পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০২. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু ও হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তাঁরা দু’জন (একদা) বসে ছিলেন, তখন এক ব্যক্তি তাঁদের দু’জনকে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। তখন ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বললেন, কোন্ কারণে এ ব্যক্তি এ বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছে বলে আপনি মনে করেন? হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু জবাবে বলেন: তারা এ বিষয়ে জানবে এবং তা পরিত্যাগ করবে। অতঃপর ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সে ব্যক্তির মুখোমুখি হয়ে বললেন: আল্লাহ তা’আলার কিতাব হতে আমরা যা জানি তা থেকে তোমরা যা জানতে চাইবে, তা আমরা তোমাদেরকে জানাব, কিংবা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের বিষয়ে তোমরা যা জানতে চাইবে, আমাদের জানা অনুসারে আমরা সেগুলো তোমাদেরকে জানাব। আর তোমরা যে সকল নতুন নতুন বিষয় উদ্ভাবন করেছো (অর্থাৎ বিদ’আত করেছ), সে বিষয়ে (জানাতে) আমরা সক্ষম নই।”[1]
তাখরীজ: এখানে ব্যতীত অন্য কোথাও এটি আমি খুঁজে পাইনি (শাইখ দারানী)।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَحُذَيْفَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّهُمَا كَانَا جَالِسَيْنِ فَجَاءَ رَجُلٌ فَسَأَلَهُمَا عَنْ شَيْءٍ فَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ لِحُذَيْفَةَ: لِأَيِّ شَيْءٍ تَرَى يَسْأَلُونِي عَنْ هَذَا؟ قَالَ: يَعْلَمُونَهُ ثُمَّ يَتْرُكُونَهُ. فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ ابْنُ مَسْعُودٍ فَقَالَ: مَا سَأَلْتُمُونَا عَنْ شَيْءٍ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى نَعْلَمُهُ، أَخْبَرْنَاكُمْ بِهِ، أَوْ سُنَّةٍ مِنْ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرْنَاكُمْ بِهِ، وَلَا طَاقَةَ لَنَا بِمَا أَحْدَثْتُمْ
إسناده ضعيف خالد بن عبد الله متأخر السماع من عطاء وطريق ابن مسعود منقطعة لأن الشعبي لم يسمع منه
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৩. নাযযাল ইবনু সাবরাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু কুফায় যত খুতবা দিয়েছেন, তার প্রত্যেকটিতে আমি উপস্থিত থেকেছি। একদিন তাঁর নিকট জানতে চাওয়া হল যে, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে আটবার তালাক দিয়েছে এবং এগুলো একত্রে দিয়েছে। (এর জবাবে) আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, তা তেমনি যেমন সে বলেছে। অতঃপর তিনি বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাব নাযিল করেছেন এবং সুস্পষ্টভাবে (এতে বিধানাবলী) বর্ণনা করে দিয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তার নিজের থেকে এ ধরণের (কুরআনে বর্ণিত) কাজ করে, তবে তার জন্য তো সেটি বর্ণনা করে দেয়া হয়েছে। আর যে ব্যক্তি এর অন্যথা করল (যা কুরআনে বর্ণিত হয়নি), তবে, আল্লাহর কসম, তোমাদের (কুরআন-সুন্নাহর) খেলাফ বিষয়ে [1] আমরা কিছুই বলতে পারব না।”[2]
[2] তাহক্বীক্ব: শাইখ দারানী বলেন: এর সনদ যয়ীফ বা দুর্বল, আব্দুর রহমান ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু উতবাহ আল্ মাসউদী’র দুর্বলতার কারণে । (তবে অপর একটি সূত্রে এটি সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে- তাখরীজে তা উল্লেখ করা হয়েছে ।)
তাখরীজ: তাবারানী, মুজামুল কাবীর ৯/২২৭, নং ৮৯৮২; তাবারানীর অপর বর্ণনা অনুযায়ী আলকামা কর্তক বর্ণিত এ হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে । (তাবারানী, মুজামুল কাবীর নং ৯৬২৮ ও ৯৬২৯)
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنِ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ قَالَ: مَا خَطَبَ عَبْدُ اللَّهِ خُطْبَةً بِالْكُوفَةِ إِلَّا شَهِدْتُهَا، فَسَمِعْتُهُ يَوْمًا - وَسُئِلَ عَنْ رَجُلٍ يُطَلِّقُ امْرَأَتَهُ ثَمَانِيَةً وَأَشْبَاهِ ذَلِكَ - قَالَ: هُوَ كَمَا قَالَ. ثُمَّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ كِتَابَهُ وَبَيَّنَ بَيَانَهُ، فَمَنْ أَتَى الْأَمْرَ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ فَقَدْ بُيِّنَ لَهُ، وَمَنْ خَالَفَ فَوَاللَّهِ مَا نُطِيقُ خِلَافَكُمْ
إسناده ضعيف لضعف عبد الرحمن بن عبد الله بن عتبة المسعودي
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৪. নাযযাল ইবনু সাবরাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন এক লোক ও এক মহিলা এলো তাহরীম (তালাক[1]) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার উদ্দেশ্যে। তখন তিনি বললেন: নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাব নাযিল করেছেন এবং সুস্পষ্টভাবে (এতে বিধানাবলী) বর্ণনা করে দিয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তার নিজের থেকে এ ধরণের (কুরআনে বর্ণিত) কাজ করে, তবে তার জন্য তো সেটি বর্ণনা করে দেয়া হয়েছে। আর যে ব্যক্তি এর অন্যথা করল (যা কুরআনে বর্ণিত হয়নি), তবে আল্লাহর কসম, তোমাদের (কুরআন-সুন্নাহর) খেলাফ বিষয়ে [1] আমরা কিছুই বলতে পারব না।” [2]
[2] তাহক্বীক্ব: শাইখ দারানী বলেন: এর সনদ সহীহ ।
তাখরীজ: তাবারানী, মু’জামুল কাবীর [৯/৩৮২]; ইবনু হাযম, আল আহকাম [৮/৫৩৯]।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَيْسَرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّزَّالَ بْنَ سَبْرَةَ، قَالَ: شَهِدْتُ عَبْدَ اللَّهِ وَأَتَاهُ رَجُلٌ وَامْرَأَةٌ فِي تَحْرِيمٍ، فَقَالَ: «إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَيَّنَ، فَمَنْ أَتَى الْأَمْرَ مِنْ قِبَلِ وَجْهِهِ فَقَدْ بُيِّنَ وَمَنْ خَالَفَ فَوَاللَّهِ مَا نُطِيقُ خِلَافَكُمْ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৫. ইবনু সীরীন রাহি. থেকে বর্ণিত যে, তিনি (সাহাবীদের নিকট থেকে) যা কিছু শুনেছেন, তা ব্যতীত আপন রায় (মত) অনুযায়ী কিছুই বলতেন না।”[1]
তাখরীজ: খতীব বাগদাদী তাঁর ‘আল ফকীহ ওয়াল মুতাফাকিহ’ গ্রন্থে নং ৫০৩।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ أَنَّهُ كَانَ لَا يَقُولُ بِرَأْيِهِ إِلَّا شَيْئًا سَمِعَهُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৬. আ’মাশ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি ইবরাহীম (নাখয়ী)-কে তাঁর আপন রায় দ্বারা কখনো কোন বিষয়ে কিছু বলতে শুনিনি।[1]
তাখরীজ: আবী খায়ছামা, আল ইলম নং ৩৮।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَثَّامٌ وَالِدُ عَلِيِّ بْنِ عَثَّامٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ قَالَ: مَا سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ يَقُولُ بِرَأْيِهِ فِي شَيْءٍ قَطُّ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৭. কাতাদা রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি তিরিশ বছর যাবত নিজস্ব মতামত দ্বারা কিছু বলিনি। আবী হিলাল বলেন, চল্লিশ বছর যাবত (তিনি এরূপ বলেননি)।[1]
তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ২/৩৩৫।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ: مَا قُلْتُ بِرَأْيِي مُنْذُ ثَلَاثِينَ سَنَةً، قَالَ أَبُو هِلَالٍ مُنْذُ أَرْبَعِينَ سَنَةً
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৮. আব্দুল আযীয ইবনু রুফাঈ’ বলেন, ’আতা রাহিমাহুল্লাহকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, আমি জানি না। বর্ণনাকারী বলেন, তাকে বলা হল, আপনি এ বিষয়ে আপনার নিজস্ব মতামত কী তা বলবেন না? তখন তিনি বললেন, আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা’র সম্মুখে এটি আমার জন্য লজ্জার বিষয় যে, আমার মতামত দ্বারা এ দুনিয়ার বুকে (কাউকে) অভিযুক্ত করা হবে।[1]
তাখরীজ: সনদবিহীনভাবে বর্ণনা করেছেন, ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ ১/৪২৩ নং ৩৪৭ তে। এছাড়া অন্য কোথাও এটি আমি পাইনি।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ مَالِكٍ، ثَنَا حَكَّامُ بْنُ سَلْمٍ، عَنْ أَبِي خَيْثَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، قَالَ: سُئِلَ عَطَاءٌ عَنْ شَيْءٍ فقالَ: " لَا أَدْرِي، قَالَ: قِيلَ لَهُ: أَلَا تَقُولُ فِيهَا بِرَأْيِكَ؟ قَالَ: إِنِّي أَسْتَحْيِي مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يُدَانَ فِي الْأَرْضِ بِرَأْيِي
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১০৯. ঈসা থেকে বর্ণিত, তিনি শা’বী রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি এসে তাকে কোন একটি বিষয়ে প্রশ্ন করল। তখন তিনি জবাবে বলেন, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এ ব্যাপারে এই এই কথা বলেছেন। তখন সে ব্যক্তি বলল, এ ব্যাপারে আপনার নিজস্ব মতামত কী, আমাকে তাই বলুন। তখন তিনি বললেন, এ লোকটির ব্যাপারে কি তোমাদের বিস্ময় জাগে না? আমি তাকে ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মতামত বর্ণনা করছি, আর সে আমার নিকট আমার নিজস্ব মতামত জানতে চাচ্ছে! তা (নিজের মতামত দেওয়া) থেকে আমার নিকট আমার দীন (রক্ষা করা) শ্রেয় মনে করি । আল্লাহর কসম! দীনের ব্যাপারে তোমাকে আমার নিজস্ব মতামত প্রদান করার চেয়ে কোন একটি গান গাওয়াও আমার নিকট অধিকতর পছন্দনীয়।[1]
তাখরীজ: খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ নং ৪৯২।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ، أَخْبَرَنِي حَاتِمٌ هُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عِيسَى، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قالَ: " جَاءَهُ رَجُلٌ يَسْأَلُهُ عَنْ شَيْءٍ فَقَالَ: كَانَ ابْنُ مَسْعُودٍ يَقُولُ فِيهِ كَذَا وَكَذَا. قَالَ أَخْبِرْنِي أَنْتَ بِرَأْيِكَ. فَقَالَ: أَلَا تَعْجَبُونَ مِنْ هَذَا؟ أَخْبَرْتُهُ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَيَسْأَلُنِي عَنْ رَأْيِي، وَدِينِي عِنْدِي آثَرُ مِنْ ذَلِكَ. وَاللَّهِ لَأَنْ أَتَعَنَّى بِعَنِيَّةٍ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أُخْبِرَكَ بِرَأْيِي
إسناده ضعيف وعيسى هو: الحناط متروك الحديث
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১০. শা’বী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা কিয়াস (তুলনা) করা থেকে দূরে থাকবে! যার হাতে আমার প্রাণ, সেই মহান সত্তার কসম! তোমরা যদি কিয়াসকে আঁকড়ে ধর, তবে অবশ্যই তোমরা হারামকে হালাল আর হালালকে হারাম বানিয়ে ফেলবে। বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণ থেকে যারা সংরক্ষণ করেছেন (হাদীস মুখস্থ রেখেছেন), তাদের নিকট থেকে তোমাদের নিকট যা পৌঁছেছে, সে অনুযায়ী তোমরা আমল করবে।[1]
তাখরীজ: খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ নং ৪৯৭।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ هُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عِيسَى، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: «إِيَّاكُمْ وَالْمُقَايَسَةَ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَئِنْ أَخَذْتُمْ بِالْمُقَايَسَةِ لَتُحِلُّنَّ الْحَرَامَ وَلَتُحَرِّمُنَّ الْحَلَالَ، وَلَكِنْ مَا بَلَغَكُمْ عَمَّنْ حَفِظَ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاعْمَلُوا بِهِ
إسناده ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১১. ইবনু সীরীন আলকামাহ (রাহিমাহুমাল্লাহ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর নিকট এসে বললো, গতকাল সে তার স্ত্রীকে আট তালাক দিয়েছে। তিনি বললেন: সেটি কি এক বাক্যে ছিল? সে জবাবে বলল, তা এক বাক্যেই ছিল। তখন তিনি বললেন, লোকেরা কি এর মাধ্যমে তোমার নিকট হতে তোমার স্ত্রীকে আলাদা করে দিতে চায়? সে বলল, জ্বি, হাঁ। আরেক ব্যক্তি এসে বলল, সে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে একশ তালাক দিয়েছে। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন: সেটি কি এক বাক্যে ছিল? সে জবাবে বলল, তা এক বাক্যেই ছিল। তখন তিনি বললেন, লোকেরা কি এর মাধ্যমে তোমার নিকট হতে তোমার স্ত্রীকে আলাদা করে দিতে চায়? সে বলল, জ্বি, হাঁ।
তখন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আল্লাহ যেভাবে তালাক দিতে আদেশ করেছেন, সেইভাবে যে ব্যক্তি তালাক প্রদান করে, তবে আল্লাহ তা’আলা (তার জন্য) তা’লাকের বিধান তো পরিষ্কারভাবেই বর্ণনা করে দিয়েছেন। আর যে ব্যক্তি নিজেই বিষয়টি সন্দেহপূর্ণ করে ফেলেছে, তার সন্দেহপূর্ণ ব্যাপারটি আমরা তার উপরই ন্যস্ত করব। আল্লাহর কসম! তোমরা নিজেরা (হক ও বাতিলকে মিশিয়ে) বিষয়টিকে সন্দেহপূর্ণ করবে, আর আমরা তার দায়ভার বহন করবো, তাতো হতে পারে না। বরং বিষয়টি তোমরা যেমন বলেছো, তেমনি।[1]
তাখরীজ: তাবারাণী, মু’জামুল কাবীর ৯/৩৭৯-৩৮০ নং ৯৬২৮-৯৬২৯; বাইহাকী, খূলা’ ওয়াত তালাক ৭/৩৩৫; দেখুন আব্দুর রাযযাক, আল মুছান্নাফ ১১৩৪৩; ইবনু আবী শাইবা ৫/১২।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَلْقَمَةَ قَالَ: " جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ: إِنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ الْبَارِحَةَ ثَمَانِيًا. قَالَ: بِكَلَامٍ وَاحِدٍ؟ قَالَ: بِكَلَامٍ وَاحِدٍ. قَالَ: فَيُرِيدُونَ أَنْ يُبِينُوا مِنْكَ امْرَأَتَكَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ: إِنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ مِائَةَ طَلْقَةٍ، قَالَ بِكَلَامٍ وَاحِدٍ؟ قَالَ: بِكَلَامٍ وَاحِدٍ. قَالَ: فَيُرِيدُونَ أَنْ يُبِينُوا مِنْكَ امْرَأَتَكَ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: مَنْ طَلَّقَ كَمَا أَمَرَ اللَّهُ، فَقَدْ بَيَّنَ اللَّهُ الطَّلَاقَ، وَمَنْ لَبَّسَ عَلَى نَفْسِهِ، وَكَّلْنَا بِهِ لَبْسَهُ وَاللَّهِ لَا تُلَبِّسُونَ عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَنَتَحَمَّلُهُ نَحْنُ، هُوَ كَمَا تَقُولُونَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১২. আল-কাসিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, কোন ব্যক্তির অজানা বিষয়ে কথা বলার চেয়ে তার উপর আল্লাহর যে হক রয়েছে, তা জানার পর জাহিল বা মুর্খ অবস্থায় জীবন যাপন করা তার তার জন্য বহুগুণে উত্তম।[1]
তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়া ২/১৮৪; আবু খায়ছামা, আল ইলম নং ৯০। এ দুটি সনদও সহীহ।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ قَالَ: «لَأَنْ يَعِيشَ الرَّجُلُ جَاهِلًا بَعْدَ أَنْ يَعْلَمَ حَقَّ اللَّهِ عَلَيْهِ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَقُولَ مَا لَا يَعْلَمُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৩. আইয়্যুব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল-কাসিম রাহিমাহুল্লাহকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে আমি তাকে বলতে শুনেছি, আল্লাহর কসম, তোমরা যেসকল বিষয়ে আমাদেরকে জিজ্ঞেস কর তার সবগুলো আমাদের জানা থাকে না। যদি আমাদের তা জানা থাকত, তবে অবশ্যই আমরা তোমাদের থেকে তা গোপন করতাম না। আর তোমাদের নিকট কিছু গোপন করা আমাদের জন্য বৈধও নয়।[1]
তাখরীজ: ফাসাওয়ী, মা’রিফাত ওয়াত তারীখ ১/৫৪৮; খতীব আল ফকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ ২/১৭৩; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ২/১৮৪; ইবনু আব্দুল বার্রা, জামি’ বয়ানুল ইলম নং ১৪১০; এসকল সনদগুলোও সহীহ।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، قَالَ: سَمِعْتُ الْقَاسِمَ، سْئلُ قَالَ: إِنَّا وَاللَّهِ مَا نَعْلَمُ كُلَّ مَا تَسْأَلُونَ عَنْهُ، وَلَوْ عَلِمْنَا مَا كَتَمْنَاكُمْ، وَلَا حَلَّ لَنَا أَنْ نَكْتُمَكُمْ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৪. ইবনু আউন হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল-কাসিম রাহিমাহুল্লাকে উদ্দেশ্যে করে কোনো একটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তখন তিনি বললেন, আমি উপদেশ দিতে বাধ্য নই; আর আমি কোনো বিষয়েই উপদেশ দেওয়ার উপযুক্ত নই।’[1]
তাখরীজ: ইবনু সা’দ, তাবাকাত ৫/১৩৯;
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ: سُئِلَ الْقَاسِمُ عَنْ شَيْءٍ قَدْ سَمَّاهُ، فَقَالَ: مَا أَضْطَرُّ إِلَى مَشُورَةٍ، وَمَا أَنَا مِنْ ذِي فِي شَيْءٍ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৪. ইবনু আউন হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কাসিম রাহিমাহুল্লাকে তার নাম ধরে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হল। তখন তিনি বললেন, আমি উপদেশ দিতে বাধ্য নই; আর আমি উপদেশ দেওয়ার উপযুক্ত কেউ নই।’[1]
তাখরীজ: ইবনু সা’দ, তাবাকাত ৫/১৩৯;
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
114 - أخبرنا سعيد بن عامر عن بن عون قال Y سئل القاسم عن شيء قد سماه فقال ما اضطر إلى مشورة وما أنا من ذي في شيء إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৫. ইয়াহইয়া রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল-কাসিম রাহিমাহুল্লাহকে বললাম, আমার নিকট এরচেয়ে কঠিন আর কিছুই নেই যে,আপনাকে এমন কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে, যার (জ্ঞান) আপনার নিকট নেই অথচ আপনার পিতা ছিলেন একজন ইমাম। তিনি বলেন: কিন্তু আল্লাহর নিকট এবং আল্লাহর সম্পর্কে অবগত লোকের নিকট এটি আরও বেশি কঠিন যে, আমি ইলম ছাড়া ফতওয়া দেবো অথবা আমি বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী ব্যতীত অন্য কারো নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করবো।[1]
তাখরীজ: সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দমা ১/১৬; বাইহাকী, মা’রেফাতুস সুনান ওয়াল আছার, ১/১৪১।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى قَالَ: قُلْتُ لِلْقَاسِمِ: مَا أَشَدَّ عَلَيَّ أَنْ تُسْأَلَ عَنِ الشَّيْءِ لَا يَكُونُ عِنْدَكَ، وَقَدْ كَانَ أَبُوكَ إِمَامًا، قَالَ: «إِنَّ أَشَدَّ مِنْ ذَلِكَ عِنْدَ اللَّهِ وَعِنْدَ مَنْ عَقَلَ عَنِ اللَّهِ أَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ أَوْ أَرْوِيَ عَنْ غَيْرِ ثِقَةٍ
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৬. মুসায়্যেব ইবনু রাফি’ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন তাদের নিকট এমন কোন মোকদ্দমা (সমস্যা) আসত, যে বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কোন হাদীস নেই, তখন বিষয়টি নিয়ে তারা (সাহাবীগণ) একত্রে সমবেত হতেন এবং তারা সবাই মিলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। ফলে তারা যে মত পোষণ করতেন, তাঁদের সেই (ঐক্যবদ্ধ) মতের মধ্যেই হক (সত্য) নিহিত, তাদের সেই (ঐক্যবদ্ধ) মতেই হক (সত্য) নিহিত।[1]
তাখরীজ: ইবনু আব্দুল বাররা, জামি’ বায়ানুল ইলম ২/১৬৭ নং ১৮২৪।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَنبأَنَا هُشَيْمٌ، عَنِ الْعَوَّامِ، عَنِ الْمُسَيَّبِ بْنِ رَافِعٍ قَالَ: " كَانُوا إِذَا نَزَلَتْ بِهِمْ قَضِيَّةٌ لَيْسَ فِيهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَثَرٌ، اجْتَمَعُوا لَهَا وَأَجْمَعُوا، فَالْحَقُّ فِيمَا رَأَوْا، فَالْحَقُّ فِيمَا رَأَوْا
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৭. ইয়াযিদ (ইবনু হারুন)ও আওয়াম’ হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَنْبَأَنَا يَزِيدُ، عَنِ الْعَوَّامِ بِهَذَا
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৮. আবু সালামাহ আল হিমছী বর্ণনা করেছেন, ওয়াহাব ইবনু আমর আল জুমাহী তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ’কোন বালাই বা বিপদ আপতিত হওয়ার পূর্বেই তোমরা তা নিয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু (জিজ্ঞাসা) করো না। কেননা, যদি কোন বিপদ নাযিল হওয়ার পূর্বে তা নিয়ে তোমরা তাড়াহুড়া না কর, তবে মুসলিমগণ বিচ্ছিন্ন হবে না যখন তাদের মাঝে তা নাযিল হবে, তখন যে তা নিয়ে কথা বলবে, সে তাওফীক (সৌভাগ্য) এবং সঠিকপথ প্রাপ্ত হবে। আর তোমরা যদি তা নিয়ে তাড়াহুড়া কর, তবে তোমাদের অন্তরগুলি অনৈক্য-মতভেদপূর্ণ হয়ে যাবে, ফলে তোমরা এভাবে এভাবে ধরতে থাকবে’- এ কথা বলে তিনি ডান ও বাম থেকে এবং সামনের দিকে ইশারা করে দেখালেন।[1]
তাখরীজ: মুহাক্কিক্ক এর কোন তাখরীজ করেননি।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ، قَالَا: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ الْحِمْصِيُّ، أَنَّ وَهْبَ بْنَ عَمْرٍو الْجُمَحِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا تَعْجَلُوا بِالْبَلِيَّةِ قَبْلَ نُزُولِهَا، فَإِنَّكُمْ إِنْ لَا تَعْجَلُوهَا قَبْلَ نُزُولِهَا، لَا يَنْفَكُّ الْمُسْلِمُونَ وَفِيهِمْ إِذَا هِيَ نَزَلَتْ مَنْ إِذَا قَالَ وُفِّقَ وَسُدِّدَ، وَإِنَّكُمْ إِنْ تَعْجَلُوهَا، تَخْتَلِفْ بِكُمِ الْأَهْوَاءُ، فَتَأْخُذُوا هَكَذَا وَهَكَذَا» وَأَشَارَ بَيْنَ يَدَيْهِ وَعَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ
إسناده ضعيف وهب بن عمرو ما عرفته وهو مرسل
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১১৯. আবু সালামাহ রাহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নতুন উদ্ভাবিত কোন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো, যা আল্লাহর কিতাবেও নেই, (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) সুন্নাতেও নেই। তখন তিনি বললেন: ’মু’মিনদের মধ্যকার আবিদগণ (ইবাদতগুজার মুত্তাকী) সে ব্যাপারে চিন্তা-গবেষণা করবে।’[1]
তাখরীজ: আবু দাউদ, মারাসীল ৪৫৮, সনদ হাসান। এর শাহিদ রয়েছে মুয়ায রা: হতে মারফু’ হিসেবে তাবারানী, কাবীর ২০/১৭৬ নং ৩৫৩; আবূ দাউদ মারাসীল ৪৫৭; ইবনু আব্দুল বারর, জামি’ বয়ানিল ইলম ১৮১০; ইবনু বাত্তাহ আল ইবানাহ ১/৩৯৬ নং ২৯৩ তবে সনদ বিচ্ছিন্ন। অপর সনদে মুয়ায রা: হতে মাওকুফ হিসেবে আজুরী, আখলাকুল উলামা পৃ. ১২১-১২২।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنِ الْأَمْرِ يَحْدُثُ لَيْسَ فِي كِتَابٍ وَلَا سُنَّةٍ قَالَ: يَنْظُرُ فِيهِ الْعَابِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে মাসয়ালায় আয়াত এবং হাদীস নেই এমন বিষয়ের উত্তর প্রদান থেকে বিরত থাকা
১২০. ইবনু আউন বলেন, আল-কাসিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই তোমরা এমন সব বিষয়ে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করছ, যে সম্পর্কে আমরা (পূর্ববর্তীদেরকে) জিজ্ঞাসা করিনি। আবার তোমরা এমন সকল বিষয় অনুসন্ধানে লিপ্ত হচ্ছো, যে বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করিনি। আর তোমরা এমন সব বিষয়ে জিজ্ঞেস করছ, সেটা কি তা আমি জানি না। আর যদি আমি সেটা জানতাম, তবে (অবশ্যই তোমাদেরকে তা বলে দিতাম, কেননা), তোমাদের নিকট থেকে তা গোপন করা আমদের জন্য বৈধ নয়।[1]
তাখরীজ: পূর্বের ১১৩ নং হাদীসটি দেখুন।
بَابُ التَّوَرُّعِ عَنِ الْجَوَابِ فِيمَا لَيْسَ فِيهِ كِتَابٌ وَلَا سُنَّةٌ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ قَالَ: قَالَ الْقَاسِمُ: " إِنَّكُمْ لَتَسْأَلُونَا عَنْ أَشْيَاءَ مَا كُنَّا نَسْأَلُ عَنْهَا، وَتُنَقِّرُونَ عَنْ أَشْيَاءَ مَا كُنَّا نُنَقِّرُ عَنْهَا، وَتَسْأَلُونَ عَنْ أَشْيَاءَ مَا أَدْرِي مَا هِيَ، وَلَوْ عَلِمْنَاهَا مَا حَلَّ لَنَا أَنْ نَكْتُمَكُمُوهَا
إسناده صحيح