পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ
২২৪. ইবরাহীম বলেন, আমি এমন লোকদেরকে পেয়েছি (সাহাবীগণকে), যদি তাদের কেউ (ওযুতে) একটি নখও অতিক্রম না করতেন, তাহলে আমি অবশ্যই তা অতিক্রম করতাম না। কোন লোকের ঘৃণ্য বা তুচ্ছ হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে তাদের আমলের খেলাফ বা বিপরীত আমল করবে।[1]
তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৪/২২৭; আ’মাশ সূত্রে, সনদ সহীহ।
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ
أَخْبَرَنَا مَنْصُورُ بْنُ سَلَمَةَ الْخُزَاعِيُّ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: لَقَدْ أَدْرَكْتُ أَقْوَامًا لَوْ لَمْ يُجَاوِزْ أَحَدُهُمْ ظُفْرًا، لَمَا جَاوَزْتُهُ، كَفَى إِزْرَاءً عَلَى قَوْمٍ أَنْ تُخَالَفَ أَفْعَالُهُمْ
إسناده ضعيف لضعف أبي حمزة وهو: ميمون القصاب
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ
২২৫. আব্দুল মালেক হতে বর্ণিত, আল্লাহর কথা
(أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ)
(অর্থ: তোমরা আল্লাহ ও তারঁ রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যকার যারা ’উলিল আমর’।” সূরা নিসা: ৫৯), এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আতা’ বলেন: ’উলিল আমর’ বলতে ইলম ও ফিকহের (গভীর জ্ঞানের) অধিকারী আলিমদেরকে বুঝানো হয়েছে আর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুসরণ বলতে কিতাব ও সুন্নাহর’ অনুসরণকে বুঝানো হয়েছে।[1]
তাখরীজ: তাবারী, আত তাফসীর ৫/১৪৭; খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুতাফাককিহ নং ১০১, অপর সনদে।
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ: (أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ) [النساء: 59] قَالَ: " أُولُو الْعِلْمِ وَالْفِقْهِ، وَطَاعَةُ الرَّسُولِ: اتِّبَاعُ الْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ
২২৬. ইবরাহীম ইবনু আদহাম বলেন, আমি শুবরুমাহকে কোন একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলাম যে মাসআলাটি আমার নিকট অত্যন্ত কঠিন ছিল। আমি তাকে বললাম, আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। আপনি এ বিষয়টিতে একটু নজর দিন। তিনি বললেন, যখন আমার নিকট কোন রাস্তা স্পষ্ট হয়ে গেল এবং আমি (সেই ব্যাপারে) আছার (হাদীস)ও পেয়ে গেলাম, তখন আর আমি তা আটকে রাখিনা (তা বলে দিই)।[1]
তাখরীজ: এ হাদীসটি আমি এখানে ব্যতীত অন্য কোথাও পাইনি।
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ، قَالَ: سَأَلْتُ ابْنَ شُبْرُمَةَ عَنْ شَيْءٍ وَكَانَتْ عِنْدِي مَسْأَلَةٌ شَدِيدَةٌ، فَقُلْتُ: رَحِمَكَ اللَّهُ، انْظُرْ فِيهَا، قَالَ: إِذَا وَضَحَ لِيَ الطَّرِيقُ وَوَجَدْتُ الْأَثَرَ لَمْ أَحْبَسْ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ
২২৭. হাজারের অধিবাসী সুলায়মান ইবনু জাবির নামক এক ব্যক্তি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা ইলম শিক্ষা করো ও তা লোকদেরকে শিক্ষা দান কর। তোমরা ফারাইয শিক্ষা কর এবং তা লোকদেরকে শিক্ষা দান কর। তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং লোকদেরকেও তা শিক্ষা দান কর। কেননা, আমি তো একজন মানুষ মাত্র, আমার মৃত্যু হবে। অচিরেই ইলম হ্রাস পাবে এবং ফিতনা প্রকাশিত হবে, এমনকি দু’ব্যক্তি ফরয বিষয় সম্পর্কেও মতভেদ করবে আর তাদের মধ্যে ফায়সালা করার মত একজন লোক (আলিম)-কেও খুঁজে পাওয়া যাবে না।[1]
তাখরীজ: নাসাঈ, আল কুবরা ৬৩০৫; হাকিম ৪/৩৩৩; দারুকুতনী ৪/৮১-৮২ নং ৪৫; তিরমিযী ২০৯২ নং হাদীসের পরে; বাইহাকী, আল ফারাইয ৬/২০৮।
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، عَنْ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ سُلَيْمَانُ بْنُ جَابِرٍ، مِنْ أَهْلِ هَجَرَ، قَالَ: قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ وَعَلِّمُوهُ النَّاسَ، تَعَلَّمُوا الْفَرَائِضَ، وَعَلِّمُوهُا النَّاسَ، تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ، وَعَلِّمُوهُ النَّاسَ، فَإِنِّي امْرُؤٌ مَقْبُوضٌ، وَالْعِلْمُ سَيَنْقُصُ، وَتَظْهَرُ الْفِتَنُ، حَتَّى يَخْتَلِفَ اثْنَانِ فِي فَرِيضَةٍ لَا يَجِدَانِ أَحَدًا يَفْصِلُ بَيْنَهُمَا
في إسناده ثلاث علل: ضعف عثمان بن الهيثم والانقطاع وجهالة سليمان
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ
২২৮. আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুয়ায ইবনু জাবাল ও আবু মুসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাকে ইয়ামানে পাঠানোর সময় বললেন: “তোমরা একে অপরের ওপর নির্ভর করবে/সহযোগিতা করবে এবং একে অপরের কথা মান্য করবে এবং তোমরা মানুষকে সুসংবাদ দান করবে, আর তাদেরকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিবে না।” তারপর তারা দু’জন ইয়ামানে পৌঁছলেন। এরপর মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহু লোকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিলেন, তাদেরকে ইসলামের প্রতি উৎসাহিত করলেন আর তাদেরকে কুরআন সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জনের জন্য নির্দেশ দিলেন। তিনি আরও বললেন: ’যখন তোমরা এটি করবে, তখন আমার নিকট জানতে চাইলে আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব, কারা জান্নাতের অধিবাসী ও কারা জাহান্নামের অধিবাসী। তারপর আল্লাহ যতক্ষণ চাইলেন, তারা অপেক্ষা করল। তারপর তারা মুয়াযকে বলল, আপনি আমাদেরকে আদেশ করেছিলেন, যখন আমরা ফিকহ (পাণ্ডিত্য) অর্জন করব এবং পড়ব, তখন আমরা যেন আপনার নিকট জানতে চাই, ফলে আপনি আমাদেরকে বলে দেবেন যে, কারা জান্নাতের অধিবাসী ও কারা জাহান্নামের অধিবাসী। তখন মুয়ায তাদেরকে বললেন: কোন লোক যখন কল্যাণকর কথা আলোচনা করে, তখন তোমরা বুঝে নেবে যে, সে জান্নাতের অধিবাসী। আর যখন সে অকল্যাণকর বিষয়ে আলোচনা করবে, তখন তোমরা বুঝে নেবে যে, সে জাহান্নামের অধিবাসী।’[1]
তাখরীজ: মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৭৬৫ এ বিস্তারিত তাখরীজ দেখুন।
আর এর মারফু’ অংশের শাহিদ হাদীস রয়েছে আবু মুসা হতে বর্ণিত হয়েছে, যা সহীহ। যা আমরা মুসনাদের আবু ইয়ালা’র ৭৩১৯ নং এর তাখরীজে বিস্তারিত জানিয়েছি। আবার আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে এর শাহিদ বর্ণিত হয়েছে, যার বিস্তারিত তাখরীজ আমরা করেছি মুসনাদে মাউসিলী নং ৪১৭২ -এ।
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ أَبِي خَلِيفَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ زِيَادَ بْنَ مِخْرَاقٍ ذَكَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ وَأَبَا مُوسَى إِلَى الْيَمَنِ، قَالَ: «تَسَانَدَا، وَتَطَاوَعَا، ويسِّرا وَلَا تُنَفِّرَا» فَقَدِمَا الْيَمَنَ، فَخَطَبَ النَّاسَ مُعَاذٌ فَحَضَّهُمْ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَأَمَرَهُمْ بِالتَّفَقُّهِ فِي القرْآنِ، وَقَالَ: إِذَا فَعَلْتُمْ ذَلِكَ، فَاسْأَلُونِي أُخْبِرْكُمْ عَنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ، فَمَكَثُوا مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَمْكُثُوا، فَقَالُوا لِمُعَاذٍ: قَدْ كُنْتَ أَمَرْتَنَا إِذَا نَحْنُ تَفَقَّهْنَا، وَقَرَأْنَا أَنْ نَسْأَلَكَ فَتُخْبِرَنَا بِأَهْلِ الْجَنَّةِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ. فَقَالَ لَهُمْ مُعَاذٌ: إِذَا ذُكِرَ الرَّجُلُ بِخَيْرٍ، فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَإِذَا ذُكِرَ بِشَرٍّ فَهُوَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ
إسناده ضعيف لانقطاعه: زياد بن مخراق لم يسمع من ابن عمر فيما نعلم
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ
২২৯. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! লোকদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি কে? উত্তরে তিনি বললেন: “তোমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি মুত্তাকী।” তারা বলল, আমরা আপনাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিনি। তখন তিনি বললেন: “তাহলে খলীলুল্লাহ’র নাতী আল্লাহর নবী ইয়া’কুবের পুত্র ইউসুফ।” তারা বলল, আমরা আপনাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করিনি। তিনি বললেন: “তবে কি তোমরা আরবের গোত্রসমূহ সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞেস করছ? জাহিলী যুগের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগণ ইসলামেও শ্রেষ্ঠ, যদি তারা (ইসলামী) জ্ঞান অর্জন করে।”[1]
তাখরীজ: আমি এটি তাখরীজ করেছি মুসনাদে মাউসিলী নং ৬০৭০, ৬৪৭১, ৬৫৬২; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯২, ৬৪৮ ও মুসনাদে হুমাইদী নং ১০৭৬, ১০৭৭ এ। (সহীহ বুখারী ৩৩৫৩, ৩৩৭৪, ৩৩৮৩, ৩৪৯৩, ৩৪৯৬, ৩৫৮৮, ৪৬৮৯; সহীহ মুসলিম ২৩৭৮, ২৫২৬, ২৬৩৮; মুসনাদে আহমাদ২/২৫৭, ২৬০, ২৯১, ৪৩৮, ৪৮৫, ৪৯৮, ৫২৫, ৫৩৯; ফাযাইলুস সাহাবাহ নং ১৫১৮, ১৫১৯, ১৬৭৩। (দেখুন, আল ইহসান ফী তাক্বরীব সহীহ ইবনু হিব্বান, শুয়াইব আরনাউত্ব, হা/৯২ এর টীকা))
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ أَبِي سَعِيدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، [ص: 300] عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ النَّاسِ أَكْرَمُ؟ قَالَ: «أَتْقَاهُمْ». قَالُوا: لَيْسَ عَنْ هَذَا نَسْأَلُكَ. قَالَ: «فَيُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ نَبِيُّ اللَّهِ ابْنُ نَبِيِّ اللَّهِ ابْنِ خَلِيلِ اللَّهِ». قَالُوا: لَيْسَ عَنْ هَذَا نَسْأَلُكَ. قَالَ: فَعَنْ مَعَادِنِ الْعَرَبِ تَسْأَلُونِي؟ خِيَارُهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ خِيَارُهُمْ فِي الْإِسْلَامِ إِذَا فَقُهُوا
إسناده صحيح وهو متفق عليه
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ
২৩০. মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দীনের গভীর জ্ঞান দান করেন।[1]
তাখরীজ: এটিও আমি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯৭ ও মুসনাদে মাউসিলী নং ৭৩৮১ তে পূর্ণাঙ্গ তাখরীজ করেছি। নিম্নোক্ত হাদীস দু’টি দেখুন। এছাড়া খতীব, ফাকিহ ওয়াল মুতাফাককিহ নং ৯।
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ هُوَ ابْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ
إسناده ضعيف لضعف عبد الله بن صالح كاتب الليث ولكن الحديث متفق عليه
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ
২৩১. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দীনের গভীর জ্ঞান দান করেন।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ, আল মুসনাদ, ১/৩০৬; তিরমিযী, আল ইলাল ২৬৪৭;; খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাককিহ নং ৪। পূর্বের হাদীসটি দেখুন।
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا، يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ
২৩২. (অপর সনদে) মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দীনের গভীর জ্ঞান দান করেন।”[1]
তাখরীজ: আহমদ, আল মুসনাদ ৪/৯২, ৯৩, ৯৪; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ২/২৮০; পূর্ণাঙ্গ তাখরীজের জন্য ২৩০ নং হাদীসটি দ্রষ্টব্য।
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ جَبَلَةَ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ
২৩৩. জুবাইর ইবনু মুতঈম তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বিদায় হজ্জ্বের দিন আরাফার মাঠে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খুতবার সময় উপস্থিত ছিলেন। ( নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন): “হে মানবমণ্ডলী! আল্লাহর কসম! আমি জানিনা, হয়তোবা, আজকের পরে আমার এ অবস্থানস্থলে তোমাদের সাথে আমার সাক্ষাৎ নাও হতে পারে। সুতরাং যে ব্যক্তি আজকের আমার এ বক্তব্য শুনবে ও তা স্মরণ রাখবে, আল্লাহ তাকে রহম করবেন। কেননা, অনেক জ্ঞান বহনকারী প্রকৃতপক্ষে জ্ঞানী হয় না এবং জ্ঞান বহনকারীর চাইতে তার শিক্ষার্থীরাও অধিক জ্ঞানী হয়ে থাকে। তোমরা জেনে রাখ, তোমাদের সম্পদ, তোমাদের রক্ত তোমাদের পরস্পরের নিকট সম্মানিত, যেমন সম্মানিত এ শহরে এ মাসে আজকের এ দিনটি। জেনে রাখ, অন্তর তিনটি বিষয়ে খিয়ানত করে না: ১. একমাত্র আল্লাহর জন্য আমলকে বিশুদ্ধ করা, ২. উলিল আমর (শাসক) এর প্রতি নসীহত করা, ৩. মুসলিমগণের জামা’আতকে আঁকড়ে থাকা। কেননা, তাদের দু’আ তাদের পেছনের সকলকে বেষ্টন করে নেয়।[1]
তাখরীজ: এর তাখরীজ পূর্ণ করেছি মুসনাদে মাউসিলী নং ৭৪১৩ এ; এর অনেক শাহিদ হাদীস রয়েছে। (হাকিম, ১/৮৭, ৮৮; হাকিম ও যাহাবী সহীহ বলেছেন; ১/৮৬-৮৭ অপর সনদে; একে হাকিম ও যাহাবী বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন। আহমাদ ৪/৮০, ৮২; ইবনু মাজাহ মুকাদ্দমা ২৩১- মুসনাদে মাউসিলী, হা/৭৪১৩ এর টীকা- তাহক্বীক্ব: দারানী। - অনুবাদক।)
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الزَّهْرَانِيُّ، أَنبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ هُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ شَهِدَ خُطْبَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَوْمِ عَرَفَةَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي وَاللَّهِ لَا أَدْرِي لَعَلِّي لَا أَلْقَاكُمْ بَعْدَ يَوْمِي هَذَا بِمَكَانِي هَذَا، فَرَحِمَ اللَّهُ مَنْ سَمِعَ مَقَالَتِي الْيَوْمَ فَوَعَاهَا، فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ وَلَا فِقْهَ لَهُ، وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ وَاعْلَمُوا أَنَّ أَمْوَالَكُمْ وَدِمَاءَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ كَحُرْمَةِ هَذَا الْيَوْمِ فِي هَذَا الشَّهْرِ فِي هَذَا الْبَلَدِ وَاعْلَمُوا أَنَّ الْقُلُوبَ لَا تَغُلُّ عَلَى ثَلَاثٍ: إِخْلَاصِ الْعَمَلِ لِلَّهِ، وَمُنَاصَحَةِ أُولِي الْأَمْرِ، وَعَلَى لُزُومِ جَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ، فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ
إسناده حسن والحديث صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ
২৩৪. জুবাইর ইবনু মুত্বঈম তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিনার নিকট অবস্থিত আল-খাইফ নামক স্থানে আমাদের মাঝে (খুতবার উদ্দেশ্যে) দাঁড়িয়ে বললেন: “আল্লাহ সেই ব্যক্তির চেহারা সমুজ্জ্বল করুন, যে আমার বক্তব্য শুনলো ও তা স্মরণ রাখলো। অতঃপর যে শুনেনি তার নিকট পৌঁছে দিল। কেননা, অনেক জ্ঞান বহনকারী প্রকৃতপক্ষে জ্ঞানী হয় না এবং কোন কোন জ্ঞান বহনকারীর চাইতে তার শিক্ষার্থীরাও অধিক জ্ঞানী হয়ে থাকে। জেনে রাখ, তিনটি বিষয়ে মুমিনের অন্তর খিয়ানত করে না: ১. একমাত্র আল্লাহর জন্য আমলকে বিশুদ্ধ করা, ২. ’যাবিল আমর’ (শাসক)-এর আনুগত্য করা, ৩. মুসলিমগণের জামা’আতকে আঁকড়ে থাকা। কেননা, তাদের দু’আ তাদের পিছনে থেকেও হয়ে থাকে।”[1]
তাখরীজ: এর পূর্ণাঙ্গ তাখরীজ করেছি মাজমাউয যাওয়াইদ, হ/৫৯৮ ও মুসনাদে মাউসিলী হা/৭৪১৩, ৭৪১৪ এ। (পূর্বের হাদীসটি দেখুন- অনুবাদক।)
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْخَيْفِ مِنْ مِنًى، فَقَالَ: «نَضَّرَ اللَّهُ عَبْدًا، سَمِعَ مَقَالَتِي فَوَعَاهَا، ثُمَّ أَدَّاهَا إِلَى مَنْ لَمْ يَسْمَعْهَا، فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لَا فِقْهَ لَهُ، وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ ثَلَاثٌ لَا يُغِلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ الْمُؤْمِنِ: إِخْلَاصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ، وَطَاعَةُ ذَوِي الْأَمْرِ، وَلُزُومُ الْجَمَاعَةِ فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تَكُونُ مِنْ وَرَائِهِمْ
إسناده ضعيف ولكن الحديث صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ
২৩৫. আব্দুর রহমান বিন আবান বিন উছমান তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, দুপুর বেলায় যায়দ ইবনু ছাবিত মারওয়ান ইবনুল হাকাম-এর নিকট থেকে বের হয়ে আসলেন। তিনি বলেন, আমি (মনে মনে) বললাম, এই সময় তিনি মারওয়ান নিকট থেকে বের হয়েছেন, নিশ্চয়ই সে তাকে কোনো (অপছন্দ) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছে। আমি তার নিকট গেলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, হাঁ, তিনি একটি হাদীস সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন, যা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন: “আল্লাহ সেই ব্যক্তির চেহারা উজ্জ্বল করুন যে আমার কোন একটি হাদীস শুনল, তা হিফাজত (মুখস্ত) রাখল এবং তার চেয়ে অধিক হিফাজতকারী কারো নিকট পৌছে দিল। কেননা, অনেক জ্ঞান বহনকারী প্রকৃতপক্ষে জ্ঞানী হয় না এবং কোন কোন জ্ঞান শিক্ষাদানকারীর চাইতে তার শিক্ষার্থীরাও অধিক জ্ঞানী হয়ে থাকে। যে মুসলিমের অন্তরে তিনটি বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস থাকবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।” তিনি বলেন, আমরা বললাম, সেই বিষয়গুলি কী কী?
তিনি বললেন, ১. আমলে একনিষ্ঠতা, ২. শাসকের কল্যাণ কামনা করা এবং ৩. জামা’আত আকঁড়ে থাকা। কেননা, তাদের দু’আ তাদের পেছেনের সকলকে বেষ্টন করে নেয়। আর যার নিয়ত থাকবে আখিরাত, আল্লাহ তার অন্তরে অভাবমুক্তি দান করবেন, তার সকল কাজ সুন্দর করে দেবেন এবং দুনিয়া লাঞ্ছিত অবস্থায় তার সামনে হাজির হবে। আর যার নিয়ত হবে দুনিয়া, আল্লাহ তার সবকিছুতে বিচ্ছিন্নতার সৃষ্টি করে দেবেন, আর দারিদ্রকে তার দু’চোখের সামনে রেখে দেবেন। আর সে দুনিয়ার কেবল সেই টুকুই লাভ করবে, যা তার তাকদীরে (নির্ধারিত) আছে।”
তিনি বলেন, আমি তাকে ’সালাতুল উছতা’ বা মধ্যবর্তী ছালাতের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, তা হল যোহরের সালাত।[1]
তাখরীজ: এর পূর্ণাঙ্গ তাখরীজ করেছি, মাওয়ারিদুয যাম’আন’ হা/৭২,৭৩ এর তাখরীজে; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৭, ৬৮০। এর অনেক শাহীদ রযেছে।
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ
أَخْبَرَنَا عِصْمَةُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: خَرَجَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، مِنْ عِنْدِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، بِنِصْفِ النَّهَارِ، قَالَ: فَقُلْتُ: مَا خَرَجَ هَذِهِ السَّاعَةَ مِنْ عِنْدِ مَرْوَانَ إِلَّا وَقَدْ سَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ، فَأَتَيْتُهُ، فَسَأَلْتُهُ، قَالَ: نَعَمْ، سَأَلَنِي عَنْ حَدِيثٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا، فَحَفِظَهُ فَأَدَّاهُ إِلَى مَنْ هُوَ أَحْفَظُ مِنْهُ، فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لَيْسَ بِفَقِيهٍ، وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ لَا يَعْتَقِدُ قَلْبُ مُسْلِمٍ عَلَى ثَلَاثِ خِصَالٍ، إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّةَ». قَالَ: قُلْتُ: مَا هُنَّ؟ قَالَ: «إِخْلَاصُ الْعَمَلِ، وَالنَّصِيحَةُ لِوُلَاةِ الْأَمْرِ، وَلُزُومُ الْجَمَاعَةِ، فَإِنَّ دَعْوَتَهُمْ تُحِيطُ مَنْ وَرَاءَهُمْ وَمَنْ كَانَتِ الْآخِرَةُ نِيَّتَهُ، جَعَلَ اللَّهُ غِنَاهُ فِي قَلْبِهِ، وَجَمَعَ لَهُ شَمْلَهُ، وَأَتَتْهُ الدُّنْيَا وَهِيَ رَاغِمَةٌ، وَمَنْ كَانِتِ الدُّنْيَا نِيَّتَهُ، فَرَّقَ اللَّهُ عَلَيْهِ شَمْلَهُ، وَجَعَلَ فَقْرَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ، وَلَمْ يَأْتِهِ مِنَ الدُّنْيَا إِلَّا مَا قُدِّرَ لَهُ قَالَ: وَسَأَلْتُهُ عَنْ صَلَاةِ الْوُسْطَى، قَالَ هِيَ الظُّهْرُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আলিমগণের অনুসরণ
২৩৬. আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তখন তিনি বলেছেন: “আল্লাহ সেই ব্যক্তির চেহারা উজ্জ্বল করুন যে আমার কোন একটি হাদীস শুনল এবং সে যেভাবে শুনেছে, অনুরূপভাবেই (অবিকৃতভাবে) কারো নিকট পৌছে দিল। কেননা, কোনো কোনো সময় প্রচারকের চেয়ে শ্রোতা অধিক হিফাজতকারী হয়। কোন মুসলিম ব্যক্তির অন্তর তিনটি বিষয়ে খিয়ানত করে না: ১. একমাত্র আল্লাহর জন্য আমলকে বিশুদ্ধ করা, ২. প্রত্যেক মুসলিমের জন্য কল্যাণ কামন করা, ৩. মুসলিমগণের জামা’আতকে আঁকড়ে থাকা। কেননা, তাদের দু’আ তাদের পেছনের সকলকে বেষ্টন করে নেয়।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণাঙ্গ তাখরীজ করেছি, মাজমাউয যাওয়াইদ হা/৫৮৮।
بَابُ الِاقْتِدَاءِ بِالْعُلَمَاءِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ، أَنبَأَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زُبَيْدٍ الْيَامِيِّ، عَنْ أَبِي الْعَجْلَانِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «نَضَّرَ اللَّهُ امْرءًا سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا، فَبَلَّغَهُ كَمَا سَمِعَهُ، فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَوْعَى مِنْ سَامِعٍ ثَلَاثٌ لَا يُغِلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ: إِخْلَاصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ، وَالنَّصِيحَةُ لِكُلِّ مُسْلِمٍ، وَلُزُومُ جَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ، فَإِنَّ دُعَاءَهُمْ مُحِيطٌ مِنْ وَرَائِهِمْ
إسناده ضعيف غير أن الحديث صحيح