পরিচ্ছেদঃ ২৪০- রোগীকে দেখতে গিয়ে কি বলবে?

৫২৭। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (হিজরত করে) মদীনায় আসলে আবু বাকর ও বিলাল (রাঃ) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। আবু বাকর (রাঃ) যখনই জ্বরে আক্রান্ত হতেন তখনই একটি কবিতাংশ আবৃত্তি করে বলতেন,

“প্রত্যেক ব্যক্তিই তার পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, অথচ মৃত্যু তার জুতার ফিতার চেয়েও নিকটবর্তী”।

আর বিলালের যখন জ্বর ছেড়ে যেতো তখন উচ্চ স্বরে এ কবিতাংশ আবৃত্তি করতেন, “আহ! কতই না ভালো হতো যদি আমি কবিতা বলতে পারতাম। আহ! যদি আমি মক্কার প্রান্তরে একটি রাত কাটাতে পারতাম যেখানে আমার চারিদিকে ইযখির ও জালিল ঘাস থাকতো। আহ! একদিন যদি মুজেন্নার প্রান্তরে ঝর্ণার পানি পান করতে পারতাম এবং শামা ও তাফিল পাহাড়ের পাদদেশে যেতে পারতাম”।

আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁকে একথা জানালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া করলেনঃ “হে আল্লাহ! মক্কার প্রতি আমাদের যেমন মহব্বত, মদীনার প্রতিও তেমন অথবা তার চাইতেও বেশী মহব্বত আমাদের মধ্যে সৃষ্টি করে দাও। হে আল্লাহ আমাদের সা’ ও মুদে বরকত দান করো”।

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ ، قَالَ : حَدَّثَنِي مَالِكٌ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، أَنَّهَا قَالَتْ : " لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ وُعِكَ أَبُو بَكْرٍ وَبِلالٌ ، قَالَتْ : فَدَخَلْتُ عَلَيْهِمَا ، قُلْتُ : يَا أَبَتَاهُ ، كَيْفَ تَجِدُكَ ؟ وَيَا بِلالُ ، كَيْفَ تَجِدُكَ ؟ قَالَ : وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ ، إِذَا أَخَذَتْهُ الْحُمَّى ، يَقُولُ : كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ ، وَكَانَ بِلالٌ إِذَا أُقْلِعَ عَنْهُ ، يَرْفَعُ عَقِيرَتَهُ ، فَيَقُولُ : أَلا لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ ، وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجَنَّةٍ وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ ، قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا : فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ ، فَقَالَ : اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ ، وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا ، وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ " .

حدثنا اسماعيل بن ابي اويس ، قال : حدثني مالك ، عن هشام بن عروة ، عن ابيه ، عن عاىشة ، انها قالت : " لما قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة وعك ابو بكر وبلال ، قالت : فدخلت عليهما ، قلت : يا ابتاه ، كيف تجدك ؟ ويا بلال ، كيف تجدك ؟ قال : وكان ابو بكر ، اذا اخذته الحمى ، يقول : كل امرى مصبح في اهله والموت ادنى من شراك نعله ، وكان بلال اذا اقلع عنه ، يرفع عقيرته ، فيقول : الا ليت شعري هل ابيتن ليلة بواد وحولي اذخر وجليل ، وهل اردن يوما مياه مجنة وهل يبدون لي شامة وطفيل ، قالت عاىشة رضي الله عنها : فجىت رسول الله صلى الله عليه وسلم فاخبرته ، فقال : اللهم حبب الينا المدينة كحبنا مكة او اشد ، وصححها وبارك لنا في صاعها ومدها ، وانقل حماها فاجعلها بالجحفة " .

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-আদাবুল মুফরাদ
রোগীর সাথে দেখা-সাক্ষাৎ

পরিচ্ছেদঃ ২৪০- রোগীকে দেখতে গিয়ে কি বলবে?

৫২৮। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রুগ্ন বেদুইনকে দেখতে গেলেন। রাবী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখতে গেলে বলতেনঃ ক্ষতি হবে না, ইনশাআল্লাহ পাক-পবিত্র হয়ে যাবে। সে বললো, তা কি পবিত্র? কখনো নয়, বরং তা তো এক প্রবীণ বৃদ্ধের উপর আপতিত টগবগে জ্বর। তা তাকে কবরে নিয়ে ছাড়বে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তা তো আরো উত্তম। (বুখারী)

حَدَّثَنَا مُعَلَّى ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا خَالِدٌ ، عَنْ عِكْرِمَةَ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، " أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، دَخَلَ عَلَى أَعْرَابِيٍّ يَعُودُهُ ، قَالَ : وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ عَلَى مَرِيضٍ يَعُودُهُ ، قَالَ : لا بَأْسَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ، قَالَ : ذَاكَ طَهُورٌ ، كَلا بَلْ هِيَ حُمَّى تَفُورُ أَوْ تَثُورُ عَلَى شَيْخٍ كَبِيرٍ ، تُزِيرُهُ الْقُبُورَ ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : فَنَعَمْ إِذًا

حدثنا معلى ، قال : حدثنا عبد العزيز بن المختار ، قال : حدثنا خالد ، عن عكرمة ، عن ابن عباس ، " ان النبي صلى الله عليه وسلم ، دخل على اعرابي يعوده ، قال : وكان النبي صلى الله عليه وسلم اذا دخل على مريض يعوده ، قال : لا باس طهور ان شاء الله ، قال : ذاك طهور ، كلا بل هي حمى تفور او تثور على شيخ كبير ، تزيره القبور ، قال النبي صلى الله عليه وسلم : فنعم اذا

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-আদাবুল মুফরাদ
রোগীর সাথে দেখা-সাক্ষাৎ

পরিচ্ছেদঃ ২৪০- রোগীকে দেখতে গিয়ে কি বলবে?

৫২৯। নাফে (রহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাঃ) রুগ্ন ব্যক্তির নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করতেন যে, সে কেমন আছে? আর তিনি তার নিকট থেকে বিদায়কালে বলতেন, আল্লাহ তোমার কল্যাণ করুন। তিনি এর অধিক কিছু বলতেন না।

حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ ، عَنْ حَرْمَلَةَ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ الْقُرَشِيِّ ، عَنْ نَافِعٍ ، قَالَ : " كَانَ ابْنُ عُمَرَ ، إِذَا دَخَلَ عَلَى مَرِيضٍ ، يَسْأَلُهُ : كَيْفَ هُوَ ؟ فَإِذَا قَامَ مِنْ عِنْدِهِ ، قَالَ : خَارَ اللَّهُ لَكَ ، وَلَمْ يَزِدْهُ عَلَيْهِ

حدثنا حدثنا احمد بن عيسى ، قال : حدثنا عبد الله بن وهب ، عن حرملة ، عن محمد بن علي القرشي ، عن نافع ، قال : " كان ابن عمر ، اذا دخل على مريض ، يساله : كيف هو ؟ فاذا قام من عنده ، قال : خار الله لك ، ولم يزده عليه

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-আদাবুল মুফরাদ
রোগীর সাথে দেখা-সাক্ষাৎ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে