পরিচ্ছেদঃ ১৫. মৃত্যুর পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহর সম্মান দেওয়া প্রসঙ্গে।
৯৩. আবু জাওযাআ আওস ইবনু আব্দুল্লাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, একবার মদীনাবাসী ভীষণ অনাবৃষ্টির কবলে পড়েছিল। লোকজন আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার নিকট অভিযোগ করলে তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কবরের দিকে দেখ, আর তাতে আসমানের দিকে একটি ফুটো করে দাও, যেন আসমান ও তাঁর মাঝে কোনো আচ্ছাদন না থাকে। তিনি বলেন, তখন তারা তা-ই করলো। ফলে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হল। সেই বৃষ্টিতে এত বেশি ঘাস জন্মেছিল যে, উটগুলো তা খেয়ে বেশ মোটাতাজা হয়ে গিয়েছিল। তাদের পেট চর্বিতে ফুলে গিয়েছিল। ফলে সেই বছরের নামকরণ করা হয়েছিল ’উর্বরতার বছর’।[1]
তাখরীজ: এটি আর কোথাও আমি পাইনি।
باب ما أكرم الله تعالى نبيه صلى الله عليه وسلم بعد موته
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَالِكٍ النُّكْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْجَوْزَاءِ أَوْسُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قُحِطَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ قَحْطًا شَدِيدًا، فَشَكَوْا إِلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ: " انْظُرُوا قَبْرَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاجْعَلُوا مِنْهُ كِوًى إِلَى السَّمَاءِ حَتَّى لَا يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّمَاءِ سَقْفٌ. قَالَ: فَفَعَلُوا، فَمُطِرْنَا مَطَرًا حَتَّى نَبَتَ الْعُشْبُ، وَسَمِنَتِ الْإِبِلُ حَتَّى تَفَتَّقَتْ مِنَ الشَّحْمِ، فَسُمِّيَ عَامَ الْفَتْقِ
رجاله ثقات وهو موقوف على عائشة
পরিচ্ছেদঃ ১৫. মৃত্যুর পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহর সম্মান দেওয়া প্রসঙ্গে।
৯৪. সাঈদ ইবনু আব্দুল আযীয হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আইয়ামুল হাররাহ’ বা তীব্র অন্ধকারের দিনগুলিতে (৬৩ হিজরীতে ইয়াযীদের সময়কার মশহুর কষ্টকর শাস্তির দিনগুলি) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মসজিদে তিন দিন পর্যন্ত আযান ও জামা’আতে সালাত অনুষ্ঠিত হয়নি। সে সময় সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব রাহিমাহুল্লাহ মসজিদেই আটকা পড়েছিলেন। কিন্তু (গাড় অন্ধকারের কারণে) সালাতের ওয়াক্ত নির্ধারণ করতে পারতেন না, তবে (সালাতের ওয়াক্ত হলে) তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কবর হতে গুণগুণ শব্দ শুনতে পেতেন। পরে তিনি আমাদের নিকট এ অর্থের হাদীস বর্ণনা করেছেন।[1]
তাখরীজ: (মুহাক্বিক্ব-এর কোন তাখরীজ করেন নি।)
باب ما أكرم الله تعالى نبيه صلى الله عليه وسلم بعد موته
أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، قَالَ: لَمَّا كَانَ أَيَّامُ الْحَرَّةِ لَمْ يُؤَذَّنْ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثًا، وَلَمْ يُقَمْ، وَلَمْ يَبْرَحْ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ الْمَسْجِدَ، وَكَانَ لَا يَعْرِفُ وَقْتَ الصَّلَاةِ إِلَّا بِهَمْهَمَةٍ يَسْمَعُهَا مِنْ قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ مَعْنَاهُ
পরিচ্ছেদঃ ১৫. মৃত্যুর পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহর সম্মান দেওয়া প্রসঙ্গে।
৯৫. নুবাইহ ইবনু ওয়াহাব থেকে বর্ণিত, একবার কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার নিকট প্রবেশ করলেন। তারপর তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কথা উল্লেখ করলেন। তখন কা’ব বললেন: এমন কোন দিন নেই যেদিন সত্তর হাজার ফেরেশতা অবতরণ করেন না, এমনকি তারা তাদের ডানা দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কবরকে বেষ্টন করে ডানা দ্বারা (ছোট ছোট করে) আঘাত করে এবং তাঁর উপর সালাত প্রেরণ করতে থাকে। সন্ধ্যা বেলায় সেই দল ফিরে গেলে তাদের অনুরূপ আরেকদল দুনিয়ায় নেমে এসে অনুরূপ করতে থাকে। এভাবে যখন তাঁর কবরের মাটি তাঁর উপর থেকে থেকে ফেটে যাবে এবং তিনি বের হবেন তখন সত্তর হাজার ফেরেশতা তাঁকে নিয়ে দ্রুত অগ্রসর হবে।[1]
তাখরীজ: সাখাবী, কওলুল বাদী’ পৃ: ৪৮ তে বলেন, ইসমাইল কাযী, ইবনু বিশকাল ও বাইহাকী শুয়াবুল ইমানে এবং ইবনুল মুবারক রাকাইকে বর্ণনা করেছেন।
باب ما أكرم الله تعالى نبيه صلى الله عليه وسلم بعد موته
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي خَالِدٌ هُوَ ابْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدٍ هُوَ ابْنُ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ نُبَيْهِ بْنِ وَهْبٍ، أَنَّ كَعْبًا دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ، فَذَكَرُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ كَعْبٌ: " مَا مِنْ يَوْمٍ يَطْلُعُ إِلَّا نَزَلَ سَبْعُونَ أَلْفًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ، حَتَّى يَحُفُّوا بِقَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضْرِبُونَ بِأَجْنِحَتِهِمْ، وَيُصَلُّونَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا أَمْسَوْا، عَرَجُوا وَهَبَطَ مِثْلُهُمْ فَصَنَعُوا مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى إِذَا انْشَقَّتْ عَنْهُ الْأَرْضُ، خَرَجَ فِي سَبْعِينَ أَلْفًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ يَزِفُّونَهُ
في إسناده علتان: الأولى ضعف عبد الله بن صالح فهو سيئ الحفظ جدا وكانت فيه غفلة والانقطاع أيضا فإن نبيه بن وهب لم يدرك كعبا