পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৭৯৬. উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনসারদের এক মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হায়িয (এর গোসল) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। তিনি জবাবে বললেন: “তোমরা কুলপাতা মিশ্রিত পানি নাও, এরপর (তা দিয়ে) সুন্দরভাবে ধৌত করো এবং মাথায় পানি ঢালবে যাতে তা তোমার চুলের গোড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছে যায়। তারপর সুগন্ধিযুক্ত এক টুকরো কাপড় নিয়ে তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করবে। সে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তা দ্বারা সে কিভাবে (পবিত্রতা অর্জন) করবে? তখন তিনি চুপ থাকলেন। সে আবার বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তা দ্বারা সে কিভাবে (পবিত্রতা অর্জন) করবে? তখনও তিনি চুপ থাকলেন। তখন আয়িশা বললেন: সুগন্ধিযুক্ত এক টুকরো কাপড় নিয়ে তা রক্তের চিহ্নের উপর বুলিয়ে দিবে। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা শুনলেন কিন্তু তিনি এতে অস্বীকৃতি জানাননি।[1]
তাখরীজ: বুখারী ৩১৪; সহীহ মুসলিম ৩৩২;
আমি এটি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৭৩৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১১৯৯, ১২০০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১৬৭ তে পূর্ণ তাখরীজ ও পার্শ্বটীকা দিয়েছি, কিন্তু সহীহ ইবনু হিব্বানে সূত্র উল্লেখে করতে ভুল করেছি।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ سَأَلَتْ امْرَأَةٌ مِنْ الْأَنْصَارِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْحَيْضِ قَالَ خُذِي مَاءَكِ وَسِدْرَكِ ثُمَّ اغْتَسِلِي وَأَنْقِي ثُمَّ صُبِّي عَلَى رَأْسِكِ حَتَّى تَبْلُغِي شُؤُونَ الرَّأْسِ ثُمَّ خُذِي فِرْصَةً مُمَسَّكَةً قَالَتْ كَيْفَ أَصْنَعُ بِهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَسَكَتَ قَالَتْ فَكَيْفَ أَصْنَعُ بِهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَسَكَتَ فَقَالَتْ عَائِشَةُ خُذِي فِرْصَةً مُمَسَّكَةً فَتَتَبَّعِي بِهَا آثَارَ الدَّمِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْمَعُ فَمَا أَنْكَرَ عَلَيْهَا
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৭৯৭. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে আবী হুবাইশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা। আমি পবিত্র হই না, ফলে সালাত পরিত্যাগ করি। তখন তিনি বললেন: না, বরং এটি শিরা থেকে প্রবাহিত রক্ত। ফলে যখন হায়েয আসবে, তখন তুমি সালাত পরিত্যাগ করবে। যখন তা চলে যাবে, তখন তোমার (দেহ) হতে রক্ত ধুয়ে ফেলবে এবং সালাত আদায় করবে।”[1]
তাখরীজ: আবু আউয়ানাহ, ১/৩১৯; সহীহ বুখারী ২২৮; সহীহ মুসলিম ৩৩৩।
আমি এটি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪৮৬, ৪৭৯৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৩৫০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১৯৩ তে পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি। হাদীসটি সামনে ৮০৬ নং আসছে।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلَا أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ قَالَ لَا إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَإِذَا أَقْبَلَتْ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلَاةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৭৯৮. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাহাশের কন্যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে ইস্তিহাযাগ্রস্ত হয়েছিলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে সে পানি ভরা একটি পাত্রের মধ্যে বসতো এবং তাতে (শরীরের নিম্নাংশ) ডুবানোর পর পাত্র হতে উঠে আসতো। তখন পানির উপরিভাগ পর্যন্ত রক্তবর্ণ ধারণ করতো। অতঃপর সে সালাত আদায় করতো।[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৬/২৩৭; তাবারানী, আস সগীর ১/৭৫; আবু দাউদ ২৯২; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/৯৮, ১০১; দেখুন সামনের ৮০৫ নং হাদীসটি। আমি এটি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪০৫, ৪৪১০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৩৫০. ১৩৫৩ তে পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ ابْنَةَ جَحْشٍ اسْتُحِيضَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ فَإِنْ كَانَتْ لَتَدْخُلُ الْمِرْكَنَ وَإِنَّهُ لَمَمْلُوءٌ مَاءً فَتَنْغَمِسُ فِيهِ ثُمَّ تَخْرُجُ مِنْهُ وَإِنَّ الدَّمَ لَعَالِيهِ فَتُصَلِّي
إسناده ضعيف فيه عنعنة محمد بن إسحاق
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৭৯৯. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জনৈক মহিলাকে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করতে নির্দেশ দেন। ফলে সেটি তার উপর কষ্টদায়ক হলে যোহর ও আসর সালাতকে একত্রে এক গোসলে, মাগরিব ও ঈশা’ এক গোসলে এবং ফজর এক গোসলে আদায় করতে নির্দেশ দেন।[1] আবু মুহাম্মদ বলেন: লোকেরা বলতো, (মহিলাটির নাম ছিল) সাহলাহ বিনতু সুহাইল; ইয়াযীদ ইবনু হারুন বলেন, (তার নাম) সুহাইলাহ বিনতু সাহল।
তাখরীজ: আবু দাউদ ২৯৫ (একই অর্থে ভিন্ন সনদে); যা সামনে ৮১২ নং এ আসছে। এর জন্য পূর্বের আয়িশার হাদীসটি ও পরের হাদীসটি দেখুন।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ إِنَّمَا هِيَ فُلَانَةُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَمَرَهَا بِالْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ فَلَمَّا شَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهَا أَمَرَهَا أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ بِغُسْلٍ وَاحِدٍ وَبَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِغُسْلٍ وَاحِدٍ وَتَغْتَسِلَ لِلْفَجْرِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد النَّاسُ يَقُولُونَ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلٍ قَالَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ سُهَيْلَةُ بِنْتُ سَهْلٍ
إسناده ضعيف فيه عنعنة ابن إسحاق
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮০০. শু’বাহ বলেন, আমি আব্দুর রহমান ইবনুল কাসিমকে মুসতাহাযাহ’ (ইস্তিহাযাহগ্রস্ত) নারী’র ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি তার পিতার সূত্রে আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণনা করলেন, তিনি বলেন, জনৈক মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে ইস্তিহাযাগ্রস্ত হয়েছিলেন। ফলে তাকে আদেশ দেয়া হয়েছিল.... তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন: আমি আব্দুর রহমানকে বললাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে আদেশ করেছিলেন? তিনি বললেন: আমি তোমাকে আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে কোনোকিছু বর্ণনা করব না। তিনি বলেন: তাকে আদেশ করা হয়েছিল, সে (মহিলা) যেন আসরের সালাত তার প্রারম্ভিক সময়ে এবং যুহরের সালাত তার শেষ সময়ে একই গোসলে আদায় করে। একইভাবে সে যেন মাগরিবকে পিছিয়ে তার শেষ সময়ে এবং ঈশা’কে তার প্রথম সময়ে একই গোসলে আদায় করে এবং ফজরের সালাতের জন্য একবার গোসল করে।[1]
তাখরীজ: তায়ালিসী ১/৬৩ নং ২৪১; আবু দাউদ ২৯৪; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/১০০; বাইহাকী ১/৩৫২।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ سَأَلْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ عَنْ الْمُسْتَحَاضَةِ فَأَخْبَرَنِي عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ امْرَأَةً اسْتُحِيضَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُمِرَتْ قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا قَالَ لَا أُحَدِّثُكَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا فَأُمِرَتْ أَنْ تُؤَخِّرَ الظُّهْرَ وَتُعَجِّلَ الْعَصْرَ وَتَغْتَسِلَ لَهُمَا غُسْلًا وَتُؤَخِّرَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلَ الْعِشَاءَ وَتَغْتَسِلَ لَهُمَا غُسْلًا وَتَغْتَسِلَ لِلصُّبْحِ غُسْلًا
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮০১. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ বিনতে জাহশ, যিনি আব্দুর রহমান ইবনু আউফের স্ত্রী ছিলেন, তিনি সাত বছর যাবত ইসতিহাযার রোগী ছিলেন। ফলে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এ ব্যাপারে অভিযোগ করলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “এটি হায়েয নয়, বরং এটি শিরা থেকে প্রবাহিত রক্ত। ফলে যখন হায়েয আসবে, তখন তুমি সালাত পরিত্যাগ করবে। যখন তা চলে যাবে, তখন তুমি গোসল করবে এবং সালাত আদায় করবে।” আয়িশা বলেন: এরপর তিনি প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করতেন এবং সালাত আদায় করতেন। তিনি আরও বলেন: আর তিনি তার বোন যায়নাব বিনতে জাহশের একটি পাত্রে বসে গোসল করতেন। এমনকি পানি রক্তে লাল হয়ে যেতো।[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৬/৮৩; আবু ইয়ালা মাউসিলী, আল মুসনাদ ৪৪০৫; মুসনাদুল মাউসিলীতে আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ ও টীকা দিয়েছি, সেখানে দেখুন। আরও দেখুন পূর্বোক্ত ৮০২ (৭৯১ আমাদের ক্রমিকে-অনুবাদক) নং হাদীসের টীকাটি এবং পরবর্তী ৮০৮-৮১১ নং হাদীস দেখুন।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ اسْتُحِيضَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ جَحْشٍ سَبْعَ سِنِينَ وَهِيَ تَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ فَاشْتَكَتْ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهَا لَيْسَتْ بِحِيضَةٍ إِنَّمَا هُوَ عِرْقٌ فَإِذَا أَقْبَلَتْ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلَاةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي قَالَتْ عَائِشَةُ فَكَانَتْ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ ثُمَّ تُصَلِّي قَالَتْ وَكَانَتْ تَقْعُدُ فِي مِرْكَنٍ لِأُخْتِهَا زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حَتَّى إِنَّ حُمْرَةَ الدَّمِ لَتَعْلُو الْمَاءَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮০২. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, ফাতিমা বিনতে আবী হুবাইশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলা। এর জন্য আমি কি সালাত পরিত্যাগ করব? তখন তিনি বললেন: না, বরং এটি শিরা থেকে প্রবাহিত রক্ত। এটি হায়েয নয়। ফলে যখন হায়েয আসবে, তখন তুমি সালাত পরিত্যাগ করবে। যখন তার (হায়েযের) নির্ধারিত দিনগুলি অতিবাহিত হবে, তখন তোমার (দেহ) হতে রক্ত ধুয়ে ফেলবে এবং গোসল করে সালাত আদায় করবে। হিশাম বলেন: আমার পিতা বলতেন: তুমি প্রথমে একবার গোসল করবে, এরপর যা কিছু হবে, তা পবিত্র অবস্থা (ধরে নিতে) হবে এবং তুমি সালাত আদায় করবে।[1]
তাখরীজ: তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/১০৩; পূর্ণ তাখরীজের জন্য দেখুন হাদীস নং ৮০১ (আমাদের ক্রমিকে দেখুন ৭৯৭ নং হাদীস এর টীকা-অনুবাদক। )
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ أَفَأَتْرُكُ الصَّلَاةَ قَالَ لَا إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحِيضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتْ الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلَاةَ فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَتَوَضَّئِي وَصَلِّي قَالَ هِشَامٌ فَكَانَ أَبِي يَقُولُ تَغْتَسِلُ غُسْلَ الْأَوَّلِ ثُمَّ مَا يَكُونُ بَعْدَ ذَلِكَ فَإِنَّهَا تَطَّهَّرُ وَتُصَلِّي
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮০৩. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সহধর্মিণী উম্মু সালামাহ হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়ে এক মহিলার রক্ত নির্গত হতেই থাকতো। ফলে উম্মু সালামাহ তার পক্ষ হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট ফতোয়া চাইলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন: “সে এখন যে অবস্থায় (রক্ত ঝরা রোগাবস্থায়), এ অবস্থা শুরু হওয়ার পূর্বে যে কয়দিন হায়েয হতো, সে যেন সেই কয়দিন গণনা করে; কেননা, মাসের সেই কয়দিন তার (হায়েযের) নির্ধারিত সময়। ফলে সেই কয়দিন সে সালাত পরিত্যাগ করবে, আবার যখন এ কয়দিন অতিক্রান্ত হবে, তখন সালাতের সময় উপস্থিত হলে তুমি গোসল করে এবং কাপড় দিয়ে পট্টি বেঁধে সালাত আদায় করবে।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৮৯৪।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ نَافِعٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَجُلًا أَخْبَرَهُ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ امْرَأَةً كَانَتْ تُهَرَاقُ الدَّمَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاسْتَفْتَتْ أُمُّ سَلَمَةَ لَهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ لِتَنْظُرْ عَدَدَ اللَّيَالِي وَالْأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُهُنَّ قَبْلَ أَنْ يَكُونَ بِهَا الَّذِي كَانَ وَقَدْرَهُنَّ مِنْ الشَّهْرِ فَتَتْرُكْ الصَّلَاةَ لِذَلِكَ فَإِذَا خَلَفَتْ ذَلِكَ وَحَضَرَتْ الصَّلَاةُ فَلْتَغْتَسِلْ وَلْتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ ثُمَّ تُصَلِّي
إسناده فيه جهالة ولكن الحديث صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮০৪. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা উম্মু হাবীবাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার প্রচুর রক্ত নির্গত হয়। তখন তিনি বলেন: “গোসল করো এবং সালাত আদায় করো।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৬/১৪১; পূর্ণাঙ্গ তাখরীজের জন্য আগের ৮০৫ (৮০১) নং হাদীসের টীকাটি দেখুন।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ غَلَبَنِي الدَّمُ قَالَ اغْتَسِلِي وَصَلِّي
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮০৫. আম্মারাহ বিনতে আব্দুর রহমান ইবনু সা’দ ইবনু যিরারাহ হতে বর্ণিত, তিনি আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে বলতে শুনেছেন, উম্মু হাবীবাহ বিনতে জাহশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এলো। আর তিনি সাত বছর যাবত ইসতিহাযার রোগী ছিলেন। ফলে তিনি এ ব্যাপারে তাঁর নিকট অভিযোগ করলেন এবং তাঁর নিকট ফতোয়া চাইলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন: “এটি হায়েয নয়, বরং এটি শিরা থেকে প্রবাহিত রক্ত। তুমি গোসল করো এবং সালাত আদায় করো।” আয়িশা বলেন: এরপর উম্মু হাবীবাহ প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করতেন এবং সালাত আদায় করতেন। আর তিনি একটি পাত্রে বসে গোসল করতেন। এমনকি পানি রক্তে লাল হয়ে যেতো। তারপর তিনি গোসল করতেন।[1]
তাখরীজ: আবু আউয়ানাহ ১/৩২০; আবু ইয়ালা, আল মুসনাদ নং ৪৪১০; ইবনু হিব্বান, আস সহীহ নং ১৩৫১; আরও দেখুন পূর্বের ৮০৫ নং হাদীসটি। পূর্ণ তাখরীজের জন্য দেখুন আমার তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদুল মাউসিলী ও সহীহ ইবনু হিব্বান।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدِ بْنِ زُرَارَةَ أَنَّهَا سَمِعَتْ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَقُولُ جَاءَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ جَحْشٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَتْ اسْتُحِيضَتْ سَبْعَ سِنِينَ فَاشْتَكَتْ ذَلِكَ إِلَيْهِ وَاسْتَفْتَتْهُ فِيهِ فَقَالَ لَهَا إِنَّ هَذَا لَيْسَ بِالْحِيضَةِ إِنَّمَا هَذَا عِرْقٌ فَاغْتَسِلِي ثُمَّ صَلِّي قَالَتْ عَائِشَةُ وَكَانَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَتُصَلِّي وَكَانَتْ تَجْلِسُ فِي الْمِرْكَنِ فَتَعْلُو حُمْرَةُ الدَّمِ الْمَاءَ ثُمَّ تُصَلِّي
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮০৬. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ বিনতে জাহাশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে ইস্তিহাযাগ্রস্ত হয়েছিলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে প্রত্যেক সালাতের জন্য গোসল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে যখন সে পানি ভরা একটি পাত্রের মধ্যে বসতো এবং তাতে (শরীরের নিম্নাংশ) ডুবানোর পর পাত্র হতে উঠে আসতো, তখন পানির উপরিভাগ পর্যন্ত রক্তবর্ণ ধারণ করতো। অতঃপর সে সালাত আদায় করতো।[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৬/২৩৭; এটি ৮০২, ৮০৫ (৭৯৮, ৮০১) নং এ গত হয়েছে।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ كَانَتْ اسْتُحِيضَتْ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْغُسْلِ لِكُلِّ صَلَاةٍ فَإِنْ كَانَتْ لَتَنْغَمِسُ فِي الْمِرْكَنِ وَإِنَّهُ لَمَمْلُوءٌ مَاءً ثُمَّ تَخْرُجُ مِنْهُ وَإِنَّ الدَّمَ لَعَالِيهِ فَتُصَلِّي
في إسناده عنعنة ابن إسحاق
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮০৭. কাসিম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: (সেই মহিলা) ছিল বাদিয়্যাহ বিনতে গায়লান আস সাকাফিয়্যাহ।[1]
তাখরীজ: (মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ দেননি।-অনুবাদক)
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ الْقَاسِمِ أَنَّهَا كَانَتْ بَادِيَةَ بِنْتَ غَيْلَانَ الثَّقَفِيَّةَ
إسناده ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮০৮. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি (ইসতিহাযাগ্রস্ত সেই মহিলা) ছিলো সাহলাহ বিনতে সুহাইল ইবনু আমর। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করতে নির্দেশ দেন। ফলে সেটি তার উপর কষ্টদায়ক হলে তিনি তাকে যোহর ও আসর সালাতকে একত্রে এক গোসলে, মাগরিব ও ঈশা’ এক গোসলে এবং ফজর এক গোসলে আদায় করতে নির্দেশ দেন।[1]
তাখরীজ: তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/১০১; ইবনু মানদাহ- হাফিজ (ইবনু হাজার) তার আল ইসাবাহ ১২/১৫১-১৫২ অপর সনদে এটি উল্লেখ করেছেন। আর এর সনদটি যয়ীফ। তবে হাদীসটি সহীহ, যা ৮০৩ (অনুবাদের ক্রমিক নং ৭৯৯) তে গত হয়েছে।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ إِنَّمَا هِيَ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو اسْتُحِيضَتْ وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَمَرَهَا بِالْغُسْلِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ فَلَمَّا جَهَدَهَا ذَلِكَ أَمَرَ أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فِي غُسْلٍ وَاحِدٍ وَالْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ فِي غُسْلٍ وَاحِدٍ وَتَغْتَسِلَ لِلصُّبْحِ
إسناده ضعيف غير أن الحديث صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮০৯. সা’দ ইবনু ইবরাহীম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: (সেই ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলার নাম সম্পর্কে) লোকদের মধ্যকার মতভেদ যে, তারা ছিল তিন মহিলা- এ সংক্রান্ত বিষয়টি আব্দুর রহমান ইবনু আউফ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র নিকট পৌঁছেছিলো। তাদের কেউ বললো: ’তিনি ছিলেন উম্মু হাবীবাহ।’ আবার কেউ বললো: ’তিনি ছিলেন বাদিয়্যাহ।’ আবার কেউ বললেন: ’তিনি ছিলেন সাহলাহ বিনতে সুহাইল।’[1]
তাখরীজ: দেখুন, আগের টীকা দু’টি। এছাড়া উসদুল গাবাহ ৭/৩৪, ১৫৪-১৫৫, ২১৪; এবং হাদীস নং ৮০৩ (অনুবাদের ক্রমিক নং ৭৯৯) এর টীকাটি দেখুন। আরও দেখুন, আল ইসাবাহ ১১২, ১৫১-১৫২, ৩১৯-৩২০, ১৩/১৯২।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ إِنَّمَا جَاءَ اخْتِلَافُهُمْ أَنَّهُنَّ ثَلَاثَتَهُنَّ كُنَّ عِنْدَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ فَقَالَ بَعْضُهُمْ هِيَ أُمُّ حَبِيبَةَ وَقَالَ بَعْضُهُمْ هِيَ بَادِيَةُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ هِيَ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلٍ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮১০. কা’কা’ ইবনু হাকীম বর্ণনা করেছেন, তিনি সাঈদ রাহি. কে ইস্তিহাযাগ্রস্ত মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন তিনি বললেন, হে ভাতিজা! এ ব্যাপারে আমার চেয়ে অধিক অবগত কোনো ব্যক্তি আর অবশিষ্ট নেই। যখন তার (মহিলা) হায়েয হয়, তখন সে যেন সালাত পরিত্যাগ করে; আর যখন হায়েয অতিবাহিত হয়ে যায়, তখন সে যেন গোসল করে এবং সালাত আদায় করে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/১২৬-১২৭; বাইহাকী ১/৩৩০ সহীহ সনদে।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى أَنَّ الْقَعْقَاعَ بْنَ حَكِيمٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَأَلَ سَعِيدًا عَنْ الْمُسْتَحَاضَةِ فَقَالَ يَا ابْنَ أَخِي مَا بَقِيَ أَحَدٌ أَعْلَمُ بِهَذَا مِنِّي إِذَا أَقْبَلَتْ الْحَيْضَةُ فَلْتَدَعْ الصَّلَاةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَلْتَغْتَسِلْ وَلْتُصَلِّ
إسناده صحيح إلى سعيد
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮১১. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলা সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে যে, (ইতিপূর্বে) যে কয়দিন তার হায়েয হতো, সেই কয়দিন সে সালাত পরিত্যাগ করবে, তারপর গোসল করবে, অতঃপর (গোপনাঙ্গে তুলা) ভরে পুটলি বানিয়ে পট্টি বাঁধবে এরপর সালাত আদায় করবে। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠলো, যদি তার রক্ত ঝরতে থাকে, (তাহলেও কি সে সালাত আদায় করবে)? যদি তার এই নলের (ধারার) মতো রক্ত ঝরতে থাকে, (তবুও সে সালাত আদায় করবে)।[1]
তাখরীজ: ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ১/২৫২ এটি টীকায় উল্লেখ করেছেন; ইসতিহাযা গ্রস্ত নারীর গোসল করা সম্পর্কে ইবনু আব্বাসের বর্ণনা সমূহ দেখুন নং ৮১৬, ৮২৪, ৮২৭, ৮২৮, ৮৩১ ((৮১২, ৮২০, ৮২৩, ৮২৪, ৮২৭ নং অনুবাদের ক্রম)) হাদীসগুলো দেখুন।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمَّارٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ ثُمَّ تَحْتَشِي وَتَسْتَثْفِرُ ثُمَّ تُصَلِّي فَقَالَ الرَّجُلُ وَإِنْ كَانَ يَسِيلُ قَالَ وَإِنْ كَانَ يَسِيلُ مِثْلَ هَذَا الْمَثْعَبِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮১২. আম্মার ইবনু আবী আম্মার হতে বর্ণিত, ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা ইসতিহাযাগ্রস্ত নারীদের ব্যাপারে মতামতের ক্ষেত্রে লোকদের মাঝে সকলের চেয়ে অধিক কঠোর ছিলেন। যদিও তিনি পরে তার নিকট যখন এক মহিলা এসে জিজ্ঞাসা করলো: আমি কি হায়েয অবস্থায় কা’বায় প্রবেশ করতে পারি? এরপর তিনি এর অনুমতি দিয়ে বলেন: হাঁ, যদি তোমার হায়েযের রক্ত প্রবল বেগে প্রবাহিত হতে থাকে, তবে (গোপনাঙ্গে) তুলা দিয়ে পট্টি বেধে নাও, এরপর কা’বায় প্রবেশ করো।[1]
তাখরীজ: আগের হাদীসের টীকাটি দেখুন। এটি আমি এ ব্যতীত অন্য কোথাও পাইনি।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ قَالَ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ قَوْلًا فِي الْمُسْتَحَاضَةِ ثُمَّ رَخَّصَ بَعْدُ أَتَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ أَدْخُلُ الْكَعْبَةَ وَأَنَا حَائِضٌ قَالَ نَعَمْ وَإِنْ كُنْتِ تَثُجِّينَهُ ثَجًّا اسْتَدْخِلِي ثُمَّ اسْتَثْفِرِي ثُمَّ ادْخُلِي
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮১৩. (মাসরুকের স্ত্রী) ক্বমীর বিনতে ’ইমরান হতে বর্ণিত, তিনি আয়িশা রা: থেকে বর্ণনা করেন, তিনি (কমীর) বলেন, আমি তাকে (আয়িশা রা: কে) ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি (আয়িশা রা:) বলেন: ’এর পূর্বে (হায়েযের সময়) যে কয়দিন সে সালাত পরিত্যাগ করতো, সেই কয়দিন সময় সে অপেক্ষা করবে। অতঃপর বিগত দিনে হায়েয অতিক্রান্ত হয়ে যখন পবিত্র হতো, সেই দিনে সে পবিত্র হবে, গোসল করবে তারপর প্রত্যেক সালাতের সময় ওযু করবে ও সালাত আদায় করবে।[1]
তাখরীজ: তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/১০৫ এটি আয়িশা রা: থেকে মাওকুফ হিসেবে সহীহ; ইবনু আবী শাইবা ১/১২৬; আব্দুর রাযযাক নং ১১৭০; বাইহাকী ১/৩৪৬; দেখুন সুনান আবু দাউদ ১/২১০-২১১ ৩০০ নং হাদীসের পববর্তী আলোচনা এবং সুনানে বাইহাকী ১/৩৪৬, ৩৪৭; এবং পরবর্তী হাদীসটি দুটিও দেখুন।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْ مُجَالِدٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ قَمِيرَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ سَأَلْتُهَا عَنْ الْمُسْتَحَاضَةِ قَالَتْ تَنْتَظِرُ أَقْرَاءَهَا الَّتِي كَانَتْ تَتْرُكُ فِيهَا الصَّلَاةَ قَبْلَ ذَلِكَ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ طُهْرِهَا الَّذِي كَانَتْ تَطْهُرُ فِيهِ اغْتَسَلَتْ ثُمَّ تَوَضَّأَتْ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَصَلَّتْ
إسناده ضعيف لضعف مجالد بن سعيد
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮১৪. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা যা বললেন, আবী জা’ফর থেকেও এর অনুরূপ কথা বর্ণিত হয়েছে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/১২৬ অপর সনদে আবী জা’ফর হতে মাওকুফ হিসেবে সহীহ। যা সামনে ৮২৫ (৮২১ অনুবাদের নং) এ আসছে।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ عَنْ مُعْتَمِرٍ عَنْ إِسْمَعِيلَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ حَيِّهِ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مِثْلَ مَا قَالَتْ عَائِشَةُ
إسناده ضعيف فيه جهالة
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮১৫. আয়িশা রা: হতে বর্ণিত, ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলা সম্পর্কে (তিনি বলেন:) ’ইতিপূর্বে (হায়েযের সময়) যে কয়দিন সে সালাত পরিত্যাগ করতো, সেই কয়দিন সময় সে অপেক্ষা করবে। অতঃপর বিগত দিনে হায়েয অতিক্রান্ত হয়ে যখন পবিত্র হতো, সেই দিনে সে পবিত্র হবে, গোসল করবে তারপর প্রত্যেক সালাতের সময় ওযু করবে ও সালাত আদায় করবে।[1]
তাখরীজ: আবু দাউদের ৩০০ নং হাদীসের পরের টীকাটি দেখুন; এবং এর পূর্বর্তী হাদীসটি এবং পরবর্তী ৮২৬ (৮২২ অনুবাদের ক্রমিক) নং হাদীসটি দেখুন।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ عَنْ عَامِرٍ عَنْ قَمِيرَ عَنْ عَائِشَةَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ تَنْتَظِرُ أَيَّامَهَا الَّتِي كَانَتْ تَتْرُكُ الصَّلَاةَ فِيهَا فَإِذَا كَانَ يَوْمُ طُهْرِهَا الَّذِي كَانَتْ تَطْهُرُ فِيهِ اغْتَسَلَتْ ثُمَّ تَوَضَّأَتْ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَصَلَّتْ
إسناده صحيح