পরিচ্ছেদঃ ৬৪. সূরা আল-মুনাফিকুন

৩৩১২। যাইদ ইবনু আরকাম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আমার চাচার সঙ্গে ছিলাম। আবদুল্লাহ ইবনু উবাই ইবনু সালুলকে আমি তার সঙ্গীদের উদ্দেশে বলতে শুনলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গীদের জন্য তোমরা আর অর্থ খরচ করবে না, তারা যতক্ষণ পর্যন্ত না (তার হতে) আলাদা হয়ে যায়। আমরা মদীনায় ফিরে গেলে তখন অবশ্যই সেখানে প্রবলরা হীনদেরকে বহিষ্কার করবে। এ কথা আমি আমার চাচাকে জানলে তা তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানান।

আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডাকেন এবং তার নিকট আমি ঘটনা ব্যক্ত করি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আবদুল্লাহ ইবনু উবাই ও তার সঙ্গীদেরকে ডেকে পাঠান। শপথ করে তারা বলে যে, তারা (এ কথা) বলেনি। সে সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে মিথ্যাবাদী ও তাকে সত্যবাদী ধারণা করলেন।

এতে আমার এত কষ্ট লাগল যে, আগে কখনও এ রকম কষ্ট হয়নি। আমি ভারাক্রান্ত মনে ঘরে বসে রইলাম। আমার চাচা বললেন, তুমি এমন ব্যাপারে কেন জড়িত হতে গেলে যার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট তুমি মিথ্যাবাদী হলে ও তার অসন্তুষ্টির কারণ হলে? এ পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তা’আলা যখন “মুনাফিকুরা যখন তোমার নিকট আসে” (অর্থাৎ সূরা আল-মুনাফিকূন) অবতীর্ণ করেন। তখন আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডেকে পাঠান এবং তিনি উক্ত সূরা তিলাওয়াত করেন, তারপর বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা তোমার সত্যবাদিতার সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।

সহীহঃ বুখারী (হাঃ ৪৯০০, ৪৯০৪), মুসলিম (হাঃ ৮/১১৯)।

আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ كُنْتُ مَعَ عَمِّي فَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَىِّ ابْنَ سَلُولَ، يَقُولُ لأَصْحَابِهِ ‏:‏ ‏(‏ لا تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى يَنْفَضُّوا ‏)‏ و ‏(‏لئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ ‏)‏ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَمِّي فَذَكَرَ ذَلِكَ عَمِّي لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَدَعَانِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَحَدَّثْتُهُ فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ وَأَصْحَابِهِ فَحَلَفُوا مَا قَالُوا فَكَذَّبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَدَّقَهُ فَأَصَابَنِي شَيْءٌ لَمْ يُصِبْنِي قَطُّ مِثْلُهُ فَجَلَسْتُ فِي الْبَيْتِ فَقَالَ عَمِّي مَا أَرَدْتَ إِلاَّ أَنْ كَذَّبَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَقَتَكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏:‏ ‏(‏ إذا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ ‏)‏ فَبَعَثَ إِلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَهَا ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ قَدْ صَدَّقَكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا عبيد الله بن موسى، عن اسراىيل، عن ابي اسحاق، عن زيد بن ارقم، قال كنت مع عمي فسمعت عبد الله بن ابى ابن سلول، يقول لاصحابه ‏:‏ ‏(‏ لا تنفقوا على من عند رسول الله حتى ينفضوا ‏)‏ و ‏(‏لىن رجعنا الى المدينة ليخرجن الاعز منها الاذل ‏)‏ فذكرت ذلك لعمي فذكر ذلك عمي للنبي صلى الله عليه وسلم فدعاني النبي صلى الله عليه وسلم فحدثته فارسل رسول الله صلى الله عليه وسلم الى عبد الله بن ابى واصحابه فحلفوا ما قالوا فكذبني رسول الله صلى الله عليه وسلم وصدقه فاصابني شيء لم يصبني قط مثله فجلست في البيت فقال عمي ما اردت الا ان كذبك رسول الله صلى الله عليه وسلم ومقتك فانزل الله تعالى ‏:‏ ‏(‏ اذا جاءك المنافقون ‏)‏ فبعث الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقراها ثم قال ‏"‏ ان الله قد صدقك ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Zaid bin Aslam said:
“I was with my uncle when I heard Abdullah bin Ubayy bin Salul saying to his companions: Do not spend on those who are with the Messenger of Allah until they desert from him. If we return to Al-Madinah then the more honorable will expel the meaner among them. So I mentioned that to my uncle, then my uncle mentioned it to the Prophet. So the Prophet called for me to narrated it to him. Then the Messenger of Allah sent message to Abdullah bin Ubayy and his companions but they took an oath that they had not said it. So he did not believe me and he trusted what they said. I was struck with distress the likes of which I had not suffered before. So I just at in my house, and my uncle said to me: ‘You only wanted the Messenger of Allah to not believe you and hate you.’ Then Allah [Most High] revealed: ‘When the hypocrites come to you’ So the Messenger of Allah sent for me, and he recites it and said: ‘Indeed Allah has verified the truth of what you said.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ৬৪. সূরা আল-মুনাফিকুন

৩৩১৩। যাইদ ইবনু আরকাম (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে যুদ্ধে গেলাম। কিছু সংখ্যক বেদুঈনও আমাদের সঙ্গে ছিল। আমরা পানির উৎসের দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আমাদের পূর্বেই বেদুঈনরা পানির উৎসে গিয়ে পৌছায়। এক বেদুঈন তার সঙ্গীদের পূর্বে পৌছে। সে হাউয (চৌবাচ্চা) সম্পূর্ণ করে তার চতুর্দিকে পাথর রেখে দিত এবং তার উপর চামড়া বিছিয়ে দিয়ে তা ঢেকে দিত, যাতে তার সাথী এসে যায় (এবং অন্যরা পানি নিতে না পারে)। উক্ত বেদুঈনের কাছে এসে এক আনসারী লোক তার উটকে পানি পান করানোর জন্য এর লাগাম (নাসারন্দ্রের দড়ি) হালকা করে ছেড়ে দিল, কিন্তু বেদুঈন তার উটকে পানি পান করতে বাধা দেয়।

এতে আনসারী ব্যক্তি (ক্রুদ্ধ হয়ে) পানির উৎসগুলো সরিয়ে ফেলে। সে সময় একটি কাষ্ঠ খণ্ড তুলে নিয়ে বেদুঈন আনসারীর মাথায় জোরে আঘাত করে এবং এর ফলে তার মাথা ফেটে যায়। উক্ত আনসারী মুনাফিক্ সরদার আবদুল্লাহ ইবনু উবাইর নিকট গিয়ে তাকে ঘটনা সম্পর্কে জানায়। আনসারী তার দলেরই লোক ছিল। ’আবদুল্লাহ ইবনু উবাই ক্ষিপ্ত হয়ে বলে, যে বেদুঈনরা আল্লাহ তা’আলার রাসূলের সঙ্গে রয়েছে তাদেরকে সহায়তাদান বন্ধ করে দাও। তবেই তার চারপাশ হতে তারা আলাদা হয়ে যাবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আহার করার সময় তার নিকট বেদুঈনরা হাজির হত (এবং তার সঙ্গে আহার করত)। তাই আবদুল্লাহ বলল, যে সময় বেদুঈনরা মুহাম্মাদের নিকট হতে অন্যত্র চলে যাবে তার নিকট তখন খাবার উপস্থিত করবে; যাতে তিনি ও তার নিকট উপস্থিত (অন্যরা) তা আহার করেন। তারপর আবদুল্লাহ তার সাথীদেরকে আরো বলল, আমরা যদি মদীনায় ফিরে যেতে পারি তবে সম্মানিতরা তোমাদের মাঝের হীনদেরকে তাড়িয়ে দিবে।

যাইদ ইবনু আরকাম (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে একই সওয়ারীতে ছিলাম। আবদুল্লাহর কথা আমি শুনে ফেললাম এবং আমার চাচাকে জানালাম। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গিয়ে তা অবহিত করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (আবদুল্লাহ ইবনু উবাই-কে) ডেকে পাঠান। সে শপথ করে এবং অস্বীকার করে।

বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিশ্বাস করলেন এবং আমাকে অবিশ্বাস করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার চাচা আমার নিকট এসে বললেন, এটাই তো তুমি চেয়েছিলে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট হোন এবং তিনি ও মুসলিমগণ তোমাকে মিথ্যুক বলে আখ্যায়িত করুন।

বর্ণনাকারী বলেন, আমি এতটাই ভারাক্রান্ত হলাম যতটা কখনো কেউ হয়নি। তিনি আরো বলেন, তারপর আমি ভারাক্রান্ত হয়ে মাথা নত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গেই সফর অব্যাহত রাখলাম। এ পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এসে আমার কান মললেন এবং আমার সম্মুখে হেসে দিলেন। যদি আমি চিরস্থায়ী জীবন (বা জান্নাত) লাভ করতাম তবুও এতটা খুশী হতাম না।

তারপর আবূ বকর (রাযিঃ) এসে আমার সঙ্গে দেখা করে প্রশ্ন করলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কি বলেছেন? আমি বললাম, আমাকে তিনি কিছুই বলেননি; তিনি কেবল আমার কান মলেছেন এবং আমার দিকে তাকিয়ে হেসেছেন। আবূ বকর (রাযিঃ) বললেন, তোমার জন্য সুখবর। অতঃপর আমার সঙ্গে উমার (রাযিঃ) এসে দেখা করেন। যে কথা আমি আবূ বকর (রাযিঃ)-কে বলেছিলাম তাকেও তাই বললাম। অতঃপর আমরা ভোরে উপনিত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূরা আল-মুনাফিকূন পাঠ করলেন।

হাদীসটির সানাদ সহীহ।

আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الأَزْدِيِّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ، قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ مَعَنَا أُنَاسٌ مِنَ الأَعْرَابِ فَكُنَّا نَبْتَدِرُ الْمَاءَ وَكَانَ الأَعْرَابُ يَسْبِقُونَّا إِلَيْهِ فَسَبَقَ أَعْرَابِيٌّ أَصْحَابَهُ فَسَبَقَ الأَعْرَابِيُّ فَيَمْلأُ الْحَوْضَ وَيَجْعَلُ حَوْلَهُ حِجَارَةً وَيَجْعَلُ النَّطْعَ عَلَيْهِ حَتَّى يَجِيءَ أَصْحَابُهُ ‏.‏ قَالَ فَأَتَى رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ أَعْرَابِيًّا فَأَرْخَى زِمَامَ نَاقَتِهِ لِتَشْرَبَ فَأَبَى أَنْ يَدَعَهُ فَانْتَزَعَ قِبَاضَ الْمَاءِ فَرَفَعَ الأَعْرَابِيُّ خَشَبَتَهُ فَضَرَبَ بِهَا رَأْسَ الأَنْصَارِيِّ فَشَجَّهُ فَأَتَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَىٍّ رَأْسَ الْمُنَافِقِينَ فَأَخْبَرَهُ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِهِ فَغَضِبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ ثُمَّ قَالَ ‏:‏ ‏(‏لا تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى يَنْفَضُّوا ‏)‏ مِنْ حَوْلِهِ ‏.‏ يَعْنِي الأَعْرَابَ وَكَانُوا يَحْضُرُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ الطَّعَامِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِذَا انْفَضُّوا مِنْ عِنْدِ مُحَمَّدٍ فَائْتُوا مُحَمَّدًا بِالطَّعَامِ فَلْيَأْكُلْ هُوَ وَمَنْ عِنْدَهُ ثُمَّ قَالَ لأَصْحَابِهِ لَئِنْ رَجَعْتُمْ إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ ‏.‏ قَالَ زَيْدٌ وَأَنَا رِدْفُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَىٍّ فَأَخْبَرْتُ عَمِّي فَانْطَلَقَ فَأَخْبَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَلَفَ وَجَحَدَ ‏.‏ قَالَ فَصَدَّقَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَذَّبَنِي قَالَ فَجَاءَ عَمِّي إِلَىَّ فَقَالَ مَا أَرَدْتَ إِلاَّ أَنْ مَقَتَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَذَّبَكَ وَالْمُسْلِمُونَ ‏.‏ قَالَ فَوَقَعَ عَلَىَّ مِنَ الْهَمِّ مَا لَمْ يَقَعْ عَلَى أَحَدٍ ‏.‏ قَالَ فَبَيْنَمَا أَنَا أَسِيرُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ قَدْ خَفَقْتُ بِرَأْسِي مِنَ الْهَمِّ إِذْ أَتَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَرَكَ أُذُنِي وَضَحِكَ فِي وَجْهِي فَمَا كَانَ يَسُرُّنِي أَنَّ لِي بِهَا الْخُلْدَ فِي الدُّنْيَا ‏.‏ ثُمَّ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ لَحِقَنِي فَقَالَ مَا قَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ مَا قَالَ شَيْئًا إِلاَّ أَنَّهُ عَرَكَ أُذُنِي وَضَحِكَ فِي وَجْهِي ‏.‏ فَقَالَ أَبْشِرْ ‏.‏ ثُمَّ لَحِقَنِي عُمَرُ فَقُلْتُ لَهُ مِثْلَ قَوْلِي لأَبِي بَكْرٍ فَلَمَّا أَصْبَحْنَا قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُورَةَ الْمُنَافِقِينَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا عبيد الله بن موسى، عن اسراىيل، عن السدي، عن ابي سعيد الازدي، حدثنا زيد بن ارقم، قال غزونا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم وكان معنا اناس من الاعراب فكنا نبتدر الماء وكان الاعراب يسبقونا اليه فسبق اعرابي اصحابه فسبق الاعرابي فيملا الحوض ويجعل حوله حجارة ويجعل النطع عليه حتى يجيء اصحابه ‏.‏ قال فاتى رجل من الانصار اعرابيا فارخى زمام ناقته لتشرب فابى ان يدعه فانتزع قباض الماء فرفع الاعرابي خشبته فضرب بها راس الانصاري فشجه فاتى عبد الله بن ابى راس المنافقين فاخبره وكان من اصحابه فغضب عبد الله بن ابى ثم قال ‏:‏ ‏(‏لا تنفقوا على من عند رسول الله حتى ينفضوا ‏)‏ من حوله ‏.‏ يعني الاعراب وكانوا يحضرون رسول الله صلى الله عليه وسلم عند الطعام فقال عبد الله اذا انفضوا من عند محمد فاىتوا محمدا بالطعام فلياكل هو ومن عنده ثم قال لاصحابه لىن رجعتم الى المدينة ليخرجن الاعز منها الاذل ‏.‏ قال زيد وانا ردف رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فسمعت عبد الله بن ابى فاخبرت عمي فانطلق فاخبر رسول الله صلى الله عليه وسلم فارسل اليه رسول الله صلى الله عليه وسلم فحلف وجحد ‏.‏ قال فصدقه رسول الله صلى الله عليه وسلم وكذبني قال فجاء عمي الى فقال ما اردت الا ان مقتك رسول الله صلى الله عليه وسلم وكذبك والمسلمون ‏.‏ قال فوقع على من الهم ما لم يقع على احد ‏.‏ قال فبينما انا اسير مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في سفر قد خفقت براسي من الهم اذ اتاني رسول الله صلى الله عليه وسلم فعرك اذني وضحك في وجهي فما كان يسرني ان لي بها الخلد في الدنيا ‏.‏ ثم ان ابا بكر لحقني فقال ما قال لك رسول الله صلى الله عليه وسلم قلت ما قال شيىا الا انه عرك اذني وضحك في وجهي ‏.‏ فقال ابشر ‏.‏ ثم لحقني عمر فقلت له مثل قولي لابي بكر فلما اصبحنا قرا رسول الله صلى الله عليه وسلم سورة المنافقين ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Zaid bin Arqam said:
“We were participating in a battle along with the Messenger of Allah, and there were some people from the Bedouins with us. So we all rushed toward some water and the Bedouins raced us to it. One of the Bedouins beat his companions to it and he (tried to obstruct) the pond, he placed rocks around it and he put a leather sheet over it until his companions came.” He said: “A man among the Ansar reached the Bedouin and he dropped the reigns of his camel to drink, but the Bedouin would not allow him. So he started removing the barriers around the water, but the Bedouin raised a stick beating the Ansari man on the head, and smashed it. He went to Abdullah bin Ubayy, the head of the hypocrite, to inform him – he was in fact one of his companions. So Abdullah bin Ubayy became enraged, the he said: ‘Do not spend anything on whoever is with Muhammad until they depart.’ Meaning the Bedouins. They were preparing food for the Messenger of Allah. So Abdullah said: ‘When they depart from Muhammad, then bring Muhammad some food, and let him and whoever is with him eat it.’ Then he said to his companions: ‘If we return to Al-Madinah, indeed the more honorable will expel therefrom the meaner.’” Zaid said: “And I was riding behind the Messenger of Allah, and I had heard Abdullah bin Ubayy, so I informed my uncle who went to tell the Messenger of Allah. He sent a message to him (Abdullah) but he took an oath and denied it.” He said: “So the Messenger of Allah accepted what he said and did not believe me. So my uncle came to me and said: ‘You only wanted the Messenger of Allah to hate you, and the Muslims to say that you lied.’” He said: “I suffered such worry as has not been suffered by anyone else.” He said: “(Later) while I was on the move with the Messenger of Allah on a journey, my mind was relieved of worry, since the Messenger of Allah came to me and rubbed my ear and smiled in my face. I would never be happier than with that as long as the world remained. Then Abu Bakr caught up to me, and said: ‘What did the Messenger of Allah say to you?’ I said: ‘He did not say anything to me, he only rubbed my ear and smiled in my face.’ He said: ‘Receive the good news!’ Then Umar caught up with me and I said the same to him as I had said to Abu Bakr. In the morning the Messenger of Allah recited Surat Al-Munafiqin.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ৬৪. সূরা আল-মুনাফিকুন

৩৩১৪। আল-হাকাম ইবনু উতাইবাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু কাব আল-কুরাযীকে আমি চল্লিশ বছর আগে যাইদ ইবনু আরকুম (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে রিওয়ায়াত করতে শুনেছি যে, তাবুক যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আব্দুল্লাহ ইবনু উবাই বলল, আমরা মদিনায় ফিরে যেতে পারলে সেখান হতে সম্মানিতরা অবশ্যই হীন লোকদের বের করে দিবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাকে বিষয়টি জানালাম। কিন্তু সে এ কথা বলেনি বলে শপথ করে। এতে আমার গোত্রের লোকেরা আমাকে দোষারোপ করে এবং বলে, তুমি কি এটাই চেয়েছিলে?

আমি দুশ্চিন্তগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ীতে ফিরে এসে আসার হয়ে শুয়ে রইলাম। আমার নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে বলেন বা আমি তার নিকট গেলে তিনি বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা তোমাকে সত্যবাদী ঘোষণা করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, (এই পরিপ্রেক্ষিতে) এ আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) “এরা সেই লোক যারা বলে, রাসূলের সঙ্গী-সাথীদের জন্য তোমরা অর্থব্যয় বন্ধ করে দাও, যার ফলে তারা আলাদা হয়ে যায়"- (সূরা মুনাফিকূন ৭)।

সহীহঃ বুখারী (হাঃ ৪৯০২)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ كَعْبٍ الْقُرَظِيَّ، مُنْذُ أَرْبَعِينَ سَنَةً يُحَدِّثُ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، رضى الله عنه أَنَّ عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ أُبَىٍّ قَالَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ ‏:‏ ‏(‏لئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ ‏)‏ قَالَ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَحَلَفَ مَا قَالَهُ فَلاَمَنِي قَوْمِي وَقَالُوا مَا أَرَدْتَ إِلَى هَذِهِ فَأَتَيْتُ الْبَيْتَ وَنِمْتُ كَئِيبًا حَزِينًا فَأَتَانِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَوْ أَتَيْتُهُ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ قَدْ صَدَّقَكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُُ ‏:‏ ‏(‏ هم الَّذِينَ يَقُولُونَ لاَ تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى يَنْفَضُّوا ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا محمد بن ابي عدي، انبانا شعبة، عن الحكم بن عتيبة، قال سمعت محمد بن كعب القرظي، منذ اربعين سنة يحدث عن زيد بن ارقم، رضى الله عنه ان عبد، الله بن ابى قال في غزوة تبوك ‏:‏ ‏(‏لىن رجعنا الى المدينة ليخرجن الاعز منها الاذل ‏)‏ قال فاتيت النبي صلى الله عليه وسلم فذكرت ذلك له فحلف ما قاله فلامني قومي وقالوا ما اردت الى هذه فاتيت البيت ونمت كىيبا حزينا فاتاني النبي صلى الله عليه وسلم او اتيته فقال ‏"‏ ان الله قد صدقك ‏"‏ ‏.‏ قال فنزلت هذه الاية ‏:‏ ‏(‏ هم الذين يقولون لا تنفقوا على من عند رسول الله حتى ينفضوا ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Al-Hakam bin Utaibah said:
“I heard Muhammad bin Ka’b Al-Qurazi – forty years ago – narrating from Zaid bin Arqam [may Allah be pleased with him] that during the battle of Tabuk, Abdullah bin Ubayy said: “If we return to Al-Madinah, indeed the more honorable will expel therefrom the meaner.” He said: ‘So I went to the Prophet and mentioned that to him, but he (Abdullah) took an oath that he did not say it. My people blamed me for that, they said: “What did you expect to accomplish from this?’ So I went to my house and slept full of grief. Then the Prophet came to me’ or ‘I went to him, and he said: “Indeed Allah has verified the truth of what you said.” He said: ‘So this Ayah was revealed: there are the ones who say: “Do not spend on those who are with the Messenger of Allah until they desert from him.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ৬৪. সূরা আল-মুনাফিকুন

৩৩১৫। আমর ইবনু দীনার (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছেন, একটি যুদ্ধে আমরা উপস্থিত ছিলাম। সুফইয়ান বলেন, তা বানী মুসতালিকের যুদ্ধ ছিল। এক মুহাজির এক আনসারীর নিতম্বে আঘাত করলে মুহাজির লোক ডাকেন, হে মুহাজির ভাইয়েরা। আনসারী লোকটিও ডাকেন, হে আনসার ভাইয়েরা। তা শুনতে পেয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জাহিলী যুগের ডাকাডাকি হচ্ছে কেন?

লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এক মুহাজির এক আনসারীর নিতম্বে আঘাত করেছে। তিনি (রাসূলুল্লাহ) বলেনঃ এ ডাকাডাকি বন্ধ কর, কারণ এটা ঘৃণিত ডাক। বিষয়টি আবদুল্লাহ ইবনু উবাই ইবনু সালুলের কানে পৌছলে সে বলল, এত বড় সাহস! এ কাজ তারা করেছে? আল্লাহর কসম! যদি আমরা মদীনায় ফিরে যেতে পারি তাহলে অবশ্যই সেখান হতে সম্মানিতরা হীনদেরকে বিতাড়িত করবে।

উমর (রাযিঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে অনুমতি দিন, এই মুনাফিকের ঘাড় আমি উড়িয়ে দেই। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তাকে এড়িয়ে চল। লোকেরা যেন বলতে না পারে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সঙ্গীদেরকে খুন করেন।

আমর ইবনু দীনার (রহঃ) ছাড়া অপর এক বর্ণনাকারী বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু উবাইর ছেলে ’আবদুল্লাহ (রাযিঃ) (তার বাবাকে) বলেন, আল্লাহর কসম! আপনি এ কথা যতক্ষণ স্বীকার না করবেন যে, “আপনিই হীন আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন মহাসম্মানিত", ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি মদীনায় ফিরে যেতে পারবেন না। তারপর সে তা স্বীকার করে।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ كُنَّا فِي غَزَاةٍ قَالَ سُفْيَانُ يَرَوْنَ أَنَّهَا غَزْوَةُ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَكَسَعَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ الْمُهَاجِرِيُّ يَا لَلْمُهَاجِرِينَ وَقَالَ الأَنْصَارِيُّ يَا لَلأَنْصَارِ فَسَمِعَ ذَلِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ مَا بَالُ دَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ كَسَعَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ دَعُوهَا فَإِنَّهَا مُنْتِنَةٌ ‏"‏ ‏.‏ فَسَمِعَ ذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ ابْنُ سَلُولَ فَقَالَ أَوَقَدْ فَعَلُوهَا وَاللَّهِ ‏(‏لئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ ‏)‏ فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ دَعْنِي أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا الْمُنَافِقِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ دَعْهُ لاَ يَتَحَدَّثُ النَّاسُ أَنَّ مُحَمَّدًا يَقْتُلُ أَصْحَابَهُ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ غَيْرُ عَمْرٍو فَقَالَ لَهُ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَاللَّهِ لاَ تَنْقَلِبُ حَتَّى تُقِرَّ أَنَّكَ الذَّلِيلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَزِيزُ ‏.‏ فَفَعَلَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن عمرو بن دينار، سمع جابر بن عبد الله، يقول كنا في غزاة قال سفيان يرون انها غزوة بني المصطلق فكسع رجل من المهاجرين رجلا من الانصار فقال المهاجري يا للمهاجرين وقال الانصاري يا للانصار فسمع ذلك النبي صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ ما بال دعوى الجاهلية ‏"‏ ‏.‏ قالوا رجل من المهاجرين كسع رجلا من الانصار فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ دعوها فانها منتنة ‏"‏ ‏.‏ فسمع ذلك عبد الله بن ابى ابن سلول فقال اوقد فعلوها والله ‏(‏لىن رجعنا الى المدينة ليخرجن الاعز منها الاذل ‏)‏ فقال عمر يا رسول الله دعني اضرب عنق هذا المنافق ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ دعه لا يتحدث الناس ان محمدا يقتل اصحابه ‏"‏ ‏.‏ وقال غير عمرو فقال له ابنه عبد الله بن عبد الله والله لا تنقلب حتى تقر انك الذليل ورسول الله صلى الله عليه وسلم العزيز ‏.‏ ففعل ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Sufyan narrated from Amr bin Dinar that he heard Jabir bin Abdullah saying:
“We were in a battle” – Sufyan said: “They say it was the battle of Banu Mustaliq” – “A man from the Muhajirin kicked a man from the Ansar. The man from the Muhajirin said: ‘O Muhajirin!’ the man from the Ansar said: ‘O Ansar!’ The Prophet heard that and said: ‘What is this evil call of Jahliyyah?’ They said: ‘A man from the Muhajirin kicked a man from the Ansar.’ So the Prophet said: ‘Leave that, for it is offensive.’ Abdullah bin Ubayy bin Salul heard that and said: ‘Did they really do that? By Allah! If we return to Al-Madinah indeed the more honorable will expel therefrom the meaner.’ Umar said: ‘Allow me to chop off the head of this hypocrite, O Messenger of Allah!’ The Prophet said: ‘Leave him, I do not want the people to say that Muhammad kills his Companions.’” Someone other than Amr said: “So his son, Abdullah bin Abdullah, said: ‘By Allah! You shall not return until you say that you are the mean and that the Messenger of Allah is the honorable.’ So he did so.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ৬৪. সূরা আল-মুনাফিকুন

৩৩১৬। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, যার নিকটে তার রবের (প্রতিপালকের) ঘর (কাব্য) যিয়ারাতের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ আছে অথচ হাজ্জ করে না, অথবা এতটা সম্পদ আছে যাতে তার উপর যাকাত ওয়াজিব হয় কিন্তু যাকাত আদায় করে না, সে মৃত্যুর সময় দুনিয়াতে আবার ফিরে আসার আরজ করবে। তখন এক ব্যক্তি বললেন, হে ইবনু আব্বাস আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন, দুনিয়াতে ফিরে আসার আর্জি তো শুধু কাফিররাই করবে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, আমি এখনই তোমাকে কুরআন পাঠ করে শুনাচ্ছিঃ

“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি যেন তোমাদেরকে আল্লাহ তা’আলার স্মরণ থেকে গাফিল না করে, যারা গাফিল হবে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদেরকে যে জীবিকা দিয়েছি, তা হতে খরচ কর তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে। অন্যথায় (মৃত্যু আসলে) সে বলবে, হে আমার রব। আমাকে তুমি আরো কিছুকালের জন্য ছাড় দিলে আমি দান-খাইরাত করতাম এবং সৎকর্মপরায়ণ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। কিন্তু যখন কারো নিৰ্দ্ধারিতকাল (মৃত্যু) চলে আসবে, তখন আল্লাহ তা’আলা তাকে কিছুই ছাড় দিবেন না। তোমরা যা কর আল্লাহ তা’আলা সে প্রসঙ্গে পূর্ণ অবগত" (সূরাঃ আল-মুনাফিকুন- ৯-১১)।

লোকটি বলল, কি পরিমাণ সম্পদে যাকাত ওয়াজিব হয়? তিনি বললেন, দুই শত দিরহাম বা ততোধিক মালে। সে বলল, কিসে হাজ্জ ওয়াজিব হয়? তিনি বললেনঃ পাথেয় ও যানবাহন থাকলে।

সনদ দুর্বল

আবদ ইবনু হুমাইদ-আবদুর রাযুযাক হতে তিনি সুফিয়ান সাওরী হতে তিনি ইয়াহইয়া ইবনু আবূ হাইয়্যা হতে তিনি দাহহাক হতে তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। ইবনু উয়াইনা প্রমুখ এ হাদীস আবূ জানাব হতে তিনি দাহহাক হতে তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে তার বিবৃতরূপে একই রকম বর্ণনা করেছেন এবং মারফু হিসেবে বর্ণনা করেননি। আবদুর রাযযাকের রিওয়ায়াতের তুলনায় এটি (মাওকুফ বর্ণনাটি) অনেক বেশি সহীহ। আবূ জানাবের নাম ইয়াহইয়া ইবনু আবূ হাইয়্যা এবং তিনি হাদীসশাস্ত্রে তেমন মজবুত নন।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو جَنَابٍ الْكَلْبِيُّ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ مُزَاحِمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهما قَالَ مَنْ كَانَ لَهُ مَالٌ يُبَلِّغُهُ حَجَّ بَيْتِ رَبِّهِ أَوْ تَجِبُ عَلَيْهِ فِيهِ الزَّكَاةُ فَلَمْ يَفْعَلْ سَأَلَ الرَّجْعَةَ عِنْدَ الْمَوْتِ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ اتَّقِ اللَّهَ إِنَّمَا سَأَلَ الرَّجْعَةَ الْكُفَّارُ قَالَ سَأَتْلُو عَلَيْكَ بِذَلِكَ قُرْآنًا ‏:‏ ‏(‏ يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلاَ أَوْلاَدُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ ‏)‏ ‏:‏ ‏(‏وأَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقْنَاكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ واللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ ‏)‏ قَالَ فَمَا يُوجِبُ الزَّكَاةَ قَالَ إِذَا بَلَغَ الْمَالُ مِائَتَىْ دِرْهَمٍ فَصَاعِدًا ‏.‏ قَالَ فَمَا يُوجِبُ الْحَجَّ قَالَ الزَّادُ وَالْبَعِيرُ ‏.‏

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي حَيَّةَ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ ‏.‏ وَقَالَ هَكَذَا رَوَى سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي جَنَابٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَوْلُهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ رِوَايَةِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ ‏.‏ وَأَبُو جَنَابٍ الْقَصَّابُ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي حَيَّةَ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا جعفر بن عون، اخبرنا ابو جناب الكلبي، عن الضحاك بن مزاحم، عن ابن عباس، رضى الله عنهما قال من كان له مال يبلغه حج بيت ربه او تجب عليه فيه الزكاة فلم يفعل سال الرجعة عند الموت ‏.‏ فقال رجل يا ابن عباس اتق الله انما سال الرجعة الكفار قال ساتلو عليك بذلك قرانا ‏:‏ ‏(‏ يا ايها الذين امنوا لا تلهكم اموالكم ولا اولادكم عن ذكر الله ‏)‏ ‏:‏ ‏(‏وانفقوا مما رزقناكم من قبل ان ياتي احدكم الموت ‏)‏ الى قوله ‏:‏ ‏(‏ والله خبير بما تعملون ‏)‏ قال فما يوجب الزكاة قال اذا بلغ المال ماىتى درهم فصاعدا ‏.‏ قال فما يوجب الحج قال الزاد والبعير ‏.‏ حدثنا عبد بن حميد، حدثنا عبد الرزاق، عن الثوري، عن يحيى بن ابي حية، عن الضحاك، عن ابن عباس، عن النبي صلى الله عليه وسلم بنحوه ‏.‏ وقال هكذا روى سفيان بن عيينة، وغير، واحد، هذا الحديث عن ابي جناب، عن الضحاك، عن ابن عباس، قوله ولم يرفعه ‏.‏ وهذا اصح من رواية عبد الرزاق ‏.‏ وابو جناب القصاب اسمه يحيى بن ابي حية وليس هو بالقوي في الحديث ‏.‏


Ad-Dahhak bin Muzahim narrated:
From Ibn Abbas [may Allah be pleased with him] who said: “Whoever has wealth, required him to perform Hajj to the House of his Lord, or upon which Zakat is obligatory, but he does not do it, then he shall ask to return (the world) upon his death.” A man said: “Oh Ibn Abbas! Have Taqwa of Allah! It is only the disbelievers who will be asked to return.” He said: “For that, I shall recite to you from the Qur’an: You who believe! Let not your properties or your children divert you from the remembrance of Allah. And whosever does that, then they are with the losers. And spend of that which We have provided you before death comes to one of you, and says: “My Lord! If only You would give me respite for a little while, then I should give Sadaqah” up to His saying: “And Allah is All-Aware of what you do.” He said: “So what makes Zakat obligatory?” He said: “When wealth reaches two hundred or above.” He said: “What makes Hajj obligatory?” He said: “Provisions and a camel.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে