পরিচ্ছেদঃ ৩৯. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের ব্যাখ্যা করা এবং তাঁর হাদীসের নিকট অন্য কোনো ব্যক্তির কথা বলা থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গে

৪৪৪. মু’তামির তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলতেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের ব্যাখ্যা করা হতে যেনো বিরত থাকা হয়, যেমনভাবে কুরআনের তাফসীর থেকে বিরত থাকা হয়।[1]

بَابُ مَا يُتَّقَى مِنْ تَفْسِيرِ حَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَوْلِ غَيْرِهِ عِنْدَ قَوْلِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: لِيُتَّقَى، مِنْ تَفْسِيرِ حَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا يُتَّقَى مِنْ تَفْسِيرِ الْقُرْآنِ

إسناده جيد

اخبرنا موسى بن خالد، حدثنا معتمر، عن ابيه، قال: ليتقى، من تفسير حديث رسول الله صلى الله عليه وسلم، كما يتقى من تفسير القران اسناده جيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের ব্যাখ্যা করা এবং তাঁর হাদীসের নিকট অন্য কোনো ব্যক্তির কথা বলা থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গে

৪৪৫. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: তোমরা যে একথা বলে বেড়াচ্ছো যে, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (একথা) বলেছেন. আর অমুক একথা বলেছে’- তোমরা কি ভয় পাও না যে, তোমাদের এ কথার জন্য তোমাদেরকে আযাব দেয়া হবে, কিংবা তোমাদেরকে মাটিতে দাবিয়ে দেয়া হবে?[1]

بَابُ مَا يُتَّقَى مِنْ تَفْسِيرِ حَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَوْلِ غَيْرِهِ عِنْدَ قَوْلِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

أَخْبَرَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، " أَمَا تَخَافُونَ أَنْ تُعَذَّبُوا، أَوْ يُخْسَفَ بِكُمْ، أَنْ تَقُولُوا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ فُلَانٌ؟

إسناده صحيح

اخبرنا صدقة بن الفضل، حدثنا معتمر، عن ابيه، قال: قال ابن عباس رضي الله عنهما، " اما تخافون ان تعذبوا، او يخسف بكم، ان تقولوا: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم، وقال فلان؟ اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের ব্যাখ্যা করা এবং তাঁর হাদীসের নিকট অন্য কোনো ব্যক্তির কথা বলা থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গে

৪৪৬. আওযাঈ বলেন: উমার ইবনু আব্দুল আযীয রাহিমাহুল্লাহ লিখে পাঠালেন যে, আল্লাহর কিতাবের ব্যাপারে কারো কোনো মতামত (রায়) প্রদান চলবে না। আর আল্লাহর কিতাবে যে সকল বিষয় নাযিল হয়নি কিংবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত যা অনুমোদন করেনি, সেই সকল বিষয়ে আইম্মা বা নেতৃস্থানীয় আলিমগণ মতামত প্রদান করবেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সুন্নাত প্রবর্তন করে গিয়েছেন, সেই সুন্নাতের ব্যাপারে কারো মতামত প্রদান করা চলবে না।[1]

بَابُ مَا يُتَّقَى مِنْ تَفْسِيرِ حَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَوْلِ غَيْرِهِ عِنْدَ قَوْلِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا الْمُعَافَى، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، قَالَ: «كَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى أَنَّهُ لَا رَأْيَ لِأَحَدٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ، وَإِنَّمَا رَأْيُ الْأَئِمَّةِ فِيمَا لَمْ يَنْزِلْ فِيهِ كِتَابٌ، وَلَمْ تَمْضِ بِهِ سُنَّةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَا رَأْيَ لِأَحَدٍ فِي سُنَّةٍ سَنَّهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

إسناده صحيح

اخبرنا الحسن بن بشر، حدثنا المعافى، عن الاوزاعي، قال: «كتب عمر بن عبد العزيز رحمه الله تعالى انه لا راي لاحد في كتاب الله، وانما راي الاىمة فيما لم ينزل فيه كتاب، ولم تمض به سنة من رسول الله صلى الله عليه وسلم، ولا راي لاحد في سنة سنها رسول الله صلى الله عليه وسلم اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের ব্যাখ্যা করা এবং তাঁর হাদীসের নিকট অন্য কোনো ব্যক্তির কথা বলা থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গে

৪৪৭. উবাইদুল্লাহ ইবনু উমার বর্ণনা করেন: উমার ইবনু আব্দুল আযীয রাহিমাহুল্লাহ খুতবা দিলেন এবং এতে বললেন: “হে মানবমণ্ডলী! আল্লাহ তা’আলা তোমাদের নবীর পরে আর কোনো নবী পাঠাবেন না। আর তাঁর উপর যে কিতাব তিনি নাযিল করেছেন, এর পর আর কোনো কিতাবও তিনি নাযিল করবেন না। ফলে আল্লাহ তাঁর নবীর মুখ দিয়ে যা হালাল করেছেন, তা কিয়ামত পর্যন্ত হালাল থাকবে। আর তিনি তাঁর নবীর মুখ দিয়ে যা হারাম করেছেন, তা কিয়ামত পর্যন্ত হারাম থাকবে। তোমরা জেনে রাখো! আমি হুকুমদাতা নই, আমি হলাম (আল্লাহর হুকুম) বাস্তবায়নকারী। আমি বিদ’আত রচনাকারী নই, আমি (কুরআন-সুন্নাহ’র) অনুসরণকারী। আর আমি তোমাদের মধ্যকার সর্বোত্তম ব্যক্তিও নই, তবে তোমাদের মধ্যে আমার দায়িত্ব সবচেয়ে ভারী। আর জেনে রাখো! আল্লাহর অবাধ্যতামুলক বিষয়ে আল্লাহর কোনো সৃষ্টির আনুগত্য করা কারো জন্য বিধেয় নয়। আমি কি তোমাদেরকে শোনাতে সক্ষম হয়েছি?[1]

بَابُ مَا يُتَّقَى مِنْ تَفْسِيرِ حَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَوْلِ غَيْرِهِ عِنْدَ قَوْلِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَحِمَهُ اللَّهُ، خَطَبَ فَقَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَبْعَثْ بَعْدَ نَبِيِّكُمْ نَبِيًّا، وَلَمْ يُنْزِلْ بَعْدَ هَذَا الْكِتَابِ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْهِ كِتَابًا، فَمَا أَحَلَّ اللَّهُ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ فَهُوَ حَلَالٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَمَا حَرَّمَ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ فَهُوَ حَرَامٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، أَلَا وَإِنِّي لَسْتُ بِقاضٍّ، وَلَكِنِّي مُنَفِّذٌ، وَلَسْتُ بِمُبْتَدِعٍ، وَلَكِنِّي مُتَّبِعٌ، وَلَسْتُ بِخَيْرٍ مِنْكُمْ، غَيْرَ أَنِّي أَثْقَلُكُمْ حِمْلًا، أَلَا وَإِنَّهُ لَيْسَ لِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ أَنْ يُطَاعَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ، أَلَا هَلْ أَسْمَعْتُ؟

إسناده جيد

حدثنا موسى بن خالد، حدثنا معتمر بن سليمان، عن عبيد الله بن عمر، ان عمر بن عبد العزيز رحمه الله، خطب فقال: «يا ايها الناس ان الله لم يبعث بعد نبيكم نبيا، ولم ينزل بعد هذا الكتاب الذي انزل عليه كتابا، فما احل الله على لسان نبيه فهو حلال الى يوم القيامة، وما حرم على لسان نبيه فهو حرام الى يوم القيامة، الا واني لست بقاض، ولكني منفذ، ولست بمبتدع، ولكني متبع، ولست بخير منكم، غير اني اثقلكم حملا، الا وانه ليس لاحد من خلق الله ان يطاع في معصية الله، الا هل اسمعت؟ اسناده جيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের ব্যাখ্যা করা এবং তাঁর হাদীসের নিকট অন্য কোনো ব্যক্তির কথা বলা থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গে

৪৪৮. হিশাম ইবনু হুজাইর বলেন: তাউস আসরের পরে দু’রাকাত সালাত আদায় করতেন। তখন ইবনু আব্বাস তাকে বললেন: তুমি তা পরিত্যাগ কর। আর একে অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল। ইবনু আব্বাস বলেন: আসরের সালাতের পরে যেকোন সালাত আদায় করতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল। তাই আমি জানিনা, এর (আসরের পরে সালাত আদায়ের) জন্য তোমাকে আযাব দেয়া হবে, নাকি এর সাওয়াব দেয়া হবে। কেননা, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন: “আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূল যখন কোনো ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেন, তখন কোনো মু’মিন পুরুষ ও মুমিন নারীর সে ব্যাপারে নিজেদের কোনো এখতিয়ার থাকবে না (যে তারা তার ব্যতিক্রম করবে); যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করবে, সে নিশ্চয় সুস্পষ্ট গোমরাহীতে নিমজ্জিত হবে।” (সূরা আহযাব, ৩৩: ৩৬)

সুফিয়ান বলেন: “অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করা”- (এর অর্থ সম্পর্কে) তিনি বলতেন: আসরের পরে রাত পর্যন্ত সালাত আদায় করা। [1]

بَابُ مَا يُتَّقَى مِنْ تَفْسِيرِ حَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَوْلِ غَيْرِهِ عِنْدَ قَوْلِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حُجَيْرٍ، قَالَ: كَانَ طاووسٌ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ: «اتْرُكْهُمَا» قَالَ: «إِنَّمَا نُهِيَ عَنْهَا أَنْ تُتَّخَذُ سُلَّمًا» قَالَ: ابْنُ عَبَّاسٍ " فَإِنَّهُ قَدْ نُهِيَ عَنْ صَلَاةٍ بَعْدَ الْعَصْرِ، فَلَا أَدْرِي أَتُعَذَّبُ عَلَيْهَا أَمْ تُؤْجَرُ، لِأَنَّ اللَّهَ يَقُولُ: (وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقْدَ ضَلَّ ضَلَالًا مُبِينًا) [الأحزاب: 36] قَالَ: سُفْيَانُ تُتَّخَذَ سُلَّمًا، يَقُولُ: يُصَلِّي بَعْدَ الْعَصْرِ إِلَى اللَّيْلِ

إسناده جيد

اخبرنا عبيد الله بن سعيد، حدثنا سفيان بن عيينة، عن هشام بن حجير، قال: كان طاووس يصلي ركعتين بعد العصر، فقال له ابن عباس: «اتركهما» قال: «انما نهي عنها ان تتخذ سلما» قال: ابن عباس " فانه قد نهي عن صلاة بعد العصر، فلا ادري اتعذب عليها ام توجر، لان الله يقول: (وما كان لمومن ولا مومنة اذا قضى الله ورسوله امرا ان يكون لهم الخيرة من امرهم ومن يعص الله ورسوله فقد ضل ضلالا مبينا) [الاحزاب: 36] قال: سفيان تتخذ سلما، يقول: يصلي بعد العصر الى الليل اسناده جيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের ব্যাখ্যা করা এবং তাঁর হাদীসের নিকট অন্য কোনো ব্যক্তির কথা বলা থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গে

৪৪৯. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাওরাতের একটি নুসখা/কপি নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ! এটি তাওরাতের একটি নুসখা। তখন (একথা শুনে) তিনি চুপ করে থাকলেন। তখন উমার তা পাঠ করতে শুরু করলেন এবং এতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেল। তখন (তা দেখে) আবু বাকর রহমাতুল্লাহ আলাইহি বললেন, সন্তানহারা শোক তোমাকে আচ্ছন্ন করুক! তুমি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেহারার দিকে তাকাওনি? তখন উমার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেহারার দিকে তাকিয়ে বললেন: আমি আল্লাহর নিকট আল্লাহর গযব ও তাঁর রাসূলের ক্রোধ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমরা আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দীন হিসেবে ও মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, সেই সত্তার কসম! যদি মূসাও প্রকাশিত হতেন আর তোমরা তাকে অনুসরণ করতে এবং আমাকে পরিত্যাগ করতে, তবে অবশ্যই তোমরা সরল-সোজা পথ হতে বিচ্যুত হতে। আর যদি তিনি জীবিত থাকতেন এবং আমার নবুয়তী সময় পেতেন, তবে তিনি অবশ্যই আমার অনুসরণ করতেন।”[1]

بَابُ مَا يُتَّقَى مِنْ تَفْسِيرِ حَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَوْلِ غَيْرِهِ عِنْدَ قَوْلِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنُسْخَةٍ مِنَ التَّوْرَاةِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذِهِ نُسْخَةٌ مِنَ التَّوْرَاةِ، فَسَكَتَ، فَجَعَلَ يَقْرَأُ وَوَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ يَتَغَيَّرُ، فَقَالَ: أَبُو بَكْرٍ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْهِ ثَكِلَتْكَ الثَّوَاكِلُ، مَا تَرَى بِوَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَنَظَرَ عُمَرُ إِلَى وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ وَغَضَبِ رَسُولِهِ رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عليْهِ وَسَلَّمَ رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عليْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَوْ بَدَا لَكُمْ مُوسَى فَاتَّبَعْتُمُوهُ وَتَرَكْتُمُونِي، لَضَلَلْتُمْ عَنْ سَوَاءِ السَّبِيلِ، وَلَوْ كَانَ حَيًّا وَأَدْرَكَ نُبُوَّتِي، لَاتَّبَعَنِي

إسناده ضعيف لضعف مجالد ولكن الحديث حسن

اخبرنا محمد بن العلاء، حدثنا ابن نمير، عن مجالد، عن عامر، عن جابر رضي الله عنه ان عمر بن الخطاب رضوان الله عليه اتى رسول الله صلى الله عليه وسلم بنسخة من التوراة، فقال: يا رسول الله، هذه نسخة من التوراة، فسكت، فجعل يقرا ووجه رسول الله يتغير، فقال: ابو بكر رحمة الله عليه ثكلتك الثواكل، ما ترى بوجه رسول الله صلى الله عليه وسلم؟ فنظر عمر الى وجه رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: اعوذ بالله من غضب الله وغضب رسوله رضينا بالله ربا وبالاسلام دينا وبمحمد نبيا. فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم رضينا بالله ربا وبالاسلام دينا وبمحمد نبيا. فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «والذي نفس محمد بيده، لو بدا لكم موسى فاتبعتموه وتركتموني، لضللتم عن سواء السبيل، ولو كان حيا وادرك نبوتي، لاتبعني اسناده ضعيف لضعف مجالد ولكن الحديث حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের ব্যাখ্যা করা এবং তাঁর হাদীসের নিকট অন্য কোনো ব্যক্তির কথা বলা থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গে

৪৫০. আবু রাবাহ বলেন: সাঈদ ইবনুল মুসায়্যেব এক ব্যক্তিকে আসরের পরে দু’রাকাত সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে তাকবীর দিতে দেখলেন। (তখন তিনি তাকে শাস্তির কথা শুনালেন)। ফলে লোকটি তাঁকে বললো: হে আবু মুহাম্মদ! আল্লাহ কি আমাকে সালাত আদায়ের জন্য শাস্তি দিবেন? তিনি বললেন: না। কিন্তু আল্লাহ তোমাকে (তাঁর নবীর) ‍সুন্নাতের বিরোধীতার জন্য শাস্তি দিবেন। (কারণ, সুন্নাত হল, আসরের পরে সালাত আদায় না করা)।[1]

بَابُ مَا يُتَّقَى مِنْ تَفْسِيرِ حَدِيثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَوْلِ غَيْرِهِ عِنْدَ قَوْلِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي رَبَاحٍ شَيْخٌ مِنْ آلِ عُمَرَ قَالَ: " رَأَى سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ رَجُلًا يُصَلِّي بَعْدَ الْعَصْرِ الرَّكْعَتَيْنِ يُكَبِّرُ، فَقَالَ لَهُ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ: أَيُعَذِّبُنِي اللَّهُ عَلَى الصَّلَاةِ؟ قَالَ: لَا، وَلَكِنْ يُعَذِّبُكَ اللَّهُ بِخِلَافِ السُّنَّةِ

إسناده جيد

حدثنا قبيصة، اخبرنا سفيان، عن ابي رباح شيخ من ال عمر قال: " راى سعيد بن المسيب رجلا يصلي بعد العصر الركعتين يكبر، فقال له يا ابا محمد: ايعذبني الله على الصلاة؟ قال: لا، ولكن يعذبك الله بخلاف السنة اسناده جيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে