পরিচ্ছেদঃ ২৬- আত্মীয়তার বন্ধন।
৪৯। আবু আইউব আনসারী (রাঃ) বলেন, এক বেদুইন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক সফরে তার সাথে সাক্ষাত করে বললো, যা আমাকে বেহেশতের নিকটবর্তী এবং দোযখের দূরবর্তী করবে তা আমাকে অবহিত করুন। তিনি বলেনঃ তুমি আল্লাহর ইবাদত করো, তার সাথে কিছু শরীক করো না, নামায কায়েম করো, যাকাতা দাও এবং আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুন্ন রাখো। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ)।
بَابُ صِلَةِ الرَّحِمِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَوْهَبٍ قَالَ: سَمِعْتُ مُوسَى بْنَ طَلْحَةَ يَذْكُرُ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا عَرَضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَسِيرِهِ، فَقَالَ: أَخْبِرْنِي مَا يُقَرِّبُنِي مِنَ الْجَنَّةِ، وَيُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ؟ قَالَ: تَعْبُدُ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكْ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ، وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ، وَتَصِلُ الرَّحِمَ.
Abu Ayyub al-Ansari told him that a bedouin came to the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, while he was travelling. He asked, "Tell me what will bring me near to the Garden and keep me far from the Fire." He replied, "Worship Allah and do not associate anything with Him, perform the prayer, pay zakat, and maintain ties of kinship."
পরিচ্ছেদঃ ২৬- আত্মীয়তার বন্ধন।
৫০। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যখন মহামহিম আল্লাহ যাবতীয় মাখলুকের সৃষ্টি সম্পন্ন করলেন তখন “রেহেম” (আত্মীয়তার বন্ধন) উঠে দাড়ালো। তিনি বলেন, কি ব্যাপার! সে বললো, এ হচ্ছে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে আশ্রয় প্রার্থনাকারীর স্থান। তিনি বলেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, যে তোমাকে যুক্ত রাখবে আমিও তাকে যুক্ত রাখবো এবং যে তোমাকে ছিন্ন করবে আমিও তাকে ছিন্ন করবো? রেহেম বললো, হে প্ৰভু! তিনি বলেন, এটাই তোমার প্রাপ্য। অতঃপর আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, তোমরা চাইলে পড়তে পারোঃ “তোমরা আধিপত্য লাভ করলে হয়তো পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমাদের আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে” (৪৭ঃ ২২)।
بَابُ صِلَةِ الرَّحِمِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ قَالَ: حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي مُزَرِّدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: خَلَقَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ الْخَلْقَ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْهُ قَامَتِ الرَّحِمُ، فَقَالَ: مَهْ، قَالَتْ: هَذَا مَقَامُ الْعَائِذِ بِكَ مِنَ الْقَطِيعَةِ، قَالَ: أَلاَ تَرْضَيْنَ أَنْ أَصِلَ مَنْ وَصَلَكِ، وَأَقْطَعَ مَنْ قَطَعَكِ؟ قَالَتْ: بَلَى يَا رَبِّ، قَالَ: فَذَلِكَ لَكِ ثُمَّ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: اقْرَؤُوا إِنْ شِئْتُمْ: (فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ).
Abu Hurayra reported that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Allah Almighty created creation. When He had finished it, ties of kinship rose up. Allah said, 'Stop!' They said, 'This is the place for anyone seeking refuge with You from being cut off' Allah said, 'Are you not content that I should maintain connections with the one who maintains connection with you and I should cut off the one who cuts you off?' It replied, 'Yes indeed, my Lord.' He said, 'You have that.'"
পরিচ্ছেদঃ ২৬- আত্মীয়তার বন্ধন।
৫১। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর বাণীঃ “আত্মীয়-স্বজনকে তাদের প্রাপ্য দিয়ে দাও এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও” (১৭ঃ ২৬)। যদি কারো কিছু অর্থ-সম্পদ থাকে, তবে প্রথমেই তার সবেত্তিম কর্তব্য কি তা আল্লাহ বলে দিলেন। “নিকটাত্মীয়দেরকে তাদের প্রাপ্য প্রদান করে এবং দরিদ্র ও পথিকজনকেও” (১৭ঃ ২৬)। যদি তার কাছে কিছু না থাকে তবে সে কি করবে তা তিনি এভাবে শিক্ষা দিলেনঃ “তুমি তোমার প্রভুর কাঙ্খিত রহমতের আশায় থাকাকালে তাদেরকে বঞ্চিত করতে হলে, তখন তাদের সাথে নম্রভাবে কথা বলো” (১৭ঃ ২৮)। অর্থাৎ উত্তম প্রতিশ্রুতি দাও, যেন তা নিশ্চিত এবং আল্লাহর মর্জি তা অচিরেই হয়ে যাবে। “এবং তুমি ব্যয়কুণ্ঠ হয়ো না” (১৭ঃ ২৯) অর্থাৎ দান করা থেকে তুমি একেবারে বিরত থেকো না। “এবং একেবারে মুক্তহস্তও হয়ো না”(১৭ঃ ২৯) অর্থাৎ যা আছে তা সবই দান করো না, “তাহলে তুমি তিরস্কৃত হবে” (১৭ঃ ২৯) অর্থাৎ পরে যারা আসবে তারা যেন তোমাদেরকে রিক্তহস্ত দেখে তিরস্কার না করে। এবং “রিক্তহস্ত”(১৭ঃ ২৯) অর্থাৎ যা দান করেছো তার জন্য পরে যেন আক্ষেপ করতে না হয় (তারীখুল কাবীর)।
بَابُ صِلَةِ الرَّحِمِ
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: (وَآتِ ذَا الْقُرْبَى حَقَّهُ وَالْمِسْكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ...)، قَالَ: بَدَأَ فَأَمَرَهُ بِأَوْجَبِ الْحُقُوقِ، وَدَلَّهُ عَلَى أَفْضَلِ الأَعْمَالِ إِذَا كَانَ عِنْدَهُ شَيْءٌ فَقَالَ: (وَآتِ ذَا الْقُرْبَى حَقَّهُ وَالْمِسْكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ)، وَعَلَّمَهُ إِذَا لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ شَيْءٌ كَيْفَ يَقُولُ، فَقَالَ: (وَإِمَّا تُعْرِضَنَّ عَنْهُمُ ابْتِغَاءَ رَحْمَةٍ مِنْ رَبِّكَ تَرْجُوهَا فَقُلْ لَهُمْ قَوْلاً مَيْسُورًا) عِدَّةً حَسَنَةً كَأَنَّهُ قَدْ كَانَ، وَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، (وَلاَ تَجْعَلْ يَدَكَ مَغْلُولَةً إِلَى عُنُقِكَ) لاَ تُعْطِي شَيْئًا، (وَلاَ تَبْسُطْهَا كُلَّ الْبَسْطِ) تُعْطِي مَا عِنْدَكَ، (فَتَقْعُدَ مَلُومًا) يَلُومُكَ مَنْ يَأْتِيكَ بَعْدُ، وَلاَ يَجِدُ عِنْدَكَ شَيْئًا (مَحْسُورًا)، قَالَ: قَدْ حَسَّرَكَ مَنْ قَدْ أَعْطَيْتَهُ.
Ibn 'Abbas spoke about the ayat, "Give your relatives their due, and the very poor and travellers" (17:
26), and said, "He begins by commanding the most pressing of the obligatory dues and He directs us to the best action if we have any money. He says: 'Give your relatives their due, and the very poor and travellers.' He also teaches us what we can say if we have nothing. He says, 'But if you do turn away from them, seeking the mercy you hope for from your Lord, then speak to them with words that bring them ease' (17:28) in the form of an excellent promise. Things are as they are, but they might change if Allah wills. 'Do not keep your hand chained to your neck' and not give anything, 'but do not extend it either to its full extent' and give all you have, 'so that you sit there blamed' as those who come to you later and find you have nothing will blame you, 'and destitute.' (17:29)" He said, "The person to whom you have given everything has made you destitute."