পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৫৮. মুহাসির ইবনু হাবীব বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা বলেন: ’আমি প্রত্যেক জ্ঞানগর্ভ কথাকেই কবুল করি না, বরং তার নিয়ত ও মন-মানস (এর টান) কে আমি কবুল করি। যদি তার নিয়ত ও মন-মানস (এর টান) আমার আনুগত্যের প্রতি হয়ে থাকে, তবে আমি তার নিরবতাকেও আমার গুণকীর্তণ ও সম্মান প্রদর্শন হিসেবে ধরে নেই, যদিও সে কোনো কথা বলেনি।[1]
তাখরীজ: এ হাদীস এখানে ব্যতীত আর কোথাও আমি পাইনি। খতীব তিবরিযী তার মিশকাতুল মাসাবীহ গ্রন্থে নং ৫৩৩৮ এ একে দারেমী’র দিকে সম্বন্ধ করেছেন।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَنبَأَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ الْمُهَاصِرَ بْنَ حَبِيبٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: إِنِّي لَسْتُ كُلَّ كَلَامِ الْحَكِيمِ أَتَقَبَّلُ، وَلَكِنِّي أَتَقَبَّلُ هَمَّهُ وَهَوَاهُ، فَإِنْ كَانَ هَمُّهُ وَهَوَاهُ فِي طَاعَتِي، جَعَلْتُ صَمْتَهُ حَمْدًا لِي وَوَقَارًا، وَإِنْ لَمْ يَتَكَلَّمْ
إسناده ضعيف صدقة بن عبد الله ضعيف والحديث مرسل
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৫৯. মুয়াবিয়াহ ইবনু সালিহ, আবূ যাহিরিয়্যাহ হতে বর্ণনা করেন, তিনি একে মারফু’ হাদীস হিসেবে (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে) বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহ তা’আলা বলেন: “আমি আখেরী যামানায় ইলমকে (সকলের মাঝে) ছড়িয়ে দেব, যাতে নারী-পুরুষ, কৃতদাস-স্বাধীন ব্যক্তি, ছোট-বড় নির্বিশেষে সকলেই তা শিখে নেয়। যখন আমি তাদের ব্যাপারে একাজ করব (তাদের জ্ঞান শিক্ষার সুযোগ করে দেব), অত:পর আমি তাদের উপর আমার হকের বিষয়ে তাদেরকে পাকড়াও করব।[1]
তাখরীজ: ইবনু্ আব্দুল বার, জামি’ বায়ানুল ইলম, নং ১২১০; আবু নুয়াইম, আল হিলইয়া ৬/১০০।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مَخْلَدُ بْنُ مَالِكٍ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ لَيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ، يَرْفَعُ الْحَدِيثَ أنَّ اللَّهَ قَالَ: «أَبُثُّ الْعِلْمَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ حَتَّى يَعْلَمَهُ الرَّجُلُ وَالْمَرْأَةُ، وَالْعَبْدُ وَالْحُرُّ، وَالصَّغِيرُ وَالْكَبِيرُ، فَإِذَا فَعَلْتُ ذَلِكَ بِهِمْ، أَخَذْتُهُمْ بِحَقِّي عَلَيْهِمْ
إسناده صحيح إلى أبي الزاهرية حدير بن كريب وهو مرسل
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৬০. হাসান (রহঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি এ জ্ঞানের কোনো অংশ তালাশ (অন্বেষণ) করে এবং এর দ্বারা তার একমাত্র উদ্দেশ্য হয় আল্লাহর নিকট যা আছে তা (অর্থাৎ সাওয়াব), তবে ইনশা আল্লাহ সে তা লাভ করবে। আর এ (ইলম) দ্বারা যার উদ্দেশ্য হবে দুনিয়া কামাই, তবে আল্লাহর কসম! সে এর দ্বারা তা-ই লাভ করবে (সাওয়াব পাবে না)।”[1]
তাখরীজ: খতীব, ইকিতিদাউল ইলমুল আমল নং ১০৩।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مَخْلَدُ بْنُ مَالِكٍ، حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: «مَنْ طَلَبَ شَيْئًا مِنْ هَذَا الْعِلْمِ فَأَرَادَ بِهِ مَا عِنْدَ اللَّهِ، يُدْرِكْ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَمَنْ أَرَادَ بِهِ الدُّنْيَا، فَذَاكَ وَاللَّهِ حَظُّهُ مِنْهُ
إسناده صحيح إلى الحسن
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৬১. ইবরাহীম ইবনু মুসা বলেন, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তোমরা এ তিনটি উদ্দেশ্যে ইলম শিক্ষা করো না: ১. এর (জ্ঞানের) মাধ্যমে মুর্খদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ করার জন্য, ২. এর মাধ্যমে আলিমগণের সাথে তর্ক-বিতর্ক করার জন্য, ৩. এর মাধ্যমে লোকদের চেহারা (দৃষ্টি/মনযোগ) তোমাদের দিকে আকর্ষণ করার জন্য। আর তোমাদের কথার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট যা রয়েছে , তা (অর্থাৎ সাওয়াব) প্রত্যাশা কর। কারণ, তা-ই স্থায়ী ও অবশিষ্ট থাকবে। আর তা ব্যতীত সবকিছুই নিঃশেষ হয়ে যাবে।”[1]
তাখরীজ: খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাককিহ নং ৮১০; আরও দেখুন জামিই’ বায়ানিল ইলম, নং ২৫৭।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْنٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عِيسَى، قَالَ: قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: «لَا تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ لِثَلَاثٍ لِتُمَارُوا بِهِ السُّفَهَاءَ، وَتُجَادِلُوا بِهِ الْعُلَمَاءَ، وَلِتَصْرِفُوا بِهِ وُجُوهَ النَّاسِ إِلَيْكُمْ، وَابْتَغُوا بِقَوْلِكُمْ مَا عِنْدَ اللَّهِ، فَإِنَّهُ يَدُومُ وَيَبْقَى وَيَنْفَدُ مَا سِوَاهُ
في إسناده محمد بن عون وهو متروك. وباقي رجاله ثقات
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৬২. একই সনদে তিনি আরও বলেন, “তোমরা জ্ঞানের ঝর্ণা হও, হেদায়েতের আলোকবর্তিকা হও, গৃহসমূহের পরিচ্ছদ হও (গৃহের জন্য অপরিহার্য্য), রাতের প্রদীপ হও, অন্তরসমূহের ঐকান্তিকতা হও, পুরাতন পোশাক খণ্ড হয়ে যাও, আসমানবাসীর নিকট সুপরিচিত হও এবং জমিনবাসীর নিকট অপরিচিত (গোপন) হও।”[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান, ১৭২৯; এর সনদও যয়ীফ।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
وَبِهَذَا الْإِسْنَادِ قَالَ: كُونُوا يَنَابِيعَ الْعِلْمِ مَصَابِيحَ الْهُدَى، أَحْلَاسَ الْبُيُوتِ، سُرُجَ اللَّيْلِ، جُدُدَ الْقُلُوبِ، خُلْقَانَ الثِّيَابِ، تُعْرَفُونَ فِي أَهْلِ السَّمَاءِ، وَتَخْفَوْنَ عَلَى أَهْلِ الْأَرْضِ
إسناده ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৬৩. আব্দুল্লাহ্ ইবনু আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি এ ইলম অন্বেষণ করবে এবং এর মাধ্যমে দুনিয়া (এর সম্পদ)-ই তার একমাত্র উদ্দেশ্যে হবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাঁর জন্য জান্নাতের সুঘ্রাণও হারাম করে দিবেন।”[1]
তাখরীজ: ইবনু মাজাহ, মুকাদ্দামাহ ২৫২; আবু দাউদ ৩৬৬৪; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ নং ১১৪৫; আহমদ ২/৩৩৮ আবু হুরাইরা হতে....। হাকিম ও যাহাবী একে সহীহ বলেছেন।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَارَةَ بْنِ حَزْمٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَطْلُبُ هَذَا الْعِلْمَ أَحَدٌ لَا يُرِيدُ بِهِ إِلَّا الدُّنْيَا، إِلَّا حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ عَرْفَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
إسناده صحيح إلى عبد الله بن عبد الرحمن وهو مرسل بل ربما كان معضلا
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৬৪. মালিক ইবনু মিগওয়াল হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, শা’বীকে কোন এক ব্যক্তি বলল, হে আলিম, আপনি আমাকে একটি বিষয়ে ফতওয়া দিন। তখন তিনি বলেন, আলিম হল ঐ ব্যক্তি যে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লাকে ভয় করে।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১৪/৪৮ নং ১৭৫১৭; আবু নুয়াইম, আল হিলইয়া ৪/৩১১।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، قَالَ: قَالَ رَجُلٌ لِلشَّعْبِيِّ: أَفْتِنِي أَيُّهَا الْعَالِمُ، فَقَالَ: «الْعَالِمُ مَنْ يَخَافُ اللَّهَ» عَزَّ وَجَلَّ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৬৫. আওফা ইবনু দালহাম হতে বর্ণিত, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “তোমরা ইলম শিক্ষা কর, তাহলে এর দ্বারাই তোমরা পরিচিতি লাভ করবে, তোমরা এর দ্বারা আমল করতে পারবে, আর তোমরা জ্ঞানের বাহক হয়ে যাবে। কেননা, নিশ্চয় এ যামানার পরেই এমন এক যামানা আসবে, যখন দশজনের নয়জন লোকই ভালো কথা/কাজ (মা’রুফ) বিষয়ে জানবে না। আর এ (ফিতনা) থেকে অখ্যাত (অকল্যাণ থেকে বেখেয়াল) ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত আর কেউ রক্ষা পাবে না। আর তারাই হলেন সঠিকপথের ইমাম (আলিম) এবং ইলমের আলোকবর্তিকা। আর তারা মন্দ কাজ ও চোগলখুরীতে ব্যস্ত থাকে না, এবং তারা লোকদের মাঝে কুৎসা ও অশ্লীলতার প্রচারকারী নন।[1]
আবু মুহাম্মদ (দারেমী) বলেন: ’نومة ’: অকল্যাণ (ফিতনা) থেকে বেখেয়ালী ব্যক্তিবর্গ। المذاييع: বাচালতা, অধিক কথা বলা। البذر চোগলখোর, কুৎসা রটনাকারীগণ।
তাখরীজ: আহমদ, আয যুহদ পৃ. ১৩০; দেখুন শুয়াবুল ঈমান ৯৬৭০।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ مَزْيَدٍ، عَنْ أَوْفَى بْنِ دَلْهَمٍ: أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ، تُعْرَفُوا بِهِ، وَاعْمَلُوا بِهِ، تَكُونُوا مِنْ أَهْلِهِ، فَإِنَّهُ سَيَأْتِي بَعْدَ هَذَا زَمَانٌ لَا يَعْرِفُ فِيهِ تِسْعَةُ عُشَرَائِهِمُ الْمَعْرُوفَ، وَلَا يَنْجُو مِنْهُ إِلَّا كُلُّ نُوَمَةٍ فَأُولَئِكَ أَئِمَّةُ الْهُدَى وَمَصَابِيحُ الْعِلْمِ، لَيْسُوا بِالْمَسَايِيحِ وَلَا الْمَذَايِيعِ الْبُذْرِ» قَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ: نُوَمَةٌ: غَافِلٌ عَنِ الشَّرِّ، الْمَذَايِيعُ: كَثِيرُ الْكَلَامِ، وَالْبُذْرُ: النَّمَّامُونَ
رجاله ثقات غير أنه منقطع أوفى بن دلهم لم يسمع عليا فيما نعلم
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৬৬. ইয়াযীদ ইবনু জাবির বলেন, মুয়ায ইবনু জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “তোমরা জ্ঞান অর্জন করার পরে তোমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী আমল কর। কেননা, তোমরা আমল না করা পর্যন্ত কখনোই আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে ইলমের সাওয়াব দিবেন না।”[1]
তাখরীজ: ইবনুল মুবারক, আয যুহদ নং ৬২; তার থেকে আবু নুয়াইম, হিলইয়া ১/২৩৬; খতীব, ইকতিদাউল ইলম নং ৭, ৮ মারফু’ হিসেবে; তবে সঠিক হল এটি মাওকুফ।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، «اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ بَعْدَ أَنْ تَعْلَمُوا، فَلَنْ يَأْجُرَكُمُ اللَّهُ تَعَالَى بِالْعِلْمِ حَتَّى تَعْمَلُوا
إسناده رجاله ثقات غير أن يزيد بن جابر الأزدي لم يدرك معاذ بن جبل
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৬৭. সা’দ বর্ণনা করেন যে, তিনি ইবনু মুনাব্বিহ’র নিকট এসে তাঁকে হাসান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন এবং তাকে বললেন: তার বিবেক-বুদ্ধির কী অবস্থা? তখন তিনি (তার সম্পর্কে) তাকে জানালেন। এরপর বললেন, নিশ্চয়ই আমরা বলাবলি করি, কিংবা আমরা কিতাবসমূহে পেয়েছি যে, আল্লাহ তাঁর একজন বান্দাকে ইলম দান করলেন, অত:পর সে ব্যক্তি তার জ্ঞান-বুদ্ধি অনুযায়ী হেদায়েতের পথে আমল করলো। তারপর আল্লাহ তার জ্ঞান-বুদ্ধি ছিনিয়ে নেন, এমনকি এভাবেই তিনি তাকে মৃত্যু দেন।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ৪/৪৫৯ নং১৭৪০ ও ১৮৮৩; (আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ, যাওয়াইদ আয যুহদ /৩৮০ নং ১৫২৭-ফাতহুল মান্নান)
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ خَالِدِ بْنِ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مَزْيَدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، يُحَدِّثُ: عَنْ سَعْدٍ أَنَّهُ أَتَى ابْنَ مُنَبِّهٍ فَسَأَلَهُ عَنِ الْحَسَنِ وَقَالَ لَهُ: كَيْفَ عَقْلُهُ؟ فَأَخْبَرَهُ، ثُمَّ قَالَ: «إِنَّا لَنَتَحَدَّثُ - أَوْ نَجِدُ فِي الْكُتُبِ - أَنَّهُ مَا آتَى اللَّهُ سُبْحَانَهُ عَبْدًا عِلْمًا فَعَمِلَ بِهِ عَلَى سَبِيلِ الْهُدَى، فَيَسْلُبَهُ عَقْلَهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ اللَّهُ إِلَيْهِ
في إسناده سعد وما عرفته وباقي رجاله ثقات
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৬৮. আবু কাবশা আস সালুলী থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: কিয়ামত দিবসে আল্লাহ’র নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট অবস্থা হবে ঐ ব্যক্তির, যেই আলিম তার ইলম দ্বারা উপকৃত হয়নি।[1]
তাখরীজ: ইবনুল মুবারক, আয যুহদ নং ৪০; তার সনদে আবী নুয়াইম, হিলইয়া ১/২২৩; এবং ইবনু আব্দুল বার, জামি’ই বায়ানিল ইলম নং ১০৭৮; এ সনদে অজ্ঞতা রয়েছে।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ، عَنِ ابْنِ الْقَاسِمِ بْنِ قَيْسٍ، قال: حَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ سَيْفٍ الْحِمْصِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو كَبْشَةَ السَّلُولِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: «إِنَّ مِنْ أَشَرِّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ، عَالِمٌ لَا يَنْتَفِعُ بِعِلْمِهِ
إسناده ضعيف جدا ابن القاسم هو عبد الغفار بن القاسم بن قيس قال ابن المديني: كان يضع الحديث
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৬৯. মালিক ইবনু দীনার হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু দারদা’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি তার জ্ঞান বৃদ্ধি করল, সে তার কষ্ট-যন্ত্রণাকে বৃদ্ধি করল।[1]
তাখরীজ: ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ৯০০।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَنبَأَنَا أَبُو قُدَامَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ، قَالَ: قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ مَنْ يَزْدَدْ عِلْمًا، يَزْدَدْ وَجَعًا
في إسناده علتان: الأولى مالك بن دينار لم يدرك أبا الدرداء فالإسناد منقطع والثانية: أبو قدامة وهو: الحارث بن عبيد وهو ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৭০. (একই সনদে) আবী দারদা’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি আমার নিজের ব্যাপারে ভয় পাই না যে, আমাকে জিজ্ঞেস করা হবে, তুমি কী শিক্ষা করেছ? বরং আমি নিজের ব্যাপারে ভয় পাই যে, আমাকে জিজ্ঞেস করা হবে, তুমি কী আমল করেছ?[1]
তাখরীজ: থতীব, ইকতিদাউল ইলম ওয়াল আমল, মাওকুফ হিসেবে; ইবনুল মুবারক, আয যুহদ নং ৩৯; ইবনু্ আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ১২০১; ইবনু আবী শাইবা ১৩/৩১১ নং ১৬৪৪৬; আহমদ, আয যুহদ পৃ: ১৩৬; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ১/২১৩। তবে ইবনু আব্দুল বার অপর সনদে কাছীর বিন আব্দুল্লাহ হতে তিনি আবু দারদা হতে এটি বর্ণনা করেছেন জামি’ বয়ানুল ইলম নং ১২০৪, এর সনদ সহীহ।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا وقالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ: " مَا أَخَافُ عَلَى نَفْسِي أَنْ يُقَالَ لِي: مَا عَلِمْتَ، وَلَكِنْ أَخَافُ أَنْ يُقَالَ لِي: مَاذَا عَمِلْتَ؟
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৭১. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাতে সামান্য সময় জ্ঞান চর্চা করা সারা রাত্রি জাগরণ (তথা সালাত আদায়) করার চেয়ে উত্তম।[1]
তাখরীজ: মা’মার, আল জামি’ (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক এর সাথে সংযুক্তভাবে প্রকাশিত) নং ১১/২৫৩ নং ২০৪৬৯; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ১০৭; বাইহাকী, আল মাদখাল নং ৪৫৯ এর সনদ সহীহ; আর অনেক শাহিদ আছার রয়েছে। দেখুন, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ৯৬-১০৬; আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাককিহ ১/১৪-১৯।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ جُرَيْجٍ، يَذْكُرُ عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: تَدَارُسُ الْعِلْمِ سَاعَةً مِنَ اللَّيْلِ، خَيْرٌ مِنْ إِحْيَائِهَا
إسناده ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৭২. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাত্রিকে তিনটি ভাগে ভাগ করি। এক তৃতীয়াংশ সময় আমি ঘুমাই, আর এক তৃতীয়াংশ সময় আমি রাতের সালাত আদায় করি এবং এক তৃতীয়াংশ সময় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসসমূহ চর্চা (শিক্ষা) করি।[1]
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا، وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، " إِنِّي لَأُجَزِّئُ اللَّيْلَ ثَلَاثَةَ أَجْزَاءٍ: فَثُلُثٌ أَنَامُ، وَثُلُثٌ أَقُومُ، وَثُلُثٌ أَتَذَكَّرُ أَحَادِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلَّمَ
পরিচ্ছেদঃ ২৭. ইলমের ভিত্তিতে আমল করা এবং এতে নিয়ত সহীহ রাখা
২৭৩. ইবরাহীম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কোনো প্রকার জ্ঞান অন্বেষণ করে, আর এতে তার একমাত্র লক্ষ্য হয় আল্লাহ সুবহানাহু’র সন্তুষ্টি লাভ, তবে আল্লাহ তাকে এই পরিমাণ ইলম দান করেন, যা তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, আল মুছান্নাফ ১৩/৫৫৩ নং ১৭২৪৮; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৪/২২৮; আবী খায়ছামা, আল ইলম নং-১১১।
بَابُ الْعَمَلِ بِالْعِلْمِ وَحُسْنِ النِّيَّةِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: «مَنِ ابْتَغَى شَيْئًا مِنَ الْعِلْمِ يَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ سُبْحَانَهُ، آتَاهُ اللَّهُ مِنْهُ مَا يَكْفِيهِ
إسناده صحيح