পরিচ্ছেদঃ ১৫. 'ফায়' এর হুকুম
৪৪২২। আহমাদ ইবনু হাম্বল ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ... হাম্মাম ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আবূ হুরায়রা (রাঃ) যে সব হাদীস আমার কাছে বর্ণনা করেছেন তন্মধ্যে একটি হল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যে কোন জনপদে উপনিত হয়ে অবস্থান করবে, সেখান (প্রাপ্ত ফাই এর) এক অংশ পাবে। আর যে কোন জনপদের অধিবাসীরা আল্লাহ্ ও তার রাসুলের অবাধ্যতা করবে, (অর্থাৎ যুদ্ধ করবে) তবে তার (সম্পদের) এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য। আর (অবশিষ্ট সম্পদ) তোমাদের জন্য।
باب حُكْمِ الْفَىْءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَيُّمَا قَرْيَةٍ أَتَيْتُمُوهَا وَأَقَمْتُمْ فِيهَا فَسَهْمُكُمْ فِيهَا وَأَيُّمَا قَرْيَةٍ عَصَتِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَإِنَّ خُمُسَهَا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ ثُمَّ هِيَ لَكُمْ " .
It has been narrated on the authority of Abu Huraira that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
If you come to a township (which has surrendered without a formal war) and stay therein, you have a share (that will be in the form of an award) in (the properties obtained from) it. If a township disobeys Allah and His Messenger (and actually fights against the Muslims) one-fifth of the booty seized therefrom is for Allah and His Apostle and the rest is for you.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. 'ফায়' এর হুকুম
৪৪২৩। কুতায়বা ইবনু সাঈদ, মুহাম্মাদ ইবনু আব্বাদ, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়রা ও ইসহাক (রহঃ) ... ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনী নযীর গোত্রের সস্পদ সে মালের অন্তর্গত যা আল্লাহ তা’আলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বিনা যুদ্ধে প্রদান করেন। মুসলিমরা ঘোড়া এঘং উট দাবড়িয়ে (যুদ্ধ করে) দখল করে নি। অতএব, এই সম্পদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য নির্দিষ্ট ছিল। সুতরাং তিনি তা থেকে স্বীয় পরিবারের এক বছরের ভরণ-পোষণের খরচ দিতেন এবং অবশিষ্ট সম্পদ যুদ্ধের ঘোড়া এবং প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় খাতে আল্লাহর পথে ব্যয় করেন।
باب حُكْمِ الْفَىْءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي شَيْبَةَ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عُمَرَ، قَالَ كَانَتْ أَمْوَالُ بَنِي النَّضِيرِ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِمَّا لَمْ يُوجِفْ عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ بِخَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ فَكَانَتْ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَاصَّةً فَكَانَ يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ نَفَقَةَ سَنَةٍ وَمَا بَقِيَ يَجْعَلُهُ فِي الْكُرَاعِ وَالسِّلاَحِ عُدَّةً فِي سَبِيلِ اللَّهِ .
It has been narrated on the authority of Umar, who said:
The properties abandoned by Banu Nadir were the ones which Allah bestowed upon His Apostle for which no expedition was undertaken either with cavalry or camelry. These properties were particularly meant for the Prophet (ﷺ). He would meet the annual expenditure of his family from the income thereof, and would spend what remained for purchasing horses and weapons as preparation for Jihad.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. 'ফায়' এর হুকুম
৪৪২৪। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... যুহরী (রহঃ) থেকে এ সনদে (উল্লিখিত হাদীস) বর্ণনা করেছেন।
باب حُكْمِ الْفَىْءِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ .
This hadith has been narrated on the authority of Zuhri.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. 'ফায়' এর হুকুম
৪৪২৫। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ ইবনু আসম যুবায়ী (রহঃ) ... যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। মালিক ইবনু আউস (রাঃ) তাঁকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আমাকে ডেকে পাঠালেন। বেলা উঠে গেলে আমি তাঁর নিকট এলাম। তখন আমি তাকে তার বাসস্থানে খাটের উপর বসা অবস্থায় পেলাম। তাতে চাটাই ছাড়া আর কোন বিছানা ছিলনা। তিনি চামড়ার একটি বালিশের উপর হেলান দিয়ে ছিলেন। তখন তিনি আমাকে বললেন, হে মালু! (অর্থাৎ হে মালিক)। হঠাৎ তোমার সম্প্রদায়ের কয়েকটি পরিবারের লোকজন আমার কাছে এলো, আমি তাদেরকে কিছু দেওয়ার মনস্থ করেছি। তুমি তা গ্রহণ কর এবং তাদের মধ্যে বণ্টন করে দাও।
আমি বললাম, আপনি যদি এর নির্দেশ আমাকে ব্যতীত অন্য কাউকে দিতেন, (তা হলে ভালো হতো)। তখন তিনি বললেন, হে মালু (অর্থাৎ হে মালিক), তুমি তা গ্রহণ কর। এমন সময় ইয়ারফা (রহঃ) তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনার সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছেন উসমান, আবদুর রহমান ইবনু আউফ, যুবাইর এবং সা’দ। তখন উমর (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ তাদেরকে আসতে দাও। তখন সকলেই প্রবেশ করলেন। এরপর পূনরায় ইয়ারফা আগমন করলো এবং বলল, আব্বাস এবং আলী (রাঃ) আপনার সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছেন। তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ তাদেরকেও আসতে দাও।
এরপর আব্বাস (রাঃ) বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আমার মধ্যে এবং এই মিথ্যাবাদী, পাপী, প্রতারক ও বিশ্বাসঘাতকের মধ্যে মীমাংসা করে দিন। তখন লোকেরা বললো, হ্যাঁ- হে আমীরুল মু’মিনীন! তাদের মধ্যে বিযয়টি নিষ্পত্তি করে দিন এবং তাদের নিস্কৃতি দিন। (মালিক ইবনু আউস (রাঃ) বললেন, আমার ধারণা হল যে, তারা দু’জন অর্থাৎ আলী এবং আব্বাস (রাঃ) তাদেরকে পূর্বাহ্নে পাঠিয়ে ছিলেন এ ব্যাপারটির জন্যেই, যেন তাঁরা উমর (রাঃ) কে ব্যপারটি বুঝিয়ে নিষ্পত্তি করে দেন।)
উমার (রাঃ) বললেন, আপনারা একটু অপেক্ষা করুন। আমি আপনাদের সে মহান আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, যার আদেশে আকাশ এবং পৃথিবী যথাস্থানে অবস্থিত। আপনাদের কি জানা নেই যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ [আমরা (নবীগণ) কাউকে ওয়ারিস বানিয়ে যাই না], আমরা যা রেখে যাই তা হবে সাদাকা। তখন তারা বললেন, হ্যাঁ, আমরা তা জানি।
এবার তিনি আলী এবং আব্বাস (রাঃ) এর দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি আপনাদের উভয়কে সে মহান আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, যার নির্দেশে আকাশ এবং পৃথিবী যথাস্থানে অবস্হিত। আপনারা কি অবগত নন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ [আমরা (নবী (সম্প্রদায়) কাউকে উত্তরাধিকার করে যাই না।] আমরা যা রেখে যাই, তা হবে সাদাকা। তখন তারা উভয়েই বললেন, হ্যা। আমরা তা জানি।
তখন উমর (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তা-আলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কিছু বৈশিষ্ট্য প্রদান করেছেন, যা তিনি ব্যতীত অন্য কাউকে প্রদান করেননি। তিনি বলেন, "আল্লাহ তায়ালা জনপদবাসীর নিকট থেকে তার রাসূলকে যা প্রদান করেছেন- তা আল্লাহ ও তার রাসূলের জন্য নির্দিষ্ট।" আমার জানা নেই যে, এ পঠিত আয়াতের পুর্বেও কোন আয়াত পাঠ করেছিলেন কিনা?
অতঃপর উমর (রাঃ) বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো তোমাদেরকে বনী নাযীর গোত্র থেকে প্রাপ্ত সস্পদ বল্টন করে দিয়েছেন। আল্লাহর শপথ! তিনি সম্পদকে নিজের জন্য সংরক্ষিত- করে যাননি। আর তিনি এমনও করেননি যে, নিজে সম্পদ নিয়েছেন এবং তোমাদেরকে তা দেননি। পরিশেষে যে সম্পদ রইল তা থেকে আপন পরিবারের এক বছরের ভরণ পোষণের খরচ রেখে অবশিষ্ট সম্পদ বায়তুল মালে জমা দেন।
এরপর উমর (রাঃ) বললেনঃ, আপনাদেরকে সে মহান আল্লাহর কসম করে বলছি, যার নির্দেশে আকাশ ও পৃথিবী যথাস্থানে অবস্থান। আপনারা কি সে সব কথা অবগত আছেন। তখন তারা বলেন, হ্যাঁ, আমরা তা জানি। এরপর তিনি আব্বাস এবং আলী (রাঃ) উভয়কে অনুরূপ শপথ প্রদান করলেন, যেরূপ তিনি ইতিপুর্বে আগত সম্প্রদায়ের লোকদেরকে প্রদান করেছিলেন। তিনি বললেন, আপনারা উভয়ই কি এসব কথা জানেন? তখন তাঁরা বললেন, হ্যাঁ।
অতঃপর উমর-(রাঃ) বললেন, যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকাল হল তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন যে, আমিই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওয়ালী। আর আপনারা উভয়েই এসেছিলেন, আপনি আপনার ভাতিজা থেকে মীরাস দাবী করতে। আর ইনি এসেছেন, তার স্ত্রী (ফাতেমার) পিতা থেকে মীরাস গ্রহণ করতে। এরপর আবূ বকর (রাঃ) বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (আমাদের নবীগণের) সম্পত্তিতে কোন মিরাস-বন্টন নেই। আমরা যা পরিত্যাগ করে যাই তা হবে সাদাকা। আপনারা উভয়েই তো তাকে মিথ্যাবাদী, অপরাধী, বিশ্বাসঘাতক এবং খিয়ানতকারী মনে করছেন। প্রকৃতপক্ষে নিশ্চয়ই তিনি [আবু বাকর সিদীক (রাঃ)] সত্যবাদী, পূণ্যবান, সত্যপথ প্রদর্শক এবং সত্যের অনুসারী ছিলেন।
এরপর আবূ বকর (রাঃ) ইন্তেকাল করলেন। তখন আমি ওয়ালী হলাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এবং আবূ বকর (রাঃ) এর ওয়ালী হলাম। সুতরাং আপনারা উভয়েই আমাকেও তার মত মিথ্যাবাদী, পাপী, বিশ্বাসঘাতক এবং খেয়ানতকারী মনে করছেন। আল্লাহ অবগত আছেন যে, নিশ্চয়ই আমি সত্যবাদী, পূণ্যবান, সত্যপথের অনুসারী এবং সত্যের অনুসারী। আমি সে সম্পদেরও অলী বা অভিভাবক। অতঃপর আপনি এবং ইনি এসেছেন। আপনারা উভয়েই এক ছিলেন এবং আপনাদের দাবীও এক ছিল। সুতরাং আপনারা বলছেন যে, এসব আমাদের কাছে দিয়ে দিন।
আমি বলি-যদি আপনারা চান, তবে আমি তা আপনাদেরকে দিয়ে দেব এই শর্তে যে, আপনারা এই সম্পদ দ্বারা সে কাজ করবেন, যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করতেন। অতএব, আপনারা এ শর্তে আমার নিকট থেকে তা ’গ্রহণ করলেন। এরপর উমর (রাঃ) বললেন, আমার কথা কি যথার্থ? তখন উভয়েই বললেন, হ্যাঁ। উমর (রাঃ) বললেন, তারপরও আপনারা দু’জন আমার কাছে এসেছেন, আপনাদের মাঝে (সম্পদের) মীমাংসা করে দেয়ার জন্য। আল্লাহর কসম। আমি আপনাদের উভয়ের মাঝে এ ব্যতীত আর কোন মীমাংসা করতে পারবো না কিয়ামত পর্যন্ত। আর যদি আপনারা এতে অপারগ হন, তবে তা আপনারা আমার কাছে ফেরৎ দিন।
باب حُكْمِ الْفَىْءِ
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ مَالِكَ بْنَ أَوْسٍ، حَدَّثَهُ قَالَ أَرْسَلَ إِلَىَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَجِئْتُهُ حِينَ تَعَالَى النَّهَارُ - قَالَ - فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِهِ جَالِسًا عَلَى سَرِيرٍ مُفْضِيًا إِلَى رِمَالِهِ مُتَّكِئًا عَلَى وِسَادَةٍ مِنْ أَدَمٍ . فَقَالَ لِي يَا مَالُ إِنَّهُ قَدْ دَفَّ أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْ قَوْمِكَ وَقَدْ أَمَرْتُ فِيهِمْ بِرَضْخٍ فَخُذْهُ فَاقْسِمْهُ بَيْنَهُمْ - قَالَ - قُلْتُ لَوْ أَمَرْتَ بِهَذَا غَيْرِي قَالَ خُذْهُ يَا مَالُ . قَالَ فَجَاءَ يَرْفَا فَقَالَ هَلْ لَكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فِي عُثْمَانَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَالزُّبَيْرِ وَسَعْدٍ فَقَالَ عُمَرُ نَعَمْ . فَأَذِنَ لَهُمْ فَدَخَلُوا ثُمَّ جَاءَ . فَقَالَ هَلْ لَكَ فِي عَبَّاسٍ وَعَلِيٍّ قَالَ نَعَمْ . فَأَذِنَ لَهُمَا فَقَالَ عَبَّاسٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا الْكَاذِبِ الآثِمِ الْغَادِرِ الْخَائِنِ . فَقَالَ الْقَوْمُ أَجَلْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ فَاقْضِ بَيْنَهُمْ وَأَرِحْهُمْ . فَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ يُخَيَّلُ إِلَىَّ أَنَّهُمْ قَدْ كَانُوا قَدَّمُوهُمْ لِذَلِكَ - فَقَالَ عُمَرُ اتَّئِدَا أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . قَالُوا نَعَمْ . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى الْعَبَّاسِ وَعَلِيٍّ فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ أَتَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَاهُ صَدَقَةٌ " . قَالاَ نَعَمْ . فَقَالَ عُمَرُ إِنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَزَّ كَانَ خَصَّ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم بِخَاصَّةٍ لَمْ يُخَصِّصْ بِهَا أَحَدًا غَيْرَهُ قَالَ ( مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ) مَا أَدْرِي هَلْ قَرَأَ الآيَةَ الَّتِي قَبْلَهَا أَمْ لاَ . قَالَ فَقَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَكُمْ أَمْوَالَ بَنِي النَّضِيرِ فَوَاللَّهِ مَا اسْتَأْثَرَ عَلَيْكُمْ وَلاَ أَخَذَهَا دُونَكُمْ حَتَّى بَقِيَ هَذَا الْمَالُ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْخُذُ مِنْهُ نَفَقَةَ سَنَةٍ ثُمَّ يَجْعَلُ مَا بَقِيَ أُسْوَةَ الْمَالِ . ثُمَّ قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ أَتَعْلَمُونَ ذَلِكَ قَالُوا نَعَمْ . ثُمَّ نَشَدَ عَبَّاسًا وَعَلِيًّا بِمِثْلِ مَا نَشَدَ بِهِ الْقَوْمَ أَتَعْلَمَانِ ذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ . قَالَ فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتُمَا تَطْلُبُ مِيرَاثَكَ مِنَ ابْنِ أَخِيكَ وَيَطْلُبُ هَذَا مِيرَاثَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ " . فَرَأَيْتُمَاهُ كَاذِبًا آثِمًا غَادِرًا خَائِنًا وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُ لَصَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ ثُمَّ تُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ وَأَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَوَلِيُّ أَبِي بَكْرٍ فَرَأَيْتُمَانِي كَاذِبًا آثِمًا غَادِرًا خَائِنًا وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنِّي لَصَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ فَوَلِيتُهَا ثُمَّ جِئْتَنِي أَنْتَ وَهَذَا وَأَنْتُمَا جَمِيعٌ وَأَمْرُكُمَا وَاحِدٌ فَقُلْتُمَا ادْفَعْهَا إِلَيْنَا فَقُلْتُ إِنْ شِئْتُمْ دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ أَنْ تَعْمَلاَ فِيهَا بِالَّذِي كَانَ يَعْمَلُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخَذْتُمَاهَا بِذَلِكَ قَالَ أَكَذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ . قَالَ ثُمَّ جِئْتُمَانِي لأَقْضِيَ بَيْنَكُمَا وَلاَ وَاللَّهِ لاَ أَقْضِي بَيْنَكُمَا بِغَيْرِ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهَا فَرُدَّاهَا إِلَىَّ .
It is reported by Zuhri that this tradition was narrated to him by Malik b. Aus who said:
Umar b. al-Khattab sent for me and I came to him when the day had advanced. I found him in his house sitting on his bare bed-stead, reclining on a leather pillow. He said (to me): Malik, some people of your tribe have hastened to me (with a request for help). I have ordered a little money for them. Take it and distribute it among them. I said: I wish you had ordered somebody else to do this job. He said: Malik, take it (and do what you have been told). At this moment (his man-servant) Yarfa' came in and said: Commander of the Faithful, what do you say about Uthman, Abd al-Rabman b. 'Auf, Zubair and Sa'd (who have come to seek an audience with you)? He said: Yes, and permitted them. so they entered. Then he (Yarfa') came again and said: What do you say about 'Ali and Abbas (who are present at the door)? He said: Yes, and permitted them to enter. Abbas said: Commander of the Faithful, decide (the dispute) between me and this sinful, treacherous, dishonest liar. The people (who were present) also said: Yes. Commander of the Faithful, do decide (the dispute) and have mercy on them. Malik b. Aus said: I could well imagine that they had sent them in advance for this purpose (by 'Ali and Abbas). 'Umar said: Wait and be patient. I adjure you by Allah by Whose order the heavens and the earth are sustained, don't you know that the Messenger of Allah (ﷺ) said:" We (prophets) do not have any heirs; what we leave behind is (to be given in) charity"? They said: Yes. Then he turned to Abbas and 'Ali and said: I adjure you both by Allah by Whose order the heavens and earth are sustained, don't you know that the Messenger of Allah (ﷺ) said:" We do not have any heirs; what we leave behind is (to be given in) charity"? They (too) said: Yes. (Then) Umar said: Allah, the Glorious and Exalted, had done to His Messenger (ﷺ) a special favour that He has not done to anyone else except him. He quoted the Qur'anic verse:" What Allah has bestowed upon His Apostle from (the properties) of the people of township is for Allah and His Messenger". The narrator said: I do not know whether he also recited the previous verse or not. Umar continued: The Messenger of Allah (ﷺ) distrbuted among you the properties abandoned by Banu Nadir. By Allah, he never preferred himself over you and never appropriated anything to your exclusion. (After a fair distribution in this way) this property was left over. The Messenger of Allah (ﷺ) would meet from its income his annual expenditure, and what remained would be deposited in the Bait-ul-Mal. (Continuing further) he said: I adjure you by Allah by Whose order the heavens and the earth are sustained. Do you know this? They said: Yes. Then he adjured Abbas and 'All as he had adjured the other persons and asked: Do you both know this? They said: Yes. He said: When the Messenger of Allah (ﷺ) passed away, Abu Bakr said:" I am the successor of the Messenger of Allah (ﷺ)." Both of you came to demand your shares from the property (left behind by the Messenger of Allah). (Referring to Hadrat 'Abbas), he said: You demanded your share from the property of your nephew, and he (referring to 'Ali) demanded a share on behalf of his wife from the property of her father. Abu Bakr (Allah be pleased with him) said: The Messenger of Allah (ﷺ) had said:" We do not have any heirs; what we leave behind is (to be given in) charity." So both of you thought him to be a liar, sinful, treacherous and dishonest. And Allah knows that he was true, virtuous, well-guided and a follower of truth. When Abu Bakr passed away and (I have become) the successor of the Messenger of Allah (ﷺ) and Abu Bakr (Allah be pleased with him), you thought me to be a liar, sinful, treacherous and dishonest. And Allah knows that I am true, virtuous, well-guided and a follower of truth. I became the guardian of this property. Then you as well as he came to me. Both of you have come and your purpose is identical. You said: Entrust the property to us. I said: If you wish that I should entrust it to you, it will be on the condition that both of you will undertake to abide by a pledge made with Allah that you will use it in the same way as the Messenger of Allah (ﷺ) used it. So both of you got it. He said: Wasn't it like this? They said: Yes. He said: Then you have (again) come to me with the request that I should adjudge between you. No, by Allah. I will not give any other judgment except this until the arrival of the Doomsday. If you are unable to hold the property on this condition, return it to me.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. 'ফায়' এর হুকুম
৪৪২৬। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, মুহাম্মদ ইবনু রাফি’ ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... মালিক ইবনু আউস ইবনু হাদছান (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) আমাকে ডেকে পাঠালেন। এরপর বললেন, তোমার সম্প্রদায়ের কতিপয় পরিবারের লোক আমার কাছে উপস্থিত হল ...... তারপর মালিক (রাঃ) এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তার হাদীসে রয়েছে যে, তিনি তাঁর পরিবারের জন্য তা থেকে এক বছরের খরচ দিয়ে দিতেন। অনেক সময় মা’মার (রহঃ) বলেছেন যে, তার পরিবারের জন্য তা থেকে এক বছরের খোরাকী রেখে দিতেন। এরপর অবশিষ্ট সম্পদ আল্লাহর মালের ভাণ্ডারে (বায়তুল মালে) জমা দিতেন।
باب حُكْمِ الْفَىْءِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - قَالَ ابْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، - أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ، بْنِ الْحَدَثَانِ قَالَ أَرْسَلَ إِلَىَّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ إِنَّهُ قَدْ حَضَرَ أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْ قَوْمِكَ . بِنَحْوِ حَدِيثِ مَالِكٍ . غَيْرَ أَنَّ فِيهِ، فَكَانَ يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ مِنْهُ سَنَةً وَرُبَّمَا قَالَ مَعْمَرٌ يَحْبِسُ قُوتَ أَهْلِهِ مِنْهُ سَنَةً ثُمَّ يَجْعَلُ مَا بَقِيَ مِنْهُ مَجْعَلَ مَالِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ .
The same hadith has been narrated by a different chain of transmitters with a slight variation in wording:
'Umar b. al-Khattab sent for me and said: Some families from your tribe have come to me (then follows the foregoing hadith) by Malik with the difference that the Messenger of Allah (ﷺ) would spend on his family for a year. And sometimes Ma'mar said: He would retain sustenance for his family for a year, and what was left of that he spent in the cause of Allah, the Majestic and Exalted.