পরিচ্ছেদঃ ১৮৫. নামাযের মধ্যে কথা বলা বাতিল হওয়া সম্পর্কে
২২৩। বুরাইদা আল-আসলামী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যারা অন্ধকার পার হয়ে মসজিদে যায় তাদেরকে কিয়ামতের দিনের পরিপূর্ণ নূরের সুখবর দাও। -সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৭৭৯-৭৮১)।
আবু ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি এই সনদে মারফু গারীব। সহীহ সনদে হাদীসটি মাওকুফ।
باب مَا جَاءَ فِي نَسْخِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ أَبُو غَسَّانَ الْعَنْبَرِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ الْكَحَّالِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَوْسٍ الْخُزَاعِيِّ، عَنْ بُرَيْدَةَ الأَسْلَمِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " بَشِّرِ الْمَشَّائِينَ فِي الظُّلَمِ إِلَى الْمَسَاجِدِ بِالنُّورِ التَّامِّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مَرْفُوعٌ هُوَ صَحِيحٌ مُسْنَدٌ وَمَوْقُوفٌ إِلَى أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يُسْنَدْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Buraidah Al-Aslami narrated that :
the Prophet said: "Give glad tiding to those who walk to the Masajid in the dark; of a complete light on the Day of Resurrection."
পরিচ্ছেদঃ ১৮৫. নামাযের মধ্যে কথা বলা বাতিল হওয়া সম্পর্কে
৪০৫। যাইদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে নামায আদায়ের সময় নামাযের মধ্যে কথা বলতাম। কোন লোক তার পাশের লোকের সাথে কথা বলে নিত। অবশেষে এ আয়াত অবতীর্ণ হলঃ "নিজেদের নামাযসমুহের পূর্ণ হিফাযত কর, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযে আল্লাহ্ তা’আলার সামনে অনুগত সেবকের মত দাঁড়াও" (সুরা আল বাকারা - ২৩৮)। তারপর আমাদেরকে (নামাযের মধ্যে) চুপ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।
সহিহ। সহিহ আবু দাউদ ৮৭৫, ইরওয়া ৩৯৩, বুখারি ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাস’উদ ও মুয়াবিয়া ইবনু হাকাম হতেও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আবু ঈসা বলেনঃ যাইদ ইবনু আরকামের হাদিসটি হাসান সহিহ। অধিকাংশ বিদ্বানের আমল এর উপরই। তারা বলেন কেউ যদি নামাযে সেচ্ছায় বা ভুলে কথা বলে তাহলে পুনরায় নামায পড়তে হবে। সুফিইয়ান সাওরী, ইবনু মুবারাক ও কুফাবাসীর অভিমত এটাই। কারো মতে যদি সেচ্ছায় কথা বলে তাহলে পুনরায় নামায পড়তে হবে। আর যদি ভুলে বা অজ্ঞতাবশতঃ কথা বলে তাহলে পুনরায় পড়ার প্রয়োজন নেই। ইমাম শাফঈ এ মতের সমর্থক।
باب مَا جَاءَ فِي نَسْخِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ شُبَيْلٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ كُنَّا نَتَكَلَّمُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ يُكَلِّمُ الرَّجُلُ مِنَّا صَاحِبَهُ إِلَى جَنْبِهِ حَتَّى نَزَلَتْ : (وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ ) فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ وَنُهِينَا عَنِ الْكَلاَمِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَمُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ . قَالُوا إِذَا تَكَلَّمَ الرَّجُلُ عَامِدًا فِي الصَّلاَةِ أَوْ نَاسِيًا أَعَادَ الصَّلاَةَ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا تَكَلَّمَ عَامِدًا فِي الصَّلاَةِ أَعَادَ الصَّلاَةَ وَإِنْ كَانَ نَاسِيًا أَوْ جَاهِلاً أَجْزَأَهُ . وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ .
Zaid bin Arqam narrated:
"We used to talk behind Allah's Messenger (S) during the Salat, a man among us would talk to his companions next to him until (the following) was revealed: And stand before Allah with obedience. (2:238) So we were ordered to be silent and prohibited from talking."