পরিচ্ছেদঃ ৪৭১- আমীরকে সালাম দেয়া।
১০৩৩। ইবনে শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) আবু বাকর ইবনে সুলায়মান ইবনে আবু হাসমাকে জিজ্ঞেস করেন, কেনো আবু বাকর (রাঃ) পত্রের শিরোনামে লিখতেনঃ আবু বাকর, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খলীফার পক্ষ থেকে। অতঃপর উমার (রাঃ) লিখতেন, উমার ইবনুল খাত্তাব, আবু বাকরের খলীফার (প্রতিনিধির) পক্ষ থেকে। সর্বপ্রথম কে “আমীরুল মুমিনীন” শব্দটি লেখার প্রচলন করেন? তিনি বলেন, আমার পিতামহী শিফা (রাঃ) আমাকে বলেছেন, তিনি প্রথম যুগের মুহাজির মহিলাদের একজন এবং উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বাজারে গেলে তার সাথে অবশ্যই সাক্ষাত করতেন। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ইরাকের শাসনকর্তাকে লিখে পাঠান, আমার নিকট দুইজন বিজ্ঞ ও সম্ভ্রান্ত লোক পাঠাও যাদেরকে আমি ইরাক ও তার অধিবাসীদের সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করবো। ইরাকের শাসনকর্তা লবীদ ইবনে রবীয়া এবং আদী ইবনে হাতেম (রাঃ)-কে তার নিকট পাঠান। তারা মদীনায় পৌছে তাদের বাহনদ্বয় মসজিদের চত্বরে বাঁধেন।
অতঃপর তারা মসজিদে প্রবেশ করে আমর ইবনুল আস (রাঃ)-এর সাক্ষাত পান। তারা তাকে বলেন, হে আমর! “আমীরুল মুমিনীন” উমার (রাঃ)-এর সাথে আমাদের সাক্ষাতের অনুমতি নিয়ে দিন। আমর (রাঃ) উমার (রাঃ)-এর কাছে দ্রুত ছুটে গেলেন এবং বলেন, আসসালামু আলাইকুম ইয়া আমীরুল মুমিনীন। উমার (রাঃ) তাকে বলেন, হে আসের পুত্র! এই পদবী তুমি কোথায় পেলে? তুমি যা বলেছে তা প্রত্যাহার করো। তিনি বলেন, হাঁ, লবীদ ইবনে রবীয়া এবং আদী ইবনে হাতেম (রাঃ) এসেছেন। তারা আমাকে বলেছেন, আমীরুল মুমিনীনের নিকট থেকে আমাদের জন্য সাক্ষাতের অনুমতি এনে দিন। আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! তোমরা দু’জনে তার যথার্থ নামকরণ করেছো। নিশ্চয় তিনি আমীর এবং আমরা মুমিন। সেদিন থেকে তা লেখার প্রচলন হয়। (ইসতীআব)
بَابُ التَّسْلِيمِ عَلَى الأَمِيرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَفَّارِ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ سَأَلَ أَبَا بَكْرِ بْنَ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ: لِمَ كَانَ أَبُو بَكْرٍ يَكْتُبُ: مِنْ أَبِي بَكْرٍ خَلِيفَةِ رَسُولِ اللهِ، ثُمَّ كَانَ عُمَرُ يَكْتُبُ بَعْدَهُ: مِنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ خَلِيفَةِ أَبِي بَكْرٍ، مَنْ أَوَّلُ مَنْ كَتَبَ: أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي الشِّفَاءُ، وَكَانَتْ مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ الأُوَلِ، وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِذَا هُوَ دَخَلَ السُّوقَ دَخَلَ عَلَيْهَا، قَالَتْ: كَتَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى عَامِلِ الْعِرَاقَيْنِ: أَنِ ابْعَثْ إِلَيَّ بِرَجُلَيْنِ جَلْدَيْنِ نَبِيلَيْنِ، أَسْأَلُهُمَا عَنِ الْعِرَاقِ وَأَهْلِهِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ صَاحِبُ الْعِرَاقَيْنِ بِلَبِيدِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَعَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، فَقَدِمَا الْمَدِينَةَ فَأَنَاخَا رَاحِلَتَيْهِمَا بِفِنَاءِ الْمَسْجِدِ، ثُمَّ دَخَلاَ الْمَسْجِدَ فَوَجَدَا عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، فَقَالاَ لَهُ: يَا عَمْرُو، اسْتَأْذِنْ لَنَا عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ، فَوَثَبَ عَمْرٌو فَدَخَلَ عَلَى عُمَرَ فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: مَا بَدَا لَكَ فِي هَذَا الِاسْمِ يَا ابْنَ الْعَاصِ؟ لَتَخْرُجَنَّ مِمَّا قُلْتَ، قَالَ: نَعَمْ، قَدِمَ لَبِيدُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَعَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ، فَقَالاَ لِي: اسْتَأْذِنْ لَنَا عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَقُلْتُ: أَنْتُمَا وَاللَّهِ أَصَبْتُمَا اسْمَهُ، وَإِنَّهُ الأَمِيرُ، وَنَحْنُ الْمُؤْمِنُونَ. فَجَرَى الْكِتَابُ مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ.
'Umar ibn 'Abdu'l-'Aziz asked Abu Bakr ibn Abi Hathama, "Why did Abu Bakr write, 'From Abu Bakr, the Khalifa (Successor) of the Messenger of Allah' and then 'Umar wrote after him, 'From 'Umar ibn al-Khattab, the khalifa (successor) of Abu Bakr'? Who was the first to write 'the Amir al-Mu'minin'?" He replied, "My grandmother, ash-Shifa', related to me, and she was one of the first to write 'the Amir al-Mu'minin'?" He said, "My grandfather, ash-Shifa' related to me, (and she was one of the first Muhajirun and when 'Umar ibn al-Khattab entered the market, he visited her), saying, ''Umar ibn al-Khattab wrote to the governor of Iraq requesting him to send him two trustworthy noble men so that he could question them about Iraq and its people. He sent him a master of Iraq, Labid ibn Rabi'a and also 'Adi ibn Hatim, and they came to Madina. They made their camels kneel in the courtyard of the mosque, entered it and found 'Amr ibn al-'As. They said to him, ''Amr, ask permission for us to visit the Amir al-Mu'minin, 'Umar.' 'Amr got up and went to 'Umar. He said, 'Peace be upon you, Amir al-Mu'minin.' 'Umar said to him, 'Ibn al-'As, what made you use this name? You have deviated from what you normally say.' He said, 'Yes, Labid ibn Rabi'a and 'Adi ibn Hatim came and said to me, "Ask permission for us to visit the Amir al-Mu'minin." I said, "You two, by Allah, have hit upon the correct name. He is the amir and we are the believers."' The title originated on that day."
পরিচ্ছেদঃ ৪৭১- আমীরকে সালাম দেয়া।
১০৩৪। উবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, মুআবিয়া (রাঃ) যখন খলীফারূপে প্রথমবার হজ্জ করতে আসেন তখন উসমান ইবনে হুনাইফ আনসারী (রাঃ) তার নিকট আসেন এবং বলেন, আসসালামু আলাইকুম আয়্যুহাল আমীর ওয়া রহমাতুল্লাহ (হে আমীর! আপনাকে সালাম ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক)। সিরিয়াবাসীদের তা অপছন্দ হলো। তারা বললো, কে এই মোনাফিক যে আমীরুল মুমিনীনের প্রতি অভিবাদনটাকে খাটো করেছে? তখন উসমান (রাঃ) তার হাঁটুতে ভর দিয়ে বসে বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন। এরা এমন একটি ব্যাপারকে অপছন্দ করছে যা তাদের চাইতে আপনি অধিক জ্ঞাত। আল্লাহর শপথ! আমি আবু বাকর, উমার ও উসমান (রাঃ)-কে এভাবে অভিবাদন করেছি। তাদের কেউই তা অপছন্দ করেননি। মুআবিয়া (রাঃ) সিরিয়াবাসীদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ কথা বলেছে তাকে বলেন, ওহে! চুপ করো। তিনি যা বলেছেন ব্যাপার অনেকটা তাই। কিন্তু সিরিয়াবাসীরা গোলযোগ ঘটে যাবার পর বলে, আমাদের খলীফার প্রতি অভিবাদনকে সংক্ষিপ্ত করবো না। হে মদীনাবাসীগণ! আমি তোমাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, তোমরা যাকাত আদায়কারীদেরকেও “আমীর” বলে সম্বোধন করে থাকো। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক)
بَابُ التَّسْلِيمِ عَلَى الأَمِيرِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَدِمَ مُعَاوِيَةُ حَاجًّا حَجَّتَهُ الأُولَى وَهُوَ خَلِيفَةٌ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ عُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا الأَمِيرُ وَرَحْمَةُ اللهِ، فَأَنْكَرَهَا أَهْلُ الشَّامِ وَقَالُوا: مَنْ هَذَا الْمُنَافِقُ الَّذِي يُقَصِّرُ بِتَحِيَّةِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَبَرَكَ عُثْمَانُ عَلَى رُكْبَتِهِ ثُمَّ قَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ هَؤُلاَءِ أَنْكَرُوا عَلَيَّ أَمْرًا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنْهُمْ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ حَيَّيْتُ بِهَا أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ، فَمَا أَنْكَرَهُ مِنْهُمْ أَحَدٌ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ لِمَنْ تَكَلَّمَ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ: عَلَى رِسْلِكُمْ، فَإِنَّهُ قَدْ كَانَ بَعْضُ مَا يَقُولُ، وَلَكِنَّ أَهْلَ الشَّامِ قَدْ حَدَثَتْ هَذِهِ الْفِتَنُ، قَالُوا: لاَ تُقَصَّرُ عِنْدَنَا تَحِيَّةُ خَلِيفَتِنَا، فَإِنِّي إِخَالُكُمْ يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ تَقُولُونَ لِعَامِلِ الصَّدَقَةِ: أَيُّهَا الأمِيرُ.
'Ubaydullah ibn 'Abdullah said, "Mu'awiya went on his first hajj when he was the khalifa and 'Uthman ibn Hanif al-Ansari came to him and said, 'Peace be upon you, Amir, and the mercy of Allah.' The people of Syria objected to that and said, 'Who is this hypocrite who shortens the greeting of the Amir al-Mu'minin!' 'Uthman made his camel kneel and said, 'Amir al-Mu'minin! These men object to something which you know better than them. By Allah, I used to this greeting for Abu Bakr, 'Umar, and 'Uthman, and none of them objected to it.' Mu'awiya said to those of the people of Syria who had spoken, 'Take it easy! It was partly as he stated. But when the civil war engaged the people of Syria, they said, "Do not shorten the greeting of our khalifa in our presence (i.e. from Amir al-Mu'minin to Amir)." People of Madina, I will treat you as friends even though you use 'Amir" for a zakat collector.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪৭১- আমীরকে সালাম দেয়া।
১০৩৫। জাবের (রাঃ) বলেন, আমি হাজ্জাজের নিকট গিয়েছি কিন্তু তাকে সালাম দেইনি। (হাকিম)
بَابُ التَّسْلِيمِ عَلَى الأَمِيرِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى الْحَجَّاجِ فَمَا سَلَّمْتُ عَلَيْهِ.
Jabir said, "I visited al-Hajjaj and did not greet him."
পরিচ্ছেদঃ ৪৭১- আমীরকে সালাম দেয়া।
১০৩৬। তামীম ইবনে হাযলাম (রহঃ) বলেন, কুফাতে সর্বপ্রথম কাকে আমীর সম্বোধন করে সালাম দেয়া হয়েছিল তা আমার অবশ্যই স্মরণ আছে। মুগীরা ইবনে শোবা (রাঃ) কুফার রাহবা ফটক দিয়ে বের হলে কিনদার এক ব্যক্তি তার নিকট আসেন। লোকের ধারণা যে, তিনি ছিলেন আবু কুররা আল-কিন্দী। তিনি তাকে সালাম দিয়ে বলেন, আসসালামু আলাইকা আয়্যুহাল আমীর ওয়া রহমাতুল্লাহ আসসালামু আলাইকুম। মুগীরা (রাঃ) তা অপছন্দ করেন এবং বলেন, আসসালামু আলাইকুম আয়্যুহাল আমীরু ওয়া রহমাতুল্লাহ আসসালামু আলাইকুম, এটা কি? আমি তাদেরই একজন কিনা? সিমাক (রহঃ) বলেন, অতঃপর মুগীরা (রাঃ) এই আমীর উপাধি গ্রহণ করেন।
بَابُ التَّسْلِيمِ عَلَى الأَمِيرِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ سَلَمَةَ الضَّبِّيِّ، عَنْ تَمِيمِ بْنِ حَذْلَمٍ قَالَ: إِنِّي لَأَذْكُرُ أَوَّلَ مَنْ سَلَّمَ عَلَيْهِ بِالإِمْرَةِ بِالْكُوفَةِ، خَرَجَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ مِنْ بَابِ الرَّحَبَةِ، فَفَجَأَهُ رَجُلٌ مِنْ كِنْدَةَ، زَعَمُوا أَنَّهُ: أَبُو قُرَّةَ الْكِنْدِيُّ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا الأَمِيرُ وَرَحْمَةُ اللهِ، السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ، فَكَرِهَهُ، فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَيُّهَا الأَمِيرُ وَرَحْمَةُ اللهِ، السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ، هَلْ أَنَا إِلاَّ مِنْهُمْ، أَمْ لاَ؟ قَالَ سِمَاكٌ: ثُمَّ أَقَرَّ بِهَا بَعْدُ.
Tamim ibn Hadhlam said, "I will mention the first to be greeted as 'Amir' in Kufa. Al-Mughira ibn Shu'ba left by the Bab ar-Rahba and a man of Kinda came up to him. They claim that it was Abu Qurra al-Kindi. He greeted him and said, 'Peace be upon you, O Amir, and the mercy of Allah.' He disliked it. So the man said, 'Peace be upon you, O Amir, and the mercy of Allah. Peace be upon you. Am I one of you or not?'" Sammak ibn Salama ad-Dabi said, "After that it became an established practice."
পরিচ্ছেদঃ ৪৭১- আমীরকে সালাম দেয়া।
১০৩৭। হিময়ারের এক শাখার সদস্য যিয়াদ ইবনে উবায়েদ আর-রুয়াইনী (রহঃ) বলেন, আমরা রুয়াইফে (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি তখন আনতাবুলসের আমীর (শাসক)। এক ব্যক্তি এসে তাকে সালাম দিয়ে বললো, আসসালামু আলাল আমীর। আবদা (রহঃ) এর বর্ণনায় আছে, সে বললো, আসসালামু আলাইকা আয়্যুহাল আমীর। রুয়াইফে (রাঃ) তাকে বলেন, তুমি যদি আমাকেই সালাম দিতে তবে অবশ্যই আমি তোমার সালামের জবাব দিতাম। তুমি তো মিসরের শাসক মাসলামা ইবনে মুখাল্লিদকে সালাম দিয়েছো। তুমি তার নিকট যাও, তিনিই তোমার সালামের জবাব দিবেন। রাবী যিয়াদ (রহঃ) বলেন, আমরা তার ওখানে গেলে এবং তিনি মজলিসে উপস্থিত থাকলে আসসালামু আলাইকুম বলতাম।
بَابُ التَّسْلِيمِ عَلَى الأَمِيرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي زِيَادُ بْنُ عُبَيْدٍ، بَطْنٌ مِنْ حِمْيَرٍ، قَالَ: دَخَلْنَا عَلَى رُوَيْفِعٍ، وَكَانَ أَمِيرًا عَلَى أَنْطَابُلُسَ، فَجَاءَ رَجُلٌ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، وَنَحْنُ عِنْدَهُ، فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا الأَمِيرُ، فَقَالَ لَهُ رُوَيْفِعٌ: لَوْ سَلَّمْتَ عَلَيْنَا لَرَدَدْنَا عَلَيْكَ السَّلاَمَ، وَلَكِنْ إِنَّمَا سَلَّمْتَ عَلَى مَسْلَمَةَ بْنِ مَخْلَدٍ، وَكَانَ مَسْلَمَةُ عَلَى مِصْرَ، اذْهَبْ إِلَيْهِ فَلْيَرُدَّ عَلَيْكَ السَّلاَمَ.
Ziyad ibn 'Ubayd (ar-Ru'ayni) said, "We went to Ruwayfa', the Amir of Antabulis. A man came and greeted him, saying, 'Peace be upon the Amir.' From 'Abda, he said, 'Peace be upon the Amir.' Ruwayfa' said to him, 'If you had greeted us, we would have returned the greeting. But you greeted Maslama ibn Mukhallad (Maslama was in charge of Egypt). Go to him and he will return your greeting.'"