পরিচ্ছেদঃ ২৮. দানের মর্যাদা

৬৬১। সাঈদ ইবনু ইয়াসার (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি আবু হুরাইরা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক বৈধ উপার্জন হতে দান খায়রাত করে, আর আল্লাহ তাআ’লা হালাল ও পবিত্র মাল ছাড়া গ্রহণ করেন না, সেই দান দয়াময় রাহমান স্বয়ং ডান হাতে গ্রহণ করেন, তা যদি সামান্য একটি খেজুর হয় তাহলেও। এটা দয়াময় রাহমানের হাতে বাড়তে বাড়তে পাহাড় হতেও বড় হয়ে যায়; যেভাবে তোমাদের কেউ তার দুধ ছাড়ানো গাভী বা ঘোড়ার বাচ্চাকে লালন পালন করে থাকে।

সহীহ, জিলালুল জুন্নাহ (৬২৩), তা’লীকুর রাগীব, ইরওয়া (৮৮৬), বুখারী, মুসলিম

আইশা, আদী ইবনু হাতিম, আনাস, আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা, হারিসা ইবনু ওয়াহব, আবদুর রাহমান ইবনু আওফ ও বুরাইদা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الصَّدَقَةِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا تَصَدَّقَ أَحَدٌ بِصَدَقَةٍ مِنْ طَيِّبٍ وَلاَ يَقْبَلُ اللَّهُ إِلاَّ الطَّيِّبَ إِلاَّ أَخَذَهَا الرَّحْمَنُ بِيَمِينِهِ وَإِنْ كَانَتْ تَمْرَةً تَرْبُو فِي كَفِّ الرَّحْمَنِ حَتَّى تَكُونَ أَعْظَمَ مِنَ الْجَبَلِ كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فَلُوَّهُ أَوْ فَصِيلَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَعَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ وَأَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى وَحَارِثَةَ بْنِ وَهْبٍ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَبُرَيْدَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن سعيد بن ابي سعيد المقبري، عن سعيد بن يسار، انه سمع ابا هريرة، يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ما تصدق احد بصدقة من طيب ولا يقبل الله الا الطيب الا اخذها الرحمن بيمينه وان كانت تمرة تربو في كف الرحمن حتى تكون اعظم من الجبل كما يربي احدكم فلوه او فصيله ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن عاىشة وعدي بن حاتم وانس وعبد الله بن ابي اوفى وحارثة بن وهب وعبد الرحمن بن عوف وبريدة ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي هريرة حديث حسن صحيح ‏.‏


Abu Hurairah narrated that :
the Messenger of Allah said: "None gives charity from Tayyib - and Allah does not accept but Tayyib - but that Ar-Rahman accepts it with His Right (Hand). Even if it is a date, it is nurtured in the Hand of Ar-Rahman until it is greater than a mountain, just as one of you nurtures his foal or young camel."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৫/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 5. The Book on Zakat

পরিচ্ছেদঃ ২৮. দানের মর্যাদা

৬৬২। আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ; নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা দান-খাইরাত কুবুল করেন এবং তা ডান হাতে গ্রহণ করেন। সেগুলো প্রতিপালন করে তিনি ঘোড়ার বাচ্চা লালন-পালন করে বড় করতে থাকে। (এ দানের) এক একটি গ্রাস বাড়তে বাড়তে উহুদ পাহাড়ের সমপরিমাণ হয়ে যায়। এর প্রমাণে আল্লাহ তা’আলার কিতাবে আছেঃ তিনি তার বান্দাদের তাওবা কুবুল করেন এবং তাদের দান গ্রহণ করেন" (সূরাঃ তাওবা- ১০৪)। “আল্লাহ তা’আলা সুদকে নির্মুল করেন এবং দান-খাইরাত বাড়িয়ে দেন" (সূরাঃ বাকারা- ২৭৬)

হাদীসের বর্ধিত অংশ এর প্রমাণে আল্লাহ্ তা’আলার কিতাব রয়েছে. মুনকার। ইরওয়া (৩/৩৯৪), তা’লীকুর রাগীব (২/১৯)

আবূ ঈসা বলেন; এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আয়িশাহ (রাযিঃ)-এর সূত্রেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। অনেক বিদ্বানগণই এ হাদীস বা এর অনুরূপ বর্ণনা যাতে আল্লাহর গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে, যেমন আল্লাহ প্রত্যেক রাত্রে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন, এ বর্ণনাগুলো সহীহ সাব্যস্ত আছে। ঐগুলোর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। এমন বলা যাবে না যে, এটা কিভাবে? এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের বিদ্বানগণের অভিমত।

জাহমিয়াহ সম্প্রদায় এ ধরনের বর্ণনাগুলো অস্বীকার করে। আর বলে, এতে সাদৃশ্য সাব্যস্ত হয়। আল্লাহ তা’আলা কুরআনের অনেক জায়গায় হাত, শ্রবণ এবং দৃষ্টির কথা উল্লেখ করেছেন। জাহমিয়াহগণ তার অপব্যাখ্যা করে বলেছে হাত অর্থ শক্তি।

ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেনঃ সাদৃশ্য তখন সাব্যস্ত হবে যখন বলা হবে অমুক হাতের মত হাত, অমুক শ্রবণের মত শ্রবণ। কিন্তু যদি বলে, হাত, শ্রবণ ও দৃষ্টি তা সৃষ্টির শ্রবণের মত নয় তবে সাদৃশ্য সাবস্ত হবে না। যেমনটি আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “তার সাদৃশ্য কিছুই নেই। তিনি শ্রবণকারী ও দ্রষ্টা।”

 


৬৬২। আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা দান-খাইরাত কবুল করেন এবং তা ডান হাতে গ্রহণ করেন, আর সেগুলো তিনি প্রতিপালন করেন যেমন তোমাদের কেউ তার ঘোড়ার বাচ্চা লালন-পালন করে বড় করে, এমনকি তা বাড়তে বাড়তে উহুদ পাহাড়ের সমপরিমাণ হয়ে যায়। এর প্রমাণ আল্লাহ তা‘আলার কিতাবে আছে, “তিনি তাঁর বান্দাদের তাওবা কবুল করেন এবং তাদের দান গ্রহণ করেন” [সূরা আত-তাওবা: ১০৪]। “আল্লাহ সুদকে নির্মুল করেন এবং দান-খাইরাত বাড়িয়ে দেন” [সূরা আল-বাকারা: ২৭৬]

আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহার সূত্রেও নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। অনেক আলেমগণই বলেছেন, এ হাদীস বা এর অনুরূপ বর্ণনা যাতে আল্লাহর গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে, যেমন আল্লাহ প্রত্যেক রাত্রে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন, এ বর্ণনাগুলো সহীহ সাব্যস্ত আছে, সুতরাং সেগুলোর প্রতি ঈমান আনতে হবে এবং এগুলোর বিষয়ে ধারণা করে কিছু বলা যাবে না, আর এমন বলা যাবে না যে, এটা কীভাবে?

এমনটিই বর্ণিত হয়েছে মালিক, সুফইয়ান, ইবন উওয়াইনাহ ও আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক রাহিমাহুমুল্লাহ থেকে। তারা এ সকল হাদীসের ব্যাপাারে বলেছেন: এগুলোকে ধরণ নির্ধারণ ছাড়াই চালিয়ে নাও। এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আলেমগণের অভিমত।

জাহমিয়া সম্প্রদায় এ ধরনের বর্ণনাগুলো অস্বীকার করে। আর বলে, এতে সাদৃশ্য সাব্যস্ত হয়। অথচ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবে অনেক জায়গায় হাত, শ্রবণশক্তি এবং দৃষ্টিশক্তির কথা উল্লেখ করেছেন। জাহমিয়ারা তার অপব্যাখ্যা করেছে এবং সেগুলোকে আলেমগণ যে অর্থ ও ব্যাখ্যা করেছেন তা থেকে ভিন্ন দিকে নিয়ে অপব্যাখ্যা করেছে এবং বলেছে আল্লাহ তা‘আলা আদমকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেননি, আর তারা আরো বলেছে এখানে হাত অর্থ শক্তি।

ইসহাক ইবন ইবরাহীম বলেন, সাদৃশ্য তো তখন সাব্যস্ত হবে যখন বলা হবে হাতের মতো হাত, অথবা হাতের অনুরূপ হাত, অথবা বলা হবে শ্রবণের মতো শ্রবণ বা শ্রবণের অনুরূপ শ্রবণ। এটিই হচ্ছে সাদৃশ্য প্রদানের প্রকৃত রূপ। কিন্তু যদি তা বলে যেমনটি আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: হাত, শ্রবণ ও দৃষ্টি, কিন্তু ধরণ নির্ধারণ না করে তাহলে সাদৃশ্য সাব্যস্ত হবে না। যেমনটি আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবে বলেছেন: “তাঁর সদৃশ কিছুই নেই, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।” [সূরা আশ-শূরা: ১১]


অনুবাদে ত্রুটি থাকার কারনে তা সংশোধন করা হল। - হাদিসবিডি এডমিন

باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الصَّدَقَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ الصَّدَقَةَ وَيَأْخُذُهَا بِيَمِينِهِ فَيُرَبِّيهَا لأَحَدِكُمْ كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ مُهْرَهُ حَتَّى إِنَّ اللُّقْمَةَ لَتَصِيرُ مِثْلَ أُحُدٍ ‏"‏ ‏.‏ وَتَصْدِيقُ ذَلِكَ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏وهُوَ الَّذِي يَقبَلُ التَّوبَةَ عَنْ عِبَادِهِ ‏)‏ ويَأْخُذُ الصَّدَقَاتِ‏‏ ‏(يَمْحَقُ الله الرَّبَا ويُرْبِي الصَّدَقَاتِ‏)‏‏.‏
قَالَ أَبُو عِيسَى: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ.
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوُ هَذَا. وَقَدْ قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَمَا يُشْبِهُ هَذَا مِنَ الرِّوَايَاتِ مِنَ الصِّفَاتِ وَنُزُولِ الرَّبِّ تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا قَالُوا قَدْ تَثْبُتُ الرِّوَايَاتُ فِي هَذَا وَيُؤْمَنُ بِهَا وَلاَ يُتَوَهَّمُ وَلاَ يُقَالُ كَيْفَ هَكَذَا رُوِيَ عَنْ مَالِكٍ وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُمْ قَالُوا فِي هَذِهِ الأَحَادِيثِ أَمِرُّوهَا بِلاَ كَيْفٍ. وَهَكَذَا قَوْلُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ. وَأَمَّا الْجَهْمِيَّةُ فَأَنْكَرَتْ هَذِهِ الرِّوَايَاتِ وَقَالُوا هَذَا تَشْبِيهٌ. وَقَدْ ذَكَرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ مِنْ كِتَابِهِ الْيَدَ وَالسَّمْعَ وَالْبَصَرَ فَتَأَوَّلَتِ الْجَهْمِيَّةُ هَذِهِ الآيَاتِ فَفَسَّرُوهَا عَلَى غَيْرِ مَا فَسَّرَ أَهْلُ الْعِلْمِ وَقَالُوا إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَخْلُقْ آدَمَ بِيَدِهِ. وَقَالُوا إِنَّ مَعْنَى الْيَدِ هَاهُنَا الْقُوَّةُ. وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ إِنَّمَا يَكُونُ التَّشْبِيهُ إِذَا قَالَ يَدٌ كَيَدٍ أَوْ مِثْلُ يَدٍ أَوْ سَمْعٌ كَسَمْعٍ أَوْ مِثْلُ سَمْعٍ. فَإِذَا قَالَ سَمْعٌ كَسَمْعٍ أَوْ مِثْلُ سَمْعٍ فَهَذَا التَّشْبِيهُ وَأَمَّا إِذَا قَالَ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى يَدٌ وَسَمْعٌ وَبَصَرٌ وَلاَ يَقُولُ كَيْفَ وَلاَ يَقُولُ مِثْلُ سَمْعٍ وَلاَ كَسَمْعٍ فَهَذَا لاَ يَكُونُ تَشْبِيهًا وَهُوَ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ: (لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ).

حدثنا ابو كريب، محمد بن العلاء حدثنا وكيع، حدثنا عباد بن منصور، حدثنا القاسم بن محمد، قال سمعت ابا هريرة، يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان الله يقبل الصدقة وياخذها بيمينه فيربيها لاحدكم كما يربي احدكم مهره حتى ان اللقمة لتصير مثل احد ‏"‏ ‏.‏ وتصديق ذلك في كتاب الله عز وجل ‏(‏وهو الذي يقبل التوبة عن عباده ‏)‏ وياخذ الصدقات‏‏ ‏(يمحق الله الربا ويربي الصدقات‏)‏‏.‏ قال ابو عيسى: هذا حديث حسن صحيح. وقد روي عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا. وقد قال غير واحد من اهل العلم في هذا الحديث وما يشبه هذا من الروايات من الصفات ونزول الرب تبارك وتعالى كل ليلة الى السماء الدنيا قالوا قد تثبت الروايات في هذا ويومن بها ولا يتوهم ولا يقال كيف هكذا روي عن مالك وسفيان بن عيينة وعبد الله بن المبارك انهم قالوا في هذه الاحاديث امروها بلا كيف. وهكذا قول اهل العلم من اهل السنة والجماعة. واما الجهمية فانكرت هذه الروايات وقالوا هذا تشبيه. وقد ذكر الله عز وجل في غير موضع من كتابه اليد والسمع والبصر فتاولت الجهمية هذه الايات ففسروها على غير ما فسر اهل العلم وقالوا ان الله لم يخلق ادم بيده. وقالوا ان معنى اليد هاهنا القوة. وقال اسحاق بن ابراهيم انما يكون التشبيه اذا قال يد كيد او مثل يد او سمع كسمع او مثل سمع. فاذا قال سمع كسمع او مثل سمع فهذا التشبيه واما اذا قال كما قال الله تعالى يد وسمع وبصر ولا يقول كيف ولا يقول مثل سمع ولا كسمع فهذا لا يكون تشبيها وهو كما قال الله تعالى في كتابه: (ليس كمثله شيء وهو السميع البصير).


Abu Hurairah narrated that :
the Messenger of Allah said: "Indeed Allah accepts charity, and He accepts it with His Right (Hand) to nurture it for one of you, just like one of you would nuture his foal, until the bite (of food) becomes as large as Uhud." The Book of Allah, the Mighty and Sublime testifies to that: 'He accepts repentance from His worshipers, and accepts charity.'And: 'Allah will destroy Riba and give increase for charity.' (Abu Eisa) said: This Hadith is (Hasan) Sahih.


হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৫/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 5. The Book on Zakat

পরিচ্ছেদঃ ২৮. দানের মর্যাদা

৬৬৩। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হল, রামাযানের রোযার পর কোন রোযা সবচাইতে বেশী মর্যাদা সম্পন্ন? তিনি বলেনঃ রামাযানের সম্মানার্থে শাবানের রোযা। প্রশ্নকারী আবার বলল, কোন (সময়ের) দান-খাইরাত সবচাইতে বেশী মর্যাদা সম্পন্ন? তিনি বললেনঃ রামাযান মাসের দান-খাইরাত।

যঈফ, ইরওয়া (৮৮৯)

আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি গারীব। সাদাকা ইবনু মূসা হাদীস বিশারদদের মতে খুব একটা নির্ভরযোগ্য রাবী নন।

باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الصَّدَقَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ مُوسَى، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الصَّوْمِ أَفْضَلُ بَعْدَ رَمَضَانَ فَقَالَ ‏"‏ شَعْبَانُ لِتَعْظِيمِ رَمَضَانَ ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ فَأَىُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ قَالَ ‏"‏ صَدَقَةٌ فِي رَمَضَانَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَصَدَقَةُ بْنُ مُوسَى لَيْسَ عِنْدَهُمْ بِذَاكَ الْقَوِيِّ ‏.‏

حدثنا محمد بن اسماعيل، حدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا صدقة بن موسى، عن ثابت، عن انس، قال سىل النبي صلى الله عليه وسلم اى الصوم افضل بعد رمضان فقال ‏"‏ شعبان لتعظيم رمضان ‏"‏ ‏.‏ قيل فاى الصدقة افضل قال ‏"‏ صدقة في رمضان ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب ‏.‏ وصدقة بن موسى ليس عندهم بذاك القوي ‏.‏


Anas narrated that :
the Prophet was asked which fast was most virtuous after Ramadan? He said: "Sha'ban in honor of Ramadan" He said: "Which charity is best?" He (pbuh) said: "Charity in Ramadan."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৫/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 5. The Book on Zakat

পরিচ্ছেদঃ ২৮. দানের মর্যাদা

৬৬৪। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দান-খাইরাত আল্লাহ তা’আলার অসন্তুষ্টি কমিয়ে দেয় এবং অপমানজনক মৃত্যু রোধ করে।

হাদীসের প্রথমাংশ সহীহ, ইরওয়া (৮৮৫), সাহীহাহ (১৯০৮)

আবূ ঈসা বলেনঃ উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি গারীব।

باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الصَّدَقَةِ

حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِيسَى الْخَزَّازُ الْبَصْرِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ الصَّدَقَةَ لَتُطْفِئُ غَضَبَ الرَّبِّ وَتَدْفَعُ مِيتَةَ السُّوءِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا عقبة بن مكرم العمي البصري، حدثنا عبد الله بن عيسى الخزاز البصري، عن يونس بن عبيد، عن الحسن، عن انس بن مالك، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان الصدقة لتطفى غضب الرب وتدفع ميتة السوء ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب من هذا الوجه ‏.‏


Anas bin Malik narrated that :
the Messenger of Allah said: "Indeed charity extinguishes the Lord's anger and it protects against the evil death."


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৫/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 5. The Book on Zakat
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে