পরিচ্ছেদঃ ১৫১. দুহা’র (চাশতের) সালাত
১৪৯০. আবদুর রাহমান ইবনু আবী লাইলা (রহঃ) বলেন, আর কেউই আমাদের নিকট বর্ণনা করেননি যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে দুহা’র সালাত আদায় করতে দেখেছেন; কেবল উম্মু হানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ব্যতীত। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের দিন পূর্বাহ্ণে তাঁর ঘরে গিয়ে গোসল করেলেন। এরপর তিনি আট রাকা’আত সালাত আদায় করলেন। তিনি বলেন, আমি আর কখনো তাঁকে এরচেয়ে অধিক সংক্ষিপ্তভাবে সালাত আদায় করতে দেখি নি। তবে তিনি রুকু’ ও সিজ্দা পুর্নাঙ্গরুপে আদায় করছিলেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী ১১৬৭; মুসলিম ৩৩৬ (৮০); পূর্ণ তাখরীজের জন্য পরবর্তী টীকাটি দেখুন।
بَاب صَلَاةِ الضُّحَى
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ أَنْبَأَنِي قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى يَقُولُ مَا أَخْبَرَنَا أَحَدٌ أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الضُّحَى غَيْرُ أُمِّ هَانِئٍ فَإِنَّهَا ذَكَرَتْ أَنَّهُ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ اغْتَسَلَ فِي بَيْتِهَا ثُمَّ صَلَّى ثَمَانَ رَكَعَاتٍ قَالَتْ وَلَمْ أَرَهُ صَلَّى صَلَاةً أَخَفَّ مِنْهَا غَيْرَ أَنَّهُ يُتِمُّ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ
পরিচ্ছেদঃ ১৫১. দুহা’র (চাশতের) সালাত
১৪৯১. উম্মু হানী বিনতে আবূ তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে গিয়ে দেখলেন যে, তিনি গোসল করছেন আর তাঁর মেয়ে ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে একটি কাপড় দ্বারা পর্দা করে রেখেছেন। তিনি বলেনঃ আমি তাঁকে সালাম করলাম, আর তখন ছিল চাশতের সময়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেনঃ “কে এটা?” আমি উত্তর দিলামঃ আমি উম্মু হানী। তিনি বলেনঃ তিনি যখন গোসল শেষ করলেন, তখন তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন এবং একটি কাপড়ে আবৃত হয়ে আট রাকা’আত সালাত আদায় করলেন। এরপর তিনি সালাত শেষ করলেন। তখন আমি তাঁকে বললাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার সহোদর ভাই [’আলী ইবন আবূ তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু] একটি লোককে হত্যা করতে চায়, অথচ আমি সে লোকটিকে আশ্রয় দিলাম। (সে লোকটি হলো) হুবায়রার ছেলে অমুক। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ “হে উম্মু হানী! তুমি যাকে আশ্রয় দিয়েছ, আমরাও তাঁকে আশ্রয় দিলাম।”[1]
তাখরীজ: মালিক, মুয়াত্ত্বা ৩১; বুখারী ৩৫৭; মুসলিম ৩৩৬ (৮২)। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১১৮৭, ১১৮৮, ১১৮৯, ১১৯০ ২৫৩৭, ২৫৩৮; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬৩১।
بَاب صَلَاةِ الضُّحَى
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي النَّضْرِ أَنَّ أَبَا مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ تُحَدِّثُ أَنَّهَا ذَهَبَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدَتْهُ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ بِنْتُهُ تَسْتُرُهُ بِثَوْبٍ قَالَتْ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ وَذَلِكَ ضُحًى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ هَذِهِ فَقُلْتُ أَنَا أُمُّ هَانِئٍ قَالَتْ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ قَامَ فَصَلَّى ثَمَانَ رَكَعَاتٍ مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ زَعَمَ ابْنُ أُمِّي أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلًا أَجَرْتُهُ فُلَانَ بْنَ هُبَيْرَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ
পরিচ্ছেদঃ ১৫১. দুহা’র (চাশতের) সালাত
১৪৯২. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার প্রিয়তম বন্ধু আমাকে তিনটি বিষয়ে ওয়াসীয়াত (নির্দেশ প্রদান) করেছেন, যেগুলি আমি আমার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পরিত্যাগ করবো না: আমি যেন ঘুমানোর পূর্বে বিতর আদায় করি, প্রত্যেক মাসে তিনদিন সিয়াম পালন করি এবং দু’হার (পূর্বাহ্নের) সময় দু’ রাকা’আত সালাত (আদায় করি)।[1]
তাখরীজ: বুখারী ১১৭৮; মুসলিম ৭২১; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী রনং ৬২২৬, ৬৩৬৯; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৫৩৬ যা সামনে ১৭৮৬ নং এ আসছে। এছাড়া, খতীব, আল মুত্তাফিক ওয়াল মুফতারিক্ব নং ৯৪৬; আহমাদ ২/২২৯, ২৩৩, ২৬০, ৩২৯, ৩৩১, ৭২-৪৭৩; তায়ালিসী ২/৫২ নং ২১৪০; নাসাঈ ৪/২১৮; তাবারাণী, আস সগীর ১/১৭৯; আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া: (সেখানে) ‘সালাতুত দুহা’-র পরিবর্তে ‘জুম’আর দিনে গোসল করা’ র কথা রয়েছে।
بَاب صَلَاةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبَّاسٍ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي بِثَلَاثٍ لَا أَدَعُهُنَّ حَتَّى أَمُوتَ الْوِتْرِ قَبْلَ أَنْ أَنَامَ وَصَوْمِ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَمِنْ الضُّحَى رَكْعَتَيْنِ