পরিচ্ছেদঃ ৬৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের মর্যাদা

৩৮৯১। ইকরিমাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস (রাযিঃ)-কে ফজর নামাযের পর বলা হল যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অমুক স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সিজদা্য় পড়ে গেলেন। তাকে বলা হল, আপনি এ সময সিজদা করলেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেননিঃ তোমরা যখন কোন নিদর্শন দেখ, সে সময় সিজদা কর? অতএব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদের দুনিয়া হতে বিদায়ের চেয়ে বড় নিদর্শন আর কি আছে?

হাসানঃ সহীহ আবূ দাউদ (১০৮১), মিশকাত (১৪৯১)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধুমাত্র উপর্যুক্ত সনদসূত্রে হাদীসটি অবগত হয়েছি।

حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ الْعَنْبَرِيُّ أَبُو غَسَّانَ، حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَكَانَ، ثِقَةً عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ قِيلَ لاِبْنِ عَبَّاسٍ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ مَاتَتْ فُلاَنَةُ لِبَعْضِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَجَدَ فَقِيلَ لَهُ أَتَسْجُدُ هَذِهِ السَّاعَةَ فَقَالَ أَلَيْسَ قَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا رَأَيْتُمْ آيَةً فَاسْجُدُوا ‏"‏ ‏.‏ فَأَىُّ آيَةٍ أَعْظَمُ مِنْ ذَهَابِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا عباس العنبري، حدثنا يحيى بن كثير العنبري ابو غسان، حدثنا سلم بن جعفر، وكان، ثقة عن الحكم بن ابان، عن عكرمة، قال قيل لابن عباس بعد صلاة الصبح ماتت فلانة لبعض ازواج النبي صلى الله عليه وسلم فسجد فقيل له اتسجد هذه الساعة فقال اليس قد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اذا رايتم اية فاسجدوا ‏"‏ ‏.‏ فاى اية اعظم من ذهاب ازواج النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من هذا الوجه ‏.‏


Narrated 'Ikrimah:
"After Salat As-Subh, it was said to Ibn 'Abbas that so-and-so - one of the wives of the Prophet (ﷺ) - has died, so he prostrated. So it was said to him: 'Do you prostrate at this hour?' So he said: 'Has not the Messenger of Allah (ﷺ) [already] said: 'If you see a sign then prostrate?' Then which sign is grater than the passing of (one of) the wives of the Prophet (ﷺ)?'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ ইকরিমা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ৬৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের মর্যাদা

৩৮৯২। সফিয়্যা বিনতু হুয়াই (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, হাফসা ও আইশা (রাঃ) হতে আমার সম্পর্কে কিছু কথা আমার নিকট পৌছল। ঐ বিষয়টি আমি তার নিকট উল্লেখ করলাম, তিনি বললেনঃ

তুমি একথা কেন বললেনা যে, তোমরা আমার চেয়ে কিভাবে উত্তম হতে পার? বাস্তব অবস্থা হল, আমার স্বামী মুহাম্মাদ, পিতা হারুন আর চাচা হল মূসা আলাইহিস সালাম সফিয়্যার নিকট যে কথা পৌছেছিল তা এই যে, তারা বলেছিল আমরা তার চেয়ে সম্মানিত, কেননা আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী আবার তার চাচাত বোন।

সনদ দুর্বল, দেখুন আর রাদ্দু আলাল হাবাশী, হাদীস নং ৩৩৮৫, পৃঃ (৩৫-৩৮)

এ অনুচ্ছেদে আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র হাশিম আল কুফীর সূত্রেই সুফিয়া (রাঃ)-এর হাদীসটি জেনেছি। এর সনদ সূত্র মযবুত নয়।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا كِنَانَةُ، قَالَ حَدَّثَتْنَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ بَلَغَنِي عَنْ حَفْصَةَ وَعَائِشَةَ كَلاَمٌ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ‏ "‏ أَلاَ قُلْتِ فَكَيْفَ تَكُونَانِ خَيْرًا مِنِّي وَزَوْجِي مُحَمَّدٌ وَأَبِي هَارُونُ وَعَمِّي مُوسَى ‏"‏ ‏.‏ وَكَانَ الَّذِي بَلَغَهَا أَنَّهُمْ قَالُوا نَحْنُ أَكْرَمُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا ‏.‏ وَقَالُوا نَحْنُ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَبَنَاتُ عَمِّهِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ ‏.‏ قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ صَفِيَّةَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ هَاشِمٍ الْكُوفِيِّ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَلِكَ الْقَوِيِّ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عبد الصمد بن عبد الوارث، حدثنا هاشم، هو ابن سعيد الكوفي حدثنا كنانة، قال حدثتنا صفية بنت حيى، قالت دخل على رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد بلغني عن حفصة وعاىشة كلام فذكرت ذلك له فقال ‏ "‏ الا قلت فكيف تكونان خيرا مني وزوجي محمد وابي هارون وعمي موسى ‏"‏ ‏.‏ وكان الذي بلغها انهم قالوا نحن اكرم على رسول الله صلى الله عليه وسلم منها ‏.‏ وقالوا نحن ازواج النبي صلى الله عليه وسلم وبنات عمه ‏.‏ قال وفي الباب عن انس ‏.‏ قال وهذا حديث غريب لا نعرفه من حديث صفية الا من حديث هاشم الكوفي وليس اسناده بذلك القوي ‏.‏


Narrated Safiyyah bint Huyai:
"The Messenger of Allah (ﷺ) entered upon me and some words had reached me from Hafsah and 'Aishah. So I mentioned it to him. So he said: 'Why did you not say: "And how are you better than me, while my husband is Muhammad and my father is Harun, and my uncle is Musa?" That which had reached her, was that they had said: "We are more honored to the Messenger of Allah (ﷺ) than her," and that they said: "We are the wives of the Prophet (ﷺ) and his cousins."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ৬৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের মর্যাদা

৩৮৯৩। উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমাহকে ডেকে তার সাথে গোপনে কিছু কথা বললেন। এতে ফাতিমাহ কেঁদে ফেললেন। তারপর তিনি কিছু কথা বললে ফাতিমাহ হাসলেন। উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি ফাতিমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইনতিকালের পরে তার হাসি-কান্নার কারণ জানতে চাই। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জানান যে, খুব তাড়াতাড়ি তিনি মৃত্যুবরণ করবেন, তাই আমি কেঁদেছি। তারপর তিনি আমাকে জানান যে, মারইয়াম বিনতু ইমরান ছাড়া জান্নাতের নারীদের নেত্রী হব, তাই আমি হেসেছি।

সহীহঃ ৩৮৭৩ নং হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উপর্যুক্ত সনদে গারীব।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ ابْنِ عَثْمَةَ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ الزَّمْعِيُّ، عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ وَهْبِ بْنِ زَمْعَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَعَا فَاطِمَةَ عَامَ الْفَتْحِ فَنَاجَاهَا فَبَكَتْ ثُمَّ حَدَّثَهَا فَضَحِكَتْ قَالَتْ فَلَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلْتُهَا عَنْ بُكَائِهَا وَضَحِكِهَا ‏.‏ قَالَتْ أَخْبَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يَمُوتُ فَبَكَيْتُ ثُمَّ أَخْبَرَنِي أَنِّي سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ إِلاَّ مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ فَضَحِكْتُ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا محمد بن خالد ابن عثمة، حدثني موسى بن يعقوب الزمعي، عن هاشم بن هاشم، ان عبد الله بن وهب بن زمعة، اخبره ان ام سلمة اخبرته ان رسول الله صلى الله عليه وسلم دعا فاطمة عام الفتح فناجاها فبكت ثم حدثها فضحكت قالت فلما توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم سالتها عن بكاىها وضحكها ‏.‏ قالت اخبرني رسول الله صلى الله عليه وسلم انه يموت فبكيت ثم اخبرني اني سيدة نساء اهل الجنة الا مريم بنت عمران فضحكت ‏.‏ قال هذا حديث حسن غريب من هذا الوجه ‏.‏


Narrated Umm Salamah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) called for Fatimah in the Year of the Conquest to him to speak to her, and she cried. Then he spoke to her and she laughed. She said: "When the Messenger of Allah (ﷺ) died I asked her about her crying and her laughing. She said: 'The Messenger of Allah (SAW0 informed me that he would (soon) die, so I cried. Then, he informed me that I was the master over all of the women among the inhabitants of Paradise, except for Mariam bint 'Imran, so I laughed.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ৬৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের মর্যাদা

৩৮৯৪। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, সাফিয়্যাহ (রাযিঃ)-এর কানে পৌছে যে, হাফসাহ (রাযিঃ) তাকে ইয়াহুদীর মেয়ে বলে ঠাট্টা করেছেন। তাই তিনি কাঁদছিলেন। তার ক্ৰন্দনরত অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘরে প্রবেশ করেন। তিনি বললেনঃ তোমাকে কিসে কাঁদাচ্ছে? তিনি বললেন, হাফসাহ আমাকে ইয়াহূদীর মেয়ে বলে তিরস্কার করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অবশ্যই তুমি একজন নবীর কন্য, তোমার চাচা অবশ্যই একজন নবী এবং তুমি একজন নবীর সহধর্মিণী। অতএব কিভাবে হাফসাহ তোমার উপরে অহংকার করতে পারে? তারপর তিনি বললেনঃ হে হাফসাহ আল্লাহ তা’আলাকে ভয় কর।

সহীহঃ মিশকাত (৬১৮৩)।

আবূ ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ بَلَغَ صَفِيَّةَ أَنَّ حَفْصَةَ، قَالَتْ بِنْتُ يَهُودِيٍّ ‏.‏ فَبَكَتْ فَدَخَلَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ تَبْكِي فَقَالَ ‏"‏ مَا يُبْكِيكِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَتْ قَالَتْ لِي حَفْصَةُ إِنِّي بِنْتُ يَهُودِيٍّ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّكِ لاَبْنَةُ نَبِيٍّ وَإِنَّ عَمَّكِ لَنَبِيٌّ وَإِنَّكِ لَتَحْتَ نَبِيٍّ فَفِيمَ تَفْخَرُ عَلَيْكِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ اتَّقِي اللَّهَ يَا حَفْصَةُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا اسحاق بن منصور، وعبد بن حميد، قالا اخبرنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن ثابت، عن انس، قال بلغ صفية ان حفصة، قالت بنت يهودي ‏.‏ فبكت فدخل عليها النبي صلى الله عليه وسلم وهي تبكي فقال ‏"‏ ما يبكيك ‏"‏ ‏.‏ فقالت قالت لي حفصة اني بنت يهودي ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ انك لابنة نبي وان عمك لنبي وانك لتحت نبي ففيم تفخر عليك ‏"‏ ‏.‏ ثم قال ‏"‏ اتقي الله يا حفصة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب من هذا الوجه ‏.‏


Narrated Anas:
said: "It reached Safiyyah that Hafsah said: 'The daughter of a Jew' so she wept. Then the Prophet (ﷺ) entered upon her while she was crying, so he said: 'What makes you cry?' She said: 'Hafsah said to me that I am the daughter of a Jew.' So the Prophet (ﷺ) said: 'And you are the daughter of a Prophet, and your uncle is a Prophet, and you are married to a Prophet, so what is she boasting to you about?' Then he said: 'Fear Allah, O Hafsah.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ৬৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের মর্যাদা

৩৮৯৫। আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে সে-ই ভাল যে তার পরিবারের নিকট ভাল। আর আমি আমার পরিবারের নিকট তোমাদের চাইতে উত্তম। আর তোমাদের কোন সঙ্গী মৃত্যুবরণ করলে তার সমালোচনা পরিত্যাগ করো।

সহীহঃ সহীহাহ (২৮৫)।

আবূ ঈসা বলেন, সাওরীর হাদীস হিসেবে এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ। খুব কম সংখ্যক লোকই এটি সাওরী হতে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি হিশাম ইবনু উরওয়াহ-তার পিতা হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সনদে মুরসালরূপেও বর্ণিত হয়েছে।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ خَيْرُكُمْ خَيْرُكُمْ لأَهْلِهِ وَأَنَا خَيْرُكُمْ لأَهْلِي وَإِذَا مَاتَ صَاحِبُكُمْ فَدَعُوهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ مَا أَقَلَّ مَنْ رَوَاهُ عَنِ الثَّوْرِيِّ ‏.‏ وَرُوِيَ هَذَا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن يحيى، حدثنا محمد بن يوسف، حدثنا سفيان، عن هشام بن عروة، عن ابيه، عن عاىشة، قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ خيركم خيركم لاهله وانا خيركم لاهلي واذا مات صاحبكم فدعوه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب صحيح من حديث الثوري ما اقل من رواه عن الثوري ‏.‏ وروي هذا عن هشام بن عروة عن ابيه عن النبي صلى الله عليه وسلم مرسل ‏.‏


Narrated 'Aishah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The best of you is the best to his wives, and I am the best of you to my wives, and when your companion dies, leave him alone."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ৬৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের মর্যাদা

৩৮৯৬। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সাহাবীগণের কেউ যেন তাদের অপরজনের কোন খারাপ কথা আমার নিকটে না পৌছায়। যেহেতু আমি তাদের সাথে পরিষ্কার ও উদার মন নিয়েই দেখা করতে ভালোবাসী। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে কিছু সম্পদ আসলে তিনি (জনতার মধ্যে) তা বিতরণ করেন। আমি একই সাথে বসে থাকা দুই ব্যক্তির নিকট গেলাম, তারা বলছিল, আল্লাহর শপথ মুহাম্মাদ এই যে বিলি-বন্টন করলেন তাতে আল্লাহ্ তা’আলার তুষ্টি লাভের ইচ্ছাই তার ছিল না এবং পরকালের বাসস্থান (জান্নাত) অর্জনেরও নয়। কথাটি শুনে আমি মনে রাখলাম এবং ফিরে এসে তাকে জানালাম। এতে তার মুখমণ্ডল রক্তিম বর্ণ ধারণ করল এবং তিনি বললেনঃ তুমি আমাকে ছেড়ে দাও। মূসা আলাইহিস সালামকে এর চেয়েও বেশি যন্ত্রণা দেয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি ধৈর্য ধরেছেন।

সনদ দুর্বল

আবূ ঈসা বলেনঃ উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীসটি গারীব। এর সনদে এক ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ الْوَلِيدِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ يُبَلِّغُنِي أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ مِنْ أَصْحَابِي شَيْئًا فَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَخْرُجَ إِلَيْهِمْ وَأَنَا سَلِيمُ الصَّدْرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَالٍ فَقَسَمَهُ فَانْتَهَيْتُ إِلَى رَجُلَيْنِ جَالِسَيْنِ وَهُمَا يَقُولاَنِ وَاللَّهِ مَا أَرَادَ مُحَمَّدٌ بِقِسْمَتِهِ الَّتِي قَسَمَهَا وَجْهَ اللَّهِ وَلاَ الدَّارَ الآخِرَةَ ‏.‏ فَتَثَبَّتُّ حِينَ سَمِعْتُهُمَا فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخْبَرْتُهُ فَاحْمَرَّ وَجْهُهُ وَقَالَ ‏"‏ دَعْنِي عَنْكَ فَقَدْ أُوذِيَ مُوسَى بِأَكْثَرَ مِنْ هَذَا فَصَبَرَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ زِيدَ فِي هَذَا الإِسْنَادِ رَجُلٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن يحيى، حدثنا محمد بن يوسف، عن اسراىيل، عن الوليد، عن زيد بن زاىدة، عن عبد الله بن مسعود، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا يبلغني احد عن احد من اصحابي شيىا فاني احب ان اخرج اليهم وانا سليم الصدر ‏"‏ ‏.‏ قال عبد الله فاتي رسول الله صلى الله عليه وسلم بمال فقسمه فانتهيت الى رجلين جالسين وهما يقولان والله ما اراد محمد بقسمته التي قسمها وجه الله ولا الدار الاخرة ‏.‏ فتثبت حين سمعتهما فاتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم واخبرته فاحمر وجهه وقال ‏"‏ دعني عنك فقد اوذي موسى باكثر من هذا فصبر ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب من هذا الوجه وقد زيد في هذا الاسناد رجل ‏.‏


Narrated 'Abdullah bin Mas'ud:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "No one should convey to me anything regarding any of my Companions, for I love that I should go out to them while my breast is at peace." 'Abdullah said: "The Messenger of Allah (ﷺ) was brought some wealth, so the Prophet (ﷺ) distributed it. Then I came across two men that were sitting saying: 'By Allah! Muhammad (ﷺ) did not intend the Face of Allah in his distribution, nor the abode of the Hereafter.' So I spread this when I heard them, and I went to the Messenger of Allah (ﷺ) and I informed him. So his face became red and he said: 'Do not bother me with this, for indeed Musa was afflicted by more than this and he was patient.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ৬৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের মর্যাদা

৩৮৯৭। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ-উবাইদুল্লাহ ইবনু মূসা হতে, তিনি হুসাইন ইবনু মুহাম্মাদ হতে, হতে, তিনি যাইদ ইবনু যাইদা হতে, তিনি ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেনঃ কেউ যেন তাদের অপরজনের খারাপ কথা আমার নিকট না পৌছায়।

যঈফ, মিশকাত (৪৮৫২)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، وَالْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي هِشَامٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ زَائِدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ يُبَلِّغُنِي أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا مِنْ هَذَا مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا محمد بن اسماعيل، حدثنا عبد الله بن محمد، حدثنا عبيد الله بن موسى، والحسين بن محمد، عن اسراىيل، عن السدي، عن الوليد بن ابي هشام، عن زيد بن زاىدة، عن عبد الله بن مسعود، رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ لا يبلغني احد عن احد شيىا ‏"‏ ‏.‏ وقد روي هذا الحديث عن عبد الله بن مسعود عن النبي صلى الله عليه وسلم شيىا من هذا من غير هذا الوجه ‏.‏


Narrated 'Abdullah bin Mas'ud:
that the Prophet (ﷺ) said: "No one should convey to me anything regarding anyone."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে