পরিচ্ছেদঃ ৩২. (রাতের নামাযের বিশেষ দু'আ)
৩৪২১। আলী ইবনু আবী তলিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামাযে দাঁড়াতেন, তখন বলতেনঃ “একনিষ্ঠভাবে আমি আমার চেহারা তার দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম যিনি আকাশমন্ডলী দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই”- (সূরা আন’আম ৭৯)। "আমার নামায, আমার ইবাদাত (কুরবানী ও হাজ্জ), আমার প্রাণ ও আমার মৃত্যু জগতসমূহের পালনকর্তা আল্লাহ তা’আলার জন্যই। তার কোন শরীক নেই এবং এ (ঘোষণা দেয়ার) জন্যই আমি আদিষ্ট হয়েছি। আমি মুসলিমদের দলভুক্ত"- (সূরা আন’আম ১৬২-৬৩)।
হে আল্লাহ! তুমি রাজার রাজা, তুমি ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই, তুমিই আমার প্রতিপালক এবং আমি তোমার দাস। আমার নিজের উপর আমি অত্যাচার করেছি, আমার অপরাধ আমি স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমার সকল অপরাধ ক্ষমা করে দাও। কেননা তুমি ছাড়া অপরাধ ক্ষমাকারী আর কেউ নেই। তুমি আমাকে ভাল চরিত্রের পথনির্দেশ কর, তুমি ব্যতীত অন্য কেউ সবচেয়ে ভাল চরিত্রের দিকে পথনির্দেশ করতে পারে না। তুমি আমার হতে মন্দ চরিত্র দূর করে দাও। তুমি ছাড়া অন্য কেউ আমার হতে তা দূর করতে পারে না। তোমার উপরে আমি ঈমান এনেছি। তুমি কল্যাণময়, সুমহান। তোমার কাছে আমি মাফ চাই এবং তোমার দিকে প্রত্যাবর্তন করছি”।
তারপর যখন রুকূ’ দিতেন তখন বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার জন্য আমি রুকূ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম এবং তোমার খুশির জন্যই আত্মসমর্পণ করলাম। আমার কান, আমার চোখ, আমার মস্তিষ্ক, আমার হাড় এবং আমার স্নায়ু তোমার জন্যই ঝুকে পড়েছে। তিনি রুকু হতে মাথা তুলে বলতেনঃ
“হে আল্লাহ, আমার প্রভু! আকাশমণ্ডলী ও সম্পূর্ণ জগৎসমূহ এবং উভয়ের মাঝে যা কিছু আছে, সমস্ত কিছু পরিপূর্ণ পরিমাণ তোমার প্রশংসা এবং তুমি যা আকাঙ্ক্ষা কর সেটাও পরিপূর্ণ পরিমাণ তোমার প্রশংসা”।
তিনি সিজদাতে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্যই সাজদা করলাম, তোমার উপর ঈমান আম্লাম, তোমার জন্যই ইসলাম কবুল করলাম। আমার মুখমণ্ডল তার জন্য সিজদা করল। যিনি আমার চেহারা সৃষ্টি করেছেন, তারপর তাকে সুন্দর মুখমণ্ডল দান করেছেন এবং তা ভেদ করে কান ও চোখ ফুটিয়েছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ তা’আলা কত মহান”।
তারপর তাশাহহুদ ও সালামের মাঝখানের সময়ে তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি পূর্বে ও পরে, লুকায়িত ও প্রকাশ্য এবং আমার প্রসঙ্গে তোমার জানা মতে যা কিছু আমি করেছি, তুমি তা ক্ষমা করে দাও। তুমিই শুরু এবং তুমিই শেষ। তুমি ব্যতীত আর কোন মা’বূদ নেই"।
সহীহঃ সিফাতুস সালাত, সহীহ আবূ দাউদ (হাঃ ৭৩৮), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ قَالَ " وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا إِنَّهُ لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ آمَنْتُ بِكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . فَإِذَا رَكَعَ قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعِظَامِي وَعَصَبِي " . فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ قَالَ " اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرَضِينَ وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ " . فَإِذَا سَجَدَ قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ فَصَوَّرَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ " . ثُمَّ يَكُونُ آخِرَ مَا يَقُولُ بَيْنَ التَّشَهُّدِ وَالسَّلاَمِ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Ali bin Abi Talib narrated that whenever the Messenger of Allah would stand for Salat, he would say:
“I have directed my face towards the One who created the Heavens and the earth, as a Hanif, and I am not of the idolaters. Indeed, my Salat, my sacrifice, my living, and my dying is for Allah, the Lord of all that exists, there is no partner for Him, and with this have I been ordered, and I am among the Muslims. O Allah, You are the King, there is none worthy of worship except You. You are My Lord, and I am Your slave, I have wronged myself, and I admit to my sin, so forgive me all my sins, verily, there is none who forgives sins but You. And guide me to the best of the manners, none guides to the best of them except You, and turn the evil of them away from me, [verily,] none can turn the evil of them away from me except You. I have believed in You. Blessed are You and Exalted are You, I seek Your forgiveness and I repent to you (Wajjahtu wajhiya lilladhī faṭaras-samāwāti wal-arḍa ḥanīfan wa mā ana min al-mushrikīn, inna ṣalātī wa nusukī wa maḥyāya wa mamātī lillāhi rabbil-`ālamīn, lā sharīka lahū wa bidhālika umirtu wa ana min al-muslimīn. Allāhumma antal-maliku lā ilāha illā ant, anta rabbī, wa ana `abduka ẓalamtu nafsī wa`taraftu bidhanbī faghfirlī dhunūbī jamī`an, innahū lā yaghfir adh-dhunūba illā ant. Wahdinī li-aḥsanil-akhlāqi lā yahdī li-aḥsanihā illā ant. Waṣrif `annī sayyi’ahā [innahū] lā yaṣrifu `annī sayyi’aha illā ant. Āmantu bika tabārakta wa ta`ālaita astaghfiruka wa atūbu ilaik).” And when he would bow in Ruku`, he would say: “O Allah, to You I have bowed, and in You I believe, and to You have I submitted. My hearing, my sight, my brain, my bones and my sinew are humbled to you (Allāhumma laka raka`tu wa bika āmantu wa laka aslamtu. Khasha`a laka sam`ī wa baṣarī wa mukhkhī wa `iẓāmī, wa `aṣabī)” Then when he would raise his head, he would say: “O Allah, our Lord, to You is praise the fill of the Heavens and the earths and the fill of whatever You will of things. (Allāhumma rabbanā lakal-ḥamdu mil’as-samāwāti wal-arḍīna wa mā bainahumā, wa mil’a mā shi’ta min shay’in ba`d).” Then, when he prostrated, he would say: “O Allah, to You have I prostrated, and in You have I believed, and to You have I submitted, my face has prostrated to the One Who created it and fashioned it, and gave it its hearing and its sight. So Blessed is Allah, the Best of creators (Allāhumma laka sajadtu wa bika āmantu wa laka aslamtu, sajada wajhi lilladhī khalaqahū fa ṣuwwarahū wa shaqqa sam`ahū wa baṣarahū fatabārak Allāhu ahsanul-khāliqīn).” Then the last of what he would say between At-Tashah-hud and As-Salam would be: “O Allah, forgive me what I have done before and after, and what I have hidden and what I have done openly, and what You know more of it than I, You are the One who sends forth and the One who delays, there is none worthy of worship except You. (Allāhummaghfirlī mā qaddamtu wa mā akhkhartu wa mā asrartu wa mā a`lantu wa mā anta a`lamu bihī minnī antal-Muqaddimu wa antal-Mu’akhkhiru, lā ilāha illā ant).”
পরিচ্ছেদঃ ৩২. (রাতের নামাযের বিশেষ দু'আ)
৩৪২২। আলী ইবনু আবী তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (রাতে তাহাজ্জুদ) নামাযে দণ্ডায়মান হতেন তখন বলতেনঃ “একনিষ্ঠভাবে আমি আমার মুখমণ্ডল তার দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম যিনি আকাশমণ্ডলী ও দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই” (সূরা আন’আম ৭৯)। "আমার নামায, আমার ইবাদাত (হাজ্জ ও কুরবানী), আমার প্রাণ, আমার মৃত্যু বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহ তা’আলার জন্য। তার কোন অংশীদার নেই এবং আমি এজন্যই আদিষ্ট হয়েছি। আমি একজন মুসলিম”— (সূরা আন’আম ১৬২-১৬৩)।
“হে আল্লাহ! তুমিই বাদশাহ, তুমি ব্যতীত আর কোন মা’বূদ নেই, তুমিই আমার প্রভু, আমি তোমার দাস। আমার আত্মার প্রতি আমি যুলুম করেছি এবং আমি আমার কৃত অন্যায় স্বীকার করেছি। সুতরাং আমার সকল অপরাধ তুমি ক্ষমা করে দাও। কেননা তুমি ছাড়া অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। তুমি আমাকে সর্বোত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত কর। কেননা তুমি ব্যতীত অন্য কেউ সর্বোত্তম চরিত্রের রাস্তায় পরিচালিত করতে পারে না।
আমাকে অপরাধ হতে তুমি ফিরিয়ে রাখ, কেননা তুমি ছাড়া অন্য কেউ আমাকে খারাপ পথ হতে ফিরিয়ে রাখতে পারে না। তোমার সমীপে আমি উপস্থিত, সকল সৌভাগ্য ও মঙ্গল তোমার আয়ত্তাধীন। আর খারাপের কিছুই তোমার দিকে সম্পর্কিত করা যায় না। আমি তোমার জন্যই এবং তোমার নিকটেই আমার ফিরে আসা। তুমি মঙ্গলময় ও সুমহান। তোমার কাছে আমি মাফ চাই এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি”।
তিনি রুকূ’তে গিয়ে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রুকূ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম এবং তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম। সুতরাং আমার কান, আমার চোখ, আমার সকল হাড় ও স্নায়ুগুলো তোমার জন্যই অবনমিত”।
তিনি (রুকূ’ হতে) মাথা তুলে বলতেনঃ “হে আল্লাহ, আমাদের প্রভু! তোমার জন্য সকল প্রশংসা-আকাশ, যমীন ও এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু আছে এবং তুমি যা চাও এ সকল পূর্ণ পরিমাণ”।
তিনি সিজদাতে গিয়ে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি সিজদা করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, আমি তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম। আমার চেহারা তার উদ্দেশে সিজদা করল, যিনি তা সৃষ্টি করেছেন, তাকে সুন্দর আকৃতি দান করেছেন এবং (তা ভেদ করে) তার কান ও চোখ ফুটিয়েছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ তা’আলা বারাকাতময়”।
তারপর তাশাহহুদ ও সালামের মাঝে সবশেষে তিনি বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি পূর্বে ও পরে, লুকায়িত ও প্রকাশ্য যে গুনাহ করেছি, যে উচ্ছৃঙ্খলতা করেছি এবং আমার প্রসঙ্গে তোমার জানা মতে, যা কিছু আমি (অন্যায়-অপরাধ) করেছি সে সব তুমি ক্ষমা করে দাও। তুমিই শুরু এবং তুমিই শেষ। তুমি ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই"।
সহীহঃ প্রাগুক্ত।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، وَيُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونِ، قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ حَدَّثَنِي عَمِّي، وَقَالَ، يُوسُفُ أَخْبَرَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي الأَعْرَجُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ قَالَ " وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . فَإِذَا رَكَعَ قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَعِظَامِي وَعَصَبِي " . فَإِذَا رَفَعَ قَالَ " اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَاءِ وَمِلْءَ الأَرْضِ وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ " . فَإِذَا سَجَدَ قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ فَصَوَّرَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ " . ثُمَّ يَقُولُ مِنْ آخِرِ مَا يَقُولُ بَيْنَ التَّشَهُّدِ وَالتَّسْلِيمِ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Ali bin Abi Talib narrated that whenever the Messenger of Allah would stand for Salat, he would say:
“I have directed my face towards the One who has created the heavens and the earth, as a Hanif, and I am not of the idolaters. Indeed, my Salat, my sacrifice, my living, my dying, is for Allah, the Lord of all that exists, without partner, and with this have I been ordered and I am of the Muslims. O Allah, You are the King, there is none worthy of worship except You. You are My Lord, and I am Your slave, I have wronged myself and I admit to my sin, so forgive me all my sins, verily, there is none who forgives sins but You, and guide me to the best of manners, none guides to the best of them except You, and turn away from me the evil of them, none can turn away from me the evil of them except You. Here I am in obedience to You, and in aiding Your cause, and the good, all of it is in Your Hands, and the evil is not attributed to You, I am reliant upon You and ever-turning towards You, Blessed are You and Exalted are You. I seek Your forgiveness and I repent to you (Wajjahtu wajhiya lilladhī faṭaras-samāwāti wal-arḍa ḥanīfan wa mā ana min al-mushrikīn, inna ṣalātī wa nusukī wa maḥyāya wa mamātī lillāhi rabbil-`ālamīn, lā sharīka lahū wa bidhālika umirtu wa ana min al-muslimīn. Allāhumma antal-maliku lā ilāha illā ant, anta rabbī, wa ana `abduka ẓalamtu nafsī wa`taraftu bidhanbī faghfirlī dhunūbī jamī`an, innahū lā yaghfir adh-dhunūba illā ant. Wahdinī li-aḥsanil-akhlāqi lā yahdī li-aḥsanihā illā ant. Waṣrif `annī sayyi’ahā lā yaṣrifu `annī sayyi’aha illā ant. Labaika wa sa`daika wal-khairu kulluhū fī yadaika, wash-sharru laisa ilaik, tabārakta wa ta`ālaita astaghfiruka wa atūbu ilaik).” And when he would bow in Ruku he would say: “O Allah, to You have I bowed, and in You have I believed, and to You have I submitted. My hearing, my sight, my bones, and my sinew are humbled to you (Allāhumma laka raka`tu wa bika āmantu wa laka aslamtu. Khasha`a laka sam`ī wa baṣarī wa `iẓāmī, wa `aṣabī).” And when he would rise he would say: “O Allah, our Lord, to You is praise filling the heaven and filling the earth, and filling what is between them, and filling whatever You have wished of things afterward (Allāhumma rabbanā lakal-ḥamdu mil’as-samāwāti wa mil’al-arḍ wa mil’a mā bainahumā, wa mil’a mā shi’ta min shay’in ba`d).” Then, when he prostrated, he would say: “O Allah, to You have I prostrated, and in You have I believed, and to You have I submitted (in Islam), my face has prostrated to the One Who created it, and fashioned it, and gave it its hearing and sight, [so] Blessed is Allah, the Best of Creators (Allāhumma laka sajadtu wa bika āmantu wa laka aslamtu, sajada wajhi lilladhī khalaqahū fa ṣuwwarahū wa shaqqa sam`ahū wa baṣarahū fatabārak Allāhu ahsanul-khāliqīn).” Then the last of what he would say between At-Tashahud and At-Taslim was: “O Allah, forgive me what I have done, before and after, and what I have hidden, and what I have done openly, and what I have transgressed the limit in, and what You know about more than me, You are the One Who sends forth and the One Who delays, there is none worthy of worship except You (Allāhummaghfirlī mā qaddamtu wa mā akhkhartu wa mā asrartu wa mā a`lantu wa mā asraftu wa mā anta a`lamu bihī minnī antal-Muqaddimu wa antal-Mu’akhkhiru, lā ilāha illā ant).”
পরিচ্ছেদঃ ৩২. (রাতের নামাযের বিশেষ দু'আ)
৩৪২৩। আলী ইবনু আবী তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয নামাযে দাড়াতেন তখন তার হাত দুইখানি তার কাঁধ বরাবর উঠাতেন। যখন তিনি কিরাআত সমাপ্ত করতেন (রুকূতে যাওয়া ইচ্ছা করতেন) তখনও পুনরায় একই রকম করতেন (দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন), আবার যখন রুকূ’ হতে মাথা উঠাতেন তখনও একই রকম করতেন। কিন্তু বসা অবস্থায় তার নামাযে কোথাও তিনি তার দু’হাত উঠাতেন না। তারপর তিনি দুই সিজদা্ সেরে (দুই রাকাআত শেষে) যখন উঠে দাড়াতেন তখনও তাকবীর পাঠ করে তার দুই হাত তুলতেন।
তিনি তাকবীরে তাহরীমার পর নামায আরম্ভ হতেই বলতেনঃ “একনিষ্ঠভাবে আমি তার দিকে আমার চেহারা প্রত্যাবর্তন করলাম যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই”- (সূরা আন’আম ৭৯)।
আমার নামায, আমার ইবাদাত, আমার প্রাণ ও আমার মৃত্যু বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহ তা’আলার উদ্দেশে। তার কোন শারীক নেই এবং আমি এজন্যই আদিষ্ট হয়েছি। আমি একজন মুসলিম”— (সূরা আন’আম ১৬২-১৬৩)।
“হে আল্লাহ! তুমিই রাজার রাজা, তুমি ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই। তুমি পবিত্র, তুমি আমার মনিব এবং আমি তোমার দাস। আমার সত্তার উপর আমি যুলম করেছি এবং আমার কৃত অন্যায় আমি স্বীকার করেছি। সুতরাং তুমি আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দাও। তুমি ছাড়া পাপ ক্ষমাকারী আর কেউ নেই। তুমি আমাকে উত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত কর। তুমি ব্যতীত আর কেউ সেই উত্তম পথে পরিচালিত করতে পারে না। তুমি আমার হতে খারাপকে দূরে সরিয়ে দাও। তুমি ছাড়া অন্য কেউ আমার হতে খারাপকে দূরীভূত করতে পারে না। আমি তোমার সামনে উপস্থিত আছি। সৌভাগ্য তোমার অধিকারে, তোমার জন্যই আমি এবং তোমার দিকেই আমি ফিরে আসি। তোমার শাস্তি হতে মুক্তি লাভের সাধ্য কারোর নেই এবং তোমার হতে পালিয়ে থাকার আশ্রয়ও নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি"।
তারপর তিনি কিরআত পাঠ করতেন। তিনি যখন রুকূ’তে যেতেন তখন রুকূতে এই কথা বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার উদ্দেশে আমি রুকূ করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম এবং তুমিই আমার প্রভু। আমার কান, আমার চোখ, আমার মস্তিষ্ক ও আমার হাড় বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহ তা’আলার ভয়ে ভীত"।
তিনি রুকু হতে মাথা তুলে বলতেনঃ “কেউ আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করলে তিনি তা শুনেন"। এর সঙ্গে তিনি আরো বলতেনঃ “হে আল্লাহ, আমাদের প্রভু! সকল আকাশ ও যামীন পরিপূর্ণ এবং এরপরও তোমার ইচ্ছানুসারে পরিপূর্ণ প্রশংসা তোমার জন্য”।
তিনি সিজদাতে গিয়ে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! তোমার উদ্দেশে আমি সিজদা করলাম, তোমার উপর ঈমান আনলাম, তোমার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম এবং তুমিই আমার প্রভু। সেই মহান সত্তার জন্য আমার চেহারা সিজদা করেছে যিনি তা তৈরী করেছেন এবং তা ভেদ করে তাতে কান ও চোখ ফুটিয়েছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ তা’আলা কত বারাকাতময়"।
তিনি নামায শেষ করে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও আমার পূর্বের ও পরের গুনাহসমূহ এবং আমি যা কিছু লুকায়িত ও প্রকাশ্যে করেছি তাও। তুমিই আমার মা’বুদ, তুমি ব্যতীত কোন মা’বূদ নেই"।
হাসান সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (হাঃ ৭২৯)।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস মতো ইমাম শাফিঈ ও আমাদের কিছু আলিম আমল করেন। ইমাম আহমাদ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করা প্রয়োজন মনে করেন না। কুফার অধিবাসী কিছু আলিম ও অপর আলিমগণ বলেন, এসব দু’আ নফল নামাযে পাঠ করবে, ফরয নামাযে নয়।
আবূ ইসমাঈল আত-তিরমিয়ী (মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল ইবনু ইউসুফ)-কে আমি বলতে শুনেছি, এ হাদীস আমি সুলাইমান ইবনু দাউদ আল-হাশিমীকে উল্লেখপূর্বক বলতে শুনেছি, এ হাদীস আমাদের কাছে যুহরী-সালিম হতে তার বাবার সনদে বর্ণিত হাদীসের মতোই।
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَيَصْنَعُ ذَلِكَ أَيْضًا إِذَا قَضَى قِرَاءَتَهُ وَأَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَيَصْنَعُهَا إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ وَلاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنْ صَلاَتِهِ وَهُوَ قَاعِدٌ وَإِذَا قَامَ مِنْ سَجْدَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ كَذَلِكَ فَكَبَّرَ وَيَقُولُ حِينَ يَفْتَتِحُ الصَّلاَةَ بَعْدَ التَّكْبِيرِ " وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَأَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ وَلاَ مَلْجَأَ إِلاَّ إِلَيْكَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . ثُمَّ يَقْرَأُ فَإِذَا رَكَعَ كَانَ كَلاَمُهُ فِي رُكُوعِهِ أَنْ يَقُولَ " اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ وَأَنْتَ رَبِّي خَشَعَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعَظْمِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ " . فَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . ثُمَّ يُتْبِعُهَا " اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ " . وَإِذَا سَجَدَ قَالَ فِي سُجُودِهِ " اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ وَأَنْتَ رَبِّي سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ " . وَيَقُولُ عِنْدَ انْصِرَافِهِ مِنَ الصَّلاَةِ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ الشَّافِعِيِّ وَبَعْضِ أَصْحَابِنَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَحْمَدُ لاَ يَرَاهُ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ يَقُولُ هَذَا فِي صَلاَةِ التَّطَوُّعِ وَلاَ يَقُولُهُ فِي الْمَكْتُوبَةِ . سَمِعْتُ أَبَا إِسْمَاعِيلَ التِّرْمِذِيَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ بْنِ يُوسُفَ يَقُولُ سَمِعْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ دَاوُدَ الْهَاشِمِيَّ يَقُولُ وَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ هَذَا عِنْدَنَا مِثْلُ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ .
Ali bin Abi Talib narrated that :
when the Messenger of Allah would stand for the obligatory prayer, he would raise his hands to the level of his shoulder, and he would do this [also] when he finished his recitation and intended to bow, and he would do it when he raised his head from Ruku`, and he would not raise his hands in any of his prayers while he was seated. When he would rise from the two prostrations, he would likewise raise his hands, and say the Takbir, and when he opened his Salat after the Takbir, he would say: “I have directed my face towards the One who has created the heavens and the earth, as a Hanif, and I am not of the idolaters. Indeed, my Salat, my sacrifice, my living, my dying, is for Allah, the Lord of all that exists, without partner, and with this have I been ordered and I am of the Muslims. O Allah, You are the King, there is none worthy of worship except You. Glorified are You, You are My Lord, and I am Your slave, I have wronged myself and I admit to my sin, so forgive me all my sins, verily, there is none who forgives sins but You, and guide me to the best of manners, none guides to the best of them except You, and turn away from me the evil of them, none turns away from me the evil of them except You, I am here in Your obedience and aiding Your cause, and I am reliant upon You and ever-turning towards You, [and] there is no refuge from You nor hiding place from You except (going) to You, I seek Your forgiveness, and I repent to you (Wajjahtu wajhiya lilladhī faṭaras-samāwāti wal-arḍa ḥanīfan wa mā ana min al-mushrikīn, inna ṣalātī wa nusukī wa maḥyāya wa mamātī lillāhi rabbil-`ālamīn, lā sharīka lahū wa bidhālika umirtu wa ana min al-muslimīn. Allāhumma antal-maliku lā ilāha illā ant, subḥānaka anta rabbī, wa ana `abduka ẓalamtu nafsī wa`taraftu bidhanbī faghfirlī dhunūbī jamī`an, innahū lā yaghfir adh-dhunūba illā ant. Wahdinī li-aḥsanil-akhlāqi lā yahdī li-aḥsanihā illā ant. Waṣrif `annī sayyi’ahā lā yaṣrifu `annī sayyi’aha illā ant. Labaika wa sa`daika, wa ana bika wa ilaika, [wa] lā manjā minka wa lā malja’a illā ilaik, astaghfiruka wa atūbu ilaik).” Then he would recite, then when he would bow, his speech in his Ruku`, would be to say: “O Allah, to You have I bowed, and in You have I believed, and to You have I submitted (in Islam), and You are my Lord. My hearing, my sight, my brain and my bones are humbled to Allah, the Lord of the Worlds all that exists (Allāhumma laka raka`tu wa bika āmantu wa laka aslamtu wa anta rabb ī. Khasha`a sam`ī wa baṣarī wa mukhkhī wa `aẓmī lillāhi, rabbil-`ālamīn).” Then, when he raised his head from Ruku he would say: “Allah hears the one who praises him (Sami`a Allāhu liman ḥamidah).” Then he would follow it with: “O Allah, our Lord, to You is praise filling the heavens and the earth and filling whatever You wish of things afterward (Allāhumma rabbanā wa lakal-ḥamdu mil’as-samāwāti wal-arḍi, wa mil’a mā shi’ta min shay’in ba`d.).” Then, when prostrated he would say in his prostration: “O Allah, to You have I prostrated, and in You have I believed, and to You have I submitted (in Islam), and You are my Lord, my face has prostrated to the One that created it, and granted its hearing and sight, Blessed is Allah, the Best of Creators (Allāhumma laka sajadtu wa bika āmantu wa laka aslamtu wa anta rabbī, sajada wajhi lilladhī khalaqahū wa shaqqa sam`ahū wa baṣarahū, tabārak Allāhu ahsanul-khāliqīn).” When he was finished with his Salat, we would say: “O Allah, forgive me what I have done, before and after, and what I have hidden, and what I have done openly, and You are my Deity, there is none worthy of worship except You (Allāhummaghfirlī mā qaddamtu wa mā akhkhartu wa mā asrartu wa mā a`lantu, wa anta ilāhī lā ilāha illā ant).”