পরিচ্ছেদঃ ৯২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সালাতের বৈশিষ্ট্য
১৩৯৩. আতা রাহি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দশ জন সাহাবী- যাদের মাঝে আবী কাতাদাও ছিলেন, তাঁদের উপস্থিতিতে আবী হুমাইদ আস সাঈদীকে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাতের ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে আমি অধিক অবগত আছি। তখন তাঁরা বললেন, কি কারণে? আপনি তো আমাদের চেয়ে তাঁকে অধিক অনুসরণ করেননি, আর তাঁর সান্নিধ্য লাভের ব্যাপারেও আপনি আমাদের থেকে অগ্রগামী নন, (তাহলে)? তিনি বললেন, হাঁ। তাঁরা বললেন, এখন আপনি আপনার বক্তব্য পেশ করুন। তিনি বললেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতে দাঁড়াতেন তখন তিনি তাঁর উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন, এরপর তাকবীর দিতেন। এমনকি তাঁর প্রত্যেকটি অস্থি স্ব-স্ব স্থানে স্থির হয়ে যেতো। এরপর তিনি কিরা’আত করতেন, এরপর রুকূ’র জন্য তাকবীর দিতেন ও তাঁর দু’হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন, এরপর রুকূ’তে যেতেন এবং তাঁর দু’ হাতের তালু দু’ হাঁটুর উপর স্থাপন করতেন এমনকি তাঁর প্রত্যেকটি অস্থি স্ব-স্ব স্থানে ফিরে আসতো। আর তাঁর মাথাকে (পিঠের চেয়ে) নিচু করতেন না, আবার উঁচুও করতেন না (সমান করে রাখতেন)।
এরপর তিনি তাঁর মাথা উঠাতেন এবং বলতেন: ’সামি’আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ এবং তাঁর দু’হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন।- (রাবী) আবু আসিমের ধারণা, তিনি আরও বলেছেন, এমনকি তাঁর প্রত্যেকটি অস্থি স্ব-স্ব স্থানে যথাযথভাবে ফিরে আসতো। এরপর তিনি ’আল্লাহু আকবার’ বলে মাটির দিকে ঝুঁকে যেতেন এবং (সিজদায় গিয়ে) তাঁর দু’হাত দু’পাঁজর হতে পৃথক করে রাখতেন। এরপর (এভাবে) সিজদা করতেন। তারপর মাথা উঠাতেন এবং বাম পা ভাঁজ করে তার উপর বসতেন। আর সিজদার সময় তাঁর পায়ের আঙ্গুল সমূহ খুলে দিতেন। এরপর তিনি পূনরায় সাজদা করতেন। এরপর ’আল্লাহু আকবার’ বলে মাথা উঠাতেন ও বাম পা ভাঁজ করে তার উপর স্থিরভাবে বসতেন, এমনকি তাঁর প্রত্যেকটি অস্থি স্ব-স্ব স্থানে যথাযথভাবে ফিরে আসতো। এরপর দাঁড়িয়ে যেতেন এবং অপর রাকা’আতেও এরূপ করতেন। আর যখন (বৈঠক শেষে) দ্বিতীয় রাকা’আত হতে দাঁড়াতেন, তখন তাকবীর বলতেন ও তাঁর উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন, যেমন করতেন তিনি সালাত শুরু করার সময়। তারপর তাঁর অবশিষ্ট সালাত এরূপভাবে আদায় করতেন। যখন শেষ শেষ রাকা’আত বা সালামের (শেষ) বৈঠক আসতো, তখন বাম পা পিছিয়ে দিয়ে বাম পাশের নিতন্বের উপর ভর দিয়ে বসতেন।রাবী বলেন, তাঁরা বললেন: আপনি সত্যই বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাত এরূপই ছিল।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৮৬৫-১৮৬৭; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৪৪২ ও ৪৯১-৪৯৫ এ। ((বাইহাকী ২/১১৬; আহমাদ ৫/৪২৪; আবু দাউদ ৭৩০, ৭৬৩; তিরমিযী ৩০৪; বাগাবী, শারহুসু সুন্নাহ ৩/১ নং ৫৫৫-; নাসাঈ ৩/৩৪-৩৫; ইবনু খুযাইমা ১/২৯৭ নং ৫৮৭; ইবনু মাজাহ ১০৬১.... মাওয়ারিদ নং ৪৪২ এ মুহাক্বিক্বের টীকা হতে।- অনুবাদক))
بَاب صِفَةِ صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ السَّاعِدِيَّ فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدُهُمْ أَبُو قَتَادَةَ قَالَ أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا لِمَ فَمَا كُنْتَ أَكْثَرَنَا لَهُ تَبَعَةً وَلَا أَقْدَمَنَا لَهُ صُحْبَةً قَالَ بَلَى قَالُوا فَاعْرِضْ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ كَبَّرَ حَتَّى يَقَرَّ كُلُّ عَظْمٍ فِي مَوْضِعِهِ ثُمَّ يَقْرَأُ ثُمَّ يُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يَرْكَعُ وَيَضَعُ رَاحَتَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ إِلَى مَوْضِعِهِ وَلَا يُصَوِّبُ رَأْسَهُ وَلَا يُقْنِعُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيَقُولُ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ثُمَّ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ يَظُنُّ أَبُو عَاصِمٍ أَنَّهُ قَالَ حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ إِلَى مَوْضِعِهِ مُعْتَدِلًا ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ ثُمَّ يَهْوِي إِلَى الْأَرْضِ فَيُجَافِي يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ ثُمَّ يَسْجُدُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا وَيَفْتَحُ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ إِذَا سَجَدَ ثُمَّ يَعُودُ فَيَسْجُدُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ فَيَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَيَثْنِي رِجْلَهُ الْيُسْرَى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا مُعْتَدِلًا حَتَّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ إِلَى مَوْضِعِهِ مُعْتَدِلًا ثُمَّ يَقُومُ فَيَصْنَعُ فِي الرَّكْعَةِ الْأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ فَإِذَا قَامَ مِنْ السَّجْدَتَيْنِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ كَمَا فَعَلَ عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ ثُمَّ يَصْنَعُ مِثْلَ ذَلِكَ فِي بَقِيَّةِ صَلَاتِهِ حَتَّى إِذَا كَانَتْ السَّجْدَةُ أَوْ الْقَعْدَةُ الَّتِي يَكُونُ فِيهَا التَّسْلِيمُ أَخَّرَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَجَلَسَ مُتَوَرِّكًا عَلَى شِقِّهِ الْأَيْسَرِ قَالَ قَالُوا صَدَقْتَ هَكَذَا كَانَتْ صَلَاةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পরিচ্ছেদঃ ৯২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সালাতের বৈশিষ্ট্য
১৩৯৪. ওয়ায়িল ইবনু হুজর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বললাম, আমি নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাত দেখেছি, তিনি কিভাবে সালাত আদায় করতেন। তখন আমি তার দিকে দেখতে লাগলাম, তিনি দাঁড়িয়ে তাকবীর দিয়ে তাঁর উভয় হাত তাঁর কান বরাবর উঠালেন, এরপর ডান হাত বাম হাতে তালুর পিঠের উপর স্থাপন করলেন।
তিনি বলেন, এরপর যখন রুকূ’ করার ইচ্ছা করলেন, তখন আগের মতো দু’হাত উঠালেন ও তাঁর দু’হাত দু’হাঁটুর উপর স্থাপন করলেন। এরপর (রুকূ’ হতে) মাথা উঠানোর সময়ও অনুরূপভাবে দু’হাত উঠালেন। এরপর সাজদা করলেন এবং তাঁর হাত দু’টিকে কান বরাবর রাখলেন। এরপর (রুকূ’ হতে) উঠে বাম পা বিছিয়ে বসলেন ও বামহাতের তালু তার বাম উরু ও হাঁটুর উপর রাখলেন এবং তার ডান কনুই ডান উরুর উপর স্থাপন করলেন। এরপর তিনি কনিষ্ঠ ও অনামিক আঙ্গুল দু’টিকে আবদ্ধ করে রাখেন। এরপর একটি (বৃদ্ধাঙ্গুল ও মধ্যমা অাঙ্গুল দ্বারা) একটি বৃত্তাকার বানান। এরপর (তর্জনী) আঙ্গুল উঠিয়ে রাখেন। আর আমি তাকে সেটা নাড়াতে দেখলাম, যা দিয়ে তিনি দু’আ করছিলেন।এর কিছুদিন পর আমি সেখানে অত্যন্ত ঠাণ্ডার সময় গিয়ে দেখতে পাই যে, লোকেরা তাদের শরীরে কাপড় জড়িয়ে রয়েছেন এবং স্ব-স্ব কাপড়ের নিচ দিয়েই তাদের হাত গুলি নড়াচড়া করছিল।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৮৬০; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৪৮৫; মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯০৯ এ। ((আবু দাউদ ৭২৭; আহমদ ৪/৩১৮; নাসাঈ ২/১২৬;, ৩/৩৭; বাইহাকী ২/১৩২; ইবনু খুযাইমা ১/২৪৩ নং ৪৮০; দারুকুতনী ১/৯২; তাবারাণী ২২/৩৫... মাওয়ারিদ নং ৪৮৫ এ মুহাক্বিক্বের টীকা হতে।- অনুবাদক))
بَاب صِفَةِ صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ أَخْبَرَنِي أَبِي أَنَّ وَائِلَ بْنَ حُجْرٍ أَخْبَرَهُ قَالَ قُلْتُ لَأَنْظُرَنَّ إِلَى صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ يُصَلِّي فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ فَقَامَ فَكَبَّرَ فَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَتَا بِأُذُنَيْهِ وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى ظَهْرِ كَفِّهِ الْيُسْرَى قَالَ ثُمَّ لَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ مِثْلَهَا وَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَرَفَعَ يَدَيْهِ مِثْلَهَا ثُمَّ سَجَدَ فَجَعَلَ كَفَّيْهِ بِحِذَاءِ أُذُنَيْهِ ثُمَّ قَعَدَ فَافْتَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَوَضَعَ كَفَّهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ وَرُكْبَتِهِ الْيُسْرَى وَجَعَلَ مِرْفَقَهُ الْأَيْمَنَ عَلَى فَخْذِهِ الْيُمْنَى ثُمَّ قَبَضَ ثِنْتَيْنِ فَحَلَّقَ حَلْقَةً ثُمَّ رَفَعَ أُصْبُعَهُ فَرَأَيْتُهُ يُحَرِّكُهَا يَدْعُو بِهَا قَالَ ثُمَّ جِئْتُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي زَمَانٍ فِيهِ بَرْدٌ فَرَأَيْتُ عَلَى النَّاسِ جُلَّ الثِّيَابِ يُحَرِّكُونَ أَيْدِيَهُمْ مِنْ تَحْتِ الثِّيَابِ
পরিচ্ছেদঃ ৯২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সালাতের বৈশিষ্ট্য
১৩৯৫. হিত্তান ইবনু আব্দুল্লাহ আর রুকাশী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একদা) আমি আবূ মুসা রা: এর সাথে ’ইশা’র সালাত আদায় করলাম। তিনি যখন তাশাহহুদের বৈঠকে ছিলেন তখন মুসল্লীদের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তি বলে উঠলো, ’সালাত নেকী ও যাকাতের সাথে ফরয করা হয়েছে’। হিত্তান বলেন, আবূ মুসা রা: যখন সালাত শেষ করে সালাম ফিরালেন তখন বললেন, তোমাদের মধ্যে এই ধরণের কথা কে বলেছো? সবাই চুপ করে রইলো। তিনি আবার বললেন, এরকম কথা তোমাদের মধ্য থেকে কে বলেছো? সবাই চুপ করে রইলো। তিনি বললেন, হিত্তান! তুমিই হয়তো এরকম বলেছো।’ হিত্তান বললেন, আমি এটা বলিনি। আমি ভয় করছিলাম যে, আপনি এ কারণে আমাকে তিরস্কার করবেন। অতঃপর এক ব্যক্তি বললো, আমি এটি বলেছি। আর আমি এর কেবলমাত্র সাওয়াবের উদ্দেশ্যেই বলেছি।’
আবূ মূসা রা: বললেন, তোমরা তোমাদের সালাতে কী বলবে, তা জান না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সামনে খুতবা দিয়েছেন এরপর আমাদেরকে সালাত শিক্ষা দিয়েছেন এবং আমাদের জন্য পন্থা-পদ্ধতি (সুন্নাত) প্রবর্তন করেছেন। তিনি বলেন, আমার ধারণা, তিনি বলেছেন: “সালাতের ইকামাত দেয়া হলে তোমাদের মধ্যে থেকে কোনো একজন যেন তোমাদের ইমামতি করে। ফলে সে যখন তাকবীর দেবে, তখন তোমরাও তাকবীর দেবে। আর যখন সে পাঠ করবে [“গয়রিল মাগদ্বুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দ্বল্লীন।” (সুরা ফাতিহা: ৭)] তখন তোমরা বলবে, ’আমীন’। তাহলে আল্লাহ তোমাদের (দু’আ) কে কবুল করবেন। আর যখন সে তাকবীর দিয়ে রুকূ’ করবে তখন তোমরাও তাকবীর দিয়ে রুকূ’ করবে।
তবে ইমাম অবশ্যই তোমাদের পূর্বে রুকু’ করবেন এবং তোমাদের পূর্বেই রুকূ’ হতে উঠবেন।” নবীউল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “ফলে ঐটার সঙ্গেই ঐটা। আর যখন সে বলবে, ’সামি’য়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ তখন তোমরা বলবে, আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদ’ অথবা, তিনি বলেন: ’রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’। কেননা, আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা তাঁর নবীর মুখ দিয়ে বলিয়েছেন, ’সামি’য়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ (অর্থ: যে ব্যক্তি আল্লাহ’র প্রশংসা করে, মহান আল্লাহ তা শোনেন)।’
এরপর তিনি যখন তাকবীর দিয়ে সাজদা করবে, তখন তোমরাও তাকবীর দিয়ে সাজদা করবে। আর ইমাম অবশ্যই তোমাদের পূর্বে সাজদা করবেন এবং তোমাদের পূর্বেই (সিজদা হতে মাথা) উঠাবেন।”নবীউল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “ফলে ঐটার সঙ্গেই ঐটা। আর যখন সে বসবে, তোমাদের কারো প্রথম কথা যেন হয়: ’আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি, ওয়াস সলাওয়াতু ওয়াত তয়্যিবাতু, আস সালামু- অথবা সালামু আলাইকা আইয়্যূহান নাবিয়্যূ ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু; আস সালামু- অথবা সালামু- আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস স্বলিহীন।’ তোমরা যখন একথা বলবে, তখন আসমান-যমীনের সকল সালেহীন বান্দাগণ তা প্রাপ্ত হবে।- (এরপর বলবে) ’আশহাদু আন্ লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রসূলুহু।”[1]
তাখরীজ: মুসলিম ৪০৪; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭২২৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২১৬৭ তে। দেখুন, বিগত ১৩৫১ (অনূবাদে ১৩৪৮) নং টি।
بَاب صِفَةِ صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيِّ قَالَ صَلَّى بِنَا أَبُو مُوسَى إِحْدَى صَلَاتَيْ الْعَشِيِّ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ أُقِرَّتْ الصَّلَاةُ بِالْبِرِّ وَالزَّكَاةِ فَلَمَّا قَضَى أَبُو مُوسَى الصَّلَاةَ قَالَ أَيُّكُمْ الْقَائِلُ كَلِمَةَ كَذَا وَكَذَا فَأَرَمَّ الْقَوْمُ فَقَالَ لَعَلَّكَ يَا حِطَّانُ قُلْتَهَا قَالَ مَا أَنَا قُلْتُهَا وَقَدْ خِفْتُ أَنْ تَبْكَعَنِي بِهَا فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ أَنَا قُلْتُهَا وَمَا أَرَدْتُ بِهَا إِلَّا الْخَيْرَ فَقَالَ أَبُو مُوسَى أَوَ مَا تَعْلَمُونَ مَا تَقُولُونَ فِي صَلَاتِكُمْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَنَا فَعَلَّمَنَا صَلَاتَنَا وَبَيَّنَ لَنَا سُنَّتَنَا قَالَ أَحْسَبُهُ قَالَ إِذَا أُقِيمَتْ الصَّلَاةُ فَلْيَؤُمَّكُمْ أَحَدُكُمْ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَالَ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ فَقُولُوا آمِينَ يُجِبْكُمْ اللَّهُ فَإِذَا كَبَّرَ وَرَكَعَ فَكَبِّرُوا وَارْكَعُوا فَإِنَّ الْإِمَامَ يَرْكَعُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتِلْكَ بِتِلْكَ فَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ أَوْ قَالَ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ فَإِنَّ اللَّهَ قَالَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ وَإِذَا كَبَّرَ وَسَجَدَ فَكَبِّرُوا وَاسْجُدُوا فَإِنَّ الْإِمَامَ يَسْجُدُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتِلْكَ بِتِلْكَ فَإِذَا كَانَ عِنْدَ الْقَعْدَةِ فَلْيَكُنْ مِنْ أَوَّلِ قَوْلِ أَحَدِكُمْ التَّحِيَّاتُ الطَّيِّبَاتُ الصَّلَوَاتُ لِلَّهِ السَّلَامُ أَوْ سَلَامٌ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ أَوْ سَلَامٌ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ