পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইলম উঠে যাওয়া সম্পর্কে
২৪৫. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ মানুষদের (অন্তর) থেকে ইলমকে জবরদস্তিভাবে উঠিয়ে নেন না, বরং আলিমদেরকে উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ইলমকে উঠিয়ে নেন। ফলে যখন একজন আলিমও অবশিষ্ট থাকবেন না, তখন ’জাহিল/মূর্খ’-দেরকে লোকেরা তাদের নেতা (অনুসরনীয় ব্যক্তিত্ব) বানিয়ে নেবে। তখন তাদেরকে (মাস’আলা-মাসায়েল) জিজ্ঞাসা করা হলে তারা ইলম ছাড়াই ফাতওয়া দেবে। ফলে তারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ট করবে।[1]
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ১০০, ৭৩০৭ ; সহীহ মুসলিম ৪/৪৭ নং ২৬৭৩; (আহমদ ৬৫২১); ইবনু আবী শাইবা, ১৫/১৭৭ নং ১৯৪৩৬... বিস্তারিত তাখরীজ দেখুন সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৭১, ৬৭১৯, ৬৭২৩।
بَابٌ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَنبَأَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ اللَّهَ لَا يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا يَنْتَزِعُهُ مِنَ النَّاسِ، وَلَكِنْ: قَبْضُ الْعِلْمِ قَبْضُ الْعُلَمَاءِ، فَإِذَا لَمْ يُبْقِ عَالِمًا، اتَّخَذَ النَّاسُ رُءُوسًا جُهَّالًا فَسُئِلُوا، فَأَفْتَوْا بِغَيْرِ عِلْمٍ، فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا
إسناده صحيح والحديث متفق عليه
পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইলম উঠে যাওয়া সম্পর্কে
২৪৬. আবী উমামা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “ইলমকে উঠিয়ে নেওয়ার পূর্বেই তোমরা তা শিক্ষা কর।” তারা বললেন, হে আল্লাহর নবী! আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব বিদ্যমান থাকা অবস্থায় কিভাবে ইলম উঠে যাবে? বর্ণনাকারী বলেন, তখন তিনি রেগে গেলেন। তারপর বললেন, “তোমাদের মা তোমাদেরকে হারিয়ে ফেলুক! বনী ইসরাঈলদের নিকট কি তাওরাত ও ইনজিল ছিল না? কিন্তু সেগুলি তাদের কোনো কাজেই আসল না। ইলম উঠিয়ে নেওয়ার অর্থ হল ইলমের বাহককে (আলিমগণকে) উঠিয়ে নেওয়া। ইলম উঠিয়ে নেওয়ার অর্থ হল ইলমের বাহককে (আলিমগণকে) উঠিয়ে নেওয়া।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ও তাবারানীতে রয়েছে। আমরা এর পূর্ণাঙ্গ তাখরীজ করেছি মাজমাউয যাওযাইদ হা/৯৯০ এর তাখরীজে। এটি আরও রয়েছে, ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানুল ইলম নং ১৩৬, ১৩৭; খতীব, তারীখ ২/২১২;....।
بَابٌ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ، أَنبَأَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أبي مَالِكٍ، عَنِ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: خُذُوا الْعِلْمَ قَبْلَ أَنْ يَذْهَبَ». قَالُوا: وَكَيْفَ يَذْهَبُ الْعِلْمُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ، وَفِينَا كِتَابُ اللَّهِ؟ قَالَ: فَغَضِبَ، ثُمَّ قَالَ: «ثَكِلَتْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ أَوَلَمْ تَكُنِ التَّوْرَاةُ وَالْإِنْجِيلُ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمْ شَيْئًا؟ إِنَّ ذَهَابَ الْعِلْمِ أَنْ يَذْهَبَ حَمَلَتُهُ، إِنَّ ذَهَابَ الْعِلْمِ أَنْ يَذْهَبَ حَمَلَتُهُ
إسناده ضعيف لضعف حجاج بن أرطاة ولكنه حديث حسن بشواهده
পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইলম উঠে যাওয়া সম্পর্কে
২৪৭. হিলাল ইবনু খাব্বাব বলেন, আমি সাঈদ ইবনু জুবায়ের রাহিমাহুল্লাহ কে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আবু আব্দুল্লাহ, লোকদের ধ্বংসের আলামত কী? তিনি বললেন, যখন তোমাদের আলিমগণ মৃত্যুবরণ করবেন।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১৫/৪০; ইবনু আব্দুল বারর, জামি’ বায়ানুল ইলম নং ১০২৩; ইবনু ওয়াদাহ, আল বিদ’আ নং ২১৩; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৬/১৮৩; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২/২৫৩ নং ১৬৬২; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৪/২৭৬..।
بَابٌ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا هِلَالٌ هُوَ: ابْنُ خَبَّابٍ، قَالَ: سَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ قُلْتُ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ، مَا عَلَامَةُ هَلَاكِ النَّاسِ؟ قَالَ: إِذَا هَلَكَ عُلَمَاؤُهُمْ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইলম উঠে যাওয়া সম্পর্কে
২৪৮. আব্দুল্লাহ ইবনু রুবাইয়্যিআহ থেকে বর্ণিত, সালমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, লোকেরা ততদিন পর্যন্ত কল্যাণের মধ্যে থাকবে যতদিন প্রথম যুগের লোকেরা (সাহাবীগণ) তাদের মাঝে থাকবেন এবং পরবর্তী লোকেরা ইলম শিক্ষা করতে থাকবে, অথবা শিক্ষা দিতে থাকবে। তারপর যখন পরবর্তীগণ ইলম শিক্ষা পাওয়া - কিংবা শেখার পূর্বেই পূর্ববর্তীরা মৃত্যুবরণ করবে, তখনই লোকেরা ধ্বংস হবে।”[1]
তাখরীজ: আহমদ, আয যুহদ পৃ: ১৫১ তে অপর সনদে। এর রাবীগণ নির্ভরযোগ্য হলেও এতেও ইনকিতা রয়েছে। সামনেও নং ২৫৫ তে এটি বর্ণিত হয়েছে অপর সনদে। এ সমস্ত সনদ মিলিয়ে আছারটি হাসান পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
بَابٌ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مَسْعُودُ بْنُ سَعْدٍ الْجُعْفِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رُبَيِّعَةَ، عَنْ سَلْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: " لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا بَقِيَ الْأَوَّلُ حَتَّى يَتَعَلَّمَ - أَوْ يُعَلِّمَ - الْآخِرَ، فَإِذا هَلَكَ الْأَوَّلُ قَبْلَ أَنْ يُعَلِّمَ - أَوْ يَتَعَلَّمَ - الْآخِرُ، هَلَكَ النَّاسُ
إسناده ضعيف مسعود بن سعد متأخر السماع من عطاء
পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইলম উঠে যাওয়া সম্পর্কে
২৪৯. কাবুস তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন, ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, তোমরা জান কি ইলম উঠে যাওয়া (অর্থ) কী? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন: আলিমগণের মৃত্যু বরণ করা।[1]
তাখরীজ: এর তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ১০০৭। ১০০৬ ও দেখুন। এছাড়া আবু খায়ছামা, আল ইলম নং ৫৩;
بَابٌ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ، حَدَّثَنَا أَبُو كُدَيْنَةَ، عَنْ قَابُوسَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ مَا ذَهَابُ الْعِلْمِ؟» قُلْنَا: لَا. قَالَ: ذَهَابُ الْعُلَمَاءِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইলম উঠে যাওয়া সম্পর্কে
২৫০. আবু ওয়াইল থেকে বর্ণিত, হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তোমরা জান কি, ইলম কিভাবে হ্রাস পাবে? তিনি বলেন, আমি বললাম, পোশাক যেভাবে ছোট হয়ে যায়, দিরহাম যেভাবে অচল হয়ে যায়।
তিনি বললেন, না, এর কোনটাই নয়। বরং ইলম উঠিয়ে নেওয়া হলো: আলিমদেরকে উঠিয়ে নেওয়া (মৃত্যু দান)।[1]
তাখরীজ: দেখুন, মাজমাউয যাওয়াইদ (আমার তাহক্কিক্বকৃত) নং ১০০৫ এর টীকা।
بَابٌ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَسْعَدَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: قَالَ حُذَيْفَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «أَتَدْرِي كَيْفَ يُنْقَصُ الْعِلْمُ؟» قَالَ: قُلْتُ: كَمَا يُنْفَضُ الثَّوْبُ، وَكَمَا يَقْسُو الدِّرْهَمُ. قَالَ: «لَا»، وَإِنَّ ذَلِكَ لَمِنْهُ، قَبْضُ الْعِلْمِ: قَبْضُ الْعُلَمَاءِ
في إسناده محمد بن أسعد منكر الحديث
পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইলম উঠে যাওয়া সম্পর্কে
২৫১. আবু দারদা’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কী হল! আমি দেখছি তোমাদের আলিমগণ চলে যাচ্ছেন এবং তোমাদের মুর্খরা (ইলম) শিখছে না? ইলম উঠিয়ে নেয়ার আগেই তোমরা তা শিক্ষা কর। কেননা, ইলম উঠে যাওয়া ( অর্থ) হল আলিমগণের চলে যাওয়া (মৃত্যুবরণ করা)।[1]
তাখরীজ: আহমদ, আয যুহদ পৃ. ১৪৪; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানুল ইলম নং ১০৪৪; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ১/২১২, ২২১; অপর সনদে বর্ণনা করেছেন ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানুল ইলম নং ১০৩৬, এর সনদ সহীহ।
بَابٌ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «مَا لِي أَرَى عُلَمَاءَكُمْ يَذْهَبُونَ وَجُهَّالَكُمْ لَا يَتَعَلَّمُونَ؟ تعلَّموا قَبْلَ أَنْ يُرْفَعَ الْعِلْمُ، فَإِنَّ رَفْعَ الْعِلْمِ ذَهَابُ الْعُلَمَاءِ
إسناده ضعيف لانقطاعه سالم لم يدرك أبا الدرداء فيما نعلم
পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইলম উঠে যাওয়া সম্পর্কে
২৫২. আবু দারদা’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (কল্যাণ লাভকারী) মানুষ দু’ প্রকার: ১. আলিম ও ২. ইলম শিক্ষার্থী। এ ব্যতীত আর যারা রয়েছে, তাদের মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই।”[1]
তাখরীজ: আহমদ, আয যুহদ পৃ. ১৩৬, এর সনদ সহীহ; আব্দুল্লাহ ইবনু আহমদ, যাওয়াইদ আলায যুহদ পৃ. ১৩৬; ইবনু আবী শাইবা, ৮/৭৩০ নং ৬১৭২; আবু নুয়াইম, আল হিলইয়া ১/২১২-২১৩; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানুল ইলম নং ১৩৮, ১৪০।
بَابٌ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَسَدٍ أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ بُرْدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: النَّاسُ عَالِمٌ، وَمُتَعَلِّمٌ، وَلَا خَيْرَ، فِيمَا بَعْدَ ذَلِكَ
إسناده ضعيف لانقطاعه سليمان بن موسى لم يدرك أبا الدرداء
পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইলম উঠে যাওয়া সম্পর্কে
২৫৩. আবু দারদা’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কল্যাণকর বিষয় শিক্ষাদানকারীর এবং শিক্ষার্থীর প্রতিদান (সাওয়াব) একই সমান; আর এ (দু’প্রকারের লোক) ব্যতীত গোটা মানবজাতির মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই।”[1]
তাখরীজ: আব্দুল্লাহ ইবনু আহমদ, যাওয়াইদ আলায যুহদ পৃ. ১৩৬; ইবনু আবী শাইবা, ৮/৭৩০ নং ৬১৭৪; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানুল ইলম নং ১৪১।
بَابٌ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَسَدٍ أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْثَرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: مُعَلِّمُ الْخَيْرِ، وَالْمُتَعَلِّمُ فِي الْأَجْرِ سَوَاءٌ، وَلَيْسَ لِسَائِرِ النَّاسِ بَعْدُ خَيْرٌ
رجاله ثقات غير أنه منقطع كما قدمنا
পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইলম উঠে যাওয়া সম্পর্কে
২৫৪. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “ হয় আলিম হয়ে যাও, নয়তো (ইলম) শিক্ষাকারী হও, নয়তো মনযোগী শ্রোতা হয়ে যাও; এ (তিন ব্যতীত) চতুর্থ প্রকারের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না। তাহলে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ৮/৭২৯ নং ৬১৭১; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানুল ইলম নং ১৩৯; ইয়াকুব আল ফাসওয়ায়ী, আল মা’রেফাত ওয়াত তারীখ ৩/৩৯৯; আবু খায়ছামা, আল ইলম নং ১১৬; বুখারী, আত তারীখুল কাবীর ৪/৯৯; এর সনদ সহীহ। ইবনু হাযম, আল ইহকাম ৬/১০৪৫ হাসান সনদে।
بَابٌ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا قَبِيصَةُ، أَنبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: اغْدُ عَالِمًا أَوْ مُتَعَلِّمًا أَوْ مُسْتَمِعًا، وَلَا تَكُنِ الرَّابِعَ فَتَهْلِكَ
إسناده ضعيف الحسن هو البصري وقد عنعن
পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইলম উঠে যাওয়া সম্পর্কে
২৫৫. আব্দুল্লাহ বিন রাবীয়াহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সালমান রা. বলেছেন, “লোকেরা ততদিন পর্যন্ত কল্যাণের থাকবে যতদিন পূর্ববর্তীগণ (সাহাবীগণ) জীবিত থাকবেন, আর পরবর্তী লোকেরা ইলম শিক্ষা করতে থাকবেন। তারপর যখন পরবর্তীগণ ইলম শিক্ষা করার পূর্বেই পূর্ববর্তীগণ মৃত্যুবরণ করবেন, তখনই লোকেরা ধ্বংস হবে।”[1]
بَابٌ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَنبَأَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رُبَيِّعَةَ، قَالَ: قَالَ سَلْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا بَقِيَ الْأَوَّلُ حَتَّى يَتَعَلَّمَ الْآخِرُ، فَإِذَا هَلَكَ الْأَوَّلُ قَبْلَ أَنْ يَتَعَلَّمَ الْآخِرُ، هَلَكَ النَّاسُ
لم يحكم عليه المحقق
পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইলম উঠে যাওয়া সম্পর্কে
২৫৬. আহনাফ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু বলেছেন, তোমাদেরকে নেতা বানানোর পূর্বেই তোমরা দীনের গভীর জ্ঞান অর্জন কর।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ৮/৭২৯ নং ৬১৬৭; আবু খায়ছামা, আল ইলম নং ৯; ওয়াকী’, আয যুহদ নং ১০২; খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুতাফাককিহ ২/৭৮; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ১৬৬৯; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানুল ইলম নং ৫০৮-৫০৯।
بَابٌ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، قَالَا: أَنبَأَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْأَحْنَفِ، قَالَ: قَالَ عُمَرُ «تَفَقَّهُوا قَبْلَ أَنْ تُسَوَّدُوا
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইলম উঠে যাওয়া সম্পর্কে
২৫৭. তামীম দারী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু’র জামানায় লোকেরা সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করছিল। তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু বলেন, হে আরব জাতি! যমীনে, যমীনে (বসবাস কর, উচ্চ দালান নির্মাণ করোনা)। কেননা, নিশ্চয়ই জামা’আত ব্যতীত ইসলাম নেই, আর ইমারত (নেতৃত্ব) ব্যতীত জামা’আত নেই, আর আনুগত্য ব্যতীত ইমারত (নেতৃত্ব) নেই। ফলে প্রজ্ঞা ও গভীর জ্ঞানের ভিত্তিতে জাতি যে ব্যক্তিকে তাদের নেতা হিসেবে নির্বাচন করবে, সে হবে তার নিজের জন্য ও তার জাতির জন্য জীবন সমতুল্য। আর , প্রজ্ঞা ও গভীর জ্ঞান ব্যতীত অন্য কিছুর ভিত্তিতে জাতি যে ব্যক্তিকে তাদের নেতা হিসেবে নির্বাচন করবে, সে তার নিজের ও জাতির জন্য ধ্বংসের কারণ হবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু্ আব্দুল বার, জামি’ বায়ানুল ইলম, নং ৩২৬।
بَابٌ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنبَأَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنِي صَفْوَانُ بْنُ رُسْتُمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ تَمِيمٍ الدَّارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: تَطَاوَلَ النَّاسُ فِي الْبِنَاءِ فِي زَمَنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ عُمَرُ: «يَا مَعْشَرَ الْعُرَيْبِ، الْأَرْضَ الْأَرْضَ، إِنَّهُ لَا إِسْلَامَ إِلَّا بِجَمَاعَةٍ، وَلَا جَمَاعَةَ إِلَّا بِإِمَارَةٍ، وَلَا إِمَارَةَ إِلَّا بِطَاعَةٍ، فَمَنْ سَوَّدَهُ قَوْمُهُ عَلَى الْفِقْهِ، كَانَ حَيَاةً لَهُ وَلَهُمْ، وَمَنْ سَوَّدَهُ قَوْمُهُ عَلَى غَيْرِ فِقْهٍ، كَانَ هَلَاكًا لَهُ وَلَهُمْ
في إسناده علتان: الأولى جهالة صفوان بن رستم والثانية الانقطاع. وعبد الرحمن بن ميسرة لم يدرك تميما الداري