২১৩৬. ’আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ’বিত’আ’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তিনি বললেনঃ সর্বপ্রকার নেশা জাতীয় পানীয় হারাম।”[1]
তাখরীজ: মালিক, আশরিবাহ ৯; বুখারী, আশরিবাহ ৫৫৮৫; মুসলিম, আশরিবাহ ২০০১।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩৬০, ৪৫২৩; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৩৪৫, ৫৩৭১, ৫৩৭২, ৫৩৯৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৮৩ তে। আরও দেখুন, মানহাতুল মা’বূদ নং ১৭২৯।
بَاب مَا قِيلَ فِي الْمُسْكِرِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ الْبِتْعِ قَالَ كُلُّ شَرَابٍ أَسْكَرَ حَرَامٌ
পরিচ্ছেদঃ ৮. নেশা সৃষ্টিকারী দ্রব্য সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
২১৩৭. বুরদাহ ইবনু আবী মূসা তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ও মুয়ায ইবনু জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে ইয়ামানে পাঠালেন। তখন বললেন: “তোমরা পান করবে, তবে কোনো নেশা উদ্রেককারী দ্রব্য পান করবে না। কেননা, প্রত্যেক নেশা উদ্রেককারী দ্রব্যই হারাম।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, জিহাদ ৩০৩৮, মাগাযী ৪৩৪৩; মুসলিম, আশরিবাহ ১৭৩৩, জিহাদ ১৩৭৭।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭২৩৯; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৩৭৩, ৫৩৭৬, ৫৩৭৭ তে। আরও দেখুন, মানহাতুল মা’বূদ নং ১৭২৪, ১৭২৮।
بَاب مَا قِيلَ فِي الْمُسْكِرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى عَنْ أَبِيهِ قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَمُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ اشْرَبُوا وَلَا تَشْرَبُوا مُسْكِرًا فَإِنَّ كُلَّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ
পরিচ্ছেদঃ ৮. নেশা সৃষ্টিকারী দ্রব্য সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
২১৩৮. সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যার অধিক পরিমাণ (ব্যবহারে) নেশা সৃষ্টি করে, তার সামান্য পরিমাণ (ব্যবহার) থেকেও আমি আমি তোমাদেরকে নিষেধ করছি।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, নং ৩৮১৫; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৯৪, ৬৯৫; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৩৭০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৩৮৬ তে।
بَاب مَا قِيلَ فِي الْمُسْكِرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ سِنَانٍ حَدَّثَنِي الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَشَجِّ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ سَعْدٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَنْهَاكُمْ عَنْ قَلِيلِ مَا أَسْكَرَ كَثِيرُهُ
পরিচ্ছেদঃ ৮. নেশা সৃষ্টিকারী দ্রব্য সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
২১৩৯. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “সর্বপ্রথম যা উল্টে দেয়া হবে,- যাইদ বলেন, অর্থাৎ ইসলামের মধ্যে (যে বিষয়টি উল্টে দেয়া হবে)- যেভাবে পাত্র কে উল্টে দেয়া হয়- তা হলো মদ। তাঁকে বলা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! সেটি কিভাবে হবে, যেখানে আল্লাহ তা’আলা তা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করে দিয়েছেন? তিনি বললেন: “তার নামকে অন্য নামে পরিবর্তন করে একে হালাল মনে করা হবে।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৭৩১ তে। আরও দেখুন, হাকিম, মুসতাদরাক ৪/১৪৭; বাইহাকী, শারবু ৮/১৯৪-২৯৫; ইবনু আবী শাইবা, নং ৩৮২৮ এ সনদে জাহালত (অজ্ঞাত পরিচয় রাবী) রয়েছে। আরও দেখুন, ফাতহুল বারী ১০/৫২; ইবনু আদী, আল কামিল ৬/২০৫১।
بَاب مَا قِيلَ فِي الْمُسْكِرِ
حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ عَنْ أَبِي وَهْبٍ الْكَلَاعِيِّ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ أَوَّلَ مَا يُكْفَأُ قَالَ زَيْدٌ يَعْنِي الْإِسْلَامَ كَمَا يُكْفَأُ الْإِنَاءُ كَفْيَ الْخَمْرِ فَقِيلَ فَكَيْفَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَقَدْ بَيَّنَ اللَّهُ فِيهَا مَا بَيَّنَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسَمُّونَهَا بِغَيْرِ اسْمِهَا فَيَسْتَحِلُّونَهَا
পরিচ্ছেদঃ ৮. নেশা সৃষ্টিকারী দ্রব্য সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
২১৪০. উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “সর্বপ্রথম তোমাদের বিচার-শাসন ব্যবস্থা হবে নবুয়তী এবং (তা) রহমত স্বরূপ; এরপর আসবে রাজতন্ত্র এবং (তাও) রহমত স্বরূপ; এরপর আবার রাজতন্ত্র আর তা অত্যধিক ধুলিযুক্ত (মলিন); এরপর আবার রাজতন্ত্র এবং (তাতে) জবরদস্তি থাকবে-সে সময় মদ ও রেশমকে হালাল মনে করা হবে।”আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’অত্যধিক ধুলি’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তা সেই মাটি বা ধুলির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ- যাতে কোনো কল্যাণ নেই।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৮৭৩ তে।
بَاب مَا قِيلَ فِي الْمُسْكِرِ
أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي أَبُو وَهْبٍ عَنْ مَكْحُولٍ عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلُ دِينِكُمْ نُبُوَّةٌ وَرَحْمَةٌ ثُمَّ مُلْكٌ وَرَحْمَةٌ ثُمَّ مُلْكٌ أَعْفَرُ ثُمَّ مُلْكٌ وَجَبَرُوتٌ يُسْتَحَلُّ فِيهَا الْخَمْرُ وَالْحَرِيرُ قَالَ أَبُو مُحَمَّد الْأَعْفَرُ شِبْهُ التُّرَابِ لَيْسَ فِيهِ طَمَعٌ