পরিচ্ছেদঃ ২০৮. বিতর সম্পর্কে
১৬১৪. খারিজা ইবনু হুযাফাহ আল আদাবী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিকট বের হয়ে বললেন: “আল্লাহ তোমাদের জন্য একটি সালাত বৃদ্ধি করেছেন, যা লাল রংয়ের চতুস্পদ জন্তু হতেও উত্তম। আর তিনি তোমাদের জন্য একে নির্ধারণ করেছেন ঈশার সালাত হতে শুরু করে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত সময়ের মাঝে।”[1]
তাখরীজ: আবু দাউদ, সালাত ১৪১৮; তাবারাণী, কাবীর ৪/২১১ নং ৪১৩৬; হাকিম ১/৩০৬; তিরমিযী, সালাত ৪৫২; ইবনু মাজাহ, ইকামাতিস সালাত ১১৬৮; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/৪৩০; ইবনু আদী, আল কামিল ৩/৯২০; দারুকুতনী, সুনান ২/৩০; তার সূত্রে ইবনুল জাউযী, আল ইলালুল মুতানাহিয়্যাহ নং ৭৬৯; বাইহাকী, সালাত ২/৪৬৯, ৪৭৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ৯৭৫; ইবনু আবী শাইবা ২/২৯৬-২৯৭;
তিরমিযী বলেন: খারিজা ইবনু হুযাফাহ এর হাদীস গারীব। আমরা ইয়াযীদ ইবনু আবী হাবীব ব্যতীত আর কারো সূত্রে এটি জানতে পারিনি।’
আমি বলি: কিন্তু ইয়াযীদ ইবনু আবী হাবীব ছিকাহ’ (নির্ভরযোগ্য), ফকীহ। আর তার একাকী বর্ণনা করাটা এ হাদীসের কোনো ঘাটতি (ক্ষতি) করে না। আল্লাহই ভাল জানেন।
হাকিম বলেন: এ হাদীসটির সনদ সহীহ যদিও তারা এটি বর্ণনা করেননি.....। যাহাবী তা সমর্থন করেছেন।
......
আর এ হাদীসের শাহিদ হাদীস দেখুন, নাসবুর রায়াহ ২/১০৮-১১২; তালখীসুল হাবীর ২/১৬; দিরায়াহ ১/১৮৮-১৮৯ তে।
بَاب فِي الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا لَيْثٌ هُوَ ابْنُ سَعْدٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَاشِدٍ الزَّوْفِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُرَّةَ الزَّوْفِيِّ عَنْ خَارِجَةَ بْنِ حُذَافَةَ الْعَدَوِيِّ قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَمَدَّكُمْ بِصَلَاةٍ هِيَ خَيْرٌ لَكُمْ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ جَعَلَهُ لَكُمْ فِيمَا بَيْنَ صَلَاةِ الْعِشَاءِ إِلَى أَنْ يَطْلُعَ الْفَجْرُ
পরিচ্ছেদঃ ২০৮. বিতর সম্পর্কে
১৬১৫. জুমাহী - যিনি শামে বসবাস করতেন এবং মুওয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র সাক্ষাত লাভ করেছিলেন- তিনি বর্ণনা করেন যে, বনী কিনানা’র অপরিণত অবস্থায় জন্ম গ্রহণকারী এক ব্যক্তি তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, শামে আবূ মুহাম্মদ নামে এক লোক ছিল। তিনি তার সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। (একদা) সেই লোকটি তাকে জানাল যে, বিতর (সালাত) ওয়াজিব। অপরিণত অবস্থায় জন্ম গ্রহণকারী লোকটি ’উবাদাহ ইবনুস সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট চলে গেলেন এবং তাঁর নিকট এ বিষয়টি উত্থাপন করলেন। তখন উবাদা রা: বলেন, আবূ মুহাম্মদ মিথ্যা (ভূল) বলেছে। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি: “আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। যে ব্যক্তি সালাতের কোন হককে গুরুত্বহীন বিবেচনা করে নষ্ট না করে তা যথাযথভাবে আদায় করবে, নিশ্চয় তার জন্য আল্লাহর নিকট অঙ্গীকার হলো, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর যে ব্যক্তি তা (সালাতের হক নষ্ট করবে কিংবা যথাযথভাবে সালাত) আদায় করবে না, তার জন্য আল্লাহর নিকট কোন অঙ্গীকার নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিবেন, আর ইচ্ছা করলে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ও টীকা সংযোজন করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭৩১, ১৭৩২, ২৭১৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৫২, ২৫৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৯১ তে। এছাড়াও: তায়ালিসী ১/৬৬-৬৭ নং ২৫৪; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ৩/১৪৩-১৪৪ নং ৩১৪০।
((আবু দাউদ, বিতর ১৪২০; নাসাঈ, সালাত বাব:৬; ইবনু মাজাহ, ইকামাতিস সালাত ১৪০১; আহমাদ ৪/২৪২ ও ৫/৩১৫, ৩১৯, ৩২২; হাকিম ও ইবনু হিব্বান- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্বকৃত সুনানে দারেমী হা/১৫৭৭ এর টীকা হতে-অনুবাদক))
بَاب فِي الْوِتْرِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيُّ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ أَخْبَرَهُ أَنَّ ابْنَ مُحَيْرِيزٍ الْقُرَشِيَّ ثُمَّ الْجُمَحِيَّ أَخْبَرَهُ وَكَانَ يَسْكُنُ بِالشَّامِ وَكَانَ أَدْرَكَ مُعَاوِيَةَ أَنَّ الْمُخْدَجِيَّ رَجُلٌ مِنْ بَنِي كِنَانَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ يُكْنَى أَبَا مُحَمَّدٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْوِتْرَ وَاجِبٌ فَرَاحَ الْمُخْدَجِيُّ إِلَى عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ عُبَادَةُ كَذَبَ أَبُو مُحَمَّدٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ خَمْسُ صَلَوَاتٍ كَتَبَهُنَّ اللَّهُ عَلَى الْعِبَادِ مَنْ أَتَى بِهِنَّ لَمْ يُضَيِّعْ مِنْ حَقِّهِنَّ شَيْئًا اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهِنَّ كَانَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ وَمَنْ لَمْ يَأْتِ بِهِنَّ جَاءَ وَلَيْسَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ أَدْخَلَهُ الْجَنَّةَ
পরিচ্ছেদঃ ২০৮. বিতর সম্পর্কে
১৬১৬. তালহা ইবন ’উবাদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, একজন গ্রাম্য আরব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এলেন, যার মাথা (-এর চুল) ছিল বিক্ষিপ্ত (এলোমেলো)। তারপর তিনি বললেন, ইয়ারাসুলুল্লাহ! আল্লাহ তা’আলা আমার উপর কী কী সালাত ফরজ করেছেন? তিনি বললেনঃ পাঁচ (ওয়াক্ত) সালাত এবং সিয়াম।” রাবী বলেন, এভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে ইসলামের (ফরয) বিধানসমূহ জানিয়ে দিলেন। এরপর তিনি বললেন, ঐ সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য দিয়ে সম্মানিত করেছেন, আল্লাহ আমার উপর যা ফরয করেছেন, আমি এর অতিরিক্ত আর কিছুই করব না এবং এর থেকে কিছু কমাবোও না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বললেনঃ “তার পিতার শপথ, সে সত্য বলে থাকলে সফলতা লাভ করল” কিংবা বলেছেন: “তার পিতার শপথ, সে সত্য বলে থাকলে জান্নাত লাভ করল।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ৪৬; মুসলিম, ঈমান ১১; সহীহ ইবনু খুযাইমাহ, আস সহীহ নং ৩০৬; ইবনু মানদাহ, আত তাওহীদ ১/২৭৯ নং ১৩৪; ইবনু বিশকাল, গাওয়াযুল আসমা নং ১।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৭২৪, ৩২৬২ তে।
بَاب فِي الْوِتْرِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ نَافِعِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ أَنَّ أَعْرَابِيًّا جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَائِرَ الرَّأْسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَاذَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ مِنْ الصَّلَاةِ قَالَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ وَالصِّيَامَ فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَرَائِعِ الْإِسْلَامِ فَقَالَ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ لَا أَتَطَوَّعُ شَيْئًا وَلَا أَنْقُصُ مِمَّا فَرَضَ اللَّهُ عَلَيَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْلَحَ وَأَبِيهِ إِنْ صَدَقَ أَوْ دَخَلَ الْجَنَّةَ وَأَبِيهِ إِنْ صَدَقَ
পরিচ্ছেদঃ ২০৮. বিতর সম্পর্কে
১৬১৭. আসিম ইবনু জামরাহ বলেন, আমি আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয় বিতির (ফরয) সালাতের ন্যায় বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি একটি সুন্নাত। তাই তোমরা এটি পরিত্যাগ করো না।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩১৭ তে।
بَاب فِي الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ قَالَ سَمِعْتُ عَاصِمَ بْنَ ضَمْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا يَقُولُ إِنَّ الْوِتْرَ لَيْسَ بِحَتْمٍ كَالصَّلَاةِ وَلَكِنَّهُ سُنَّةٌ فَلَا تَدَعُوهُ