পরিচ্ছেদঃ ২০. ‘আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাযিঃ)-এর মর্যাদা।

৩৭১২। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি আবী তলিব (রাযিঃ)-কে তাদের সেনাপতি নিযুক্ত করেন। তিনি সেনাদলের একটি খণ্ডাংশের (সারিয়্যা) পরিদর্শনে যান এবং এক যুদ্ধবন্দিনীর সঙ্গে মিলিত হন। কিন্তু তার সাথীরা তার এ কাজ পছন্দ করলেন না। অতএব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চারজন সাহাবী শপথ করে বললেন, যখন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দেখা পাব, তাকে তখন আলীর কার্যকলাপ প্রসঙ্গে জানাব।

মুসলিমদের নিয়ম ছিল যে, তারা কোন সফর বা অভিযান শেষে ফিরে এসে সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে সালাম করতেন, তারপর নিজ নিজ গৃহে ফিরে যেতেন। সুতরাং উক্ত সেনাদল ফিরে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম জানায় এবং চার সাহাবীর একজন দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! লক্ষ্য করুন, আলী ইবনু আবী তলিব এই এই করেছেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিক হতে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি দাঁড়িয়ে পূর্বোক্ত ব্যক্তির মতো বক্তব্য পেশ করেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হতেও মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এবার তৃতীয়জন দাঁড়িয়ে পূর্বোক্তজনের একই রকম বক্তব্য পেশ করেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হতেও মুখ ফিরিয়ে নেন। অবশেষে চতুৰ্থজন দাড়িয়ে পূর্বোক্তদের একই রকম বক্তব্য পেশ করেন।

এবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চেহারায় অসন্তুষ্টির ভাব নিয়ে তাদের দিকে মনোনিবেশ করে বললেনঃ কি বলতে চাও? তোমরা ’আলী প্রসঙ্গে কি বলতে চাও? ’আলী প্রসঙ্গে তোমরা কি বলতে চাও? (বংশ, বৈবাহিক সম্পর্ক, অগ্রগণ্যতা, ভালবাসা ইত্যাদি প্রসঙ্গে) আলী আমার হতে এবং আমি আলী হতে। আমার পরে সে-ই হবে সমস্ত মুমিনের সঙ্গী ও পৃষ্ঠপোষক।

সহীহঃ সহীহাহ (২২২৩)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র জাফর ইবনু সুলাইমানের সনদে অবগত হয়েছি।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ يَزِيدَ الرِّشْكِ، عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَيْشًا وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَمَضَى فِي السَّرِيَّةِ فَأَصَابَ جَارِيَةً فَأَنْكَرُوا عَلَيْهِ وَتَعَاقَدَ أَرْبَعَةٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا إِذَا لَقِينَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرْنَاهُ بِمَا صَنَعَ عَلِيٌّ وَكَانَ الْمُسْلِمُونَ إِذَا رَجَعُوا مِنَ السَّفَرِ بَدَءُوا بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمُوا عَلَيْهِ ثُمَّ انْصَرَفُوا إِلَى رِحَالِهِمْ فَلَمَّا قَدِمَتِ السَّرِيَّةُ سَلَّمُوا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ أَحَدُ الأَرْبَعَةِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَمْ تَرَ إِلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ صَنَعَ كَذَا وَكَذَا ‏.‏ فَأَعْرَضَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَامَ الثَّانِي فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ قَامَ إِلَيْهِ الثَّالِثُ فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ قَامَ الرَّابِعُ فَقَالَ مِثْلَ مَا قَالُوا فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالْغَضَبُ يُعْرَفُ فِي وَجْهِهِ فَقَالَ ‏ "‏ مَا تُرِيدُونَ مِنْ عَلِيٍّ مَا تُرِيدُونَ مِنْ عَلِيٍّ مَا تُرِيدُونَ مِنْ عَلِيٍّ إِنَّ عَلِيًّا مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ وَهُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤْمِنٍ بَعْدِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا جعفر بن سليمان الضبعي، عن يزيد الرشك، عن مطرف بن عبد الله، عن عمران بن حصين، قال بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم جيشا واستعمل عليهم علي بن ابي طالب فمضى في السرية فاصاب جارية فانكروا عليه وتعاقد اربعة من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا اذا لقينا رسول الله صلى الله عليه وسلم اخبرناه بما صنع علي وكان المسلمون اذا رجعوا من السفر بدءوا برسول الله صلى الله عليه وسلم فسلموا عليه ثم انصرفوا الى رحالهم فلما قدمت السرية سلموا على النبي صلى الله عليه وسلم فقام احد الاربعة فقال يا رسول الله الم تر الى علي بن ابي طالب صنع كذا وكذا ‏.‏ فاعرض عنه رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قام الثاني فقال مثل مقالته فاعرض عنه ثم قام اليه الثالث فقال مثل مقالته فاعرض عنه ثم قام الرابع فقال مثل ما قالوا فاقبل اليه رسول الله صلى الله عليه وسلم والغضب يعرف في وجهه فقال ‏ "‏ ما تريدون من علي ما تريدون من علي ما تريدون من علي ان عليا مني وانا منه وهو ولي كل مومن بعدي ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من حديث جعفر بن سليمان ‏.‏


Narrated 'Imran bin Husain:
that the Messenger of Allah (ﷺ) dispatched an army and he put 'Ali bin Abi Talib in charge of it. He left on the expedition and he entered upon a female slave. So four of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) scolded him, and they made a pact saying: "[If] we meet the Messenger of Allah (ﷺ) we will inform him of what 'Ali did." When the Muslims returned from the journey, they would begin with the Messenger of Allah (ﷺ) and give him Salam, then they would go to their homes. So when the expedition arrived, they gave Salam to the Prophet (ﷺ), and one of the four stood saying: "O Messenger of Allah! Do you see that 'Ali bin Abi Talib did such and such." The Messenger of Allah (ﷺ) turned away from him. Then the second one stood and said as he said, and he turned away from him. Then the third stood before him, and said as he said, and he turned away from him. Then the fourth stood and said as they had said. The Messenger of Allah (ﷺ) faced him, and the anger was visible on his face, he said: "What do you want from 'Ali?! What do you want from 'Ali?! Indeed 'Ali is from me, and I am from him, and he is the ally of every believer after me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২০. ‘আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাযিঃ)-এর মর্যাদা।

৩৭১৩। আবূ সারীহাহ অথবা যাইদ ইবনু আরকাম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যার সাথী বা পৃষ্ঠপোষক, আলীও তার সাথী বা পৃষ্ঠপোষক।

সহীহঃ সহীহাহ (১৭৫০), রাওযুন নায়ীর (১৭১), মিশকাত (৬০৮২)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস শুবাহ আবূ আবদুল্লাহ মাইমূন হতে, তিনি যাইদ ইবনু আরকাম (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন। আবূ সারীহাহ হলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী হুযইফাহ ইবনু আসীদ আল-গিফারী (রাযিঃ)।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الطُّفَيْلِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَرِيْحَةَ، أَوْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ شَكَّ شُعْبَةُ - عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ كُنْتُ مَوْلاَهُ فَعَلِيٌّ مَوْلاَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَيْمُونٍ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَأَبُو سَرِيحَةَ هُوَ حُذَيْفَةُ بْنُ أَسِيدٍ الْغِفَارِيُّ صَاحِبُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن سلمة بن كهيل، قال سمعت ابا الطفيل، يحدث عن ابي سريحة، او زيد بن ارقم شك شعبة - عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ من كنت مولاه فعلي مولاه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب ‏.‏ وقد روى شعبة هذا الحديث عن ميمون ابي عبد الله عن زيد بن ارقم عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وابو سريحة هو حذيفة بن اسيد الغفاري صاحب النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated Abu Sarihah, or Zaid bin Arqam - Shu'bah had doubt:
from the Prophet (ﷺ): "For whomever I am his Mawla then 'Ali is his Mawla."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২০. ‘আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাযিঃ)-এর মর্যাদা।

৩৭১৪। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আবূ বকরের দারুল হিজরতে (মদীনায়) নিয়ে এসেছেন এবং নিজের মাল দিয়ে বিলালকে গোলাম হতে আযাদ করেছেন। আল্লাহ তা’আলা উমারকে দয়া করুন। অপ্রিয় হলেও তিনি হক (সত্য) কথা বলেন। তার সত্য ভাষণই তাকে সঙ্গহীন করেছেন। আল্লাহ তা’আলা উসমানের প্রতি দয়া করুন। সে এত অধিক লাজুক যে, ফিরিশতারা পর্যন্ত তাকে দেখে লজ্জাবোধ (সম্মান) করেন। আল্লাহ তা’আলা আলীকে দয়া করুন। হে আল্লাহ! সে যেখানেই থাকুক, সত্যকে তার চিরসার্থী করুন।

অত্যন্ত দুর্বল, যঈফা (২০৯৪), মিশকাত (৬১৩৪)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। মুখতার ইবনু নাফি’ বাসরার শাইখ, অনেক অপরিচিত বিষয় তিনি বর্ণনা করেন, আবূ হাইয়্যান আত-তাইনীর নাম ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ কূফার অধিবাসী নির্ভরযোগ্য রাবী।

حَدَّثَنَا أَبُو الْخَطَّابِ، زِيَادُ بْنُ يَحْيَى الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو عَتَّابٍ، سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا الْمُخْتَارُ بْنُ نَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ رَحِمَ اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ زَوَّجَنِي ابْنَتَهُ وَحَمَلَنِي إِلَى دَارِ الْهِجْرَةِ وَأَعْتَقَ بِلاَلاً مِنْ مَالِهِ رَحِمَ اللَّهُ عُمَرَ يَقُولُ الْحَقَّ وَإِنْ كَانَ مُرًّا تَرَكَهُ الْحَقُّ وَمَالَهُ صَدِيقٌ رَحِمَ اللَّهُ عُثْمَانَ تَسْتَحْيِيهِ الْمَلاَئِكَةُ رَحِمَ اللَّهُ عَلِيًّا اللَّهُمَّ أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَالْمُخْتَارُ بْنُ نَافِعٍ شَيْخٌ بَصْرِيٌّ كَثِيرُ الْغَرَائِبِ وَأَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدِ بْنِ حَيَّانَ التَّيْمِيُّ كُوفِيٌّ وَهُوَ ثِقَةٌ ‏.‏

حدثنا ابو الخطاب، زياد بن يحيى البصري حدثنا ابو عتاب، سهل بن حماد حدثنا المختار بن نافع، حدثنا ابو حيان التيمي، عن ابيه، عن علي، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ رحم الله ابا بكر زوجني ابنته وحملني الى دار الهجرة واعتق بلالا من ماله رحم الله عمر يقول الحق وان كان مرا تركه الحق وماله صديق رحم الله عثمان تستحييه الملاىكة رحم الله عليا اللهم ادر الحق معه حيث دار ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه الا من هذا الوجه ‏.‏ والمختار بن نافع شيخ بصري كثير الغراىب وابو حيان التيمي اسمه يحيى بن سعيد بن حيان التيمي كوفي وهو ثقة ‏.‏


Narrated 'Ali bin Abi Talib:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "May Allah have mercy upon Abu Bakr, he married me to his daughter, and he carried me to the land of Hijrah, and he freed Bilal with his wealth. May Allah have mercy upon 'Umar, he says the truth even if it is sour. The truth caused him to be left without a friend. May Allah have mercy upon 'Uthman, the angels are shy of him. May Allah have mercy upon 'Ali. O Allah! Place the truth with him wherever he turns."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২০. ‘আলী ইবনু আবী ত্বালিব (রাযিঃ)-এর মর্যাদা।

৩৭১৫। রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আলী (রাঃ) কূফার মুক্তাঙ্গনে (আর-রাহবায়) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ হুদাইবিয়ার দিন মুশরিকদের ক’জন লোক আমাদের নিকটে আসে। তাদের মধ্যে সুহাইল ইবনু আমরসহ আরো ক’জন গণ্যমান্য মুশরিক ছিল। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের সন্তান-সন্তুতি, ভাই ও ক্রীতদাসসহ কিছু সংখ্যক লোক আপনার নিকট এসে পরেছে। ধর্ম সম্পর্কে তারা মূৰ্খ এবং তারা আমাদের ভূসম্পত্তি ও ক্ষেত-খামার হতে পালিয়ে এসেছে। অতএব আপনি তাদেরকে আমাদের নিকট ফিরিয়ে দিন। যদিও তাদের ধর্মের বিষয়ে তেমন জ্ঞান নেই, তাই আমরা তাদেরকে বুঝাব।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে কুরাইশের লোকেরা! তোমরা এরকম কর্মকাণ্ড হতে বিরত হও। অন্যথায় আল্লাহ তা’আলা তোমাদের বিরুদ্ধে এমন লোকদের পাঠাবেন, যারা তোমাদের ঘাড়ে দীনের তরবারী দিয়ে আঘাত করবে। আল্লাহ তা’আলা তাদের অন্তরগুলোকে ঈমানের ব্যাপারে পরীক্ষা করে নিয়েছেন।

তখন মুসলিমরা প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল! কে সেই ব্যক্তি? আবূ বকর (রাঃ)-ও বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কে সেই ব্যক্তি? উমার (রাঃ)-ও বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কে সেই লোক? তিনি বললেনঃ সে একজন জুতা সেলাইকারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ)-কে তার জুতাটা সেলাই করতে দিয়েছিলেন। রাবী বলেনঃ আলী (রাঃ) আমাদের দিকে তাকালেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজ ইচ্ছায় আমার প্রতি মিথ্যারোপ করল, সে যেন জাহান্নামে তার থাকার জায়গা নির্ধারণ করল।

সনদ দুর্বল, তবে হাদীসের শেষাংশ সহীহ মুতাওয়াতির, দেখুন হাদীস নং (২৬৪৫)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আমরা শুধু আলী (রাঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে উপরোক্ত সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি। তিরমিয়ী জারুদ হতে ওয়াকীর সূত্রে বলেনঃ রিবঈ ইবনু হিরাশ ইসলামের মধ্যে কোন মিথ্যা কথা বলেননি। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল আব্দুল্লাহ ইবনু আবীল আসওয়াদ হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু মাহদী হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ মানসূর ইবনুল মু’তামির কূফাবাসীদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বিশ্বস্থ রাবী।

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، بِالرَّحَبَةِ قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْحُدَيْبِيَةِ خَرَجَ إِلَيْنَا نَاسٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فِيهِمْ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو وَأُنَاسٌ مِنْ رُؤَسَاءِ الْمُشْرِكِينَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ خَرَجَ إِلَيْكَ نَاسٌ مِنْ أَبْنَائِنَا وَإِخْوَانِنَا وَأَرِقَّائِنَا وَلَيْسَ لَهُمْ فِقْهٌ فِي الدِّينِ وَإِنَّمَا خَرَجُوا فِرَارًا مِنْ أَمْوَالِنَا وَضِيَاعِنَا فَارْدُدْهُمْ إِلَيْنَا ‏.‏ ‏"‏ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ فِقْهٌ فِي الدِّينِ سَنُفَقِّهُهُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ لَتَنْتَهُنَّ أَوْ لَيَبْعَثَنَّ اللَّهُ عَلَيْكُمْ مَنْ يَضْرِبُ رِقَابَكُمْ بِالسَّيْفِ عَلَى الدِّينِ قَدِ امْتَحَنَ اللَّهُ قَلْبَهُ عَلَى الإِيمَانِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَقَالَ عُمَرُ مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ هُوَ خَاصِفُ النَّعْلِ ‏"‏ ‏.‏ وَكَانَ أَعْطَى عَلِيًّا نَعْلَهُ يَخْصِفُهَا ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَيْنَا عَلِيٌّ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ رِبْعِيٍّ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ لَمْ يَكْذِبْ رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ فِي الإِسْلاَمِ كِذْبَةً ‏.‏ وَأَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الأَسْوَدِ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ يَقُولُ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ أَثْبَتُ أَهْلِ الْكُوفَةِ ‏.‏

حدثنا سفيان بن وكيع، حدثنا ابي، عن شريك، عن منصور، عن ربعي بن حراش، حدثنا علي بن ابي طالب، بالرحبة قال لما كان يوم الحديبية خرج الينا ناس من المشركين فيهم سهيل بن عمرو واناس من روساء المشركين فقالوا يا رسول الله خرج اليك ناس من ابناىنا واخواننا وارقاىنا وليس لهم فقه في الدين وانما خرجوا فرارا من اموالنا وضياعنا فارددهم الينا ‏.‏ ‏"‏ فان لم يكن لهم فقه في الدين سنفقههم ‏"‏ ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يا معشر قريش لتنتهن او ليبعثن الله عليكم من يضرب رقابكم بالسيف على الدين قد امتحن الله قلبه على الايمان ‏"‏ ‏.‏ قالوا من هو يا رسول الله فقال له ابو بكر من هو يا رسول الله وقال عمر من هو يا رسول الله قال ‏"‏ هو خاصف النعل ‏"‏ ‏.‏ وكان اعطى عليا نعله يخصفها ثم التفت الينا علي فقال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ من كذب على متعمدا فليتبوا مقعده من النار ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب لا نعرفه الا من حديث ربعي عن علي ‏.‏ قال وسمعت الجارود يقول سمعت وكيعا يقول لم يكذب ربعي بن حراش في الاسلام كذبة ‏.‏ واخبرني محمد بن اسماعيل عن عبد الله بن ابي الاسود قال سمعت عبد الرحمن بن مهدي يقول منصور بن المعتمر اثبت اهل الكوفة ‏.‏


Narrated Rib'i bin Hirash:
"At Ar-Rahbah, 'Ali narrated us: 'On the Day of (the Pledge of) Hudaibiyah, some people from the idolaters came out to us. Among them was Suhail bin 'Amr, and some people among the heads of the idolaters. They said: "O Messenger of Allah! People among our fathers, brothers, and slaves have come to you, and they have no knowledge of the religion, rather they came fleeing from our wealth and property, so return them to us. If they do not have knowledge of the religion, then we will teach them." So the Prophet (ﷺ) said: "O people of Quraish, you will desist, or Allah will send upon you one who will chop your necks with the sword over the religion. Allah has tested their hearts regarding faith." They said: "Who is he O Messenger of Allah?" Abu Bakr said to him: "Who is he O Messenger of Allah?" 'Umar said to him: "Who is he O Messenger of Allah?" He said: "He is the one repairing the sandals." - And he had given 'Ali his sandals to repair them. - He said: "Then 'Ali turned to us and said: 'Indeed the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever lies upon me intentionally, then let him take his seat in the Fire."


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে