পরিচ্ছেদঃ ২০২. খুতবা দেওয়ার সময় ইমামের অবস্থান
১৬০০. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মিম্বার তৈরীর পূর্বে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কাষ্ঠ খণ্ডের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়াতেন। তারপর যখন মিম্বর তৈরী করা হল, তখন এই কাষ্ঠখণ্ডটি এমনভাবে কাঁদতে লাগল যে, আমরা এর কান্নার শব্দ শুনতে পেলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটির উপর তাঁর হাত রাখলেন, ফলে এটি শান্ত হল।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, মানাকিব, নং ৩৫৮৫। এর মূল রয়েছে বুখারী, নং ৪৪৯, ৯১৪, ২০৯৫, ৩৫৮৪, ৩৫৮৫ তে। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৫০৮ তে। ((আহমাদ, আল মুসনাদ ৩/২৯৩; বুখারী ৪৪৯; সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৫০৮- - ফাতহুল মান্নান, নং ৩৪ এর টীকা- অনুবাদক।))
بَاب مَقَامِ الْإِمَامِ إِذَا خَطَبَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ كَثِيرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُومُ إِلَى جِذْعٍ قَبْلَ أَنْ يُجْعَلَ الْمِنْبَرُ فَلَمَّا جُعِلَ الْمِنْبَرُ حَنَّ ذَلِكَ الْجِذْعُ حَتَّى سَمِعْنَا حَنِينَهُ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ عَلَيْهِ فَسَكَنَ
পরিচ্ছেদঃ ২০২. খুতবা দেওয়ার সময় ইমামের অবস্থান
১৬০১. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মিম্বার বানানোর পূর্বে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি কাষ্ঠ খণ্ডের নিকট (দাঁড়িয়ে) খুতবা দিতেন। তারপর যখন মিম্বার বানানো হলো এবং তিনি এর দিকে স্থানান্তরিত হলেন, তখন কাষ্ঠ খণ্ডটি কান্নাজুড়ে দিল। তিনি যখন এটিকে আলিঙ্গন করলেন, অতঃপর এটি শান্ত হল। তখন তিনি বললেন: ’আমি যদি একে আলিঙ্গন না করতাম, তবে তা অবশ্যই কিয়ামত পর্য়ন্ত (এভাবে) কাঁদতে থাকত।’[1]
তাখরীজ: এটি ৩৯ নং এ গত হয়েছে। ((আহমাদ, আল মুসনাদ ১/২৪৯, ২৬৩, ২৬৭; ইবনু আবী শাইবা ১১/৪৮৪ নং ১১৭৯৫; আবদ্ ইবনু হুমাইদ ১৩৩৬; বুখারী, আল কাবীর ৭/২৬; তাবারাণী, মু’জামুল কাবীর ১২/১৮৭ নং ১২৮৪১।- ৩৯ নং হাদীসের টীকা অনুযায়ী- অনুবাদক))
بَاب مَقَامِ الْإِمَامِ إِذَا خَطَبَ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَخْطُبُ إِلَى جِذْعٍ قَبْلَ أَنْ يَتَّخِذَ الْمِنْبَرَ فَلَمَّا اتَّخَذَ الْمِنْبَرَ تَحَوَّلَ إِلَيْهِ حَنَّ الْجِذْعُ فَاحْتَضَنَهُ فَسَكَنَ وَقَالَ لَوْ لَمْ أَحْتَضِنْهُ لَحَنَّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
পরিচ্ছেদঃ ২০২. খুতবা দেওয়ার সময় ইমামের অবস্থান
১৬০২. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।[1]
তাখরীজ: এটি ৪০ নং এ গত হয়েছে। আরও দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৭৫৬।
بَاب مَقَامِ الْإِمَامِ إِذَا خَطَبَ
حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২০২. খুতবা দেওয়ার সময় ইমামের অবস্থান
১৬০৩. সাহল ইবনু সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, যখন মদীনার লোকসংখ্যা বেড়ে গেলো। এক একজন করে লোক আসতে শুরু করলো, অতঃপর লোকেরা দলে দলে আগমন করতে লাগলো। ফলে তারা (দূরবর্তীতার কারণে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী শুনতে সক্ষম হচ্ছিল না। ফলে তারা তাঁর নিকট হতে ফিরে চলে যেতে লাগলো। তখন লোকজন তাঁকে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! (মদীনায়) অধিবাসী সংখ্যা তো বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু কোনো আগত ব্যক্তি এসে আপনার কথা শুনতে পাচ্ছে না। তখন তিনি বললেন: “তাহলে তোমাদের কী ইচ্ছা?” এরপর তিনি আনসারদের নাজ্জার গোত্রের এক মহিলার গোলামের নিকট লোক পাঠালেন আর (মদীনা থেকে নয় মাইল দূরবর্তী) গাবা নামক স্থানের পাশ্ববর্তী অঞ্চলের দিকেও (পাঠালেন)। ফলে তারা তাঁর জন্য দু’টি কিংবা তিনটি সিঁড়ি (বিশিষ্ট একটি মিম্বার) বানালো। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উপর বসতেন এবং এর উপর (দাঁড়িয়ে) খুতবা দিতেন। যখন তারা সেটি (মিম্বার তৈরী) করলো, তখন যে কাষ্ঠ খণ্ডটির নিকট দাঁড়িয়ে তিনি খুতবা দিতেন, সেই কাষ্ঠ খণ্ডটি কাঁন্না জুড়ে দিলো। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঠে তার নিকট গেলেন এবং তার উপর তাঁর হাত রাখলেন, অতঃপর সেটি শান্ত হল।[1]
তাখরীজ: এটি ৪১ নং এ গত হয়েছে। ((বুখারী ৯১৭; মুসলিম ৫৪৪; ইবনু মাজাহ ১৪১৬; ইবনু আবী শাইবাহ ১১/৪৮৫ নং ১১৭৯৬- ৪১ নং এর টীকা হতে- অনুবাদক।))
بَاب مَقَامِ الْإِمَامِ إِذَا خَطَبَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ لَمَّا كَثُرَ النَّاسُ بِالْمَدِينَةِ جَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ وَالْقَوْمُ يَجِيئُونَ فَلَا يَكَادُونَ أَنْ يَسْمَعُوا كَلَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى يَرْجِعُوا مِنْ عِنْدِهِ فَقَالَ لَهُ النَّاسُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ النَّاسَ قَدْ كَثُرُوا وَإِنَّ الْجَائِيَ يَجِيءُ فَلَا يَكَادُ يَسْمَعُ كَلَامَكَ قَالَ فَمَا شِئْتُمْ فَأَرْسِلْ إِلَى غُلَامٍ لِامْرَأَةٍ مِنْ الْأَنْصَارِ نَجَّارٍ وَإِلَى طَرْفَاءِ الْغَابَةِ فَجَعَلُوا لَهُ مِرْقَاتَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجْلِسُ عَلَيْهِ وَيَخْطُبُ عَلَيْهِ فَلَمَّا فَعَلُوا ذَلِكَ حَنَّتْ الْخَشَبَةُ الَّتِي كَانَ يَقُومُ عِنْدَهَا فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهَا فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَيْهَا فَسَكَنَتْ