পরিচ্ছেদঃ ৪০. যার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একটি হাদীস পৌঁছল কিন্তু সে এর সম্মান ও মর্যাদা দিল না, সে ব্যক্তির উপর দ্রুত শাস্তি (আপতিত) হওয়া প্রসঙ্গে
৪৫১. আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: একদা এক ব্যক্তি দু’খানা চাদর পরে গর্ব ও অহংকারের সাথে পথ চলছিল। এমতাবস্থায় আল্লাহ তা’আলা তাকে জমিনে ধ্বসিয়ে দিলেন। ফলে কিয়ামত পর্যন্ত সে এভাবে মাটির নিচে ধ্বসে যেতে থাকবে।” তখন এক জোড়া পোশাক (চাদর) পরিহিত এক যুবক তাঁর নাম ধরে ডেকে বললো: হে আবু হুরাইরা! যাকে জমিনে ধ্বসিয়ে দেয়া হয়েছিলো, সে যুবক কি এভাবে পথ চলছিলো? - এ বলে সে হাত দিয়ে অঙ্গভঙ্গি করে দেখাতে লাগল। অমনি সে হোঁচট খেয়ে (উপুড় হয়ে) পড়ে গেলো এবং তার হাড়-গোড় ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হলো। তখন আবু হুরাইরা রা: ’নাক ও মুখ অধপতিত হোক’- এরূপ ইঙ্গিত করে এ আয়াত পাঠ করলেন: “উপহাসকারীদের বিরূদ্ধে আমিই আপনার জন্য যথেষ্ট।” (সূরা হিজর: ৯৫)।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ করেছি, মুসনাদে মাওসিলী, নং ৬৩৩৪, ৬৪৮৪ নং এ। (সহীহ বুখারী, নং ৩৪৮৫; ৫৭৯০; সহীহ মুসলিম নং ২০৮৮, ৩/১৬৫৩-১৬৫৪); তিরমিযী নং ২৪৯১ ৪/৬৫৫; নাসাঈ, যিনাত অধ্যায় বাব ১০১; আহমদ ২/৬৬, ২২২, ২৬৭...)
তবে এর কয়েকটি শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে যা মুসনাদে মাওসিলী ৩৪০২ নং, ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আহমদ ২/৬৬; বুখারী ৫৭৯০ নং; নাসাঈ ৮/২০৬ এবং আবু সাঈদ আল খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মুসনাদে মাওসিলী নং ১৩১০ এ বর্ণিত।
بَابُ تَعْجِيلِ عُقُوبَةِ مَنْ بَلَغَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ فَلَمْ يُعَظِّمْهُ وَلَمْ يُوَقِّرْهُ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَجْلَانَ، عَنِ الْعَجْلَانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «بَيْنَمَا رَجُلٌ يَتَبَخْتَرُ فِي بُرْدَيْنِ، خَسَفَ اللَّهُ بِهِ الْأَرْضَ، فَهُوَ يَتَجَلْجَلُ فِيهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ» فَقَالَ لَهُ فَتًى قَدْ سَمَّاهُ وَهُوَ فِي حُلَّةٍ لَهُ: يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، أَهَكَذَا كَانَ يَمْشِي ذَلِكَ الْفَتَى الَّذِي خُسِفَ بِهِ؟ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ، فَعَثَرَ عَثْرَةً كَادَ يَتَكَسَّرُ مِنْهَا، فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: لِلْمَنْخَرَيْنِ، وَلِلْفَمِ، (إِنَّا كَفَيْنَاكَ الْمُسْتَهْزِئِينَ) [الحجر: 95]
إسناده ضعيف غير أن الحديث متفق عليه
পরিচ্ছেদঃ ৪০. যার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একটি হাদীস পৌঁছল কিন্তু সে এর সম্মান ও মর্যাদা দিল না, সে ব্যক্তির উপর দ্রুত শাস্তি (আপতিত) হওয়া প্রসঙ্গে
৪৫২. খিরাশ ইবনু জুবাইর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি মসজিদে এক যুবককে কংকর ছুঁড়তে দেখলাম। তখন এক বৃদ্ধ তাকে বললেন: কংকর ছুঁড়ো না। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কংকর ছোঁড়া হতে নিষেধ করতে শুনেছি। তারপর সে এ থেকে বিরত হল। তারপর যখন তার মনে হলো যে, বৃদ্ধটি (এখন আর) তা বুঝতে পারবে না, তখন আবার সে পাথর নিক্ষেপ করতে লাগল। বৃদ্ধ লোকটি আবার তাকে বলল: আমি কি তোমার নিকট হাদীস বর্ণনা করিনি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমি পাথর নিক্ষেপ হতে নিষেধ করতে শুনেছি? তারপরও তুমি পাথর ছুঁড়ছো! আল্লাহর কসম! আমি তোমার জানাযায় উপস্থিত হবো না, তোমার অসুস্থতায় তোমার দেখভাল করতে যাবো না, এমনকি আমি কখনো তোমার সাথে কথাও বলবো না।[1]
(পরবর্তী রাবী বলেন) আমি মুহাজির নামে আমার এক সাথীকে বললাম, খিরাশের নিকট যাও এবং এ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করো। তখন সে তার নিকট এসে তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে সে তার নিকট হাদীসটি বর্ণনা করল।
তাখরীজ: এটি আমি আর কোথাও পাইনি।
بَابُ تَعْجِيلِ عُقُوبَةِ مَنْ بَلَغَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ فَلَمْ يُعَظِّمْهُ وَلَمْ يُوَقِّرْهُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا هَارُونُ هُوَ ابْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي قَيْسٍ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ خِرَاشِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: رَأَيْتُ فِي الْمَسْجِدِ فَتًى يَخْذِفُ. فَقَالَ لَهُ شَيْخٌ، لَا تَخْذِفْ، «فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ الْخَذْفِ» فَغَفَلَ الْفَتَى، وَظَنَّ أَنَّ الشَّيْخَ لَا يَفْطِنُ لَهُ، فَخَذَفَ، فَقَالَ لَهُ الشَّيْخُ، أُحَدِّثُكَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنِ الْخَذْفِ ثُمَّ تَخْذِفُ؟ وَاللَّهِ لَا أَشْهَدُ لَكَ جَنَازَةً، وَلَا أَعُودُكَ فِي مَرَضٍ، وَلَا أُكَلِّمُكَ أَبَدًا. فَقُلْتُ لِصَاحِبٍ لِي يُقَالُ لَهُ مُهَاجِرٌ: انْطَلِقْ إِلَى خِرَاشٍ فَاسْأَلْهُ، فَأَتَاهُ، فَسَأَلَهُ عَنْهُ فَحَدَّثَهُ
في إسناده علتان: ضعف محمد بن حميد وجهالة خراش بن جبير إن كان محفوظا. ولكنه صحيح بما بعده
পরিচ্ছেদঃ ৪০. যার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একটি হাদীস পৌঁছল কিন্তু সে এর সম্মান ও মর্যাদা দিল না, সে ব্যক্তির উপর দ্রুত শাস্তি (আপতিত) হওয়া প্রসঙ্গে
৪৫৩. সাঈদ ইবনু জুবাইর হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাথর নিক্ষেপ করা হতে নিষেধ করেছেন।” তিনি আরও বলেছেন: “এর দ্বারা প্রাণী শিকার করা যায় না, শত্রুকেও জখম করা যায় না; কেবল দাঁত ভাঙা যায় এবং চোখ উপড়ানো যায়।” তখন সাঈদের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্কে রয়েছে- এমন এক ব্যক্তি মাটি থেকে কিছু একটি উঠিয়ে নিয়ে বলল: এই রকম কি? এ দ্বারা আর এমন কী হয়? তখন সাঈদ বললেন: তুমি আমাকে দেখাচ্ছ? আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে হাদীস শুনাচ্ছি, তারপরও তুমি তা অবজ্ঞা করছ? আমি আর কোনোদিন তোমার সাথে কথা বলবো না।”[1]
তাখরীজ: আহমদ, ৪/৭৬, ৫/৫৪, ৫৭; বুখারী ৪৮৪১; ৫৪৭৯, ৬২২০; মুসলিম,১৯৫৪; আবু দাউদ ৫২৭০; নাসাঈ ৮/৪৭; ইবনু মাজাহ, মুকাদ্দামাহ ১৭, ৩২২৬।
بَابُ تَعْجِيلِ عُقُوبَةِ مَنْ بَلَغَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ فَلَمْ يُعَظِّمْهُ وَلَمْ يُوَقِّرْهُ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْخَذْفِ، وَقَالَ: «إِنَّهَا لَا تَصْطَادُ صَيْدًا، وَلَا تَنْكَأُ، عَدُوًّا، وَلَكِنَّهَا تَكْسِرُ السِّنَّ وَتَفْقَأُ الْعَيْنَ». فَرَفَعَ رَجُلٌ بَيْنَهُ وَبَيْنَ سَعِيدٍ قَرَابَةٌ شَيْئًا مِنَ الْأَرْضِ فَقَالَ: هَذِهِ؟ وَمَا تَكُونُ هَذِهِ؟ فَقَالَ سَعِيدٌ: أَلَا أُرَانِي أُحَدِّثُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ تَهَاوَنُ بِهِ، لَا أُكَلِّمُكَ أَبَدًا
وهكذا جاءت عند البخاري ومسلم إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪০. যার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একটি হাদীস পৌঁছল কিন্তু সে এর সম্মান ও মর্যাদা দিল না, সে ব্যক্তির উপর দ্রুত শাস্তি (আপতিত) হওয়া প্রসঙ্গে
৪৫৪. আব্দুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ বলেন: আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর সাথীদের মধ্যকার এক ব্যক্তিকে দেখলেন যে, সে পাথর নিক্ষেপ করছে। তখন তিনি তাকে বললেন: পাথর নিক্ষেপ করো না। কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাথর নিক্ষেপ করা হতে নিষেধ করতেন- অথবা, তিনি পাথর নিক্ষেপ করাকে অপছন্দ করতেন। তিনি বলতেন: “এর দ্বারা শত্রুদেরকে আহত করা যায় না, আবার শিকার করাও যায় না; কিন্তু চোখ উপড়ানো যায় এবং দাঁত ভেঙ্গে দেয়া যায়।” এর কিছুক্ষণ পরে তিনি তাকে আবার পাথর নিক্ষেপ করতে দেখলেন। তখন তিনি তাকে বললেন: আমি কি তোমাকে এ খবর দেই নি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা থেকে নিষেধ করতেন? এরপরও আমি তোমাকে তা করতে দেখছি! আল্লাহর কসম! আমি তোমার সাথে আর কোনোদিন কথা বলবো না।[1]
তাখরীজ: বুখারী, আস সহীহ ৫৪৭৯; মুসলিম, আস সহীহ ১৯৫৪। পূর্বের হাদীসের তাখরীজ দেখুন।
بَابُ تَعْجِيلِ عُقُوبَةِ مَنْ بَلَغَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ فَلَمْ يُعَظِّمْهُ وَلَمْ يُوَقِّرْهُ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا كَهْمَسُ بْنُ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، قَالَ: رَأَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُغَفَّلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِهِ يَخْذِفُ، فَقَالَ: لَا تَخْذِفْ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَنْهَى عَنِ الْخَذْفِ - أَوْ كَانَ يَكْرَهُ الْخَذْفَ - وَقَالَ: إنَّهُ لَا يُنْكَأُ بِهِ عَدُوٌّ، وَلَا يُصَادُ بِهِ صَيْدٌ، وَلَكِنَّهُ قَدْ يَفْقَأُ الْعَيْنَ، وَيَكْسِرُ السِّنَّ» ثُمَّ رَآهُ بَعْدَ ذَلِكَ يَخْذِفُ، فَقَالَ لَهُ: أَلَمْ أُخْبِرْكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كانَ يَنْهَى عنْهُ، ثُمَّ أَرَاكَ تَخْذِفُ، وَاللَّهِ لَا أُكَلِّمُكَ أَبَدًا
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪০. যার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একটি হাদীস পৌঁছল কিন্তু সে এর সম্মান ও মর্যাদা দিল না, সে ব্যক্তির উপর দ্রুত শাস্তি (আপতিত) হওয়া প্রসঙ্গে
৪৫৫. কাতাদাহ বর্ণনা করেন: ইবনু সীরীন এক ব্যক্তিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি হাদীস বর্ণনা করলেন। তখন লোকটি বললো: অমুক ব্যক্তি (এ ব্যাপারে) এই এই কথা বলেছেন। তখন ইবনু সীরীন বললেন: আমি তোমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করছি আর তুমি বলছো, অমুক অমুক (এ বিষয়ে) এই এই কথা বলেছেন? যাও, আমি তোমার সাথে কোনো দিন কথা বলবো না।[1]
তাখরীজ: (মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ করেননি- অনুবাদক)।
بَابُ تَعْجِيلِ عُقُوبَةِ مَنْ بَلَغَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ فَلَمْ يُعَظِّمْهُ وَلَمْ يُوَقِّرْهُ
أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: " حَدَّثَ ابْنُ سِيرِينَ، رَجُلًا بِحَدِيثٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَجُلٌ: قَالَ فُلَانٌ: كَذَا وَكَذَا. فَقَالَ ابْنُ سِيرِينَ " أُحَدِّثُكَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَقُولُ: قَالَ فُلَانٌ وَفُلَانٌ: كَذَا وَكَذَا، لَا أُكَلِّمُكَ أَبَدًا
إسناده حسن من أجل سعيد بن بشير
পরিচ্ছেদঃ ৪০. যার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একটি হাদীস পৌঁছল কিন্তু সে এর সম্মান ও মর্যাদা দিল না, সে ব্যক্তির উপর দ্রুত শাস্তি (আপতিত) হওয়া প্রসঙ্গে
৪৫৬. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন তোমাদের কারো স্ত্রী রাতের বেলায় মসজিদে যাওয়ার অনুমতি চায়, সে যেনো তাকে নিষেধ না করে।” তখন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর এক ছেলে অমুক বললো: আল্লাহর কসম! তখন আমি তাকে নিষেধ করবো। তখন ইবনু উমার তার দিকে ফিরে তাকে এমন তীব্র ভাষায় তিরস্কার করলেন যে, আমি এর পূর্বে এমন তীব্রভাবে তিরস্কার করতে আমি তাকে দেখিনি। তারপর তিনি বললেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে তোমাকে হাদীস বর্ণনা করছি, আর তুমি বলছো: আল্লাহর কসম! তবুও আমি নিষেধ করবো!![1]
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৮৬৫; মুসলিম ৪২২; (আবু দাউদ ১/১৫৫ নং ৫৬৫, ৫৬৭; আহমদ ২/৭৬; হাকিম); সহীহ ইবনু হিব্বান ২২০৮-২২১০, ২২১৩; মুসনাদে মাউসিলী নং ৫৪২৬, ৫৪৯১ এ আমরা বিস্তারিত তাখরীজ দিয়েছি।
بَابُ تَعْجِيلِ عُقُوبَةِ مَنْ بَلَغَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ فَلَمْ يُعَظِّمْهُ وَلَمْ يُوَقِّرْهُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا اسْتَأْذَنَتْ أَحَدَكُمُ امْرَأَتُهُ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَلَا يَمْنَعْهَا» فَقَالَ فُلَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ: إِذًا وَاللَّهِ أَمْنَعُهَا، فَأَقْبَلَ عَلَيْهِ ابْنِ عُمَرَ فَشَتَمَهُ شتمةً لَمْ أَرَهُ شْتمها أَحَدًا قَبْلَهُ، ثُمَّ قَالَ: أُحَدِّثُكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَقُولُ: إِذًا وَاللَّهِ أَمْنَعُهَا
إسناده ضعيف لضعف محمد بن كثير وهو الثقفي الصنعاني لكن الحديث متفق عليه
পরিচ্ছেদঃ ৪০. যার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একটি হাদীস পৌঁছল কিন্তু সে এর সম্মান ও মর্যাদা দিল না, সে ব্যক্তির উপর দ্রুত শাস্তি (আপতিত) হওয়া প্রসঙ্গে
৪৫৭. আবুল মাখারিক বলেন: উবাদাহ ইবনু সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক দিরহামের বিনিময়ে দুই দিরহাম গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। তখন অমুক ব্যক্তি বলল: আমি তো এতে কোনো অসুবিধা দেখি না (যদি) হাতে হাতে হাতে হয়। তখন উবাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন: আমি তোমাকে বলছি: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন... আর তুমি বলছো: আমি এতে কোনো অসুবিধা দেখি না’?! আল্লাহর কসম! কোন ছাদ আমাকে এবং তোমাকে একইসাথে ছায়া দান করবে, তা কখনোই হবে না (তথা তোমার সাথে আমি কখনো একত্রিত হবে না)।”[1]
তাখরীজ: (মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ করেননি- অনুবাদক)
بَابُ تَعْجِيلِ عُقُوبَةِ مَنْ بَلَغَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ فَلَمْ يُعَظِّمْهُ وَلَمْ يُوَقِّرْهُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ مَعْرُوفٍ، عَنْ أَبِي الْمُخَارِقِ، قَالَ: ذَكَرَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «نَهَى عَنْ دِرْهَمَيْنِ بِدِرْهَمٍ» فَقَالَ فُلَانٌ: مَا أَرَى بِهَذَا بَأْسًا: يَدًا بِيَدٍ. فَقَالَ عُبَادَةُ: أَقُولُ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَقُولُ: لَا أَرَى بِهِ بَأْسًا، وَاللَّهِ لَا يُظِلُّنِي وَإِيَّاكَ سَقْفٌ أَبَدًا
لم يحكم عليه المحقق
পরিচ্ছেদঃ ৪০. যার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একটি হাদীস পৌঁছল কিন্তু সে এর সম্মান ও মর্যাদা দিল না, সে ব্যক্তির উপর দ্রুত শাস্তি (আপতিত) হওয়া প্রসঙ্গে
৪৫৮. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “(সফর হতে ফিরে) রাতে স্ত্রীদের নিকট যেও না।” তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক কাফেলার সঙ্গে এক সফর থেকে ফিরে এলেন। তখন দুই ব্যক্তি (রাতেই) গোপনে তাদের স্ত্রীদের নিকট গেলো এবং তাদের উভয়েই তাদের স্ত্রীদের নিকট একজন করে পুরুষকে পেলো।[1]
তাখরীজ: বাযযার, কাশফুল আসতার ২/১৮৬-১৮৭ নং ১৪৮৭; তাবারানী, আল কাবীর ১১/২৪৫ নং ১১৬২৬;
بَابُ تَعْجِيلِ عُقُوبَةِ مَنْ بَلَغَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ فَلَمْ يُعَظِّمْهُ وَلَمْ يُوَقِّرْهُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، عَنْ زَمْعَةَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَهْرَامٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تَطْرُقُوا النِّسَاءَ لَيْلًا» قَالَ وَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَافِلًا، فانْسلَ رَجُلَانِ إِلَى أَهْلَيْهِمَا، فَكِلَاهُمَا وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا
إسناده ضعيف لضعف زمعة
পরিচ্ছেদঃ ৪০. যার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একটি হাদীস পৌঁছল কিন্তু সে এর সম্মান ও মর্যাদা দিল না, সে ব্যক্তির উপর দ্রুত শাস্তি (আপতিত) হওয়া প্রসঙ্গে
৪৫৯. সাঈদ ইবনুল মুসায়্যেব বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোনো সফর হতে (রাতে) ফিরে আসতেন, তখন কোনো অবতরণস্থলে অবস্থান করতেন। তারপর বলতেন: “তোমরা রাতেই তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন করো না।” তাঁর এ কথা শুনেছিলো, এমন দু’ব্যক্তি বের হয়ে গেলো এবং রাতে তাদের স্ত্রীদের নিকট গমন করলো। তারপর তারা উভয়েই তাদের স্ত্রীদের সাথে একজন করে পুরুষকে পেলো।[1]
তাখরীজ: খারাইতী, মাসায়িউল আখলাক নং ৮৪৬।
بَابُ تَعْجِيلِ عُقُوبَةِ مَنْ بَلَغَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ فَلَمْ يُعَظِّمْهُ وَلَمْ يُوَقِّرْهُ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ نَزَلَ الْمُعَرَّسَ، ثُمَّ قَالَ: «لَا تَطْرُقُوا النِّسَاءَ لَيْلًا»، فَخَرَجَ رَجُلَانِ مِمَّنْ سَمِعَ مَقَالَتَهُ، فَطَرَقَا أهْلْهما، فَوَجَدَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلًا
مرسل وإسناده حسن من أجل عبد الرحمن بن حرملة
পরিচ্ছেদঃ ৪০. যার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একটি হাদীস পৌঁছল কিন্তু সে এর সম্মান ও মর্যাদা দিল না, সে ব্যক্তির উপর দ্রুত শাস্তি (আপতিত) হওয়া প্রসঙ্গে
৪৬০. আব্দুর রহমান ইবনু হারামালাহ বলেন: সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিবের নিকট এক ব্যক্তি হজ্জ্ব কিংবা উমরার জন্য বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে আসলেন। তখন তিনি লোকটিকে বললেন: সালাত আদায় না করে বের হয়োনা। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আযান হয়ে যাওয়ার পরে একমাত্র মুনাফিক ব্যতীত আর কেউ মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় না। তবে যে লোকের কোনো প্রয়োজন তাকে বের করে আর সে আবার মসজিদে ফিরে আসার নিয়ত রাখে, তাহলে তার কথা ভিন্ন।” তখন লোকটি বললো: আমার সাথীরা হাররাহ নামক স্থানে রয়েছে। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, (একথা বলে) সে বের হয়ে গেলো। সাঈদ সর্বদা এ ঘটনাটি বর্ণনা করতে আগ্রহ বোধ করতেন। তারপর আমি তাকে এ সংবাদ দিলাম যে, লোকটি তার বাহন থেকে পড়ে গিয়েছিলো এবং এতে তার উরুর হাড় ভেঙ্গে গিয়েছিলো।[1]
তাখরীজ: বাহাইকী, ৩/৫৬-৫৭; আব্দুর রাযযাক, নং ১৯৪৫; আবু দাউদ, মারাসীল নং ২৫; (ইবনু উয়াইনাহও এটি বর্ণনা করেছেন)।
আর এটি মারফু’ হিসেবে আমরা পূর্ণাঙ্গ তাখরীজ করেছি, মাজমাউয যাওয়াইদ নং ১৯৪৮ এ। (আবু হুরাইরা হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন তাবারানী, আল আউসাত, যেমন এসেছে মাজমাউল বাহরাইন ২/২২ এ। আর মাজমা’তে হাইছামী বলেছেন: এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ হাদীসের বর্ণনাকারী।-ফাতহুল মান্নান, ৩/২১৮ নং ৪৬৯ এর টীকা দ্র:)
بَابُ تَعْجِيلِ عُقُوبَةِ مَنْ بَلَغَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثٌ فَلَمْ يُعَظِّمْهُ وَلَمْ يُوَقِّرْهُ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حَرْمَلَةَ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ يُوَدِّعُهُ بِحَجٍّ أَوْ عُمْرَةٍ فَقَالَ لَهُ: لَا تَبْرَحْ حَتَّى تُصَلِّيَ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَخْرُجُ بَعْدَ النِّدَاءِ مِنَ الْمَسْجِدِ إِلَّا، مُنَافِقٌ، إِلَّا رَجُلٌ أَخْرَجَتْهُ حاجةُ، وَهُوَ يُرِيدُ الرَّجْعَةَ إِلَى الْمَسْجِدِ» فَقَالَ: إِنَّ أَصْحَابِي بِالْحَرَّةِ قَالَ: فَخَرَجَ، قَالَ: فَلَمْ يَزَلْ سَعِيدٌ يَوْلَعُ بِذِكْرِهِ، حَتَّى أُخْبِرَ أَنَّهُ وَقَعَ مِنْ رَاحِلَتِهِ فَانْكَسَرَتْ فَخِذُهُ
إسناده حسن