পরিচ্ছেদঃ ২১৪. কুনুতের দু’আ
১৬২৯. আবীল হাওরা’ আস সা’দী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাসান ইবনু আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কোন্ বিষয়টি স্মরণে রেখেছেন?
তিনি বললেন: তিনি আমাকে তাঁর কাঁধে বহন করছিলেন, তখন আমি সাদাকা’র খেজুর থেকে একটি খেজুর তুলে নিয়েছিলাম। অতঃপর তা আমার মুখে পুরে দিয়েছিলাম। তখন তিনি আমাকে বললেন: “সেটি ছুঁড়ে ফেলে দাও। তুমি কি জানো না যে, আমাদের জন্য সাদাকাহ হালাল নয়?”
তিনি বলেন, আর তিনি এ দু’আটি দিয়ে দু’আ করতেন: “আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফী মান হাদাইতা, ওয়া ’আফিনী ফী মান ’আফাইতা, ওয়া তাওয়াল্লানী ফী মান তাওয়াল্লাইতা। ওয়া বারিক লী ফী মা আ’ত্বইতা, ওয়া ক্বিনী শারর মা ক্বযাইতা। ইন্নাকা তাক্বযী ওয়ালা ইয়্যূক্বযা আলাইকা। ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা, তাবারকতা ওয়া তা’আলাইতা।”[1]
(অর্থ: হে আল্লাহ আপনি যাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন, আমাকে তাদের সাথে হেদায়েত করুন। আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে নিরাপত্তা দান করুন। আপনি যাদেরকে আপনার নৈকট্য দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে আপনার নৈকট্য দান করুন। আর আপনি আমাকে যা দান করেছেন, তাতে বরকত দান করুন। আর আপনি যে (তাক্বদীর) নির্ধারণ করেছেন, তার অকল্যাণ থেকে আমাকে বাঁচান। আপনিই নির্ধারণ করেন, আপনার বিরুদ্ধে নির্ধারণ করা যায় না। আর নিশ্চয়ই আপনি যাকে নৈকট্য দান করেছেন, তাকে কেউ অপমানিত করতে পারে না। আর আপনি মহা বরকতময় এবং সর্বোচ্চ মহান।)
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৭৫৯, ৬৭৬২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯৪৫ ও মাওয়ারিদুয যাম্’আন নং ৫১২,৫১৩; পরবর্তী হাদীস দু’টিও দেখুন। ((আবু দাউদ, সালাত ১৪২৫-১৪২৬; তিরমিযী, আবওয়াবুস সালাত ৪৬৪; নাসাঈ, কিয়ামুল লাইল ৩/২৪৯; ইবনু মাজাহ, ইকামাতিস সালাত ১১৭৮; আহমাদ ১/১৯৯-২০০; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাকা পৃ: ১৪২; মারওয়াযী, বিতর পৃ: ১৩৪; হাকিম, ৩/১৭২ ও ৪/৯৯; বাইহাকী, সুনান ২/২০৯; হাকিম একে সহীহ বলেছেন। শাইখ আহমেদ শাকিরও (তাহক্বীক্ব: তিরমিযী ২/৩২৯ তে) একে সহীহ বলেছেন।- ফাওয়ায আহমেদের টীকা, দারেমী হা/১৫৯৩।- অনুবাদক))
بَاب الدُّعَاءِ فِي الْقُنُوتِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ قَالَ قُلْتُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ مَا تَذْكُرُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَمَلَنِي عَلَى عَاتِقِهِ فَأَخَذْتُ تَمْرَةً مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ فَأَدْخَلْتُهَا فِي فَمِي فَقَالَ أَلْقِهَا أَمَا شَعَرْتَ أَنَّا لَا تَحِلُّ لَنَا الصَّدَقَةُ قَالَ وَكَانَ يَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاءِ اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ
পরিচ্ছেদঃ ২১৪. কুনুতের দু’আ
১৬৩০. হাসান ইবনু আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কিছু (দু’আর) বাক্যাবলী শিখিয়েছিলেন, যেগুলো আমি কুনুতে পড়ি।’ এরপর তিনি (পূর্বের) অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন।[1]
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب الدُّعَاءِ فِي الْقُنُوتِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ فَذَكَرَ مِثْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২১৪. কুনুতের দু’আ
১৬৩১. (অপর সনদে) হাসান ইবনু আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কিছু (দু’আর) বাক্যাবলী শিখিয়েছিলেন, যেগুলো আমি বিতরের কুনুতে পড়ি। (তা হলো:) “আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফী মান হাদাইতা, ওয়া ’আফিনী ফী মান ’আফাইতা, ওয়া তাওয়াল্লানী ফী মান তাওয়াল্লাইতা। ওয়া বারিক লী ফী মা আ’ত্বইতা, ওয়া ক্বিনী শারর মা ক্বযাইতা। ফাইন্নাকা তাক্বযী ওয়ালা ইয়্যূক্বযা আলাইকা। ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা, তাবারকতা ওয়া তা’আলাইতা।”[1]
((অর্থ: হে আল্লাহ আপনি যাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন, আমাকে তাদের সাথে হেদায়েত করুন। আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে নিরাপত্তা দান করুন। আপনি যাদেরকে আপনার নৈকট্য দান করেছেন, আমাকেও তাদের সাথে আপনার নৈকট্য দান করুন। আর আপনি আমাকে যা দান করেছেন, তাতে বরকত দান করুন। আর আপনি যে (তাক্বদীর) নির্ধারণ করেছেন, তার অকল্যাণ থেকে আমাকে বাঁচান। আপনিই নির্ধারণ করেন, আপনার বিরুদ্ধে নির্ধারণ করা যায় না। আর নিশ্চয়ই আপনি যাকে নৈকট্য দান করেছেন, তাকে কেউ অপমানিত করতে পারে না। আর আপনি মহা বরকতময় এবং সর্বোচ্চ মহান।))
আবূ মুহাম্মদ বলেন, আবুল হাওরা’র নাম রবী’আ ইবনু শাইবান।
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب الدُّعَاءِ فِي الْقُنُوتِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو الْأَحْوَصِ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي قُنُوتِ الْوِتْرِ اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَبُو الْحَوْرَاءِ اسْمُهُ رَبِيعَةُ بْنُ شَيْبَانَ