পরিচ্ছেদঃ ২. মদ কিভাবে হারাম হয়েছিলো
২১২৮. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি আবূ তালহার বাড়িতে লোকজনকে শরাব পান করাচ্ছিলাম। এমন সময় মদ হারামের আয়াত নাযিল হলো। তখন তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক ব্যক্তিকে ঘোষণা দিতে আদেশ করলেন। তখন আবূ তালহা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমাকে বললেন, বাইরে যাও এবং দেখ তো বিষয়টি কী। তখন আমি বাইরে গেলাম এবং বললাম, বিষয়টি হলো, একজন ঘোষণাকারী এ মর্মে ঘোষণা দিচ্ছে যে, সাবধান! শরাব এখন হতে হারাম করে দেয়া হয়েছে। তখন আবূ তালহা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমাকে বললেন, বাইরে যাও এবং সমস্ত শরাব ঢেলে দাও। তিনি (আনাস রাঃ) বলেন, সে দিন মাদ্বীনার অলিগলিতে শরাবের প্লাবন বয়ে গিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, সে সময় লোকেরা ফাযীখ শরাব ব্যবহার করতেন। তখন কেউ কেউ বলল, একদল লোক নিহত হয়েছে, অথচ তাদের পেটে শরাব ছিল। তখন এ আয়াত নাযিল হলঃ ’’যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারা পূর্বে যা কিছু পানাহার করেছে তার জন্য তাদের কোন গুনাহ হবে না’’- (আল-মা-য়িদাহ: ৯৩)।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, মাযালিম ২৪৬৪; মুসলিম, আশরিবাহ ১৯৮০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩০০৮, ৩০৪২, ৩৩৬১; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৯৪৫, ৫৩৫২, ৫৩৬১, ৫৩৬২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২৪৪ তে।
بَاب فِي تَحْرِيمِ الْخَمْرِ كَيْفَ كَانَ
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ عَنْ أَنَسٍ قَالَ كُنْتُ سَاقِيَ الْقَوْمِ فِي مَنْزِلِ أَبِي طَلْحَةَ قَالَ فَنَزَلَ تَحْرِيمُ الْخَمْرِ قَالَ فَأَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ اخْرُجْ فَانْظُرْ مَا هَذَا فَخَرَجْتُ فَقُلْتُ هَذَا مُنَادٍ يُنَادِي أَلَا إِنَّ الْخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ فَقَالَ لِيَ اذْهَبْ فَأَهْرِقْهَا قَالَ فَجَرَتْ فِي سِكَكِ الْمَدِينَةِ قَالَ وَكَانَتْ خَمْرُهُمْ يَوْمَئِذٍ الْفَضِيخَ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ قُتِلَ قَوْمٌ وَهِيَ فِي بُطُونِهِمْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوْا وَآمَنُوا الْآيَةَ