পরিচ্ছেদঃ ২৪. প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায় করা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)
১২৫৭. আবী আমর আশ শাইবানী বলেন, আমার নিকট এ বাড়ির মালিক বর্ণনা করেছেন- একথা বলে তিনি তার হাত দ্বারা আব্দুল্লাহ’র বাড়ির দিকে ইশারা করলেন- তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, কো্ন্ কাজটি সর্বোত্তম, কিংবা আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? তিনি বললেন: “ওয়াক্ত মতো সালাত আদায় করা।”[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৫২৭; সহীহ মুসলিম ৮৫। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫২৮৬; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৪৭৪-১৪৭৯।
بَاب اسْتِحْبَابِ الصَّلَاةِ فِي أَوَّلِ الْوَقْتِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ عَيْزَارٍ أَخْبَرَنِي قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَمْرٍو الشَّيْبَانِيَّ يَقُولُ حَدَّثَنِي صَاحِبُ هَذِهِ الدَّارِ وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ إِلَى دَارِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ أَوْ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ قَالَ الصَّلَاةُ عَلَى مِيقَاتِهَا
পরিচ্ছেদঃ ২৪. প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায় করা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)
১২৫৮. কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা সংখ্যায় সাতজন লোক মসজিদে বসে ছিলাম, তার মধ্যে তিনজন ছিলাম আরব ও চারজন অনারব মাওয়ালী, অথবা চারজন ছিলাম আরব এবং তিনজন ছিল অনারব মাওয়ালী; এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কোনো একটি হুজরা হতে আমাদের নিকট বেরিয়ে এসে আমাদের সাথে বসে গেলেন। এরপর তিনি বললেন: কোন্ জিনিসটি তোমাদেরকে এখানে বসিয়ে রেখেছে?” আমরা বললাম, সালাতের জন্য প্রতীক্ষা। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তারপর তিনি তাঁর আঙ্গুল দিয়ে মাটি খুঁড়ে আবার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো ঠিক করে দিলেন। এরপর তিনি আমাদের দিকে মাথা উঠিয়ে বললেন: “তোমাদের রব কী বলেছেন, তা তোমরা জানো কি?”
তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সর্বাধিক অবগত।তিনি বললেন: “তিনি (আল্লাহ তা’আলা) বলেন: ’যে ব্যক্তি ওয়াক্তমতো সালাত আদায় করলো, আর সে সালাতের সীমা (উযু, রুকু’, সাজদা) সঠিকভাবে আদায় করলো, এর মাধ্যমে তার প্রতি আমার ওয়াদা হলো, আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবো। আর যে ব্যক্তি ওয়াক্তমতো সালাত আদায় করলো না এবং সে সালাতের সীমা (উযু, রুকু’, সাজদা)ও সঠিকভাবে আদায় করলো না, তার প্রতি আমার কোনো ওয়াদা নেই; ইচ্ছা হলে আমি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবো, অথবা, ইচ্ছা হলে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবো।[1]
তাখরীজ: এর উপর পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করেছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ১৭০১ এ।((মুসনাদে আহমাদ (তাহ: আরনাউত্ব) ৪/২৪৪ নং ১৮১৩২, বুখারী, আত তারীখ ১/৩৮৭; আব্দ ইবনু হুমাইদ, আল মুনতাখাব ৩৭১; তাবারাণী, আল কাবীর ১৯/৩১১, ৩১২; আউসাত ৪৭৬১; সাহমী, তারীখ জুরজান ২৯৬-২৯৭; তাহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার ৩১৭৩, ৩১৭৪; হাইছামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ১/৩০২।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে উবাদাহ ইবনু ছামিত রা: হতে আহমদ ৫/৩১৭ সহীহ সনদে; এবং আবী কাতাদা রা: হতে আবু দাউদ ৪৩০; ইবনু মাজাহ ১৪০৩ যয়ীফ সনদে।- আরনাউতের তাহক্বীক্ব, মুসনাদে আহমাদ ৪/২৪৪ নং ১৮১৩২) এর টীকা হতে....... অনুবাদক।))
بَاب اسْتِحْبَابِ الصَّلَاةِ فِي أَوَّلِ الْوَقْتِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ هُوَ ابْنُ النُّعْمَانِ الْأَنْصَارِيُّ حَدَّثَنِي سَعْدُ بْنُ إِسْحَقَ بْنِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ الْأَنْصَارِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ كَعْبٍ قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ فِي الْمَسْجِدِ سَبْعَةٌ مِنَّا ثَلَاثَةٌ مِنْ عَرَبِنَا وَأَرْبَعَةٌ مِنْ مَوَالِينَا أَوْ أَرْبَعَةٌ مِنْ عَرَبِنَا وَثَلَاثَةٌ مِنْ مَوَالِينَا قَالَ فَخَرَجَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَعْضِ حُجَرِهِ حَتَّى جَلَسَ إِلَيْنَا فَقَالَ مَا يُجْلِسُكُمْ هَاهُنَا قُلْنَا انْتِظَارُ الصَّلَاةِ قَالَ فَنَكَتَ بِإِصْبَعِهِ فِي الْأَرْضِ وَنَكَسَ سَاعَةً ثُمَّ رَفَعَ إِلَيْنَا رَأْسَهُ فَقَالَ هَلْ تَدْرُونَ مَا يَقُولُ رَبُّكُمْ قَالَ قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ إِنَّهُ يَقُولُ مَنْ صَلَّى الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا فَأَقَامَ حَدَّهَا كَانَ لَهُ بِهِ عَلَيَّ عَهْدٌ أُدْخِلُهُ الْجَنَّةَ وَمَنْ لَمْ يُصَلِّ الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا وَلَمْ يُقِمْ حَدَّهَا لَمْ يَكُنْ لَهُ عِنْدِي عَهْدٌ إِنْ شِئْتُ أَدْخَلْتُهُ النَّارَ وَإِنْ شِئْتُ أَدْخَلْتُهُ الْجَنَّةَ